নির্গুন ও সারগুন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নির্গুন সারগুণ হলো শিখধর্মে ব্যবহৃত পরিভাষা যার দ্বারা ঈশ্বরের অপ্রকাশ্য (নির্গুন) এবং প্রকাশ্য (সারগুন) প্রকৃতি বুঝানো হয়।[১] ঈশ্বরের নির্গুন ও সারগুন প্রকৃতির প্রকৃতি সম্বন্ধে কোনো দ্বিধাবিভক্তি নেই;[২] যেহেতু কেবলমাত্র একজনই আছেন (এক ওঙ্কার)।[৩][৪]

"তিনি স্বয়ং নিরাকার এবং সাকারও; একক ঈশ্বর বৈশিষ্ট্যহীন এবং বৈশিষ্ট্যময়ও।"

— এসজিজিএস; অং ২৫০

গুরু গ্রন্থ সাহিবে[সম্পাদনা]

গুরু নানক বলেন, সৃষ্টির আগে ঈশ্বর একাকী সুন সমাধি ভাবে গভীর ধ্যানমগ্ন অবস্থায় নির্গুন-রূপে ছিলেন।[৫]

"অগণিত বছর ধরে অন্ধকার ছিল।

পৃথিবী বা আকাশ ছিল না; শুধুমাত্র তার ইচ্ছা ছিল।

দিন ছিল না বা রাত ছিল না, সূর্য ছিল না বা চাঁদ ছিল না।

তারা (ঈশ্বর) গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন।

তিনি ছাড়া কিছুই ছিল না।"

— এসজিজিএস; অং ১০৩৫

তারপর ঈশ্বর ইচ্ছা করলেন, মহাবিশ্ব সৃষ্টি করলেন এবং প্রকৃতিতে সারগুন রূপে বিচ্ছুরিত হলেন।[৬]

ভারতীয় দর্শনে[সম্পাদনা]

পরম ঈশ্বরের দ্বৈত প্রকৃতি সম্পর্কিত শিখদের দৃষ্টিভঙ্গি শঙ্করের বৈদিক (সগুন এবং নির্গুন) ব্রাহ্ম ধারণার ন্যায় যা একই সাথে সাধারণভাবে ভারতীয় দর্শনের ঐতিহ্য।[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pemberton, Kelly; Nijhawan, Michael (২০০৯-০১-১৩)। Shared Idioms, Sacred Symbols, and the Articulation of Identities in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-135-90476-0 
  2. Current Thoughts on Sikhism (ইংরেজি ভাষায়)। Institute of Sikh Studies। ১৯৯৬। পৃষ্ঠা 253। আইএসবিএন 978-81-85815-01-5 
  3. Singha, Surindara Pala (২০০৪)। Inner Dynamics of Guru Granth Sahib (ইংরেজি ভাষায়)। Guru Nanak Dev University। পৃষ্ঠা 140। আইএসবিএন 978-81-7770-115-9 
  4. "Ang 250 of Guru Granth Sahib Ji - SikhiToTheMax"www.sikhitothemax.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৬ 
  5. Munde, Amarpreet Singh। "Introduction to Sikhism - Section II: God and His Universe"www.gurmat.info। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১১ 
  6. "BBC - GCSE Bitesize: Evolutionary biology"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১১ 
  7. Singh, Mohinder। History and Culture of Panjab (ইংরেজি ভাষায়)। Atlantic Publishers & Distri। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]