নিদ্রা মন্দির

স্থানাঙ্ক: ৩৬°৫২′৩৩″ উত্তর ২৭°১৫′২৫″ পূর্ব / ৩৬.৮৭৫৮৩° উত্তর ২৭.২৫৬৯৪° পূর্ব / 36.87583; 27.25694
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নিদ্রা মন্দিরগুলো ( স্বপ্ন মন্দির বা মিশরীয় নিদ্রা মন্দির হিসেবেও পরিচিত) কারও কারও দ্বারা সম্মোহনের প্রারম্ভিক উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়, যা ৪,০০০ বছর আগে ইমহোটেপের প্রভাবাধীনে সংঘটিত হত। ইমহোটেপ আচার্য এবং হেলিওপলিসের সূর্য দেবতা রা এর প্রধান যাজক হিসেবে নিষেবিত হতেন। বলা হয়ে থাকে তিনি প্রাচীন মিশরীয় সৃষ্টিকর্তা টাহ্‌ (Ptah) এর একজন পুত্র, আর তাঁর মাতা Khredu-Ankh নামের একজন নশ্বর।

নিদ্রা মন্দিরগুলো অনেকটা হাসপাতালের মত ছিল, যেখানে বিভিন্ন রোগের নিরাময় করা হত, সম্ভবত তাদের অনেকগুলোর প্রকৃতি ছিল মনস্তাত্ত্বিক। চিকিৎসার মধ্যে ছিল জপ করা, রোগীকে একটি বোধি-সদৃশ বা সম্মোহিত অবস্থাতে স্থাপন করা এবং চিকিৎসা নির্ধারণের জন্য তাদের স্বপ্ন বিশ্লেষণ করা। এসবের পাশাপাশি প্রায়শই পৃষ্ঠপোষক দেবতা বা অন্যান্য আত্মার উদ্দেশ্যে ধ্যান, উপবাস, স্নান এবং উৎসর্গ সংশ্লিষ্ট থাকত।

নিদ্রা মন্দিরগুলো মধ্য প্রাচ্য এবং প্রাচীন গ্রিসেও বিদ্যমান ছিল। গ্রিসে এগুলো গ্রিক চিকিৎসাবিদ্যার দেবতা আস্ক্লেপিউসের সম্মানে নির্মিত হয়েছিল এবং তাদেরকে আস্ক্লেপিয়ন বলা হত। গ্রিক চিকিৎসা পদ্ধতিটিকে "ইনকিউবেশন" বলা হত এবং নিরাময়ের জন্য এটি আস্ক্লেপিউসের উপাসনায় নিয়োজিত ছিল। অনুরূপ হিব্রু চিকিৎসা পদ্ধতিটিকে কাভানাহ্‌ বলা হত। ১৯২৮ সালে, তরুণ জে. আর. আর. টলকিনের সহায়তায় মর্টিমার হুইলার গ্লৌস্টারশায়ারের লিডনি পার্কে একটি রোমান নিদ্রা মন্দির আবিষ্কার করেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]