দি এলগিন হোটেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দি এলগিন হোটেল, দার্জিলিং
সাধারণ তথ্য
অবস্থানভারত এইচ.ডি. লামা সড়ক, ৭৩৪ ১০১ দার্জিলিং, ভারত,
স্বত্বাধিকারীএলগিন হোটেল প্রা: লি:
ব্যবস্থাপনাএলগিন হোটেল প্রা: লি:
অন্যান্য তথ্য
কক্ষ সংখ্যা২৫ ডাবল রুম
সংকলনের সংখ্যা
রেস্তোরাঁর সংখ্যা
গাড়ি রাখার স্থানউপলব্ধ
ওয়েবসাইট
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট

দি এলগিন হোটেল দার্জিলিং শহরের একটি নামকরা হোটেল,[১] যা অতীতের একটি সময় 'দি নিউ এলজিন' নামেই বেশি প্রসিদ্ধ ছিল।[২] হোটেলটি মূলত ১৮৮৭ সালের দিকে নির্মিত হয়েছিল এবং তৎকালিন সময়ে এটি প্রধানত কোচ বিহারের মহারাজা সাহেবের গ্রীষ্মকালীন আবাসস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হতো। এটি পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের একটি প্রত্নত্বাত্তিক হোটেল হিসাবে বিবেচিত, যা দার্জিলিং শহরে হিমালয়ের একটি পাহাড়ের উপর নির্মিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৮৭ সালের দিকে নির্মিত হোটেলটির চতূর্দিকে রয়েছে বিশালকার বাগান। হোটেলটিকে পূর্বের সময়কার রাজকীয় আদল দেবার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে যখন এটিকে নতুন করে সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এছাড়া হোটেলটির ইতিহাস বিষয়ক বিষয়গুলি যাতে পুনর্জীবিত হয় সেদিকেও বিশেষ নজর দেয়া হয়েছিল। হোটেলটির মূল নকশা করা হয়েছে রয়াল মেনর হাউস স্টাইলের স্থাপত্য কৌশলকে ব্যবহার করে এবং হোটেলটিকে পূর্বের আদলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল গৌরি ডগলাসের নকশায়,[৩] উইলিয়াম ডেনিয়েলের লিথোগ্রাফ, বার্মা টেকের আসবাব দিয়ে, মেঝের ওক কাঠের বোর্ডের সমন্বয়ে।

হোটেলটি অনেক নামকরা ও বিশিষ্ট্য ব্যক্তিদের আতিথিয়তা প্রদান করেছে যার ভেতর আছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর এবং পালদেন থনডাপ নামগেইল, সিকিমের ক্রাউন প্রিন্স থেকে শুরু করে ডমিনিক লাপিয়ারে এবং মার্ক তুলি। হোটেলটির অনেক অতিত ইতিহাস রয়েছে বলার মতো। এটির নির্মানের প্রথম থেকে যখন এটির স্বাত্তাধিকার কোচবিহারের মহারাজা থেকে নেন্সি ওকলে পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছিল যিনি কিনা হোটেলটির মালিকানা কিনে নেন ১৯৫৯ সালের দিকে।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

দি এলগিন হোটেলটির অবস্থানটি হলো বিখ্যাত দার্জিলিং মল এবং রাজ ভবন (গভর্নর হাউজ) থেকে হাটা দুরত্বে। হোটেলটিতে রয়েছে অনেক বই সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, খেলাধুলার রুম এবং বাচ্চাদের খেলার স্থান। হোটেলটিতে বর্তমানে ২৫টি ডাবল কামড়া ছাড়াও রয়েছে ৩টি স্যুট এবং ৩টি রেস্তোরা। হোটেলটিতে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা।

কুজিন[সম্পাদনা]

হোটেলটির বিভিন্ন নামকরা খাবরের মধ্যে রয়েছে সিক্কিমিয় খাবার যেমন মোমো- বাষ্প দ্বারা রান্নাকৃত মুরগি, শুকরের গস্তো অথবা সবজি সমৃদ্ধ খাবার যার সাথে থাকে টমেটোর চাটনি; গিয়াকো স্যুপ- গরম গরম চিমনি স্যুপের সাথে যেখানে থাকে নুডলস, ডিম, চিকেন বল, কালো মাসরুম, নানারকম সবজি, স্প্রিং পিঁঁয়াজ এবং ধনিয়া; চুপরি ক্যাপসিকাম- ইয়াক গরুর দুধের কটেজ চিজ এবং মিস্টি মরিচের সাথে ক্যাপসিকাম, সিন্সু ডাল; কালো ডাল-হিমালয়ের কালো ডাল, সুখা টাম্বা, শুকনা বাশেঁর কাণ্ড; নিংগ্রো টমেটো-জঙ্গলের ফার্ন এবং টমেটো; ইসকাস ড্রাই-চায়াটি, সাগ-মাস্টার্ড পাতার সাথে শুকরের মাংস অথবা মুরগী, চিকেন মুলা-মুরগির রান্নার পর লাল পাতা; ফিং ভ্যাজিটেবল-সবজি দিয়ে তৈরী নুডলস; গানড্রান্ক- শুকনা সবজি, কাইনেমা- সয়াবিনের বীজ। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য রয়েছে মুলা আচার-লাল জলপাই এবং টংবার মতো পানীয়। পুরস্কার “সার্টিফেকট অব এক্সেলেন্স ২০১৩” স্ট্যাটাস বা ট্রিপএডভাইজার।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Places to stay in Darjeeling"। ৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Heritage Hotels in West Bengal, India"। ৩১ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. Chhetri, Vivek (১ নভেম্বর ২০০৬)। "Goray Douglas, one of the renowned artists of the hill town, Darjeeling"The Telegraph। Calcutta, India। ৩০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৬