থামপি ও থাঙ্কাচি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৮৭৯ সালে পি. মুকুন্দন থামপি কর্তৃক অঙ্কিত ত্রাভাঙ্কোরের মহারাজা মুলাম থিরুনালের প্রথম স্ত্রী নাগেরকোয়েল আম্মাচি

থামপি এবং কোচাম্মারা হলেন ত্রাভাঙ্কোরের মহারাজাদের পুত্র ও কন্যা এবং তাদের সহধর্মিণীরা যারা সামান্থান নায়ার জাতিভুক্ত[১]

থামপি ও থাঙ্কাচিরা সামান্থান নায়ার জাতির একটি অংশ। সিংহাসনে তাদের কোনো উত্তরাধিকার ছিল না। থামপি ও থাঙ্কাচি শব্দটি তামিল ভাষায় যথাক্রমে ভাই ও বোনকে বোঝায়, যা মাতৃতান্ত্রিক আইন অনুসারে ত্রাভাঙ্কোরের রাজবাড়ির রাজকীয় আত্মীয়-স্বজন হিসেবে থামপি পরিবারকে নির্দেশ করে।

শাসক মহারাজা (রাজা) এবং ইলিয়ারাজা (যুবরাজ) দের সহধর্মিণীরা পানপিল্লাই আম্মা উপাধিসহ আম্মাচি নামে পরিচিত ছিলেন। মহারাজাদের পুত্রদের নামের পূর্বে থামপির সাথে শ্রী উপাধি যুক্ত করা হত। কন্যারা কোচাম্মা নামে পরিচিত ছিল। অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি আম্মাভিদুসের বংশধররা কেবল থামপি ও থাঙ্কাচি নামেই পরিচিত ছিল।[২]

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

ত্রাভাঙ্কোরের (বর্তমান দক্ষিণ কেরালা এবং কন্যাকুমারী জেলা) মহারাজারা খ্রিস্টীয় ১৪ শতকের দিকে দেশে প্রচলিত মাতৃতান্ত্রিক প্রথা এবং উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছিলেন। তাই নায়ার থাম্পি জাতির মানুষদের উৎপত্তি মূল ত্রাভাঙ্কোর রাজধানীতে (বর্তমান তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার পদ্মনাভপুরম)। উত্তর ত্রাভাঙ্কোর রাজ্যে বসবাসরত থামপিরা অর্থাৎ বর্তমান কেন্দ্রীয় কেরালার জেলাগুলি যেমন কোট্টায়মের থামপিরা হল সেই লোকেরা যারা ১৭ শতকের পরে রাজ্যের উত্তর সীমানায় স্থানান্তরিত হয়।[৩] এ নিয়ম অনুসারে একজন রাজা মারা গেলে তার ভাগ্নে (বোনের ছেলে) পরবর্তী শাসক হবেন এবং তার স্ত্রীর থেকে জন্ম নেওয়া তার নিজের ছেলেকে কেবল "শ্রী (মায়ের বাড়ির নাম) (ব্যক্তিগত নাম) থামপি" উপাধি দিয়ে থামপি বলা হবে। যা ত্রাভাঙ্কোরের আভিজাত্যের সর্বোচ্চ উপাধিগুলির মধ্যে একটি ছিল। মহারাজাদের সকল কন্যাই কোচাম্মা দ্বারা "(মায়ের বাড়ির নাম) আম্মাভেটিল শ্রীমাথি (ব্যক্তিগত নাম) পিল্লা কোচাম্মা" উপাধিতে পরিচিত ছিলেন। যেহেতু ত্রাভাঙ্কোরে মারুমাক্কাথায়ম পদ্ধতির মাতৃসূত্রীয় উত্তরাধিকার বিদ্যমান ছিল, তাই এই ব্যক্তিদের বংশধররা থামপি (পুরুষ) এবং থাঙ্কাচি (মহিলা) ছাড়া অন্য কোনো স্বতন্ত্র উপাধি লাভ করবে না।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

অবস্থান[সম্পাদনা]

দৃষ্টান্তমূলক সামরিক, সামাজিক বা সরকারি পরিষেবার পুরস্কার হিসেবে ত্রাভাঙ্কোরের মহারাজা এ এলাকার কিছু পরিবারকে থামপি উপাধি খুব কমই দিয়েছিলেন। ত্রাভাঙ্কোরে থাম্পিদের কিছু বিশেষ সামাজিক সুবিধা ছিল। মহারাজা ছাড়া শুধুমাত্র তাদেরই পালকি ব্যবহারের অনুমতি ছিল। সফরের পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা না দিয়েই তাদের রাজকীয় আত্মীয়দের সাথে দেখা করার অধিকারও ছিল।[৪]

একজন বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞের মতে ত্রাভাঙ্কোর এবং কোচিন রাজ্যের সীমান্তের কিছু এলাকায়, তারা "থোরুভাম নায়ার" নামে পরিচিত তৃতীয় জমিদারি গঠন করেছিল। বর্ণের শ্রেণিবিন্যাসে, তারা সামান্থান নায়ার উপজাতিদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ammachies of Travancore"www.thenewsminute.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৭ 
  2. Dr. Ivy Peter, Dr. D. Peter (নভে ২০০৯)। Liberation of the Oppressed a Continuous Struggle- A Case Study (since1822 A.D)। Kanyakumari Institute of Development Studies। পৃষ্ঠা 24–26। 
  3. Mateer, Rev. Samuel। Native Life in Travancore। পৃষ্ঠা 388। 
  4. Travancore State Manual Vol ii 1940 by TK Velu Pillai and TSM Vol II 1906 by V Nagam Aiya
  5. Aspects of Kerala Social Organisation published by the Asiatic Society 2014 at pages 14-15 by Abhed Kiran Ravi Kumar Pillai Kandamath