তালেবান নেতৃবৃন্দের তালিকা

এটি তালেবান নেতাদের একটি তালিকা।

বর্তমান সর্বাধিনায়ক ও আমিরুল মুমিনিন, রাষ্ট্রপ্রধান হলেন মুফতি হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা

আরও তথ্যের জন্য দেখুন: আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাতের প্রধান ব্যক্তিবর্গ

চিত্র	নাম	পদমর্যাদা	অবস্থা
	মুহাম্মদ ওমর	বিশ্বাসীগণদের নেতা। তালেবান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। পূর্ববর্তী সময়ে আমিরুল মুমিনিন ও রাষ্ট্রপ্রধান ২০০১ সাল পর্যন্ত ছিলেন।	প্রতিষ্ঠাতা ও আধ্যাত্মিক নেতা, যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দক্ষিণ আফগানিস্তানে একটি মার্কিন ঘাঁটির কাছে লুকিয়ে ছিলেন। যক্ষ্মায় ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৫ সালে জুলাইয়ে আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশ করার আগপর্যন্ত তালেবান কর্মকর্তারা তার মৃত্যুর বিষয়টি দুই বছরের জন্য গোপন রেখেছিলেন। তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তিনি আর বেঁচে নেই।
	আখতার মনসুর	বিশ্বাসীগণদের নেতা	২০১৫ সালের জুলাইয়ে নির্বাচিত ২০১৬ সালের মে মাসে পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন।
	হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা	(বিশ্বাসীগণদের নেতা) আমিরুল মুমিনিন। রাষ্ট্রপতি।	মার্কিন ড্রোন হামলায় তার পূর্বসূরি মৃত্যুর কয়েক দিন পরে ২০১৬ সালের মে মাসে নির্বাচিত ২০২১ তালেবান আক্রমণ ও কাবুল দখলের পর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের শাসক হন। বর্তমানে তিনি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান অর্থাৎ আমিরুল মোমেনীন বা তাকে সরকার প্রধানও বলা যায়। পাকিস্তানের যে রকম প্রধান মুফতি তাকি ওসমান, সৌদি আরবের প্রধান মুফতি শায়েখ বিন বায, ঠিক তেমনি ভাবে এই হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হলেন আফগানিস্তানের প্রধান মুফতি ও প্রধান বিচারক। ফিকহ ও মাসাআলার বিষয়ে তার জ্ঞান অতুলনীয়। তিনি কান্দাহার মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা শেষ করেছেন।

সহকারী ও মন্ত্রীগণ

চিত্র	নাম	পদমর্যাদা	অবস্থা
	আবদুল গনি বারাদার	হেরাত ও নিমরুজ প্রদেশের গভর্নর। প্রধানমন্ত্রী।	মুহাম্মদ ওমরের সঙ্গে তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তালেবানের সহকারী নেতা বলা হয়ে থাকে ২০১০ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুরোধে মুক্তি পান
	ওবায়দুল্লাহ আখন্দ	প্রতিরক্ষামন্ত্রী	জৈষ্ঠ্য নেতা ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন ২০১০ সালে পাকিস্তানের একটি কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেন
	ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিল	পররাষ্ট্রমন্ত্রী	আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাতের তালেবান সরকারের শেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০০১ সালে কান্দাহারে উত্তর জোটের সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ
	আব্দুল রহমান জাহেদ	পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী	আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন পর তিনি পাকিস্তানে ডুকেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু ২০০১ সাল শেষের আগে লঘর প্রদেশে তার নিজ গ্রামে ফিরে এসেছিলেন; বিশদভাবে তালেবানের কোয়েটা শুরার একজন নেতা বলে জানা গেছে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে গ্রেফতার হওয়ার খবর জানা গেছে
	মুহাম্মাদ হাসান আখুন্দ	মন্ত্রী পরিষদের প্রথম সহকারী	বিশদভাবে; ২০০৩ সালের ৪ মে অজ্ঞাত স্থান থেকে স্যাটেলাইট টেলিফোনে রয়টার্সের সঙ্গে কথা হয় তালেবানের কোয়েটা শুরার একজন নেতা বলে জানা গেছে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে গ্রেফতার হওয়ার খবর জানা গেছে
	মুহাম্মাদ নবী ওমরী	যোগাযোগমন্ত্রী	ছিলেন তালেবানের যোগাযোগ প্রধান তালেবান নেতৃত্বের সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত।
	আব্দুল রাজাক	বাণিজ্যমন্ত্রী	২০০৩ সালের ১ এপ্রিল আফগান সামরিক বাহিনী কান্দাহারের উত্তরাঞ্চলে একটি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল পরিমার্জন করার সময় রাজাককে ধরে নিয়ে যায়। ২০০২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজাকের ছেলে আব্দুল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইকে গুলি করার চেষ্টাকালে নিহত হন। আবদুল রাজাক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, তিনি কেবলমাত্র একজন বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে শুরু করেছিলেন, পাকিস্তান কর্তৃক আফগানিস্তানের সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তালেবান সদস্য না হয়েও, যাকে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি সাক্ষী দিয়েছিলেন যে, তালেবানের পতনের সময় তিনি কারজাই কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমার সুযোগ নিয়েছিলেন, এবং তালেবানের পতনের পর থেকে তিনি রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না।
	খকছর আখুন্দ	স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী	২০০১ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে কাবুলে একটি প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তালেবানের নিন্দা করেন; ২০০২ সালের আগস্টে তিনি হামিদ কারজাইয়ের মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারকে সমর্থন করেন; বিশদভাবে
	ক্বারী আহমদুল্লাহ	নিরাপত্তা মন্ত্রী (গোয়েন্দা)	২০০১ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে পাক্তিয়া প্রদেশে মার্কিন বোমা হামলায় নিহত হন বলে শোনা যায়। ঘটনাটির প্রায় ১২ বছর পর, হারপার্স উইকলির একটি তদন্তে আহমদুল্লাহ জীবিত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে।
	আব্দুল হক ওয়াসিক	গোয়েন্দা উপমন্ত্রী	তালেবান গোয়েন্দা সংস্থায় গোয়েন্দা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্বারী আহমদুল্লাহ তখর প্রদেশের গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সময় কাবুল থেকে দূরে থাকাকালীন সময়ে গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালের ১১ জানুয়ারি গুয়ানতানামো বন্দী শিবির নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে সেখানে ২০১৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত বন্দী রাখা হয়।
	নুরুদ্দীন তুরাবি	বিচারমন্ত্রী	২০০১ সালের শেষের দিকে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা তাকে কোয়েটায় আশ্রয় দেন বলে অভিযোগ রয়েছে; ২০০২ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে মার্কিন সামরিক বাহিনী কর্তৃক বন্দী হন এবং তারপর মুক্তি করা হয় ও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা দেওয়া হয়।
	আমির খান মুত্তাকি	সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রী	২০০১ সাল শেষের আগে পাকিস্তানের পেশোয়ারে স্থানান্তরিত হয়েছিল বলে কথিত আছে এবং ২০০২ সালের ১৯ মার্চ অনুযায়ী, তখনও পর্যন্ত "পাকিস্তান সীমান্তে লুকিয়ে ছিলেন"; বিশদ বিবরণ প্রয়োজন
	মৌলভী ইয়াকুব মুজাহিদ	তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের সন্তান। ইয়াকুব বর্তমানে আফগানিস্তানের সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী।	জাবুল প্রদেশে আফগানিস্তানের স্বাধীনতার যুদ্ধে তার অবদান ছিল অপরিসীম। তিনি একজন যোগ্য সেনাপ্রধান। বিভিন্ন যুদ্ধের ময়দানে তালেবানদের বিভিন্ন বড় বড় নেতা যেখানে যুদ্ধে যেতে সংকোচ বোধ করত, সেই সকল কঠিন যুদ্ধে তিনি একলাই কয়েকজন লোককে নিয়ে যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসতেন। তার সাহসিকতা তালেবানদের মধ্যে খুবই প্রশংসিত। তার বাবা এর আগে আমিরুল মুমিনীন অর্থাৎ রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। তিনি চাইলেই ক্ষমতার লোভে দেশের বাদশাহ হতে পারতাম। তার বাবা পূর্ববর্তী সময়ে সরকার প্রধান ছিলেন। তার লোভ থাকলেই সে নিশ্চয়ই শাসক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতার লোভী নন। তিনি দেশের আমিরুল মুমিনিন হননি। তার পরিবর্তে বর্তমান সময় আমিরুল মুমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে হেবায়াতুল্লাহ আখুন্দ জাদা।
	আব্বাস আখুন্দ	স্বাস্থ্যমন্ত্রী	২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি "উরুজগান গ্রাম থেকে প্রায় ৫ মাইল দূরে তার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আত্মগোপন চলে যান"; বিশদভাবে
	আব্দুল রকিব	মন্ত্রী পরিষদের প্রথম সহকারী	অজানা (তিনি কি একই আব্দুল রকিব, ২০০৩ সালের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা?)

গভর্নর

নাম	পদমর্যাদা	অবস্থা
আব্দুল কবির	নানগারহার প্রদেশের গভর্নর	পূর্ব অঞ্চলের প্রধান; (উপরেও দেখুন) ২০০১ সালের শেষের দিকে পাকিস্তানের পেশোয়ারে পালিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ রয়েছে তালেবানের কোয়েটা শুরার একজন নেতা বলে জানা গেছে। ২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন। পরে মুক্তি হন।
খাইরুল্লাহ খাইরখ্বা	হেরাত প্রদেশের গভর্নর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী	তিনি অন্যতম মূল তালেবান সদস্যদের একজন, যিনি ১৯৯৪ সালে আন্দোলন শুরু করেছিলেন হেরাত প্রদেশের সাবেক গভর্নর তিনি সরাসরি তালেবান সর্বাধিকনায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ ওমরের সঙ্গে সহযোগী ছিলেন।
নুরুল্লাহ নুরি	বালখ প্রদেশের গভর্নর	উত্তর অঞ্চলের প্রধান বালখ প্রদেশের সাবেক গভর্নর। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে তিনি গ্রেফতার হন এবং মাজার-ই-শরিফে আফগান উত্তর জোটের কমান্ডার জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমের হেফাজতে আছেন বলে জানা যায়; খোলার পর থেকে গুয়ানতানামোতে রাখা হয় তাকে। গুয়ানতানামোর বিশ্লেষকরা অভিযোগ করেন যে তিনি মাজার-ই-শরীফের গভর্নরের প্রধান দেহরক্ষী ছিলেন এবং তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
নাইম কাকি	বাম্যণ প্রদেশের গভর্নর	বিশদভাবে কুচি জনগোষ্ঠীর একজন আদিবাসী নেতা। সাবেক উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী। কয়েক বছর ধরে গুয়ানতানামোতে বন্দী।
আহমেদ জান	জাবুল প্রদেশের গভর্নর	২০০০ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন। তালেবান কোয়েটা শুরার একজন নেতা বলে জানা যায়। ২০১০ সালের শেষের দিকে গ্রেফতার হন বলে জানা যায়।
হাসান রেহমানি	কান্দাহার প্রদেশের গভর্নর	তালেবান কোয়েটা শুরার নেতা বলে জানা যায়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে গ্রেফতার হন বলে জানা যায়।
মীর মুহাম্মাদ	২০১০ সালে বালখ প্রদেশের ছায়া গভর্নর	তালেবান কুয়েটা শুরার নেতা বলে জানা যায় প্রদেশের গভর্নর। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে গ্রেফতার হন।
আব্দুল সালাম	২০১০ সালে কুন্দুজ প্রদেশের ছায়া গভর্নর	তালেবান কোয়েটা শুরার একজন নেতা বলে জানা যায়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে গ্রেফতার হন।
আব্দুল সালাম আলিজাই	১৯৯০-এর দশকে ওরুজগন প্রদেশের গভর্নর	২০০৭ সালের ডিসেম্বরে সরকারের পক্ষে চলে যান।

অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত ও বিদেশে দূত

Name	Position	Situation
Abdul Salam Zaeef	Ambassador to Pakistan	He was the Afghan ambassador to Pakistan before the US invasion of Afghanistan. Detained in Pakistan in the fall of 2001 and held in Guantanamo Bay until 2005
Sayed Rahmatullah Hashemi	Envoy to United States	Admitted to Yale as a non degree student in 2005
Abdul Hakim Mujahid	Envoy to the United Nations	Arrived in Pakistan in early December 2001
Hammdidullah, aka Janat Gul	Head of Ariana Afghan Airlines	Surrendered November 24, 2001 east of Konduz. Status later established by a Combatant Status Review Tribunal as "no longer enemy combatant" and released.

ফিল্ড কমান্ডারগণ

নাম	পদমর্যাদা	বর্তমান অবস্থা
মুহাম্মাদ ফজল	চিফ অফ স্টাফ	ছিলেন সাবেক তালেবান উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ২০০২ সালের ১১ জানুয়ারী থেকে ২০১৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত গুয়ানতানামো বে-তে বন্দী ছিলেন।
দাদুল্লাহ	জৈষ্ঠ্য সামরিক কমান্ডার	২০০১ সালের নভেম্বরে কুন্দুজ অবরোধ থেকে পালিয়ে কান্দাহারে পালিয়ে চলে যান। Took part in the evacuation of Kandahar, then may have returned to his native town Kajai in Helmand province. Allegedly participated (by giving orders via cell phone) in the murder of Ricardo Munguia on March 27, 2003. He was nicknamed by the anti-Taliban resistance before the Taliban government fell as the Lame Englishman because he a) lost a leg in the jihad and because b) he's as cunning as the devilish English. One of the most effective commanders in the resistance, he has been linked to massacres of Shi'a, the scorched earth policy of Shi'a villages in 2001 (about which he once boasted on the radio), the summary execution of men suspected of throwing hand grenades into his compound in 2001 (they were hanged at one of the main roundabouts), and suicide bombings. Killed on May 13, 2007.
Jalaluddin Haqqani	military leader	First mujahideen commander to capture a city, Khost, from the government of Kabul, in 1991. Didn't ally with the Taliban until after their capture of Kabul in 1995. Hamid Karzai asked him to serve as Prime Minister, in an attempt to split off the Taliban's moderate wing. His death from disease was announced 3 September 2018
Abdul Razaq Nafez	field commander	Released by Abdul Rashid Dostam in November 2001 after fighting near Kunduz and disappeared after fleeing to Kandahar
Shahzada	provincial commander	A commander prior to the U.S. invasion, he was captured after the defeat of the Taliban and was interred in Guantanamo. He managed to convince authorities he was instead a civilian detained in error, and was released in 2003. He returned to fighting and was killed in 2004.
Muhammad Hasan Rehmani	militia commander	At large In early 2010 an individual named "Mullah Hassan Rehmani" was reported to have been a recently captured leader of the Taliban's Quetta Shura. He was alleged to have been a former governor of Kandahar. A second recently captured Taliban leader was named "Mullah Muhammad Hassan". He was alleged to have been a former Taliban foreign minister.
Gul Mohammed Jangvi	field commander	On July 19, 2006 explained the Taliban's unexpected withdrawal from Helmand.
Akhtar Mohammad Osmani	field commander	Killed in U.S. airstrike in December 2006. Confirmed dead by Taliban officials.
Abdul Zahir	group commander	Killed in the U.S. airstrike that killed Osmani in December 2006
Mufti Nemat	field commander	Important Taliban leader in northern Afghanistan, particularly Jowzjan Province, who was later expelled from the movement, defecting to the Afghan government, and then to Islamic State's Khorasan Province (ISIL-K)
Sheikh Ilyas Khel	Commander	Captured in Pakistan as of August 2, 2007

তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান নেতৃবৃন্দ

Name	Position	Situation
ফজলুল্লাহ	কমান্ডার	Leader of the Tehrik-i-Taliban Pakistan and former Taliban head in Swat District, Pakistan, was believed to be residing in Kunar Province Afghanistan. Swore allegiance to Omar Killed on June 13, 2018.