জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ বলতে বুঝায় কোনো দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের অযুহাতে কিংবা বিনা অযুহাতে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সমাজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার/তাদের উপর কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়া বা স্বধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা। গুপ্ত-ইহুদী, গুপ্ত-খ্রিস্টান, গুপ্ত-মুসলিম ,গুপ্ত হিন্দু ও গুপ্ত-পৌত্তলিক হলো আধুনিক সময়ের ঐতিহাসিক উদাহরণ।

ধর্ম ও ক্ষমতা[সম্পাদনা]

সাধারণভাবে, নৃতত্ত্ববিদরা দেখিয়েছেন যে, ধর্ম ও রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক বেশ জটিল, বিশেষত যখন মানব বিস্তারের ইতিহাসের দিকে নজর দেয়া যায়। [১]

ইসলাম[সম্পাদনা]

কোরআনিক নিয়ম "ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই"[২] অনুযায়ী (২:২৫৬) জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ বলা হলেও ইসলামের ইতিহাসে এর অনেক উদাহরণ রয়েছে।[৩][৪] প্রথিতযশা ইতিহাসবিদগণ এরকম [৫] কিছু ঘটনা উল্লেখ করেছেন।[২]

আবু হানিফা এবং আবু ইউসুফের মতে অমুসলিমরা যে ধর্মেরই হোক না কেন তাদের জিজিয়া কর প্রদান করতে হবে। কিন্তু পরে আরো চরমপন্থী ফকীহরা মূর্তিপূজারীদের জন্য জিজিয়া অনুমোদন করে না। পরিবর্তে অন্য ধর্মের লোকদের মৃত্যুদণ্ড এড়ানোর জন্য কেবল ধর্মান্তরের বিকল্প দেয়।[৬]ইসলামী আইনের চারটির মধ্যে হানাফী ও মালেকীরা আরবীয় অন্য ধর্মাবলম্বীদের বাদ দিয়ে বাইরের অন্য ধর্মাবলম্বীদেরদের জিম্মি ঘোষণা করে। শাফি এবং হাম্বলীরা অবশ্য শুধুমাত্র খ্রিস্টান, ইহুদি এবং জরথুস্ট্রিয়ানদেরই এই শ্রেণীর যোগ্য বলে। [৭]

ওয়ায়েল হালাক বলেন যে, তত্ত্ব অনুসারে, ইসলামী ধর্মীয় সহনশীলতা শুধুমাত্র খ্রিস্টান, ইহুদি এবং ম্যাজিয়ানদের মত একেশ্বরবাদী ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় যদি তারা জিজিয়া কর প্রদান করে। পৌত্তলিকরা ইসলাম গ্রহণ বা মৃত্যুদণ্ড দুটি বিকল্প পায়। কিন্তু জিম্মি হিসেবে হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং অন্যান্যদের ও ঘোষণা করা হয়।[৮]

সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধ, বিদ্রোহ এবং আন্তঃ সম্প্রদায় সহিংসতায় জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার হুমকি দেওয়া হয় ও করা হয়। ভারত বিভাজন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এবং পাকিস্তানে হাজার হাজার মানুষকে ধর্মান্তর করার ঘটনা জানা গেছে। তরুণীদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, মিশর ও যুক্তরাজ্যে প্রকাশ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।{নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র প্রয়োজন}

প্রারম্ভিক সময়কাল[সম্পাদনা]

প্রথম খলিফা আবু বকর যেসব উপজাতি ইসলাম গ্রহণ করেছিল কিন্তু পরে নিজ ধর্ম ফিরে যায় ও তার খলিফা কর্তৃত্বকে অস্বীকার করত তাদের রিদার (ধর্মত্যাগের) যুদ্ধে জোরপূর্বক পুনঃধর্মান্তর করে।[৯][১০]

ইসলামী আইনের চারটির মধ্যে দুটি হানাফি এবং মালেকীরা অনারব অন্য ধর্মাবলম্বীদেরকে জিম্মি বলে। এই মতবাদের অধীনে আরবীয় ধর্মাবলম্বীরা ধর্মান্তরিত হওয়া এবং মৃত্যুর মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল। অধিকাংশ ফকীহদের ধারণা সমস্ত আরব মুহাম্মদের জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেছিল। ৬৩২ সালে তার মৃত্যুর পর তাদের বহিষ্কারের সামান্য ব্যবহারিক গুরুত্ব ছিল।[৭]

নবম শতাব্দীতে ফিলিস্তিনের সামেরীয় জনগোষ্ঠী বিদ্রোহী নেতা ইবনে ফিরিসার হাতে নিপীড়ন ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার প্রচেষ্টার শিকার হয়েছিল। তারা আব্বাসীয় খলিফা সৈন্যদের দ্বারা রক্ষা পেয়েছিল।[১১]

আলমোহাদ বংশ[সম্পাদনা]

দ্বাদশ শতাব্দীতে উত্তর আফ্রিকা ও আন্দালুসিয়ার আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তারা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের জিম্মি বলে অস্বীকার করে এবং তাদের ধর্মান্তর, নির্বাসন এবং হত্যা করে। খ্রিস্টানরা তাদের শাসন ছেড়ে সাধারণত উপদ্বীপের উত্তরে খ্রিস্টান রাজ্যগুলিতে স্থানান্তরিত হতে শুরু করে। ইহুদিরা তাদের সম্পত্তির জন্য সেখানে থেকে জাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল।[১২]

আলমোহাদ বংশের সময় ইহুদি দার্শনিক মায়মোনাইডস ইবেরিয়ান উপদ্বীপে ইহুদি সংস্কৃতির স্বর্ণযুগে ধর্মভ্রষ্টতার উপর তার পত্র লিখেছিলেন। যেখানে তিনি ইহুদিদের গুরুতর অবস্থায় ইসলামে ধর্মান্তরকে সমর্থন করেন। যদিও তিনি এর পরিবর্তে দেশ ছাড়াকে সঠিক বলেছিলেন।[১৩] আলমোহাদ অঞ্চল থেকে অবাধে পালানোর জন্য মায়মোনাইডস নিজে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তারপর তিনি লেভান্ট বা মিশরে ইহুদি ধর্মে ফিরে আসেন।[১৪]পরে ধর্মত্যাগী হিসেবে তার নিন্দা করা হয় এবং ইসলামী আদালতে তার বিচার করা হয়। কিন্তু বিচারক রায় দেন যে তার ধর্মান্তর জোরপূর্বক ছিল সেজন্য তা অবৈধ। [১৫]

ইয়েমেন[সম্পাদনা]

১১৬০ এর দশকের শেষদিকে, ইয়েমেনের শাসক আবদ-আল-নাব ইবনে মাহদী ইহুদিদেরকে ইসলাম গ্রহণ বা শাহাদাতের বরণ দুটোর একটি বেছে নিতে বাধ্য করেছিল।[১৬][১৭] মাহদী ইহুদীদের পাশাপাশি মুসলমানদের উপরও তার বিশ্বাস চাপিয়ে দিয়েছিল। তবে এটি যেমন ইহুদি ম্যাসিবাদকে পুনরুজ্জীবনের দিকে ধাবিত করেছিল, তেমনিভাবে গণ-ধর্মান্তরেও বাধ্য করেছিল।[১৭] ১১৭৩ সালে ইবনে মাহদীর পরাজয়ের সাথে সাথে সালাউদ্দিনের ভাই কর্তৃক ইয়েমেন বিজয়ে এই অত্যাচারের অবসান ঘটে এবং তারা নিজনিজ বিশ্বাসে ফিরে যায়।[১৭][১৮] দুটি কায়রো গেনিজ নথি অনুসারে, ইয়েমেনের আইয়ুবিদ শাসক আল-মালিক আল-মুযিজুল-ইসমাইল ১১৯৭-১২০২ রাজত্বকালে আদেনের ইহুদিদেরকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেছিলেন। দ্বিতীয় নথিতে তার হত্যার পরে ইহুদি সম্প্রদায়ের স্বস্তি এবং যাদের জোরপূর্র‌ক ধর্মান্তর হয়েছিল তাদের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। [১৯] যখন সে বিদেশী বণিকদের উপর ইসলাম চাপিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়, তখন তাদের সাধারণ হারের চেয়ে তিনগুণ বেশি পোল ট্যাক্স দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। [১৭]

আল-শওকানির আইনী কাজের তালিকাভুক্ত একটি ব্যাপার হল ইহুদি অনাথদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা।[২০]১৯২২ সালে ইমাম ইয়াহিয়ার অধীনে ইহুদি অনাথদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ পুনরায় চালু করা হয়। প্রথম দশ বছর ধরে অনাথদের ডিক্রি জারি করে আক্রমণাত্মকভাবে ধর্মান্তর করা হয়। এটি ১৯২৮ সালে পুনরায় চালু হয়েছিল। [২১]

অটোমান সাম্রাজ্য[সম্পাদনা]

দেবশিরমের জন্য ছেলেদের নিবন্ধন। সূলেমাননামা থেকে অটোমান ক্ষুদ্র চিত্র ১৫৫৮

অটোমান সাম্রাজ্যে রক্তকর বা দেসরিমের বিস্তৃতির ফলে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। তৎকালে খ্রিস্টান বালকদেরকে অপহরণ করে, সংগ্রহ করে,ক্রীতদাস বানিয়ে, ইসলামে ধর্মান্তরিত করে এবং অটোমান সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করে অথবা সুলতানদের সেবার জন্য নিয়োজিত করে এ অমানবিক কার্য পরিচালিত হতো। [২২]১৪ শতকের মাঝামাঝি থেকে ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, দেবশিরমে -জেনিসারি পদ্ধতিতে আনুমানিক ৫০,০০০ থেকে এক মিলিয়ন অমুসলিম কিশোর -কিশোরীদের দাস বানানো হয়েছিল। [২৩]এই ছেলেরা ধর্মান্তরের পরে ইসলামী শিক্ষায় প্রশিক্ষত হতো। [২৪]

সপ্তদশ শতাব্দীতে সাব্বাতাই জেভি নামে এক সেফারডিক ইহুদি যার পূর্বপুরুষেরা স্প্যানিশ ইনকুজিসনের সময় অটোমান সাম্রাজ্যে স্বাগত হয়েছিল সে নিজেকে মশীহ ঘোষণা করেছিল। সে প্রধান ইহুদি আইন এবং রীতিনীতি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি একটি বড় অনুসারীদের আকৃষ্ট করার পর তাকে অটোমান কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করে এবং মৃত্যুদণ্ড বা ইসলাম গ্রহণের বিকল্প দেয়। সে দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নেয়।[২৫]

বিংশ শতাব্দীতে গ্রিকদের উপর অত্যাচারের সময় তাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তর করা হয়েছিল।[২৬]

পারস্য[সম্পাদনা]

সাফভিড রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা শাহ ইসমাঈল প্রথম বারোজন ইমামপন্থী শিয়া ইসলামী মতবাদকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম বলে ঘোষণা করে এবং শিয়াবাদ অস্বীকারকারী সুন্নি বুদ্ধিজীবিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেন। [২৭][২৮] সেসময় অমুসলিমরা বিরামহীন নির্যাতনের শিকার হয় এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয় অনেককে।[২৯] একইভাবে, হরমুজ দ্বীপ লুণ্ঠনের পর আব্বাস প্রথম স্থানীয় খ্রিস্টানদের ইসলাম গ্রহণের নির্দেশ দেন, আব্বাস দ্বিতীয় ইহুদিদেরকে মুসলমান হতে বাধ্য করার জন্য মন্ত্রীদের কর্তৃত্ব প্রদান করেন, এবং সুলতান হোসেন জরাস্ত্রীয়দের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার আদেশ দেন।[৩০] ১৮৩৯ সালে, কাজার যুগে মাশহাদের শহরে ইহুদি সম্প্রদায়কে একদল মুসলিম আক্রমণ করেছিল এবং পরবর্তীতে তাদেরকে ইসলামে ধর্মা‌ন্তরিত হতে বাধ্য করেছিল। [৩১]

ভারত[সম্পাদনা]

১০১৫ সালে কাশ্মীর উপত্যকায় আক্রমণ করে গজনিমাহমুদ গজনভি উপত্যকা লুণ্ঠন করে, অনেক বন্দীকে নিয়ে যায় এবং জোর পূর্বক ইসলামে ধর্মান্তর করায়।.[৩২]তার পরবর্তী আক্রমণে মথুরা, বারান এবং কনৌজে আবার অনেকে ধর্মান্তরিত হয়। যে সৈন্যরা তার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল তাদের জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ করানো হয়। বারান (বুলন্দশহর) এ রাজা সহ ১০,০০০ জনকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল।.[৩৩] তারিখ-ই-ইয়ামিনী, রওসাত-উস-সাফা এবং তারিখ-ই-ফেরিশতাতে মাহমুদ এবং তার উত্তরসূরি মাসুদ দ্বারা মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ এবং প্রচারক ও শিক্ষক নিয়োগের কথা আছে । মাহমুদ যেখানেই গিয়েছিল মানুষকে জোর পূর্ব‌ক ইসলাম গ্রহণ করিয়েছিল।[৩৪]মুহাম্মাদ ঘুরি এবং তার সেনাপতিরা আক্রমণ করে ১২ শতকের শেষের দিকে হাজার হাজার ক্রীতদাস নিয়ে আসে। যাদের অধিকাংশই ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছিল। [৩৪][৩৫][৩৬][৩৭] সিকান্দার বুশিকান (১৩৯৪-১৪১৭) হিন্দু মন্দির ভেঙে হিন্দুদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে। পর্তুগিজ উপনিবেশকারী দ্বারা ১৫ তম এবং ১৬ তম শতাব্দীতে পশ্চিম উপকূলে এরুপ জোরপূর্বক ধর্মান্তর হয়েছিল।[৩৮]

ঔরঙ্গজেব ইসলামে ধর্মান্তরিত করতে উৎসাহিত করার জন্য বেশ কয়েকটি মাধ্যম ব্যবহার করেছিল।[৩৯][৪০]১৭১৫ সালে একটি মুঘল-শিখ যুদ্ধে বান্দা সিং বাহাদুরের ৭০০ অনুগামীদের শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল।[৪১][৪২]প্রতিদিন ১০০ জন শিখকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং কিন্তু তাদের একজনও ইসলাম গ্রহণ করেনি।[৪৩] বান্দা সিং বাহাদুর ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে ক্ষমা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।[৪৪] কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এজন্য তাকে নির্যা‌তন করা হয়[৪৫][৪৬] ও তাকে তার ৫ বছরের পুত্রের সাথে হত্যা করা হয় ।[৪৩]বান্দার মৃত্যুদণ্ডের পর মুসলিম সুলতান শিখদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই তাদের গ্রেপ্তার করার আদেশ দেয়।[৪৪]

১৮ শতকের শাসক টিপু সুলতান হিন্দু ও খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার করেছিল।[৪৭][৪৮][৪৯]টিপুর পিতা হায়দার আলির কেরলে মহীশুর আক্রমণের সময় শত শত মন্দির এবং গীর্জা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। দশ হাজার খ্রিস্টান, হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছিল ও জোর করে ইসলাম গ্রহণ করানো হয়েছিল।[৫০]

সমসাময়িক[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইসলামিক রাজাকার বাহিনীর বিভিন্ন নেতাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ মুসলিম আওয়ামী লীগ (ফরিদ উদ্দিন মওদুদ) এর কয়েকজন নেতার বিচার ও দোষী সাব্যস্ত করেছিল। হিন্দুদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণও অভিযোগের অন্তর্ভুক্ত ছিলো[৫১][৫২][৫৩]

এছাড়া বাংলাদেশে প্রায়ই নানাভাবে সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরের ঘটনা ঘটে।[৫৪][৫৫][৫৬][৫৭][৫৮][৫৯]

ভারত[সম্পাদনা]

১৯৯৮ প্রাণকোট গণহত্যার সময়, ধর্মান্তরে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে ইসলামি জঙ্গিরা ২৬ জন কাশ্মীরি হিন্দুকে হত্যা করে। গ্রামবাসীরা ইসলাম ধর্মগ্রহণ ও গরুর মাংস খেয়ে তা প্রমাণ করার প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে ইসলামি জঙ্গিদল তাদের উপর হামলা করে।[৬০] ১৯৪৬ সালে নোয়াখালী দাঙ্গায় কয়েক হাজার হিন্দুকে মুসলিম উগ্রবাদীদের দ্বারা জোর করে ইসলামে ধর্মান্তর করা হয়েছিল।[৬১][৬২]

পাকিস্তান[সম্পাদনা]

পাকিস্তানে তালেবান বিদ্রোহের উত্থান হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি নিপীড়ন ও বৈষম্যের একটি প্রভাবশালী এবং ক্রমবর্ধমান কারণ।[৬৩]

পাকিস্তানের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল রিপোর্ট অনুযায়ী জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।.[৬৪][৬৫] মুভমেন্ট ফর সলিডারিটি অ্যান্ড পিস (এমএসপি) -এর ২০১৪ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পাকিস্তানে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার নারীকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয় (৭০০) খ্রিস্টান এবং ৩০০ হিন্দু)।.[৬৬][৬৭][৬৮][৬৯]

২০০৩ সালে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে আফ্রিদি নৃগোষ্ঠীর একজন ছয় বছর বয়সী একটি শিখ মেয়েকে অপহরণ করেছিল। অভিযুক্ত অপহরণকারী দাবি করে যে মেয়েটি ১২ বছর বয়সী এবং ইসলাম গ্রহণ করেছে এজন্য তাকে তার অমুসলিম পরিবারে ফিরিয়ে দেয়া যাবে না।[৭০]

২০০৭ সালের মে মাসে আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছাকাছি পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের চরসাদ্দার খ্রিস্টান সম্প্রদায় জানায় তারা ইসলাম গ্রহণ না করলে বোমা হামলার হুমকির চিঠি পেয়েছে এবং পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করছে না। তাদের অবস্থা গুরুতর।[৭১] ২০০৯ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক খ্রিস্টান কনসার্ন (আইসিসি) ইসলাম ধর্ম গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য পাকিস্তানে একজন খ্রিস্টান ব্যক্তিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা জানায়।[৭২]

২০১২ সালে ১৯ বছর বয়সী পাকিস্তানি ছাত্রী রিংকেল কুমারী, লতা কুমারী এবং বিউটি পার্লারে কর্মরত হিন্দু আশা কুমারীকে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়। এ বিষয়ে মামলা হয় যা সুপ্রিম কোর্টে যায়। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে তারা জানায় তারা তাদের অপহরণকারী 'তথাকথিত' স্বামীদের সাথে নয় বরং তাদের বাবা -মায়ের সাথে থাকতে চায়।[৭৩][৭৪][৭৫]

হঙ্গু জেলার শিখরা জানায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে টাল তহসিলের সহকারী কমিশনার ইয়াকুব খান তাদের ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছিল। ইয়াকুব যা অস্বীকার করে।[৭৬][৭৭][৭৮][৭৯]

পাকিস্তানে বসবাসকারী অনেক হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয় এবং মুসলমানদের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়।[৮০] পাকিস্তান হিন্দু পরিষদের মতে ধর্মীয় নিপীড়ন বিশেষ করে জোরপূর্বক ধর্মান্তর পাকিস্তান থেকে হিন্দুদের অভিবাসনের প্রধান কারণ। ভার্চুন্ডি শরীফ এবং সারহান্দী পীরের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক ধর্মান্তরকে সমর্থন করে এবং সিন্ধুর শাসক রাজনৈতিক দলগুলোর এতে সমর্থন ও সুরক্ষা আছে ।[৮১] ন্যাশনাল কমিশন অব জাস্টিস অ্যান্ড পিস এবং পাকিস্তান হিন্দু পরিষদ (পিএইচসি) অনুসারে প্রায় ১০০০ খ্রিস্টান এবং হিন্দু সংখ্যালঘু মহিলাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং তারপর তাদের অপহরণকারী বা ধর্ষকদের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়। সিন্ধুর থারপার্কার, উমরকোটমিরপুর খাস জেলায় এ ধরনের ঘটনা ক্রমবর্ধমানভাবে দেখা যাচ্ছে।[৮২] মুভমেন্ট ফর সলিডারিটি অ্যান্ড পিসের আরেকটি রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানে প্রতি বছর প্রায় ১০০০ অমুসলিম মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়।[৮৩] পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের ভাইস চেয়ারপারসন অমরনাথ মোতুমালের জানান প্রতি মাসে আনুমানিক ২০ বা ততোধিক হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করা হয় এবং ধর্মান্তরিত করা হয়। এ সংখ্যা আরও বেশি হবার সম্ভাবনা ।[৮৪]শুধুমাত্র ২০১৪ সালে ২৬৫ জনকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার আইনি মামলাগুলিতে বেশিরভাগ হিন্দু মেয়েরা এর শিকার হয়েছে ।[৮৫]

২০১০ সালের ১৪-১৫ মে পাঞ্জাবের পাসরুরে মোট ৫৭ জন হিন্দুকে জোর পূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। ১৪ মে একই পরিবারের ৫ জন হিন্দুকে তাদের নিয়োগকর্তার দ্বারা ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। মুসলমানরা তাদের খাওয়া -দাওয়ার জিনিসগুলি বয়কট করে তাদের বিক্রি কমিয়ে দেয়। হিন্দুদের দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে তারা এমন করে। পাশের দোকানের মুসলিম কর্মচারীরা তাদের নিপীড়নও করা হয়। দরিদ্র হিন্দু পরিবারের কাছে উপার্জনের আর কোন উপায় ছিল না এবং বেঁচে থাকার জন্য চাকরি দরকার ছিল। তাই তারা হোটেলে কাজ করত। অন্য একটি পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে ১৭ মে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। তাদেরকে মুসলিমরা চাকরি দিচ্ছিল না। পরে আরেকজন হিন্দু পুরুষ এবং তার পরিবারের আটজনকে মুসলমানরা তাদের জমি দখল করার ভয় দেখায় ও ধর্মা‌ন্তরিত করে।[৮৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Firth, Raymond (1981) Spiritual Aroma: Religion and Politics. American Anthropologist, New Series, Vol. 83, No. 3, pp. 582–601
  2. Michael Bonner (২০০৮)। Jihad in Islamic History। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 89–90। আইএসবিএন 978-1400827381To begin with, there was no forced conversion, no choice between "Islam and the Sword". Islamic law, following a clear Quranic principle (2:256), prohibited any such things [...] although there have been instances of forced conversion in Islamic history, these have been exceptional. 
  3. Winter, T. J., & Williams, J. A. (2002). Understanding Islam and the Muslims: The Muslim Family Islam and World Peace. Louisville, Kentucky: Fons Vitae. p. 82. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৮৭৭৫২-৪৭-৩. Quote: The laws of Muslim warfare forbid any forced conversions, and regard them as invalid if they occur.
  4. A.C. Brown, Jonathan (২০১৪)। "3. The Fragile Truth Of Scripture"। Misquoting Muhammad: The Challenge and Choices of Interpreting the Prophet's LegacyOneworld Publications। পৃষ্ঠা 92আইএসবিএন 978-1-78074-420-9'No compulsion in religion' (2:256) was a Qur'anic command revealed in Medina when a child from one of the Muslim families who had been educated in the town's Jewish schools decided to depart with the Jewish tribe being expelled from Medina. His distraught parents were told by God and the Prophet in this verse that they could not compel their son to stay. The verse, however, has been understood over the centuries as a general command that people cannot be forced to convert to Islam. 
  5. Waines (2003) "An Introduction to Islam" Cambridge University Press. p. 53
  6. Kishori Saran Lal। "Political conditions of the Hindus under the Khaljis"। Proceedings of the Indian History CongressIndian History Congress9: 232। 
  7. Gerhard Bowering, সম্পাদক (২০০৯)। Islamic Political Thought: An Introduction। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 127–128। আইএসবিএন 9781400866427 
  8. Wael B. Hallaq (২০০৯)। Sharī'a: Theory, Practice, Transformations। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 327–328। আইএসবিএন 9780521861472 
  9. Richard W. Bullient (২০১৩)। "Conversion"। Gerhard Böwering, Patricia Crone। The Princeton Encyclopedia of Islamic Political Thought। Princeton University Press। 
  10. Lewis, Bernard (২০০২)। Arabs in History। Oxford University Press (Kindle edition)। পৃষ্ঠা 50। 
  11. Moshe Gil (১৯৯২)। A History of Palestine, 634-1099। CUP Archive। পৃষ্ঠা 822। আইএসবিএন 9780521404372 
  12. Maribel Fierro (২০১০)। "The Almohads (524 668/1130 1269) and the Hafsids (627 932/1229 1526)"। Maribel Fierro। The New Cambridge History of Islam। Volume 2, The Western Islamic World, Eleventh to Eighteenth Centuries। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 86। 
  13. Lawrence Fine (২০০১-১১-১৮)। Judaism in Practice: From the Middle Ages Through the Early Modern Period। পৃষ্ঠা 414। আইএসবিএন 978-0691057873 
  14. "The Great Rambam: Joel Kraemer's 'Maimonides' – The New York Sun"। Nysun.com। ২০০৮-০৯-২৪। ২০১২-১০-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-১৩ 
  15. Bernard Lewis (২০১৪)। The Jews of Islam। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 100। আইএসবিএন 9781400820290 
  16. The Epistles of Maimonides: Crisis and Leadership, ed.:Abraham S. Halkin, David Hartman, Jewish Publication Society, 1985. p.91
  17. Jews, Christians and Muslims in Medieval and Early Modern Times: A Festschrift in Honor of Mark R. Cohen। Brill Publishers। ২০১৪। পৃষ্ঠা 181। আইএসবিএন 9789004267848 
  18. Herbert Davidson (২০০৪-১২-০৯)। Moses Maimonides: The Man and His Works। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 489। আইএসবিএন 9780195343618 
  19. Reuben Ahroni (১৯৯৪)। The Jews of the British Crown Colony of Aden: History, Culture, and Ethnic Relations। Brill Publishers। পৃষ্ঠা 21। আইএসবিএন 978-9004101104 
  20. Ahmad Dallal। "On Muslim Curiosity and the Historiography of the Jews of Yemen"। Joseph V. Montville। History as Prelude: Muslims and Jews in the Medieval Mediterranean। Lexington Books। পৃষ্ঠা 75–76। 
  21. Tudor Parfitt (১৯৯৬-০১-০১)। The Road to Redemption: The Jews of the Yemen, 1900-1950। Brill Publishers। পৃষ্ঠা 66–67, 69। আইএসবিএন 978-9004105447 
  22. Krstić, Tijana (২০০৯)। "Conversion"। Ágoston, Gábor; Masters, Bruce Alan। Encyclopedia of the Ottoman Empire। InfoBase Publishing। পৃষ্ঠা 145–146। As a part of their education, devşirme children underwent compulsory conversion to Islam, which is the only documented forced form of conversion organized by the Ottoman state. 
  23. A. E. Vacalopoulos. The Greek Nation, 1453–1669, New Brunswick, New Jersey, Rutgers University Press, 1976, p. 41; Vasiliki Papoulia, The Impact of Devshirme on Greek Society, in War and Society in East Central Europe, Editor—in—Chief, Bela K. Kiraly, 1982, Vol. II, pp. 561—562.
  24. David Nicolle (১৯৯৫-০৫-১৫), The Janissaries, পৃষ্ঠা 12, আইএসবিএন 9781855324138, ২০১৫-০৪-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯ 
  25. Adam Kirsch, "The Other Secret Jews", review of Marc David Baer, The Dönme: Jewish Converts, Muslim Revolutionaries, and Secular Turks, The New Republic, Feb 15, 2010, accessed Feb 20, 2010
  26. Persecution of the Greeks in Turkey, 1914-1918। Constantinople [London, Printed by the Hesperia Press]। ১৯১৯। 
  27. Savory, R.M.; Gandjeï, T. (২০১২)। "Ismāʿīl I"। P. Bearman; Th. Bianquis; C.E. Bosworth; E. van Donzel; W.P. Heinrichs। Encyclopaedia of Islam4 (2nd সংস্করণ)। Brill। পৃষ্ঠা 186। 
  28. H.R. Roemer (১৯৮৬)। "The Safavid Period"। William Bayne Fisher; Peter Jackson; Lawrence Lockhart। The Cambridge History of Iran। Volume 6। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 218। 
  29. Lewis, Bernard (1984). The Jews of Islam. Princeton: Princeton University Press. আইএসবিএন ০-৬৯১-০০৮০৭-৮. p.52
  30. Lapidus, Ira M. (২০১৪)। A History of Islamic Societies। Cambridge University Press (Kindle edition)। পৃষ্ঠা 385–386। আইএসবিএন 978-0-521-51430-9 
  31. Pirnazar, Jaleh। "The "Jadid al-Islams" of Mashhad"Foundation for Iranian Studies। Bethesda, MD, USA: Foundation for Iranian Studies। ২০১৯-০৯-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-১৩ 
  32. Ramesh Chandra Majumdar (১৯৫১)। The History and Culture of the Indian People: The struggle for empire। পৃষ্ঠা 12। 
  33. Catherine B. Asher। India 2001: Reference Encyclopedia, Volume 1। South Asia Publications। পৃষ্ঠা 29। 
  34. Lal, K.S. (২০০৪)। "1"। Indian Muslims:Who Are Theyআইএসবিএন 978-8185990101 
  35. Habibullah, The Foundation of Muslim Rule in India, (Allahabad, 1961), pp.69 and 334
  36. Hasan Nizami, Taj-ul-Maasir, II, p.216
  37. Titus, Murray. Islam in India and Pakistan, (Calcutta, 1959), p.31
  38. Richard T. Schaefer। Encyclopedia of Race, Ethnicity, and Society - Volume 1। SAGE। পৃষ্ঠা 797। 
  39. Claude Markovits। A History of Modern India, 1480-1950। Anthem Press। পৃষ্ঠা 108। 
  40. "ঔরঙ্গজেবের আদেশে প্রাণ দিলেও ধর্ম ছাড়েননি ধর্ম ছাড়েননি গুরু তেগ বাহাদুর"News18 Bengali। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯ 
  41. Singh, Khushwant (২০১৭)। Ranjit Singh: Maharaja of the Punjab। Penguin UK। পৃষ্ঠা 22। 
  42. "মৃত্যুঞ্জয়ী বান্দা সিং বাহাদুর"BAARTA TODAY (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯ 
  43. Rachel Fell McDermott; Leonard A. Gordon; Ainslie T. Embree; Frances W. Pritchett; Dennis Dalton (২০১৪)। Sources of Indian Traditions: Modern India, Pakistan, and Bangladesh। Columbia University Press। পৃষ্ঠা 9 
  44. Kristen Haar, Sewa Singh Kalsi। Sikhism। Infobase publishing। পৃষ্ঠা 110। 
  45. Harbans Kaur Sagoo (২০০১)। Banda Singh Bahadur and Sikh Sovereignty। Deep and Deep Publications। পৃষ্ঠা 226। 
  46. Singh, Ganda (১৯৩৫)। Life of Banda Singh Bahadur: Based on Contemporary and Original Records। Sikh History Research Department। পৃষ্ঠা 229। 
  47. Varghese, Alexander (২০০৮)। India: History, Religion, Vision and Contribution to the World, Volume 1। Atlantic Publishers। আইএসবিএন 9788126909032 
  48. Paul, Thomas (১৯৫৪)। Christians and Christianity in India and Pakistan: a general survey of the progress of Christianity in India from apostolic times to the present day। Allen & Unwin। পৃষ্ঠা 235। 
  49. "টিপু সুলতান: ইতিহাসের নায়ক নাকি খলনায়ক - E News Bangla"Dailyhunt (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯ 
  50. Sanjeev Sanyal। The Ocean of Churn: How the Indian Ocean Shaped Human History। Penguin UK। পৃষ্ঠা 188। 
  51. Anis Ahmed (ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৩)। "Bangladesh Islamist's death sentence sparks deadly riots"Reuters। ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১, ২০১৩ 
  52. Arun Devnath; Andrew MacAskill (মার্চ ১, ২০১৩)। "Clashes Kill 35 in Bangladesh After Islamist Sentenced to Hang"Bloomberg L.P.। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১, ২০১৩ 
  53. Julfikar Ali Manik; Jim Yardley (মার্চ ১, ২০১৩)। "Death Toll From Bangladesh Unrest Reaches 44"New York Times। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১, ২০১৩ 
  54. "হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে: রাণা দাশগুপ্ত"Jugasankha (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-০৪। ২০২১-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ 
  55. "ধর্ম নিয়ে সংশয় শেষে গতি হলো চাকমা কিশোরীর মরদেহের"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ 
  56. "'সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের ভূমিকা আশানুরূপ নয়'"মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ 
  57. ডেস্ক, বঙ্গদেশ (২০২০-১১-০৯)। "বাংলাদেশে ইসলাম গ্রহণ না করায় এক হিন্দু যুবকের জোরপূর্বক লিঙ্গ কর্তন করে মুসলমানি"বঙ্গদেশ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ 
  58. "বাংলাদেশে হিন্দু ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক"Hindustantimes Bangla। ২০২১-০৪-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ 
  59. "অপহরণ থেকে খুন, জানুন পাকিস্তান-বাংলাদেশে হিন্দুদের সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের কাহিনি"Asianet News Network Pvt Ltd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ 
  60. [১] 26 Hindus beheeaded by Islamist militants in Kashmir
  61. Khan, Yasmin (২০০৭)। The Great Partition: The Making of India and Pakistan। Yale University Press। পৃষ্ঠা 68–69। আইএসবিএন 978-0-300-12078-3 
  62. "Fatal flaw in communal violence bill"Rediff.com। জুলাই ২, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২, ২০১১ 
  63. Imtiaz, Saba; Walsh, Declan (২০১৪-০৭-১৫)। "Extremists Make Inroads in Pakistan's Diverse South"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯ 
  64. United Nations High Commissioner for Refugees (৩০ এপ্রিল ২০১৩)। "Refworld – USCIRF Annual Report 2013 – Countries of Particular Concern: Pakistan"Refworld। সংগ্রহের তারিখ মে ৫, ২০১৫ 
  65. "Pakistan: Religious conversion, including treatment of converts and forced conversions (2009–2012)" (পিডিএফ)Responses to Information Requests। Government Research Directorate, Immigration and Refugee Board of Canada। জানুয়ারি ১৪, ২০১৩। মে ৪, ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৭, ২০১৮ 
  66. "1,000 Christian, Hindu girls forced to convert to Islam every year in Pakistan: report"India Today। এপ্রিল ৮, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৯, ২০১৮ 
  67. Reema, Abbasititle (এপ্রিল ১১, ২০১৪)। "Pakistan needs a law to protect Hindus from forced conversion"Daily Mail। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৯, ২০১৮ 
  68. Anwar, Iqbal (২০১৪-০৪-০৮)। "1,000 minority girls forced in marriage every year: report"Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৪ 
  69. Dunya, Author (২০ ডিসেম্বর ২০১৪)। "India ruling party chief urges law against religious conversions"Dunya News। New Delhi। AFP। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  70. "Pakistan"Annual Report on International Religious Freedom, 2004United States Commission on International Religious Freedom, State Dept (US), Senate Committee on Foreign Relations (US)। ২০০৫। পৃষ্ঠা 667। আইএসবিএন 978-0-16072-552-4 
  71. "Taliban Tells Pakistani Christians: Convert or Die"Fox News। সংগ্রহের তারিখ মে ৫, ২০১৫ 
  72. Zimmett, Nora (জুন ১৩, ২০০৯)। "Christian Man Raped, Murdered for Refusing to Convert to Islam, Family Says"। FOX News। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০১১ 
  73. "Opinion: Rinkle Kumari – the new Marvi of Sindh by Marvi Sirmed"। Thefridaytimes.com। ২০১৩-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-০৫ 
  74. "SC orders release of Rinkle Kumari, others"Pakistan Observer। এপ্রিল ১৯, ২০১২। ২০১৪-০২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-০৫ 
  75. "Leading News Resource of Pakistan"Daily Times। ২০১২-০৪-১৯। ২০১২-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-০৫ 
  76. "Sikh community in Hangu 'being forced to convert'"The Express Tribune। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  77. "Sikhs in Pakistan complain of pressure to convert"। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  78. "Sikhs told to 'convert to Islam' by Pakistani official"Rabwah Times। ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  79. Anwar, Madeeha (ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭)। "Authorities Investigate Cases of Forced Conversion of Sikh Minority in Pakistan"Extremism Watch DeskVoice of America। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  80. Forced conversions torment Pakistan's Hindus | India | Al Jazeera
  81. https://dailytimes.com.pk/116289/forced-conversions-of-pakistani-hindu-girls/
  82. Forced conversions of Pakistani Hindu girls - Daily Times
  83. https://www.indiatoday.in/world/pakistan/story/1000-christian-hindu-girls-forced-to-convert-to-islam-every-year-in-pakistan-report-188177-2014-04-08
  84. https://www.aljazeera.com/indepth/features/2014/08/forced-conversions-torment-pakistan-hindus-201481795524630505.html
  85. https://www.dawn.com/news/1170682
  86. "57 Hindus convert to Islam in 10 days"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৫-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯