জেমি লি কার্টিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেমি লি কার্টিস
Jamie Lee Curtis
২০১৮ সালে স্যান ডিয়েগো কমিক-কন ইন্টারন্যাশনালে কার্টিস
জন্ম (1958-11-22) ২২ নভেম্বর ১৯৫৮ (বয়স ৬৫)
পেশা
  • অভিনেত্রী
  • প্রযোজক
  • পরিচালক
  • লেখিকা
  • ব্লগার
  • সক্রিয়কর্মী
কর্মজীবন১৯৭৭-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীক্রিস্টোফার গেস্ট, ৫ম ব্যারন হ্যাডেন-গেস্ট (বি. ১৯৮৪)
সন্তান
পিতা-মাতাটনি কার্টিস
জ্যানেট লেই
আত্মীয়কেলি কার্টিস (বোন)
অ্যালেগ্রা কার্টিস (সৎবোন)
স্বাক্ষর

জেমি লি কার্টিস (জন্ম ২২ নভেম্বর ১৯৫৮) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা ও সক্রিয়কর্মী। তিনি ১৯৭৮ সালে জন কার্পেন্টারের ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র হ্যালোউইন-এ লরি স্ট্রোড চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্রের শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি এনে দেয় এবং তিনি ১৯৮০-এর দশক জুড়ে একাধিক ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্রে কাজ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে দ্য ফগ, প্রম নাইটটেরর ট্রেন। তিনি তার অভিনীত লরি চরিত্রে হ্যালোউইন চলচ্চিত্রের অনুবর্তী পর্বসমূহ, তথা হ্যালোউইন টু (১৯৮১), হ্যালোউইন এইচ২০: টোয়েন্টি ইয়ার্স লেটার (১৯৯৮), হ্যালোউইন: রিসারেকশন (২০০২) ও হ্যালোউইন (২০১৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

কার্টিস এছাড়াও বিভিন্ন ঘরানার চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি জনপ্রিয় হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র ট্রেডিং প্লেসেস (১৯৮৩)-এ অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং আ ফিশ কলড ওয়ান্ডা (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি জেমস ক্যামেরনের মারপিটধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র ট্রু লাইজ (১৯৯৪)-এ হেলেন টাস্কার চরিত্রে অভিনয় করে সেরা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, আমেরিকান কমেডি পুরস্কার ও স্যাটার্ন পুরস্কার অর্জন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

কার্টিস ১৯৫৮ সালের ২২শে নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অভিনেতা টনি কার্টিস এবং মাতা অভিনেত্রী জ্যানেট লেই। তার পিতা ছিলেন ইহুদি এবং হাঙ্গেরিয় ইহুদি অভিবাসীর পুত্র।[১] তার দুজন প্র-মাতামহী ডেনীয় ছিলেন, এবং তার মায়ের বাকি পূর্বপুরুষগণ জার্মান ও স্কটস-আইরিশ ছিলেন।[২] জেমির বড় বোন কেলি কার্টিসও একজন অভিনেত্রী এবং তার পিতার অন্যান্য বিয়ের ফলে তার কয়েকজন সৎ ভাইবোন রয়েছে, তারা হলেন আলেকজান্ড্রা, অভিনেত্রী অ্যালেগ্রা, বেঞ্জামিন, ও নিকোলাস কার্টিস।[৩] ১৯৬২ সালে কার্টিসের পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। কার্টিসের ভাষ্যমতে, বিবাহবিচ্ছেদের পর তার পিতা তাদের পাশে ছিল না এবং তিনি "পিতার দায়িত্ব পালনে আগ্রহী ছিলেন না।"[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Jamie Lee Curtis Interview: Starring as Herself: Embracing Reality"রিডার্স ডাইজেস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। অক্টোবর ১৩, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২০ 
  2. There/Hollywood, page 6, 1985, by Janet Leigh
  3. "Family for Tony Curtis"টার্নার ক্লাসিক মুভিজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২০  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  4. কাসাব্লাঙ্কা, টেড (অক্টোবর ২২, ২০১০)। "Source: Jamie Lee Curtis Written Out of Father's Will"ই নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]