জাতীয় শিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি, ১৯৭৮

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জাতীয় শিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি, ১৯৭৮ বা কাজী জাফর আহমেদ শিক্ষা কমিশন হলো বাংলাদেশের একটি একটি শিক্ষা কমিশন। এই শিক্ষা কমিশন বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমন্বয় করার জন্য গঠিত হয়েছিলো।[১] এই কমিটি মূলত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টকে পর্যালোচনা করা ও শিক্ষাক্ষেত্রের সমস্যাসমূহ উদঘাটনের জন্য গঠন করা হয়েছিলো। কমিশন তাদের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সমাপ্ত করে ১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট পেশ করে। এই কমিশনের প্রধান ছিলেন কাজী জাফর আহমেদ[২]

প্রস্তাবসমূহ[সম্পাদনা]

এই কমিশন তাদের রিপোর্টে এমনভাবে তৈরি করে, যাতে দেশে শিক্ষিতের হার বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে পারে। রিপোর্টে মাধ্যমিক শিক্ষার প্রচলিত কাঠামোকে তিনটি উপ-পর্যায়ে ভাগ করা হয়।[৩] সেগুলো হল: নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায় (৩ বছর), মাধ্যমিক পর্যায় (২ বছর) এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় (২ বছর)। এই রিপোর্টে উল্লেখিত কিছু প্রস্তাবনা হচ্ছে:

  1. মাধ্যমিক শিক্ষার সকল স্তরেে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা জেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুষ্ঠিত হবে।
  2. বৃত্তিমূলক শিক্ষা, কারিগরী শিক্ষা, কৃষি ও চিকিৎসা শিক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
  3. নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরেই যেকোন একটি কারিগরী প্রায়োগিগ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
  4. এই শিক্ষা কমিশন মাদ্রাসা শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার সমান্তরালে আনার প্রস্তাব দেয়।
  5. আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল স্তরকে সাধারণ মাধ্যমিক স্তরের এবং আলিম স্তরকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমমান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মাদ্রাসা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৭ 
  2. Deshkal, Shampratik। "বিএনপির শিক্ষা সংস্কার এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ"Shampratik Deshkal। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৭ 
  3. "বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশিত শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন করতে হবে"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৭