জয়লন ওয়াগ
| জয়লন ওয়াগ | |
|---|---|
 হার্জের আঁকা জয়লন ওয়াগ | |
| প্রকাশনার তথ্য | |
| প্রকাশক | কাস্টরম্যান (বেলজিয়াম) |
| প্রথম আবির্ভাব | ক্যালকুলাসের কাণ্ড (১৯৫৬) দুঃসাহসী টিনটিন |
| নির্মাতা | হার্জ |
| কাহিনীর তথ্য | |
| পূর্ণ নাম | জয়লন ওয়াগ |
| সহযোগী | প্রধান চরিত্রের তালিকা |
| পার্শ্বচরিত্র | টিনটিন |
জয়লন ওয়াগ অথবা জলিয়ন ওয়াগ (ফরাসি: Séraphin Lampion) হার্জের আঁকা দুঃসাহসী টিনটিন কমিকস সিরিজের একটি প্রধান চরিত্র। সে একজন সঙ্গপ্রিয়, সরল ও হামবড়া লোক, আর গল্পের মধ্যে সে প্রায়ই হুটহাট করে ঢুকে পড়ে।
চরিত্র ইতিহাস[সম্পাদনা]
ক্যাপ্টেন হ্যাডক ওয়াগকে পছন্দ করে না এবং তার অনাহুত আগমনে বিরক্তবোধ করে। কিন্তু আমুদে স্বভাবের ওয়াগ এসব খেয়াল করেনা, বরং নিজেকে সে ক্যাপ্টেনের খুব ভালো বন্ধু বলে মনে করে। মাঝেমধ্যে ওয়াগ পথজ্ঞানহীন পর্যটক হিসেবে উদ্ভট জায়গায় গিয়ে হাজির হয়, যেখানে হয়তো টিনটিন ও হ্যাডক কোনো অভিযানে ব্যস্ত ছিল আর সেও তাতে জড়িয়ে পড়ে। এমনিতে পেশাগতভাবে সে বীমা কোম্পানির দালাল, আন্যান্য লোকদের বীমা করাবার জন্যে সাধাসাধি করে। এছাড়া আলাপের মধ্যে ওয়াগ প্রায়ই তার খুড়ো নাপিত আনাতোলের কথা বলে থাকে।[১][২]
জয়লন ওয়াগ চরিত্রটির অনুপ্রেরণা ছিল এক সেলসম্যান যে কিনা অনাহুতভাবে হার্জের বাড়িতে এসে জুড়ে বসেছিল। তবে হার্জ একে বলতেন বেলজিকাইন, মানে হীনচেতা বেলজীয় লোক যার আত্মসচেতনতা নেই।[৩] সিরিজে ওয়াগ বেশ দেরিতে এসেছে, শুরু করেছে ক্যালকুলাসের কাণ্ডে, যেখানে তার হামবড়া ভাব আর সংবেদনহীনতা ক্যাপ্টেনকে রাগিয়ে দিয়েছিল। এরপর লোহিত সাগরের হাঙর, পান্না কোথায়, ফ্লাইট ৭১৪ এবং বিপ্লবীদের দঙ্গলে গল্পগুলোতে তাকে দেখা গেছে।
নামকরণ[সম্পাদনা]
সাধারণত টিনটিন কমিকসের ক্ষেত্রে চরিত্রদের নামগুলোর আক্ষরিক অনুবাদ না করে নতুন কোনো কৌতুককর নাম দেয়া হয়। হার্জ ফরাসীতে যেরকম নাম দিতে চেয়েছিলেন তার সরাসরি অনুবাদ হয়না, তবে এটুকু বলা যায় যে, তিনি একটা "ফুলেফেঁপে ওঠা" নাম চেয়েছিলেন, যেটা একইসাথে নাদুসনুদুস ও দুর্বল শোনাবে। ওয়াগের আসল ফরাসী নাম ছিল সেরাফিন লেম্পুন।[৩]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Characters by Name: A"। Hergé/Moulinsart S.A। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ "Characters by Name: W"। Hergé/Moulinsart S.A। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ ক খ Sadoul, Numa: Tintin et Moi: entretiens avec Hergé, p. 109, Casterman, 1975
গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]
- ফার, মাইকেল (২০০৭)। টিনটিন অ্যান্ড কোং। London: John Murray Publishers Ltd.। আইএসবিএন 978-1-4052-3264-7।
- পিটারস, বেনওয়া (২০১২) [২০০২]। হার্জ: সান অফ টিনটিন। Tina A. Kover (translator)। Baltimore, Maryland: Johns Hopkins University Press। আইএসবিএন 978-1-4214-0454-7।
