বিষয়বস্তুতে চলুন

ঘুমপাড়ানি গান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উইলিয়াম-অ্যাডলফ বাগিরো কর্তৃক অঙ্কিত ঘুমপাড়ানি গানের চিত্রকর্ম

ঘুমপাড়ানি গান এক ধরনের সঙ্গীত যা শিশুদেরকে দ্রুত ঘুমপাড়ানোর উদ্দেশ্যে গেয়ে শোনানো হয়। দুনিয়ার সব মায়েরাই শিশুদের ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে থাকেন। ভাষা ভিন্ন হলেও এসব গানের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।[] সুপ্রাচীনকাল থেকে বিশ্বের সকল দেশের সংস্কৃতিতেই ঘুমপাড়ানি গানের দেখা পাওয়া যায়।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

গবেষকদের মতে, বিশ্বের প্রথম ঘুমপাড়ানি গানটি লেখা হয়েছিল অন্তত চার হাজার বছর আগে। প্রাচীন ব্যাবিলনের (বর্তমান ইরাক অঞ্চল) অজ্ঞাত এক গীতিকার চার হাজার বছর আগে এ ধরনের গান রচনা করেছিলেন। লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রাচীনতম ওই ঘুমপাড়ানি গান লেখার প্রাচীন ফলকটি সংরক্ষিত আছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ডামব্রিল বলেন, প্রাচীন ঘুমপাড়ানি গানে ভীতিকর বিষয়বস্তুর প্রাধান্য ছিল। এসব গানে শিশুকে বলা হতো, সে অনেক শোরগোল করেছে, তাই ভয়ঙ্কর দৈত্য জেগে উঠেছে।[]

গুণাগুন

[সম্পাদনা]

ঘুমপাড়ানি গানের স্বাস্থ্যহিতকারী গুণ রয়েছে। আর স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবার মা-মাসিদের ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর চেষ্টার পক্ষে যুক্তি খুঁজে পেয়েছেন।[]

বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে

[সম্পাদনা]
  • বাংলাদেশ = ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি মোদের বাড়ি এসো কিংবা খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো প্রভৃতি গান।
  • ভারত = ঘুমপাড়ানি গানে ‘চাঁদ মামাকে’ ডাকা হয়।
  • কেনিয়া = হায়েনার ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ানো হয় শিশুদের।
  • যুক্তরাজ্য = দোলনায় রেখে বিশেষ গানের তালে তালে শিশুদের ঘুম পাড়ান মায়েরা। জনপ্রিয় ঘুমপাড়ানি গানে শিশুকে ভয় দেখানো হয়, গাছের শাখা থেকে তার দোলনাটি পড়ে যাবে বলে।
  • ইরাক = ঘুমপাড়ানি গানে রয়েছে মরুভূমির বিষণ্ন সুর। হারানো স্বজনদের স্মরণে সেই গান গাওয়া হয়।
  • সুইডেন = প্রচলিত ঘুমপাড়ানি গান শিশুদের ভাষা শেখার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।[]

গ্যালারি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ঘুমপাড়ানি গান দেশে দেশে ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে,আশিস আচার্য, প্রথম আলো। প্রকাশের তারিখ: ০৮-০৩-২০১৩
  2. Opie and P. Opie, The Oxford Dictionary of Nursery Rhymes (Oxford University Press, 1951, 2nd edn., 1997), p. 6.
  3. ঘুমপাড়ানি গান ও শিশুদের স্বাস্থ্য[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],শুভাগত চৌধুরী, প্রথম আলো। প্রকাশের তারিখঃ ২৩-০৩-২০১১

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]