খোতান মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩৭°০৬′৪৫″ উত্তর ৭৯°৫৬′১০″ পূর্ব / ৩৭.১১২৫° উত্তর ৭৯.৯৩৬১° পূর্ব / 37.1125; 79.9361
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খোতান মসজিদ
加买清真寺
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
শাখা/ঐতিহ্যসুন্নি
অবস্থান
অবস্থানহোতান, শিনচিয়াং, চীন
স্থানাঙ্ক৩৭°০৬′৪৫″ উত্তর ৭৯°৫৬′১০″ পূর্ব / ৩৭.১১২৫° উত্তর ৭৯.৯৩৬১° পূর্ব / 37.1125; 79.9361
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
সম্পূর্ণ হয়১৮৭০
ধারণক্ষমতা১০,০০০ জন উপাসক

খোতান মসজিদ (চীনা: 加买清真寺; পিনয়িন: Jiāmǎi Qīngzhēnsì) চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের খোতান শহরের প্রধান মসজিদ। এটি ১৮৭০ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন হাবিবুল্লাহ খান, অস্থায়ী খোতান খানাতের শাসক।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

মসজিদটি খোতান শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এটি একটি বড় মসজিদ, যার আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গমিটার। মসজিদের চারটি মিনার রয়েছে, যার প্রতিটি প্রায় ৪০ মিটার উঁচু। মসজিদের মূল ভবনটি একটি বর্গাকার আকৃতির, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ মিটার এবং প্রস্থ প্রায় ৪০ মিটার।

মসজিদের অভ্যন্তরটি সজ্জিত করা হয়েছে কাঠের খোদাই এবং টাইলস দিয়ে। মসজিদে একটি বড় নামাজের হল রয়েছে, যেখানে একসাথে প্রায় ১০,০০০ মুসলমান নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদে একটি লাইব্রেরি এবং একটি শিক্ষা কেন্দ্রও রয়েছে।

খোতান মসজিদ চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ। এটি খোতান শহরের মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

মসজিদের ইতিহাস[সম্পাদনা]

খোতান মসজিদ ১৮৭০ সালে নির্মিত হয়েছিল। এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন হাবিবুল্লাহ খান, অস্থায়ী খোতান খানাতের শাসক। মসজিদটি নির্মাণের জন্য তিনি প্রচুর পরিমাণে অর্থ দান করেছিলেন।

মসজিদটি নির্মাণের সময়, খোতান শহরের জনসংখ্যার প্রায় ৯০% মুসলমান ছিল। মসজিদটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল শহরের মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রদান করা।

মসজিদের গুরুত্ব[সম্পাদনা]

মসজিদটি শহরের মুসলমানদের জন্য একটি স্থান যেখানে তারা নামাজ আদায় করতে পারেন, পবিত্র কোরআন পড়তে পারেন এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। মসজিদটি শহরের মুসলমানদের সাংস্কৃতিক পরিচয়েরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।

মসজিদের সংরক্ষণ[সম্পাদনা]

খোতান মসজিদ একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা। চীনা সরকার মসজিদটিকে সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। মসজিদটিকে একটি জাতীয় সংরক্ষণকৃত স্থাপনা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এটিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।