খুবসুরত (২০১৪-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খুবসুরত
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকশশাঙ্ক ঘোষ[১]
প্রযোজকরিয়া কাপুর
অনিল কাপুর
সিদ্ধার্থ রায় কাপুর[১]
রচয়িতাইন্দিরা বিস্ত
জুহি চতুর্বেদী
শ্রেষ্ঠাংশেসোনম কাপুর
ফাওয়াদ খান[২]
সুরকারগান:
স্নেহা খানওয়ালকার
বাদশা
আমাল মালিক
নেপথ্য সঙ্গীত:
সিমাব সেন
চিত্রগ্রাহকতুষার কান্তি রায়
সম্পাদকবকুল মাতিয়ানি
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকইউটিভি মোশন পিকচার্স
মুক্তি
  • ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ (2014-09-19)
স্থিতিকাল১২৭ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
নির্মাণব্যয়২৩০ মিলিয়ন (US$ ২.৮১ মিলিয়ন)[৪]
আয়প্রা.  ৭৯.৪৩ কোটি (US$ ৯.৭১ মিলিয়ন)[৫]

খুবসুরত (অনু. সুন্দর) হল একটি ২০১৪ সালের, ভারতীয়, হিন্দি ভাষার, প্রণয়ধর্মী কৌতুক-নাট্য চলচ্চিত্র[৬] ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন শশাঙ্ক ঘোষ এবং প্রযোজনা করেছিলেন রিয়া কাপুর, অনিল কাপুর এবং সিদ্ধার্থ রায় কাপুর[১] এতে অভিনয় করেছিলেন সোনম কাপুর, ফাওয়াদ খান, কিরণ খের, রত্না পাঠক এবং আমির রাজা হুসেন। চলচ্চিত্রটি হালকাভাবে ১৯৮০ সালের একই নামের চলচ্চিত্রের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।[৭][৮] এই চলচ্চিত্রের 'মা কা ফোন' এই একটি বিখ্যাত গানের নৃত্য পরিচালনা করেছিলেন করিশমা চ্যবন।[৯]

ঘটনা[সম্পাদনা]

মিলি চক্রবর্তী একজন ফিজিওথেরাপিস্ট, যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য কাজ করে। তার মা মঞ্জু আশা করে যে সে নিজের বিয়ের জন্য উপযুক্ত এবং চমৎকার মানুষটিকে খুঁজে নেবে। তাকে রাজস্থানের এক রাজপরিবারে পরিষেবা দেবার জন্য আহ্বান জানানো হল, সেখানে রাজা শেখর সিং রাঠোর কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত পক্ষাঘাতগ্রস্থ। তাকে বলা হল যে ৪০ জন চিকিৎসক ইতিমধ্যেই ভাল কাজ পেয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে।

মিলি রাজপ্রাসাদে পৌঁছোয় এবং শৃঙ্খলাপরায়ন রানী নির্মলা দেবী রাঠোরের সাথে দেখা করে, মিলির অতি উৎসাহ এবং আনাড়িপনা রানীর পছন্দ হয় নি। মিলি দেখতে পায় যে তার জীবনযাপনের স্বাভাবিক পন্থা রাজপরিবারের কঠোর শৃঙ্খলার সাথে মিলছেনা। সে রাজকুমার, বিক্রম সিং রাঠোরের সাথে দেখা করে, বিক্রম তার বাবা মায়ের মতই শৃঙ্খলাপরায়ন। পরিবারের সবচেয়ে ছোট শিশু রাজকন্যা দিব্যা রাঠোরের সাথে মিলি বন্ধুত্ব করে, এবং চলচ্চিত্রের প্রতি তার আবেগকে উৎসাহ দেয়, যদিও তার পরিবারের ইচ্ছা সে ​​ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে পড়াশোনা করে।।

রাজা মিলির নির্দেশিত অনুশীলনগুলি এড়িয়ে চলে। তখন মিলি বিক্রমের কাছে সাহায্য চায়। সে মিলিকে একই উত্তর দেন যা রানী তাকে দিয়েছে, "তুমি যদি নিজের কাজ সামলাতে না পারো, তবে তুমি চলে যেতে পারো"। মিলি হতাশ হয়ে পড়ে এবং তাদের বলে যে তাদের উচিত রাজাকে সাহায্য করা। মিলি তাদের একগুঁয়ে, কঠোর এবং স্বার্থকেন্দ্রিক বলে অভিযোগ করে।

মিলি চলে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছিল, তখন সে একজন চাকরের কাছ থেকে জানতে পারে যে, এক গাড়ি দুর্ঘটনায় রাজার বড় ছেলের মৃত্যু হয়েছিল। সেই দুর্ঘটনার ফলেই রাজা আজ পক্ষাঘাতগ্রস্থ। রাজার পক্ষাঘাত হওয়া এবং তার ফলে সমস্ত দায়িত রানীর ওপর চলে এসেছিল, তাই আজ রানীর ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটে গেছে এবং রাজপরিবারের একসময়কার খুশির পরিবেশটি বর্তমান অবস্থায় পৌছেছে। মিলি রাজার অপরাধবোধ কাটিয়ে উঠতে তাকে লজ্জা দেয় এবং কথোপকথন ও ভিডিও গেমের মাধ্যমে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করে, এবং তাকে গাড়ী দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে উৎসাহিত করে।

২-৩ মাস পরে মিলি রাজার উন্নতি লক্ষ্য করে। রাজা বিক্রমকে অনুরোধ করে মিলিকে সুরজগড় প্রাসাদে নিয়ে যেতে। তারা একসাথে কিছু সময় কাটায়, তারপরে রাজপুত্র একটি কাজে চলে যায় এবং মিলি কেনাকাটা করে। মিলিকে অপহরণ করা হয়; বিক্রম তাকে বাঁচায়, এবং তারা একে অপরকে চুম্বন করে। যদিও তারা পারস্পরিক আকর্ষণ ভুলে যাবার চেষ্টা করে, তবুও তারা পরস্পরের প্রেমে পড়ে। মিলি তার ভালবাসার কথা বিক্রমের কাছে স্বীকার করে কিন্তু বিক্রম অস্বীকার করে, তাদের অবস্থার পার্থক্যের কথা ভেবে। এছাড়াও বিক্রম তার সম মর্যাদার একজন মহিলা কিয়ারার কাছে বাগদত্ত।

দিব্যা জয়পুরে চলে যায় চলচ্চিত্রে অডিশন দিতে। মিলি রানিকে জানিয়ে দেয় যে সে দিব্যার পরিকল্পনাগুলি সম্পর্কে জানত, তাকে প্রাসাদ থেকে চলে যাবার আদেশ দেওয়া হয়। বিক্রমের প্রত্যাখ্যানের কারণে মিলির মন ভেঙে যায়। দিব্যা ফিরে এসে রানীকে বলে যে মিলির কারণেই সে ফিরে এসেছে। রাজা তখন রানিকে অবাক করে দিয়ে দাঁড়িয়ে ওঠে এবং স্বীকার করে যে, সে দিব্যাকে পালাতে দেখেছিল। রাজা তাকে বলে যে মিলি এটাই তাদের শেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল: জীবন যেমন আছে তাকে সেভাবেই ভালোবাসো। বিক্রম কিয়ারার সাথে তার বাগদান ভেঙে দেয় এবং মিলির প্রতি তার ভালবাসা স্বীকার করে নেয়; তার বাবা-মা তাকে আশীর্বাদ করে এবং তাকে দিল্লী পাঠায় মিলিকে খুঁজে আনতে।

বিক্রম শেষ পর্যন্ত মিলিকে একটি পেইন্টবল ক্ষেত্রে খুঁজে পায়, এবং তার প্রতি নিজের ভালবাসা প্রকাশ করে। রঙে আবৃত হয়ে, সে মিলিকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। তারা এখন বিবাহিত, মিলিকে নতুন উপাধি দেওয়া হয়েছে রাজকীয় মিসফিট (বেমানান)।

চরিত্র চিত্রণ[সম্পাদনা]

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

খুবসুরত
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ (2014-09-19)
ঘরানাপূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের সাউন্ডট্র্যাক
দৈর্ঘ্য২৩:৪৮
সঙ্গীত প্রকাশনীটি-সিরিজ
স্নেহা খানওয়ালকার কালক্রম
ইয়ংগিস্তান
(২০১৪)
খুবসুরত
(২০১৪)
ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী!
(২০১৫)

খুবসুরত এর সংগীতকার ছিলেন স্নেহা খানওয়ালকার, বাদশা একটি অতিরিক্ত গানে সুর দিয়েছিলেন। গানের কথা লিখেছিলেন একাধিক শিল্পী, যাদের মধ্যে আছেন, ইকরাম রাজস্থানী, বাদশা, সুনীল চৌধুরী, অমিতাভ বর্মা এবং স্নেহা খানওয়ালকার। প্রথম গান "ইঞ্জিন কি সিটি" প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর, এবং রাজস্থানী লোকসঙ্গীত "অঞ্জুন কি সিটি" নমুনা প্রকাশ করেছিল যেটি ইকরাম রাজস্থানী বিশেষভাবে চলচ্চিত্রটির জন্য পুনরায় লিখেছিলেন।[১০] পাঞ্জাবী র‌্যাপার বাদশা রচিত "আভি তো পার্টি শুরু হুই হ্যায়" শিরোনামের একটি প্রচারমূলক গান ২০১৪ সালের ২২শে আগস্ট প্রকাশিত হয়েছিল। ছবিটির সাউন্ডট্র্যাক আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল।

নির্মাতারা অনুভব করেছিলেন যে ছবিতে একটি প্রাণবন্ত প্রেমের গানের অভাব রয়েছে এবং রিয়া কাপুরের অনুরোধে, গীতিকার আমাল মালিক "নয়না" গানটি লিখেছিলেন, যেটি তাঁর ভাই আরমান মালিক এবং সোনা মহাপাত্র গেয়েছিলেন।

খুবসুরত সাউন্ডট্র্যাক
নং.শিরোনামগীতিকারসুরকারগায়কদৈর্ঘ্য
১."ইঞ্জিন কি সিটি"ইকরাম রাজস্থানীস্নেহা খানওয়ালকারসুনিধি চৌহান, রেশমি সতীশ৩:৫৫
২."আভি তো পার্টি শুরু হুই হ্যায়"বাদশাবাদশাবাদশা, আস্থা গিল২:৫৯
৩."বাল খাড়ে"সুনীল চৌধুরীস্নেহা খানওয়ালকারসুনিধি চৌহান৩:৫৯
৪."প্রীত"অমিতাভ বর্মাস্নেহা খানওয়ালকারজ্যাসলিন রয়্যাল৫:০৩
৫."মা কা ফোন"অমিতাভ বর্মা, স্নেহা খানওয়ালকারস্নেহা খানওয়ালকারপ্রিয়া পঞ্চাল, মৌলী দাভে৪:০৭
৬."নয়না"কুমারআমাল মালিকসোনা মহাপাত্র, আরমান মালিক৩:৪৫
মোট দৈর্ঘ্য:২৩:৪৮

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bollywood Hungama। "Khoobsurat Remake (2014)"Bollywood Hungama। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  2. "Sonam Kapoor brings Hrishikesh Mukherji's Mili in Khoobsurat"Hindustan Times। ২৩ জানুয়ারি ২০১৪। ২৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  3. "Disney India to co-produce Khubsoorat remake with Kapoors – NDTV"। Movies.ndtv.com। ৯ ডিসেম্বর ২০১৩। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  4. Khoobsurat Heads Towards Happy Ending Due to Positive Word Of Mouth. ndtv.com. 27 September 2014
  5. "Worldwide Gross of Khoobsurat"Bollywood Hungama। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  6. "Sonam Kapoor excited about Khoobsurat"Hindustan Times। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  7. "Why Sonam Kapoor's Khoobsurat name was changed from Anju to Mili | NDTV Movies.com"। Movies.ndtv.com। ২৩ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. Upala KBR (১২ ডিসেম্বর ২০১৩)। "The original 'Khoobsurat' actress Rekha told Sonam Kapoor that"Daily News and Analysis। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  9. https://www.youtube.com/watch?v=SV3Zi2yFFVs
  10. "Not getting due credit from B-wood: Rajasthani folk artistes"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:UTV Movies