ক্যাংকুয়াং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চণ্ডি ক্যাংকুয়া
ক্যাংকুয়া
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিইন্দোনেশিয়ার চণ্ডি
শহরগারুত রিজেন্সি , পশ্চিম জাভা.
দেশইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক৭°০৬′১১″ দক্ষিণ ১০৭°৫৫′০৯″ পূর্ব / ৭.১০৩০৭৫১° দক্ষিণ ১০৭.৯১৯০৩৯২° পূর্ব / -7.1030751; 107.9190392

ক্যাংকুয়াং (ইন্দোনেশিয়: ক্যান্ডি ক্যাংকুয়াং) হল একটি ছোটখাটো অষ্টম শতাব্দীর শৈব মন্দির (ক্যান্ডি বা চণ্ডি শব্দের অর্থ হিন্দু মন্দির)। এই মন্দিরটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় কামপুঙ্গ গ্রামে অবস্থিত। [১][২] যে কটি হিন্দু-বৌদ্ধ সংস্কৃতির মন্দির পশ্চিম জাভা অঞ্চলে আজ পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়েছে তার মধ্যে এই মন্দিরটিও আছে। অন্যান্য মন্দিরগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বটুজায়া আর বোজোঙ্গমেঞ্জে মন্দির। এই ক্যাংকুয়াং মন্দিরের দক্ষিণে ৩ মিটার দুরত্বে আরিফ মহম্মদের ১৭শ শতাব্দীর প্রাচীন দরগা অবস্থিত।

অবস্থান[সম্পাদনা]

লেলেস শহরটি গারুট শহরে যাবার পথে বানডুঙ্গের ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত। উক্ত মন্দিরটি লেলেস থেকে গারুট যাবার প্রধান সড়কের থেকে বেশ কিছু কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত। মন্দিরটি ১৬.৫ হেক্টর জায়গা জুড়ে একটি দ্বীপে অবস্থিত। দ্বীপটির নাম কামপুঙ্গ গ্রাম। এই জায়গাটির চতুর্দিক সিটু ক্যাংকুয়াং নামক ছোট একটি হ্রদ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই মন্দিরটির কাছে একটি প্রাচীন সানদানি গ্রাম অবস্থিত। এই মন্দির, দরগা, প্রাচীন গ্রাম আর চারপাশের অঞ্চল ও হ্রদ সংরক্ষিত হচ্ছে সাংস্কৃতিক ও পুরাতাত্ত্বিক অভয়ারন্য হিসাবে। প্রাথমিকভাবে পুরো দ্বীপটি হ্রদ-পরিবেষ্টিত ছিল। বর্তমানে কেবল দ্বীপটির উত্তরভাগে হ্রদ আছে, দক্ষিণ অংশ পুনর্নির্মিত করে সেখানে ধানচাষ করা হয়। সানদানি ভাষাতে পানদান গাছের স্থানীয় নাম থেকে মন্দিরের ক্যাংকুয়াং নামটির উৎপত্তি। এই পানদান গাছ ঐ দ্বীপের চারপাশে দেখতে পাওয়া যায়।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

ক্যাংকুয়াং মন্দির ও সম্মুখভাগে আরিফ মুহাম্মদের কবর ।

মন্দিরটি অ্যানডেসাইট পাথরে নির্মিত। মন্দিরটির ভূতল ৪.৫x৪.৫ মিটার এবং ৮.৫ মিটার উচ্চ। মন্দিরটি পূর্বমুখী, পূর্বদিকে ঢোকার মুখে কয়েকটি সিঁড়ি আছে এবং তারপর মুখ্য ঘর বা গর্ভগৃহ। গর্ভগৃহের মধ্যে একটি পাথরের ছোট ৬২ সে.মি. উঁচু শিবের মূর্তি আছে। মূর্তিটি ভগ্নদশা প্রাপ্ত, হাতগুলি ভাঙা এবং মুখটি ক্ষয়প্রাপ্ত। মূর্তিটির পদপ্রান্তে একটি নন্দীর মস্তক ক্ষোদিত আছে। মন্দিরটি বেশ সাধারণ ও কম অলঙ্কার ভুষিত। মন্দিরের ছাতটি তিনটি লিঙ্গাকার গম্বুজাকৃতি। মন্দিরটির স্থাপত্য প্রাচীন মধ্য জাভাস্থিত হিন্দু মন্দিরের মত। পাথর ক্ষয়ের হিসাব থেকে এবং মন্দিরটির সহজ সরল আকৃতি থেকে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হল মন্দিরটি অষ্টম শতকের আদি যুগের, ডায়েং মন্দিরগুলির সমসাময়িক এবং প্রাম্বানানের মতো দক্ষিণ-মধ্য জাভার মন্দিরগুলির থেকেও প্রাচীন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "চণ্ডি ক্যাংকুয়া"। ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্র জাতীয় গ্রন্থাগার। ৫ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  2. মুলজানা, স্ল্যামেট (২০০৫)। হিন্দু-জাভা সাম্রাজ্যের পতন এবং নুসন্তার ইসলামিক দেশগুলির উত্থান (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। পিটি এলকিএস পেলাঙ্গি সাক্ষরতা। পৃষ্ঠা 74। আইএসবিএন 9798451163 আইএসবিএন ৯৭৮-৯৭৯-৮৪৫১-১৬-৪

টেমপ্লেট:ইন্দোনেশিয়ার হিন্দু মন্দির