কোয়না বাঁধ

স্থানাঙ্ক: ১৭°২৪′০৬″ উত্তর ৭৩°৪৫′০৮″ পূর্ব / ১৭.৪০১৬৭° উত্তর ৭৩.৭৫২২২° পূর্ব / 17.40167; 73.75222
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোয়না বাঁধ
कोयना धरण
কোয়না বাঁধ মহারাষ্ট্র-এ অবস্থিত
কোয়না বাঁধ
কোয়না বাঁধের অবস্থান
আনুষ্ঠানিক নামকোয়না ড্যাম ডি ০৫১০৪
অবস্থানকোয়না নগর, সাতারা, মহারাষ্ট্র
ভারত
স্থানাঙ্ক১৭°২৪′০৬″ উত্তর ৭৩°৪৫′০৮″ পূর্ব / ১৭.৪০১৬৭° উত্তর ৭৩.৭৫২২২° পূর্ব / 17.40167; 73.75222
নির্মাণ শুরু১৯৫৬
উদ্বোধনের তারিখ১৯৬৪[১]
মালিকমহারাষ্ট্র সরকার
বাঁধ এবং অতিরিক্ত জলনির্গমপথ
বাঁধের ধরনরাবল-কংক্রিট
আবদ্ধতাকোয়না নদী
উচ্চতা১০৩.২ মি (৩৩৯ ফু)
দৈর্ঘ্য৮০৭.২ মি (২,৬৪৮ ফু)
জলাধার
তৈরিশিবাজিসাগর হ্রদ
মোট ধারণক্ষমতা২,৭৯,৭৪,০০,০০০ মি (২২,৬৭,৯০০ acre·ft)
পৃষ্ঠতলের আয়তন৮৯১.৭৮ কিমি (৩৪৪ মা)
পাওয়ার স্টেশন
ঘূর্ণযন্ত্রKoyna dam foot powerhouse: 2 x 20 MW
stage 1: 4 x 70 MW
stage 2: 4 x 75 MW
stage 3: 4 x 80 MW
stage 4: 4 x 250 MW
Total = 18 Francis turbines
স্থাপিত ক্ষমতা1,960 MW
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট

ভারতের মহারাষ্ট্রে কোয়না বাঁধ অন্যতম বৃহত্তম নদী বাঁধ। এটি একটি রাবল-কংক্রিটের বাঁধ, যা কোয়না নদীর উপর নির্মিত।কোয়না নদীর উৎস সহ্যাদ্রি পর্বতমালার শৈলশহর মহাবালেশ্বর এ। বাঁধটি  পশ্চিম ঘাটের কোলে চিপলুন এবং কারাদ এর সংযোগকারী জাতীয় সড়কের কাছে,সাতারা জেলার কোয়নানগর-এ অবস্থিত। 

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে একটি জরিপে কোয়না নদীকে একটি সম্ভাব্য হাইড্রো-ইলেকট্রিক সোর্স হিসাবে বর্ণনা করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর টাটা গ্রুপ কর্তৃক কোয়না নদীর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুসন্ধান করা হয়। ১৯২৮ সালের আর্থিক সংকটের ফলে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, এটি মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। ১৯৫১ সালে কোয়না বাঁধ প্রকল্পটির দিকে নজর পড়তে শুরু করে। প্রকল্পটি ১৯৫৩ সালে অনুমোদন করা হয় এবং ১৯৫৪ সালের প্রথম দিকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

বর্ণনা [সম্পাদনা]

বাঁধ নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জলবিদ্যুৎউৎপাদন এবঙ্গি প্রতিবেশী এলাকায় কিছু সেচ ব্যবস্থা। বর্তমানে এটি ভারতের বৃহত্তম ক্ষমতা সম্পন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প যার মোট ইনস্টল ক্ষমতা ১,৯২০ মেগাওয়াট। তার বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভাবনার কারণে কোয়না নদীকে 'লাইফ লাইন মহারাষ্ট্র'. বিবেচনা করা হয় ।[২]

মহারাষ্ট্রে কোয়না বাঁধ 
 শিবাজিসাগর হ্রদ
বাইরের সুইচইয়ার্ড

বাঁধের স্পিলওয়েটি কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এতে ৬টি রেডিয়াল গেট রয়েছে যা বর্ষাকালে অর্থাৎ বন্যার মরশুমে বন্যা নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঁধের ক্যাচমেন্ট এলাকা কোয়না নদী ও সম্পর্কিত শিবাজিসাগর হ্রদ অঞ্চল জুড়ে যা দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫০ কিমি (৩১ মা)। স্বাধীনতার পরে ভারতে তৈরি বৃহত্তম সিভিল এঞ্জিনীয়ারিং প্রকল্প গুলির মধ্যে এটি অন্যতম। কোয়না জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি মহারাষ্ট্র রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। এই বাঁধটিকে সাম্প্রতিক অতীতে অনেক ভূমিকম্প সহ্য করতে হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ১৯৬৭ সালে কোয়নানগর ভূমিকম্প; এই ভূমিকম্পের বাঁধটিতে কিছু ফাটল সৃষ্টি হয়। দুর্যোগের পরে,ফাটলগুলির গ্রাউটিং সম্পন্ন হয়। এছাড়াও বাঁধের শরীরে অভ্যন্তরীণ ছিদ্র তৈরি করা হয় হাইড্রোস্ট্যাটিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে। ভারতীয় বৈজ্ঞানিক সংস্থারা এই অঞ্চলে একটি গভীর বোরহোল ড্রিল করার জন্য একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প প্রণয়ন করে এবং ভূমিকম্প কার্যকলাপের গভীরভাবে অধ্যয়ন করে। এটি ভূমিকম্পের আরও ভাল বোঝাপড়া এবং সম্ভাব্য পূর্বাভাসে সাহায্য করবে। প্রস্তাবটি হচ্ছে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত খনন করে,জলাধার-এর শারীরিক, ভূতাত্ত্বিক এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়া কীভাবে 'রিয়েল টাইম'এ সময়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকি সৃষ্টি করে, সে ব্যাপারে জ্ঞান লাভ করা। এটি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প হতে চলেছে [৩]। ১৯৭৩ সালে বাঁধের নন-ওভারফ্লো অংশকে শক্তিশালী করা হয় ও ২০০৬ সালে স্পিলওয়ে বিভাগকে শক্তিশালী করা হয় । এখন বাঁধটি ভবিষ্যতে ১৯৬৭ সালের তুলনায় উচ্চতর তীব্রতা সহ যে কোন ভূমিকম্প এর থেকে নিরাপদ বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • কোয়না জলবিদ্যুৎ প্রকল্প
  • কোয়না বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
  • ভারতের পাওয়ার স্টেশন

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Koyna D05104"। ২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১, ২০১৩ 
  2. "Koyna Sanctuary Plundered"। downtoearth.org.in। জানুয়ারি ৩১, ২০১১। সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৪, ২০১১ 
  3. "Major project to study earthquake activity at Koyna"। thehindubusinessline.com। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]