কৃষ্ণনগর সিটি–করিমপুর রেলপথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কৃষ্ণনগর সিটি–করিমপুর রেলপথ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অন্য নামকৃষ্ণনগর–করিমপুর রেলপথ
স্থিতিপ্রস্তাবিত
অঞ্চলনদিয়া
বিরতিস্থল
পরিষেবা
সেবা
পরিচালকপূর্ব রেল
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল)
ট্র্যাক গেজ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)

কৃষ্ণনগর সিটি–করিমপুর রেলপথ হল প্রায় ৮০ কিমি দীর্ঘ প্রস্তাবিত ব্রডগেজ রেলপথ। এই রেলপথটি ভারতীয় অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর সিটি জংশনকে করিমপুরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে, এছাড়াও পরবর্তী পর্যায়ে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। রেলপথটি ১৪ নং রাজ্য সড়কের সমান্তরালে অগ্রসর হবে, এবং এটি পূর্ব রেলের শিয়ালদহ রেলওয়ে বিভাগের একটি নতুন রেলপথ হিসাবে নির্মিত হবে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাক-স্বাধীনতা[সম্পাদনা]

কৃষ্ণনগর সিটি জংশনের সঙ্গে তেহট্ট ও ডোমকোল মহকুমার রেল সংযোগ স্থাপনের প্রথম প্রচেষ্টা ব্রিটিশ ভারতে শুরু হয়েছিল। ইস্ট বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ের এম রেডিস ও ক্যাপ্টেন ম্যাগনিয়াক ১৯০৫ সালে সমীক্ষা পরিচালনা করার সময় আনুমানিক ১৮,৪১,৫৬০ টাকা ব্যয় সহ ২৬ টি স্টেশনের প্রস্তাব করেছিলেন। পাঁচ বছর পর নদীয়া জেলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে, কলকাতার একটি ব্রিটিশ সংস্থা এইচভি লো অ্যান্ড কো আরও একটি ব্যাপক সমীক্ষা শুরু করে ও কৃষ্ণনগর থেকে জলঙ্গি পর্যন্ত হালকা রেলপথ নির্মাণের জন্য একটি সংশোধিত প্রাক্কলন জমা দেয় যার আনুমানিক ব্যয় ১৭,৫৬,৩৭৬ টাকা এবং দশ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর পর ১৯৪০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার আরও দুটি জরিপ পরিচালনা করেছিল।[২]

স্বাধীনতা-পরবর্তী[সম্পাদনা]

ভারত সরকার প্রথম সমীক্ষা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে পরিচালনা করেছিল, এবং সমীক্ষার কোন ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। সাবেক ভারতীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০০ খ্রিস্টাব্দে রেল বাজেট বক্তৃতায় কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল সংযোগের জন্য একটি নতুন সমীক্ষার ঘোষণা করেছিলেন। কৃষ্ণনগর থেকে চাপড়া পর্যন্ত রেলপথের অনুমোদন ২০১০-২০১১ অর্থবর্ষের রেল বাজেটে প্রদান করা হয়েছিল।[২][৩]

ভারতীয় রেলমন্ত্রক ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের সমীক্ষার কাজ শুরু করার অনুমোদন প্রদান করেছিল।[৪] পরিকল্পনা অনুসারে, সমীক্ষার কাজ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের অগাস্ট মাসে শুরু হয়েছিল, এবং পাঁচটি সমীক্ষক দল এই সমীক্ষায় নিয়োজিত ছিল।[১]

রুট/পথ[সম্পাদনা]

রেলপথটির জন্য চূড়ান্ত রুট বা পথ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাস পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদ পত্রের নিবন্ধ অনুযায়ী, রেলপথটি কৃষ্ণনগর, চাপড়া, তেহট্ট, বেতাই ও করিমপুরকে সংযুক্ত করবে।[১][২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "দু'মাসে দু'বার সমীক্ষা, দিনের আলো দেখবে কি কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্প? প্রশ্ন দুই জনপদে"www.anandabazar.com। কৃষ্ণনগর: আনন্দবাজার পত্রিকা। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  2. দত্ত, সঞ্জিত (২০১৮-০৩-২২)। "কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল যোগাযোগের দাবি আরও জোরালো হচ্ছে"www.newsfromnadia.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  3. শুভাশীষ, চৌধুরী (২৪ এপ্রিল ২০২১)। "Bengal Polls 2021: Rail link remains elusive to Karimpur"www.telegraphindia.com। করিমপুর। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  4. বিশ্বাস, অমিতাভ (৪ জানুয়ারি ২০২৩)। "করিমপুরে রেল চলার সমীক্ষা, পোস্ট মহুয়ার"www.anandabazar.com। করিমপুর: আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩