কার্বন-১৪

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কার্বন-১৪
সাধারণ
নাম, প্রতীক রেডিওকার্বন,১৪C
নিউট্রন
প্রোটোন
বিক্রিয়াকারী কেন্দ্রীণ ডাটা
প্রাকৃতিক প্রাচুর্য ১ অংশ প্রতি ট্রিলিয়ন
হাফ-লাইফ ৫,৭৩০ ± ৪০ বছর
আইসোটোপ ভর ১৪.০০৩২৪১ u
স্পিন ০+
অবক্ষয় ধরণ অবক্ষয় শক্তি
Beta 0.156476[১] MeV

কার্বন-১৪ হলো কার্বনের তেজষ্ক্রীয় রূপভেদ। এই কার্বন-১৪ দিয়ে কোনো বিশেষ প্রকারের তেজষ্ক্রীয় কার্বন কোনো বস্তু কতটুকু ধারণ করেছে, তার ভিত্তিতে প্রত্নবস্তুর বয়স নির্ধারণ করা যায়।

আবিষ্কার[সম্পাদনা]

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে উইলার্ড লিবি নামের এক মার্কিন বিজ্ঞানী প্রথম আবিষ্কার করলেন যে, জৈব বস্তুসামগ্রী, যেমন কাঠ, কাঠকয়লা, হাড়, অতসী, শিং এবং পীট, যেগুলো একসময় কোনো না কোনো প্রাণসত্তার অংশ ছিলো, সেগুলো প্রকৃতি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন-১৪ গ্রহণ করে। এই পরিমাণ পরবর্তিতে কতটুকু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, তা নির্ণয় করে বস্তুটির সঠিক বয়স নির্ণয় করা যেতে পারে।[২]

ব্যবহার[সম্পাদনা]

কার্বন-১৪ পদ্ধতির বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে প্রত্নতত্ত্বে। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে জীবিত গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে প্রায় সমপরিমাণ তেজষ্ক্রীয় কার্বন ১৪ এবং অতেজষ্ক্রীয় কার্বন কার্বন ১২ শোষণ করে, আর যেসব প্রাণী এই উদ্ভিজ্জাত খাদ্য গ্রহণ করে তারাও এই দুই প্রকার কার্বন গ্রহণ করে। মৃত্যু হয়ে গেলে প্রাণী আর কার্বন শোষণ করতে পারে না। তখন এর কলাতন্ত্রে আর কোষগুলোতে অবস্থানকারী কার্বন-১৪ ক্ষয়প্রাপ্ত হতে বা এর তেজষ্ক্রীয়তা হারিয়ে যেতে থাকে। তখন এই অবক্ষয়ের হারটি জানা গেলে জানা যায় ঐ বস্তুটির বয়স।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. A.H Waptstra, G. Audi, and C. Thibault। "AME atomic mass evaluation 2003"। ২০০৮-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৩ 
  2. Iris Barry। "কার্বন ১৪ বিপ্লবের পথে"। Discovering Archaeology (প্রিন্ট)। আসাদ ইকবাল মামুন কর্তৃক অনূদিত (ফেব্রুয়ারি ২০১০ সংস্করণ)। ঢাকা: ঐতিহ্য। পৃষ্ঠা ১৪৩। আইএসবিএন 978-984-8863-22-0  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |accessmonth= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]