কাব্যের ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কবিতা হচ্ছে শব্দশৈলী। ছন্দময় শব্দগুচ্ছোই মূলত কবিতা[১] সাম্প্রতিক সময়ে কবিতা আবৃত্তি একটি জনপ্রিয় শিল্পে পরিণত হয়েছে, যার রয়েছে মৌখিক ইতিহাস এবং আইনসংগীতের এর একটি কাছাকাছি সংস্কৃতি হচ্ছে কবিতা।[২]

প্রাচীন কবিতা[সম্পাদনা]

যেসকল প্রচীন কাব্যের সন্ধান পাওয়া যায় তার প্রায় সবই বিভিন্ন ধর্মীয় শ্লগ তথা প্রার্থনা অথবা ধর্ম বা ধর্মীয় গল্প নিয়ে লেখা রয়েছে। তবে কিছু কিছু কবিতা পাওয়া যায় যেগুলা ছিল ঐতিহাসিক হিসাব-নিকাষ, দৈনিক কর্মকাণ্ড এবং ভালোবাসা সম্পর্কিত।[৩] অনেক পণ্ডিত বিশেষ করে যারা গ্রিক মহাকাব্যিক হোমর এবং মৌখিক মহাকাব্য নিয় গবেষণা করেছেন তারা এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, বর্তমান যুগের লেখাসমূহ পরিষ্কারভাবেই প্রাচীন যুগের কবিতাগুলোর পদ অনুসরণ করে চলছে। এমনকি কিছু শব্দের পুণ‍‍রায় ব্যবহারের যে সংস্কৃতি আজকের কবিতায় লক্ষ করা যায়। এটাও সেই প্রাচীন যুগেরই একটা চল। যখন লেখার পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি তখন বিভিন্ন ঘটনা ছন্দের মাধ্যমে সংযুক্ত করে দীর্ঘকাল মনে রাখার জন্য ব্যবহার করা হত- পরবর্তী প্রজন্মকে বলার জন্য। এই পদ্ধতি যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়াও আরো অনেক কাজেই ব্যবহৃত হত। বেদ (খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ - খ্রীষ্টপূর্ব ১০০০) এবং ওডিসি (খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০ - খ্রীষ্টপূর্ব ৬৭৫) এর মত অনেক ইতিহাসপূর্ব এবং প্রাচীন যুগের সাহিত্যকর্ম লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়েছে এভাবেই স্মৃতিচারণের মাধ্যমে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Joannou, Ashley (২০১৪-০১-২৯)। "Poet goes from newsprint to verse"Yukon News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২১ 
  2. Bilingual and Multicultural Perspectives on Poetry, Music, and Narrative: The Science of Art (ইংরেজি ভাষায়)। 
  3. Arsu, Sebnem (২০০৬-০২-১৪)। "The Oldest Line in the World"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২১