কাজী আকরম হোসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কাজী আকরম হোসেন (১৮৯৬-১৯৬৩) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ। তার লেখায় দেশাত্মবোধ ও গ্রামের প্রকৃতির প্রতি অনুরাগ ফুটে উঠেছে। তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ, রাজশাহী কলেজ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন।

জন্ম[সম্পাদনা]

১৮৯৬ সালে খুলনা জেলার পয়গ্রামে তার জন্ম।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

পয়গ্রাম হাই স্কুল থেকে ১৯১৫ সালে প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে এন্ট্রান্স পাস করেন। এরপরে তিনি কলকাতা মাদ্রাসায় ফারসি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে বিএ পাস করে তিনি ইংরেজিতে এমএ শ্রেণীতে ভর্তি হন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে তাতে তিনি সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়ে তিনি লেখাপড়া ছাড়েন এবং কংগ্রেসের আহ্বানে ন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতার পেশা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক সেবক-এর সহসম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। পরে অধ্যাপনা পেশায় যোগ দিয়ে সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজ, করটিয়া সাদত কলেজ (১৯২৩-৩০), কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (১৯৩০-১৯৪০), রাজশাহী কলেজ (১৯৪১-৫৩), পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি খুলনা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হন এবং ১৯৬১ সালে আধ্যাপনার কর্ম থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[২]

সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

তার প্রথম রচনা ইসলামের ইতিহাস (১৯২৪)। এছাড়াও কাব্যগ্রন্থ

  • নওরোজ (১৯৩৮)
  • পল্লীবাণী (১৯৪৩),
  • পথের বাঁশী (১৯৪৫)
  • আমরা বাঙ্গালি (১৯৪৫)।

তার উল্লেখযোগ্য অনুবাদগ্রন্থ:

  • যুগবাণী (১৯৪৩),
  • মসনবী রুমী (১৯৪৮),
  • করীমা-ই-সাদী (১৯৪৮) এবং
  • দীউয়ান-ই-হাফিজ (১৯৬১)।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৬৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ১১০।
  2. বাংলাপিডিয়া