ইলা বসু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইলা বসু
জন্ম(১৯৩৬-০৮-১০)১০ আগস্ট ১৯৩৬
হাওড়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯১(1991-09-21) (বয়স ৫৫)
পেশাকণ্ঠশিল্পী
কার্যকাল১৯৫০ –১৯৯১

ইলা বসু ( ১০ আগস্ট ১৯৩৬ – ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী যিনি মূলত বাংলা আধুনিক গান ও নজরুলগীতিতে বিশেষ অবদান রেখেছেন। [১]

জীবনী[সম্পাদনা]

ইলা বসুর জন্ম ব্রিটিশ ভারতের হাওড়ার এক সাঙ্গীতিক পরিবারে। মাত্র সাত বৎসর বয়সে এলাহাবাদে আয়োজিত সর্বভারতীয় সঙ্গীত সম্মেলনে ধ্রুপদী সঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি ননীগোপাল মিত্র ও পরে নজরুলগীতির প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ধীরেন্দ্রচন্দ্র মিত্রের কাছে সঙ্গীতের শিক্ষা নেন। আকাশবাণী কলকাতার নিয়মিত গায়ক হয়ে যান। বেতারের জনপ্রিয় মহিষাসুরমর্দিনী প্রভাতী অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন। ভজন, গজল, রাগপ্রধান ও নজরুলগীতিতে ছিল তার অবাধ বিচরণ। নজরুল ইসলামের রচনা ও সুরের যথার্থ মর্মবাণী তার অপূর্ব কণ্ঠ মাধুর্যে অসামান্য জনপ্রিয়তা লাভ করে। গৌর গোস্বামীর সুরে চাঁদ ডুবে যায় যাক না গানটি প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ডে প্রকাশিত হয়। বহু বাংলা এবং কিছু ওড়িয়া ও অসমিয়া চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতে কণ্ঠদান করেছেন তিনি। প্রায় দুশো গান গ্রামোফোন কোম্পানী রেকর্ড করেছেন। তার গাওয়া বিখ্যাত গানের মধ্যে আছে―

আধুনিক গান―
নজরুলগীতি―
  • ওরে নীল যমুনার জল
  • আজো কাঁদে কাননে কোহেলিয়া
  • ঝরা ফুল দলে কে অতিথি
  • তোমার আঁখির কসম সখি

নেপথ্যকণ্ঠ প্রদান করেছেন সে সমস্ত তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল―

  • দুই ভাই (১৯৬১)
  • বিপাশা (১৯৬২)
  • সাবরমতী (১৯৬৯)
  • চিরদিনের (১৯৬৯) [২]

সঙ্গীতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন। [১]


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ৬৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
  2. "Ila Bose - Filmiclub"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]