ইলা বসু
ইলা বসু | |
---|---|
জন্ম | হাওড়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ১০ আগস্ট ১৯৩৬
মৃত্যু | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ | (বয়স ৫৫)
পেশা | কণ্ঠশিল্পী |
কার্যকাল | ১৯৫০ –১৯৯১ |
ইলা বসু ( ১০ আগস্ট ১৯৩৬ – ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী যিনি মূলত বাংলা আধুনিক গান ও নজরুলগীতিতে বিশেষ অবদান রেখেছেন। [১]
জীবনী[সম্পাদনা]
ইলা বসুর জন্ম ব্রিটিশ ভারতের হাওড়ার এক সাঙ্গীতিক পরিবারে। মাত্র সাত বৎসর বয়সে এলাহাবাদে আয়োজিত সর্বভারতীয় সঙ্গীত সম্মেলনে ধ্রুপদী সঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি ননীগোপাল মিত্র ও পরে নজরুলগীতির প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ধীরেন্দ্রচন্দ্র মিত্রের কাছে সঙ্গীতের শিক্ষা নেন। আকাশবাণী কলকাতার নিয়মিত গায়ক হয়ে যান। বেতারের জনপ্রিয় মহিষাসুরমর্দিনী প্রভাতী অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন। ভজন, গজল, রাগপ্রধান ও নজরুলগীতিতে ছিল তার অবাধ বিচরণ। নজরুল ইসলামের রচনা ও সুরের যথার্থ মর্মবাণী তার অপূর্ব কণ্ঠ মাধুর্যে অসামান্য জনপ্রিয়তা লাভ করে। গৌর গোস্বামীর সুরে চাঁদ ডুবে যায় যাক না গানটি প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ডে প্রকাশিত হয়। বহু বাংলা এবং কিছু ওড়িয়া ও অসমিয়া চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতে কণ্ঠদান করেছেন তিনি। প্রায় দুশো গান গ্রামোফোন কোম্পানী রেকর্ড করেছেন। তার গাওয়া বিখ্যাত গানের মধ্যে আছে―
- আধুনিক গান―
- কত রাজপথ জনপথ ঘুরেছি (গীতিকার– শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়)
- গান ফুরালো জলসাঘরে (গীতিকার– পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়)
- ও কালো কোকিল তুমি আর ডেকো না (গীতিকার– পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়)
- একটি দিনের চেনা (গীতিকার– অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়)
- নজরুলগীতি―
- ওরে নীল যমুনার জল
- আজো কাঁদে কাননে কোহেলিয়া
- ঝরা ফুল দলে কে অতিথি
- তোমার আঁখির কসম সখি
নেপথ্যকণ্ঠ প্রদান করেছেন সে সমস্ত তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল―
- দুই ভাই (১৯৬১)
- বিপাশা (১৯৬২)
- সাবরমতী (১৯৬৯)
- চিরদিনের (১৯৬৯) [২]
সঙ্গীতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন। [১]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ৬৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
- ↑ "Ila Bose - Filmiclub"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]