ইরান–সুইডেন সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইরান-সুইডেন সম্পর্ক
মানচিত্র Iran এবং Sweden অবস্থান নির্দেশ করছে

ইরান

সুইডেন

ইরান-সুইডেন সম্পর্ক ইরানসুইডেন এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ইরান এর রাজধানী তেহরান এ একটি সুইডিশ দূতাবাস রয়েছে, আবার সুইডেন এর রাজধানী স্টকহোম এ ইরানের দূতাবাস রয়েছে।

পারমাণবিক কার্যক্রম[সম্পাদনা]

বিল্ট (সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী) ও জাভাদ জারিফ (ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী), ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

১৯৭৫ সাকে ইউরোডিফ-এ সুইডেনের ১০% ভাগ ইরানের কাছে স্থানান্তর করা হয়।[১]

২০০৭ সালে ইরানে নিযুক্ত সুইডেনের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার জিলেনস্টিয়ের্না দাবি করেন, যেহেতু বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরাই মূলত সুইডেনের বিনিয়োগ এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন, তাই ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, সুইডেনের সাথে ইরানের বাণিজ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।[২] ২০০৮ সালে সুইডেনের পার্লামেন্টের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বেসামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধনের অধিকার ইরানের রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি, এই বিষয়ে উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক সমাধান বের করার জন্য কূটনৈতিক আলোচনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।[৩] ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, গ্রীস, সাইপ্রাস, স্পেন, অস্ট্রিয়া এবং সুইডেন ইরানের বিরুদ্ধে ইউ৩ এর কঠোর অবরোধ আরোপের একটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।[৪]

২০০৯ সালের জুলাই মাসে সুইডেনের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী কার্ল বিল্ট বলেন আলোচনাই সুইডেনের পারমাণবিক অবস্থার একমাত্র সমাধান। তিনি আরও বলেন, যখন বিশ্ব শক্তির দেশগুলো ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত বন্ধ করে, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ের উপর জোর দেয়ার জন্য, তেহরানের সাথে আলোচনা পুনরায় শুরু করে, তখন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়ে।[৫]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে তেহরানে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার জিলেনস্টিয়ের্না বলেন, ইরানে সুইডেনের জন্য সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে। তিনি আরও বলেন ইরানের সক্ষমতা ও দক্ষতা, সুইডেনের ব্যবসায়ীদের ইরানে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে। তিনি বলেন, সুইডেন, ইরানের সাথে পারস্পরিক বাণিজ্য সমন্বয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছিল।[২] ২০০৩ সালে সুইডেন ও ইরান একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করে, যেখানে সুইডেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) তে ইরানের সদস্যপদ প্রদান এর ব্যাপারে সুপারিশ করে, এবং এর সাথে, সুইডেন, ইরানের অভ্যন্তরে, শিল্প, খনিজ ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।[৬] যখন থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের উপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে, তখন থেকে সুইডেন ও ইরানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অবনতি ঘটে। ২০০৭ সালে এ দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের মূল্যমান মাত্র ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) মার্কিন ডলার ছিল।[৭][৮] এ সত্ত্বেও স্টকহোম চার্টারিং এবি এর মত সুইডিশ কোম্পানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর অবরোধ এড়ানোর উদ্ভাবনী উপায় বের করেছে বলে খবর বের হয়।[৯]

খেলা[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের ৩১ মার্চ, ফ্রেন্ডস অ্যারেনা স্টেডিয়ামে, সুইডেন ফুটবল দল এবং ইরান ফুটবল দল এর মধ্যে ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://www.voltairenet.org/article13591.html
  2. “Sweden Envoy: Iran, A Good Market For Swedish Investment”, IRNA, 1 May 2007.
  3. “Sweden Reiterates Iran's N. Rights” Fars News Agency, 8 May 2008.
  4. Dinmore, Guy, Najmeh Bozorgmehr, and Alex Barker, “EU Trio Targets Tougher Iran Sanctions,” Financial Times, 25 February 2009.
  5. “Bildt: EU faces ‘difficult choices’ on Iran’ The Local, 9 July 2009.
  6. “Iran, Sweden Sign Memorandum of Understanding”, IRNA, 16 December 2003.
  7. International Monetary Fund, Department of Trade Statistics, www.imfstatistics.org/dots (13 November 2008).
  8. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  9. "Watchdog Says Swedish Shipping Company Skirting Iran Sanctions."
  10. http://www1.skysports.com/football/live/match/329231/teams

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]