ইউক্রেন-তুরস্ক সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইউক্রেন-তুরস্ক সম্পর্ক
মানচিত্র Turkey এবং Ukraine অবস্থান নির্দেশ করছে

তুরস্ক

ইউক্রেন

ইউক্রেন-তুরস্ক সম্পর্ক, ইউক্রেন এবং তুরস্ক এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ভৌগোলিক দিক দিক দিয়ে এই দুই দেশের মাঝে বেশ রয়েছে এবং ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক রয়েছে।

১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে, ইউক্রেন এবং তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ইউক্রেন ১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত অখণ্ড সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালের ২৪ আগস্ট ইউক্রেনের পার্লামেন্ট একটি সাংবিধানিক প্রস্তাব অনুমোদন এবং গ্রহণ করে। যেই প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইউক্রেনের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল। এই প্রস্তাবের পর তুরস্ক ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়। পরবর্তীতে, ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায় এবং ইউক্রেনসহ মোট ১৫ টি পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর প্রথমেই যে সকল দেশ ইউক্রেনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তুরস্ক ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে ইউক্রেনের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। এর পাশাপাশি ইস্তানবুলে, ইউক্রেনের একটি কনস্যুলেট জেনারেল রয়েছে। অপরদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে, তুরস্কের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। একই সাথে, ওদেসাতে, একটি কনস্যুলেট জেনারেল রয়েছে।

তুরস্ক ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য। অপরদিকে ইউক্রেন বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য নয়, কিন্তু তারা ন্যাটোতে যোগ দিতে আগ্রহী এবং এ ব্যাপারে ন্যাটোর কাছে তারা তাদের আবেদন জানিয়েছে। এছাড়াও তুরস্ক এবং ইউক্রেন উভয়েই ব্ল্যাক সি নেভাল কো-অপারেশন টাস্ক গ্রুপ এবং অর্গানাইজেশন অব দ্যা ব্ল্যাক সি ইকনোমিক কোঅপারেশন (বিএসইসি) এর সদস্য।

২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি, ভিক্টর ইয়াঙ্কোভিচ এবং তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বৈঠকে মিলিত হন এবং বৈঠকে এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের ব্যাপারে একমত হয়।[১] কিন্তু দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে আলোচনা ২০১৩ সাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়।[২]

২০১৫ সালের শেষ দিকে এসে উভয় দেশের সঙ্গেই রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আর এর জেরে ইউক্রেন এবং তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্কের আরও উন্নতি ঘটে।[২] ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি, পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সাথে বৈঠকের পর, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং তা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তকরণ কে সমর্থন করে না। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই মনে করে এবং ক্রিমিয়াকে নিজেদের বলে দাবি করা, রাশিয়ার দাবিকে তুরস্ক স্বীকৃতি দেবে না।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]