আল ফাতাত
বিভাগ | নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন |
---|---|
প্রকাশনা সময়-দূরত্ব | মাসিক |
প্রতিষ্ঠাতা | হিন্দ নওফাল |
প্রথম প্রকাশ | নভেম্বর ৩০, ১৮৯২ |
সর্বশেষ প্রকাশ | ১৮৯৪ |
দেশ | মিশর |
ভিত্তি | আলেকজান্দ্রিয়া |
ভাষা | আরবি |
আল ফাতাত (আরবি: الفتاة/এএলএ-এলসি: al-Fatāt, অর্থ "অল্প বয়সী নারী") আলেকজান্দ্রিয়া, মিশরে প্রকাশিত একটি নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন। ম্যাগাজিনটি ছিল প্রথম আরব নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন।[১][২] শুধু তাই নয়, এটি ছিল তৎকালীন মিশরের সবচেয়ে প্রাচীন পত্রিকা বা ম্যাগাজিনগুলোর মধ্যে একটি।[৩] এটি ১৮৯২ সাল থেকে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল বলে জানা যায়। এটি সেসময় নারীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
নামকরণ[সম্পাদনা]
হিন্দ নওফাল তার এই নারী বিষয়ক ম্যাগাজিনের নাম দেন আল ফাতাত। এই নামটি একটি আরবি নাম। এই নামের অর্থ হচ্ছে, দ্য ইয়ং ওম্যান।[৪] নারীদের নিয়ে ম্যাগাজিনটি তৈরি হওয়ায় এরকম নাম দেয়া হয়।
ইতিহাস ও আলোচনা[সম্পাদনা]
১৮৯২ সালে আলেকজান্দ্রিয়ায় হিন্দ নওফাল,[১] নামক লেবানিজ খ্রিস্টান মহিলা দ্বারা "আল ফাতাত" নামের এই ম্যাআজিনটি চালু করা হয়েছিল।[৫][৬][৭] নওফালের বাবা এবং বোনও পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছিলেন বলেও জানা যায়।[৮] এই ম্যাগাজিনটির প্রথম সংখ্যা ১৮৯২ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল।[৯] এলিজাবেথ কেন্ডাল বলেছিলেন যে, "নওফালের পত্রিকাটি রাজনৈতিক ও সাহিত্যের অগ্নি সংযোগ অর্জন করেছে।"[১০]
আল ফাতাত দুই বছর ধরে নওফাল এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।[১][১১][১২] জানা যায় যে, তিনি এই ম্যাগাজিনটির জন্য সম্পাদকীয়ও লিখেছিলেন,[১২] যা প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি মাসেই প্রকাশিত হয়েছিল।[১] পরবর্তীতে আল ফাতাত এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে প্রতি মাসে দুইবার প্রকাশিত হতে শুরু করে। অর্থাৎ মাসিক থেকে এই ম্যাগাজিনটি পাক্ষিক ম্যাগাজিনে রূপান্তরিত হয়।
দেশের[৯] এমনকি আরব বিশ্বের[৮] প্রথম নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন হিসেবে আল ফাতাত মিশরে মহিলাদের সাংবাদিকতার ঐতিহ্যের সূচনা করেছিল।[১৩] পত্রিকাটি নারীদের প্রতি সংবাদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করেছে। উপরন্তু, এটি বই পর্যালোচনা, কবিতা এবং ফ্যাশন নিবন্ধ অন্তর্ভুক্ত।[৫] আল ফাতাত জনজীবন ও বিতর্কে নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করেছিল এবং নারীদের জন্য পশ্চিমা আদর্শের পক্ষে ছিল।[৯] অর্থাৎ, এটি ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়বস্তু সরবরাহ করেছিল এবং এটি একটি নারীবাদী পত্রিকা ছিল।[১৩]
"আল ফাতাত" ১৮৯৪ সালে এই ম্যাগাজিনের প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায় যখন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক নওফাল বিয়ে করেন এবং পত্রিকার সাথে কাজ বন্ধ করে দেন।[১] ম্যাগাজিনটির সম্পূর্ণ আর্কাইভ মিশরের উইমেন অ্যান্ড মেমোরি ফোরাম পুনরায় প্রকাশ করেছে। [১১]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Fruma Zachs (২০১৪)। "Cross-Glocalization: Syrian Women Immigrants and the Founding of Women's Magazines in Egypt"। Middle Eastern Studies। 50 (3): 353–369। ডিওআই:10.1080/00263206.2013.863757।
- ↑ Anchi Hoh (২১ মার্চ ২০১৭)। "Her Magazine, Her Voice: Foremothers of Women's Journals in Africa and the Middle East"। Library of Congress। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Marilyn Booth (মে ২০০১)। "Woman in Islam. Men and the "Women's Press" in Turn-of-the-20th-Century Egypt"। International Journal of Middle East Studies। 23 (2): 171–201। জেস্টোর 259561। ডিওআই:10.1017/S002074380100201X।
- ↑ Elsadda, Hoda (২০০৬)। "Gendered Citizenship: Discourses on Domesticity in the Second Half of the Nineteenth Century"। Hawwa। 4 (1): 1–28। ডিওআই:10.1163/156920806777504562।
- ↑ ক খ Boutheina Khaldi (২৪ ডিসেম্বর ২০১২)। Egypt Awakening in the Early Twentieth Century: Mayy Ziydah's Intellectual Circles। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 978-1-137-23530-5।
- ↑ Mona Russell (২০০৪)। Creating the New Egyptian Woman: Consumerism, Education, and National Identity, 1863-1922। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 58। আইএসবিএন 978-1-4039-7961-2।
- ↑ Earl L. Sullivan (১ জানুয়ারি ১৯৮৬)। Women in Egyptian Public Life। Syracuse University Press। পৃষ্ঠা 172। আইএসবিএন 978-0-8156-2354-0।
- ↑ ক খ Werner Ende; Udo Steinbach (২০১০)। Islam in the World Today: A Handbook of Politics, Religion, Culture, and Society। Cornell University Press। পৃষ্ঠা 639। আইএসবিএন 978-0-8014-6489-8।
- ↑ ক খ গ Mervat F. Hatem (২০১১)। Literature, Gender, and Nation-Building in Nineteenth-Century Egypt: The Life and Works of 'A'isha Taymur। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 114। আইএসবিএন 978-0-230-11860-7।
- ↑ এলিজাবেথ কেন্ডাল. (২০০২). "রাজনীতি এবং সাহিত্যের মধ্যে: উনিশ শতকের শেষের দিকে আলেকজান্দ্রিয়া এবং ইস্তাম্বুলের জার্নাল" (অধ্যায় ১৫)। ইন: লায়লা তারাজি ফাওয়াজ ও সিএ বেইলি (এডস.) এবং রবার্ট ইলবার্ট (সহযোগিতায়)। আধুনিকতা ও সংস্কৃতি: ভূমধ্যসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত. কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন ০২৩১১১৪২৭৩, 9780231114271. Start: p. 330. সাইটেশন: p.340.
- ↑ ক খ "Al Fatat Magazine"। The Women and Memory Forum। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ Bouthaina Shaaban (মে–জুন ১৯৯৩)। "The Hidden History of Arab Feminism"। Ms. Magazine: 76–77। ২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ Nabila Ramdani (২০১৩)। "Women in the 1919 Egyptian Revolution: From Feminist Awakening to Nationalist Political Activism"। Journal of International Women's Studies। 14 (2): 39–52।
- মিশরে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠা
- ১৮৯৪ সালে মিশরের অস্থিতিশীলতা
- আরবি ভাষার পত্রিকা
- মিশরে প্রকাশিত অক্ষম ম্যাগাজিন
- মিশরে নারীবাদ
- নারীবাদী ম্যাগাজিন
- ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত ম্যাগাজিন
- ১৮৯৪ সালে বন্ধ হওয়া ম্যাগাজিন
- আলেকজান্দ্রিয়াতে গণমাধ্যম
- মিশরে প্রকাশিত মাসিক ম্যাগাজিন
- মিশরে প্রকাশিত মহিলাদের ম্যাগাজিন
- আরবি ভাষার ম্যাগাজিন