আর্সেনিক বিষক্রিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আর্সেনিক বিষক্রিয়া
পৃথিবীতে আর্সেনিক দূষণ কবলিত এলাকা
বিশেষত্ববিষবিদ্যা
লক্ষণতীব্র: বমি, তলপেট ব্যথা, watery উদরাময়[১]
দীর্ঘস্থায়ী: মলিন ত্বক, কৃষ্ণসার ত্বক, ক্যান্সার[১]
কারণআর্সেনিক[১]
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিমূত্র, রক্ত, or চুল পরীক্ষা[১]
প্রতিরোধআর্সেনিকমুক্ত পানু পানি পান[১]
চিকিৎসাডাইমারক্যাপ্টোসুসিনিক অ্যাসিড, ডায়মারক্যাপ্টোপ্রোপেন সালফোনেট[২]
সংঘটনের হার>২০০ মিলিয়ন[৩]

আর্সেনিক বিষক্রিয়া হলো আর্সেনিক বাহিত রোগ। মানবদেহে যখন আর্সেনিকের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় তখন সে অবস্থাকে আর্সেনিক বিষক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘসময় ধরে আর্সেনিকযুক্ত পানি খেলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব শরীরে দেখা যায়।[৩] জ্বর, বমি, মাথা ব্যথা, শরীরে অস্বাভাবিক ব্যথা, রক্ত আমাশয় এবং উদরাময়কে এ রোগের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।[১]

রোগের লক্ষণ এবং পূর্বলক্ষণ[সম্পাদনা]

1.    প্রাথমিক অবস্থায় রোগীর গায়ে কালো কালো দাগ দেখা দেয় অথবা চামড়ার রং কালো হয়ে যায়। হাত ও পায়ের তালু শক্ত খসখসে হয়ে যায় এবং ছোট ছোট শক্ত গুটির মত দেখা দিতে পারে যা পরে কালো হয়ে যায়। গায়ের চামড়া মোটা ও খসখসে হয়ে যায়।

2.    পরবর্তীতে চামড়ার বিভিন্ন জায়গায় সাদা, লাল বা কালো দাগ দেখা যায়। হাত ও পা ফুলে ওঠে এবং হাত ও পায়ের তালু ফেটে শক্ত গুটি ওঠে।

3.    সবশেষে কিডনি, লিভার ও ফুসফুস বড় হয়ে যায় ও টিউমার হয়। হাত ও পায়ে ঘা হয় এবং পচন ধরে। চামড়া, মূত্রথলি এবং ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে আবার কিডনি ও লিভার অকেজো হয়ে যেতে পারে। আবার পেটে ব্যথা, মাথায় ব্যথা, রক্ত বমি ও জন্ডিস হতে পারে।

কারণ[সম্পাদনা]

জৈব আর্সেনিক অজৈব আর্সেনিকের চেয়ে কম ক্ষতিকর। সামুদ্রিক খাবার আর্সেনোবেটাইন আকারে কম বিষাক্ত জৈব আর্সেনিকের একটি সাধারণ উৎস। ভোক্তা প্রতিবেদন দ্বারা ২০১২ সালে ফলের রস এবং চালে যে আর্সেনিকের রিপোর্ট করা হয়েছিল তা প্রাথমিকভাবে অজৈব আর্সেনিক ছিল। উচ্চ বিষাক্ততার কারণে, পশ্চিমা বিশ্বে আর্সেনিক খুব কমই ব্যবহৃত হয়। যদিও এশিয়াতে এটি এখনও একটি জনপ্রিয় কীটনাশক। আর্সেনিক প্রধানত পেশাগতভাবে দস্তা এবং তামার আকরিক গলানোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

পানীয় জল[সম্পাদনা]

আর্সেনিক প্রাকৃতিকভাবে ভূগর্ভস্থ পানিতে পাওয়া যায় এবং উচ্চ পরিমাণে থাকলে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে দূষিত কূপের পানি পান করার ফলে দীর্ঘস্থায়ী আর্সেনিক বিষক্রিয়া হয়। অনেক জলাশয়ে আর্সেনিক লবণের ঘনত্ব বেশি থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ratnaike, R N (২০০৩-০৭-০১)। "Acute and chronic arsenic toxicity"Postgraduate Medical Journal (ইংরেজি ভাষায়)। 79 (933): 391–396। আইএসএসএন 0032-5473ডিওআই:10.1136/pmj.79.933.391পিএমআইডি 12897217পিএমসি 1742758অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  2. Andersen, Ole; Aaseth, Jan (ডিসেম্বর ২০১৬)। "A review of pitfalls and progress in chelation treatment of metal poisonings"। Journal of Trace Elements in Medicine and Biology38: 74–80। hdl:11250/2430866ডিওআই:10.1016/j.jtemb.2016.03.013পিএমআইডি 27150911 
  3. Naujokas, Marisa F.; Anderson, Beth; Ahsan, Habibul; Aposhian, H. Vasken; Graziano, Joseph H.; Thompson, Claudia; Suk, William A. (২০১৩)। "The Broad Scope of Health Effects from Chronic Arsenic Exposure: Update on a Worldwide Public Health Problem"Environmental Health Perspectives (ইংরেজি ভাষায়)। 121 (3): 295–302। আইএসএসএন 0091-6765ডিওআই:10.1289/ehp.1205875পিএমআইডি 23458756পিএমসি 3621177অবাধে প্রবেশযোগ্য