অসি হুইটলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অসি হুইটলি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅসওয়াল্ড স্টিফেন হুইটলি
জন্ম (1935-05-28) ২৮ মে ১৯৩৫ (বয়স ৮৮)
লো ফেল, গেটসহেড, কাউন্টি ডারহম, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩১৬
রানের সংখ্যা ১,২৫২
ব্যাটিং গড় ৫.৭৯
১০০/৫০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩৪*
বল করেছে ৫৯,৬৮৩
উইকেট ১,০৯৯
বোলিং গড় ২০.৮৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ৫৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৯/৬১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৫৬/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯

অসওয়াল্ড স্টিফেন অসি হুইটলি, সিবিই (ইংরেজি: Ossie Wheatley; জন্ম: ২৮ মে, ১৯৩৫) কাউন্টি ডারহামের লো ফেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ারগ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৬১ থেকে ১৯৬৬ সময়কালে গ্ল্যামারগনের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষেও খেলেছেন অসি হুইটলি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

বার্মিংহামের কিং এডওয়ার্ডস স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর কেমব্রিজের গনভিল ও কাইয়াস কলেজে ভর্তি হন।[১] দীর্ঘদেহী, খোলামেলা চুলের অধিকারী অসি হুইটলি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। ১৯৫৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পাদপ্রদীপে চলে আসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ১৮-এর নিচে গড়ে রান দিয়ে সর্বাধিকসংখ্যক ৮০ উইকেট পান।[২]

কাউন্টি ক্রিকেট[সম্পাদনা]

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির দিনগুলোয় ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলে সীমিত পর্যায়ের সফলতা পান। তবে, ১৯৫৯ সালে কাউন্টি দলটিতে পূর্ণাঙ্গকালীন খেলে তুলনামূলকভাবে অধিক রান খরচ করে শতাধিক উইকেট লাভ করেন। ১৯৬০ সালে আবারও এ সফলতা পান। কিন্তু, মৌসুম শেষে গ্ল্যামারগনে চলে আসেন। সেখানে ১৯৪৭ সাল থেকে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে পালনকারী উইল্ফ উলারের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। কয়েক মৌসুম টেস্ট বোলার জেফ জোন্সের সাথে নতুন বল নিয়ে বোলিং উদ্বোধনে নামতেন। অধিনায়ক হিসেবে ছয় বছর ২০ রানেরও কম খরচায় ছয় শতাধিক উইকেট পেয়েছিলেন।[৩] ১৯৬৬ মৌসুম শেষে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

১৯৬৭ সালে কেবলমাত্র কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৮ সালের শুরুতে আঘাতের কবলে পড়েন তিনি। তাসত্ত্বেও ১৬টি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। বোলিংয়ে বেশ সফলতা পান। ১৩ রানেরও কম খরচায় ৮২ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। এরফলে ঐ মৌসুমে জাতীয় গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন।[৪]

ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৯ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন অসি হুইটলি। ১৯৬৯ সালে গ্ল্যামারগনের চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ের মৌসুমে স্বল্প কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

পরবর্তী শীতকালে উদযাপিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি খেলায় অংশগ্রহণের পর অবসর গ্রহণ করেন। সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ২১ রানেরও কম গড়ে ১,০৯৯ রান তুলেছিলেন। তবে, ব্যাটিং করার জন্যে তাকে কখনো দশ নম্বরের উপরে নিয়ে আসা হয়নি। শেষ দুইটি স্থানের জন্যে জেফ জোন্সের সাথে স্থান অদল-বদল করতেন অসি হুইটলি। উইকেট লাভের তুলনায় কোনক্রমে রান অতিক্রম করতে পেরেছিল। কাউন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান করেছেন মাত্র ২১।[৫] তবে উৎসবমুখর খেলায় জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে ১৯৬১ সালে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ পর্যায়ে ১০ম উইকেটে ট্রেভর বেইলি’র সাথে ৫৫ রানের জুটি গড়েন।[৬]

অবসর[সম্পাদনা]

অবসর গ্রহণের পর কাউন্টি ও জাতীয় পর্যায়ে প্রথিতযশা ক্রিকেট প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ইংল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট দল নির্বাচকের দায়িত্ব পালনসহ টেস্ট ও কাউন্টি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি গ্ল্যামারগনের সভাপতিত্ব করেন তিনি। ১৯৭৭ সালে নববর্ষের সম্মাননায় সিবিই পদবীতে ভূষিত হন।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]