অভিলাষা মাত্রে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অভিলাষা মাত্রে
অর্জুন পুরস্কার গ্রহণ করছেন অভিলাষা মাত্রে
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম নামঅভিলাষা মাত্রে
পূর্ণ নামঅভিলাষা শশীকান্ত মাত্রে
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারতীয়
জন্ম (1987-11-28) ২৮ নভেম্বর ১৯৮৭ (বয়স ৩৬)
পেন, মহারাষ্ট্র, ভারত
পেশাকাবাডি খেলোয়াড়
কার্যকাল১৯৯৯ থেকে আজ পর্যন্ত
উচ্চতা১৭০ সেমি
দাম্পত্য সঙ্গীরাহুল পাতিল
ক্রীড়া
দেশভারত
ক্রীড়াকাবাডি
মাঠে অবস্থানআক্রমণ
লীগউইমেন'স কাবাডি চ্যালেঞ্জ
ক্লাবচেম্বুর ক্রীড়া কেন্দ্র
দল
  1. ভারত,
  2. মহারাষ্ট্র,
  3. ভারতীয় রেল,
  4. আইস ডিভাস

অভিলাষা মাত্রে হলেন একজন ভারতীয় পেশাদার কাবাডি খেলোয়াড় এবং ভারতীয় জাতীয় মহিলা কাবাডি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি ২০১৫ সালে ভারত সরকারের অর্জুন পুরস্কার জিতেছেন। তাঁর অনবদ্য পায়ের কাজের জন্য তাঁকে ভারতের অন্যতম সেরা কাবাডি খেলোয়াড় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে আদর করে "কাবাডির রানী" বলা হয়।[১] ইন্‌ছনে ২০১৪ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী ভারতীয় কাবাডি দলের একজন সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০১২ সালে ভারতের পাটনায় অনুষ্ঠিত কাবাডি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। তিনি আক্রমণ (রেইডার) অবস্থানে খেলেন। বর্তমানে, তিনি নবী মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনে স্পোর্টস অফিসার হিসাবে কাজ করছেন।[২]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

অভিলাশা মুম্বাইয়ের স্বামী মুক্তানন্দ হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় চেম্বুর ক্রীড়া কেন্দ্র ক্লাবে খেলা শুরু করেছিলেন। সেই ক্লাবের অনুশীলন মাঠ ছিল তাঁর বিদ্যলয়ের মাঠ। তাঁর ক্লাবের অনেক নামকরা বরিষ্ঠ খেলোয়াড় সেখানে অনুশীলন করতেন, তাই অল্প বয়সেই তাঁর অনেক বড় বড় প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ হয়েছিল। জাতীয় পর্যায়ে একটানা চমৎকার পারদর্শিতার পর, তাঁর প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম তাঁকে ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় দক্ষিণ এশীয় গেমসের জন্য ভারতীয় দলে জায়গা করে দেয়।[৩] তাঁর বর্তমান ক্লাব চেম্বুর ক্রীড়া কেন্দ্র।[২]

আঘাত এবং প্রত্যাবর্তন[সম্পাদনা]

১৭ বছর বয়সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার পর, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে অভিলাষা পরপর চোট পেয়েছিলেন। তাঁর উভয় হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল, যেজন্য তিনি বেশ কিছুদিনের জন্য কাবাডি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। তবে তিনি ২০১০ সালে একটি দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন এবং ডোম্বিভলিতে ৫৭তম সিনিয়র জাতীয় কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জেতেন। তিনি উড়ুপির ৫৮তম সিনিয়র জাতীয় কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত হন। অভিলাষা স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, "দ্বিতীয় আঘাতের পর আমি সব আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম আমার কাবাডি খেলোয়াড় জীবন শেষ হয়ে গেল। কিন্তু আমি ২০১০ সালে প্রত্যাবর্তন করেছি এবং নিজেকে ভুল প্রমাণ করেছি।"[৪] তিনি প্রত্যাবর্তনের পর পাঁচটি বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলেছেন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

২০২০ সালে তিনি রাহুল পাতিলকে বিবাহ করেছেন।[২]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৭ সালে মহারাষ্ট্র সরকার তাঁকে শিব ছত্রপতি ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত করে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Who is kabaddi queen?"। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  2. "Abhilasha Mhatre"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২২ 
  3. Desk। ""I want people to remember me as Abhilasha Mhatre" - Financial Samachar"www.financialsamachar.com। ১৬ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৮ 
  4. "Meet the NMMC Sports Officer whose journey of grit and gumption helped her win the prestigious Arjuna Award"dnaindia.com। ২২ অক্টোবর ২০১৫। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৮ 
  5. ""प्रदीर्घ प्रतीक्षेनंतर स्वप्नपूर्तीचा आनंद": 'अभिलाषा म्हात्रे'"mahasports.co.in। ২০১৮-০৩-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৫