অবিভক্ত কামরূপ জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৩১ সালের অবিভক্ত কামরূপ জেলা

অবিভক্ত কামরূপ জেলা হল পশ্চিম আসামের আগের এটি প্রশাসনিক জেলা, যার থেকে কামরূপ গ্রাম্য ও কামরূপ মহানগর (২০০৩), বরপেটা (১৯৮৩), নলবারী (১৯৮৫) এবং বাক্সা (২০০৪), দক্ষিণ কামরূপ (২০১৫) জেলার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

উপনিবেশের সময়ে এটি এক বৃহৎ প্রশাসনিক জেলা ছিল এবং কালক্রমে এর আয়তন কমে আসতে থাকে।[১][২]

সূচী প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

জেমস রেনেলের ১৭৭৬ সালের মানচিত্রে ১৮২৪ সালের আগের ব্রিটিশ শাসনাধীন অঞ্চলের পূর্ব-সীমা।

১৮২৬ সালে ইয়াণ্ডাবু সন্ধির দ্বারা ব্রিটিশদের অধিকার করা বার্মা সাম্রাজ্যর পশ্চিম অংশের থেকে কামরূপ প্রশাসনিক জেলা প্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।[৩] জেলাটির পশ্চিম সীমায় ছিল মানস নদী,[৪] এবং পূর্বের সীমায় ছিল বরনদী।[৪] ১৮২৬ সালের পর নতুনকরে অধিকার করা অঞ্চলটিতে দুজন আয়ুক্ত নিয়োগ করা হয়েছিল: জ্যেষ্ঠ আয়ুক্ত যিনি "উত্তর-পূর্ব রংপুর" (অবিভক্ত গোয়ালপারা জেলা) শাসন করতেন তাঁকে অতিরিক্তভাবে মানস থেকে বিশ্বনাথ পর্যন্ত নতুনকরে অধিকার করা অঞ্চলের দায়িত্ত্ব দেয়া হয়েছিল; এবং কনিষ্ঠ আয়ুক্ত, যিনি সেই অঞ্চল থেকে বিশ্বনাথের পূর্বর অঞ্চলসমূহ শাসন করতেন।[৫] ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশরা ধানশিরি নদীর পশ্চিমের অঞ্চলে প্রশাসনিক জেলার প্রতিষ্ঠা করেছিল, ফলত অন্য তিনটি জেলার সাথে কামরূপ জেলা দুটি খণ্ডে বিভক্ত হয়েছিল: ছয় পরগনা বর্তমানের বরপেটা ও নগরবেরা; এবং উত্তরে বিশ পরগনা এবং দক্ষিণে ছয় দুয়ার।[৬] প্রত্যেক জেলাকে একজন প্রধান সহায়ক, একজন উপ-সহায়কের সহযোগিতায় শাসন করতেন, কিন্তু পূুজির অভাবের জন্য ছয় পরগনা অঞ্চলে কেবল একজন উপ-সহায়কই ছিল। ১৮৩৬ সালে কামরূপ এর “অবিভক্ত” রূপ এবং নাম লাভ করেছিল।[৭]

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর “অবিভক্ত” কামরূপ জেলা থেকে বরপেটা জেলা (১৯৮৩), এবং নলবারী জেলাকে (১৯৮৫) বিভক্ত করা হয়। ২০০৩ সালে কামরূপকে কামরূপ মহানগর জেলা এবং কামরূপ গ্রাম্য জেলা হিসাবে বিভক্ত করা হয়। ২০০৪ সালে বরপেটা, নলবারী এবং কামরূপ গ্রাম্য জেলার কিছু অংশ নিয়ে বাক্সা জেলা প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পৌরাণিক[সম্পাদনা]

কামরূপের প্রধান স্থাপত্য কামাখ্যা মন্দির

অবিভক্ত কামরূপ জেলার ইতিহাস কামরূপ সাম্রাজ্যের থেকে আরম্ভ হয়েছিল। বর্মণ রাজ্য এবং পালরাজ্যের রাজধানী যথাক্রমে প্রাগজ্যোতিষপুর এবং দূর্জয় কামরূপে ছিল।

অবিভক্ত কামরূপ জেলাকে আগে কামরূপ পীঠসমূহের অন্তর্গত কামপীঠ বলেও অভিহিত করা হত। একে কামরূপা বা কামরূপ বলা হত যদিও এটি এক বৃহৎ অঞ্চলকে বোঝাত। মহাকাব্যসমূহে একে প্রাগজ্যোতিষ বলেও উল্লেখ পাওয়া যায়। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-য়ের লেখায় প্রাগজ্যোতিষপুরের উল্লেখ আছে, এই স্থান নিম্ন এবং বৃষ্টিবহুল ছিল, চাষ ভাল হয়, জলবায়ু সুন্দর এবং এর মানুষেরাও ভদ্র। তিনি বলেছিলেন, “রাজা ভাস্করবর্মন জ্ঞানান্বেষী পুরুষ ছিলেন। তিনি নিজে হিন্দু ছিলেন যদিও, বৌদ্ধ ভিক্ষুদেরকে সম্মান করতেন।”

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Five years of Kamrup district bifurcation"। assamtribune.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-২৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Welcome to Kamrup Metro District"। indianngos.com। ২০১৬-১০-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-২৪ 
  3. Subodh Kapoor - 2002, The Indian Encyclopaedia: Biographical, Historical, Religious ..., Volume 1 In this war which was fought not only in Assam but also in Burma, the Burmese were ultimately defeated and had to make peace with the British by the treaty of Yandabo (1826) by which the Burmese withdrew from Assam.
  4. (Hunter 1879, পৃ. 17)
  5. (Bannerjee 1992, পৃ. 7–8)
  6. (Bannerjee 1992, পৃ. 53)
  7. (Bannerjee 1992, পৃ. 53–54)