বিষয়বস্তুতে চলুন

ফেজ (টুপি): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
T. Galib (আলোচনা | অবদান)
→‎প্রতীকতা: সম্প্রসারণ
T. Galib (আলোচনা | অবদান)
২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:


==প্রতীক হিসেবে ব্যবহার==
==প্রতীক হিসেবে ব্যবহার==
ফেজ শুধুমাত্র উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্তির প্রতীকই নয়, বরং ইসলামের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে। এটি উসমানীয় সাম্রজ্যের জনগন এবং ইহুদিদেরও প্রধান টুপি ছিল। ইহুদি পুরুষেরা ফেজ পরিধান করত এবং সেটিকে তার আরবি নাম “তারবুস” বলে অভিহিত করত (বিশেষ করে আরবের ইহুদিরা)। উসমানীয় সাম্রাজ্যের সাথে সম্পর্কের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ফেজ গৃহীত হয়।
ফেজ শুধুমাত্র উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্তির প্রতীকই নয়, বরং ইসলামের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে।<ref name="JuergensmeyerRoof2012">{{cite book|author1=Mark Juergensmeyer|author2=Wade Clark Roof|title=Encyclopedia of Global Religion|url=https://books.google.com/books?id=B105DQAAQBAJ&pg=PA402|year=2012|publisher=SAGE|isbn=978-0-7619-2729-7|page=402}}</ref> এটি উসমানীয় সাম্রজ্যের জনগন এবং ইহুদিদেরও প্রধান টুপি ছিল। ইহুদি পুরুষেরা ফেজ পরিধান করত এবং সেটিকে তার আরবি নাম “তারবুস” বলে অভিহিত করত (বিশেষ করে আরবের ইহুদিরা, যাদের অধিকাংশই ছিল ফিলিস্তিন, মিশরীয় এবং সিরিয়ান)।<ref>{{cite web |title=Jewish Community in Ottoman Empire |url=https://www.dailysabah.com/feature/2017/10/13/jewish-community-in-ottoman-empire |website=DailySabah|date=13 October 2017 }}</ref><ref>{{cite web |last1=Bywater |first1=Maria |title=The Fabric of Jewish History: Ottoman Jews |url=https://sewjewish.com/2014/07/30/the-fabric-of-jewish-history-ottoman-jews/ |website=Sew Jewish |language=en |date=30 July 2014}}</ref><ref>Archived at [https://ghostarchive.org/varchive/youtube/20211211/JLzs2iJkGok Ghostarchive]{{cbignore}} and the [https://web.archive.org/web/20181007113510/https://www.youtube.com/watch?v=JLzs2iJkGok Wayback Machine]{{cbignore}}: {{cite web |title=April 1897 - Jaffa Gate in Jerusalem (speed corrected w/ added sound) |url=https://www.youtube.com/watch?v=JLzs2iJkGok |date=6 October 2018}}{{cbignore}}</ref> উসমানীয় সাম্রাজ্যের সাথে সম্পর্কের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ফেজ গৃহীত হয়।


১৯ এবং ২০ শতকে [[বলকান অঞ্চল|বলকান অঞ্চলের]] মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের কাছে ফেজ ছিল পছন্দীয় টুপি, যাদের অধিকাংশ [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয় সাম্রাজ্যের]] অধীন ছিল। বলকান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ফেজ এর বিভিন্ন প্রকারভেদ ছিল, যা মূলত টুপির সামনে ধর্মের চিহ্ন যোগের ক্ষেত্রে ছিল। উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা অর্ধ-স্বাধীন সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত [[মন্টিনিগ্রো]] এর অর্থোডক্স নাগরিকরা সামনে গ্রিক ক্রসের চিহ্ন যুক্ত ফেজ পরিধান করত। ইলিরিয়ান আন্দোলনের সমর্থকরা তাদের ধর্ম নির্বিশেষে সামনে তারা এবং অর্ধচন্দ্র যুক্ত ফেজ পরিধান করত, যে প্রতীকগুলো তাদের বিশ্বাস অনুসারে বলকানে ইসলাম আসার পূর্বেও ছিল। ১৮৫০ সালে, নতুন স্বায়ত্তশাসিত সার্বিয়ার মন্ত্রণালয়েল কর্মীদের পোষাকের অংশ হিসেবে সার্বিয়ার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা যুক্ত লাল রঙের ফেজ ছিল।
১৯ এবং ২০ শতকে [[বলকান অঞ্চল|বলকান অঞ্চলের]] মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের কাছে ফেজ ছিল পছন্দীয় টুপি, যাদের অধিকাংশ [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয় সাম্রাজ্যের]] অধীন ছিল। বলকান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ফেজ এর বিভিন্ন প্রকারভেদ ছিল, যা মূলত টুপির সামনে ধর্মের চিহ্ন যোগের ক্ষেত্রে ছিল। উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা অর্ধ-স্বাধীন সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত [[মন্টিনিগ্রো]] এর অর্থোডক্স নাগরিকরা সামনে গ্রিক ক্রসের চিহ্ন যুক্ত ফেজ পরিধান করত। ইলিরিয়ান আন্দোলনের সমর্থকরা তাদের ধর্ম নির্বিশেষে সামনে তারা এবং অর্ধচন্দ্র যুক্ত ফেজ পরিধান করত, যে প্রতীকগুলো তাদের বিশ্বাস অনুসারে বলকানে ইসলাম আসার পূর্বেও ছিল। ১৮৫০ সালে, নতুন স্বায়ত্তশাসিত সার্বিয়ার মন্ত্রণালয়েল কর্মীদের পোষাকের অংশ হিসেবে সার্বিয়ার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা যুক্ত লাল রঙের ফেজ ছিল।<ref name="Maxwell2014">{{cite book|author=A. Maxwell|title=Patriots Against Fashion: Clothing and Nationalism in Europe's Age of Revolutions|url=https://books.google.com/books?id=JLpCBAAAQBAJ|date=5 August 2014|publisher=Springer|isbn=978-1-137-27714-5}}</ref>

সময়ের সাথে ফেজ একটি [[প্রাচ্যতত্ত্ব|প্রাচ্যতাত্ত্বিক]] সাংস্কৃতিক পরিচিতিতে পরিনত হয়। ফেজকে পশ্চিমা দেশগুলোতে নতুন এবং রোমান্টিক বলে মনে করা হয়। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২০ শতাব্দির দিকে এটি পুরুষের ধূমপানের পোষাকে পরিণত হয়। ফেজ এতটাই প্রতীকী ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল যে ১৯২৫ সালে, [[মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক]] এর আধূনিকতা পুনর্গঠনে একটি অংশ হিসেবে তুরস্ক থেকে এটি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।<ref>{{Cite journal | first = Selim | last = Deringil | title = The Invention of Tradition as Public Image in the Late Ottoman Empire, 1808 to 1908 | journal = Comparative Studies in Society and History | volume = 35 | issue = 1 |date=January 1993 | page = 9| doi = 10.1017/S0010417500018247 }}</ref>

ফেজ বর্তমানেও অনেক বিখ্যাত, বিশেষ করে মরক্কোতে।<ref name="JuergensmeyerRoof2012" /> ২০ শতাব্দিতে ফরাসি আধিপত্যের বিরুেদ্ধে এটি আরও বিখ্যাত সাংস্কৃতিক প্রতীকে পরিণত হয়।<ref name="JuergensmeyerRoof2012" />


==গ্রন্থপঞ্জি==
==গ্রন্থপঞ্জি==

২০:৩৩, ২৮ মার্চ ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফেজ টুপি

ফেজ (তুর্কি: fes, উসমানীয় তুর্কি: فس)[১] বা তারবুস (আরবি: طربوش, প্রতিবর্ণীকৃত: ṭarbūš[২] ফার্সি শব্দ, ফার্সি: سرپوش, প্রতিবর্ণীকৃত: sarpuš, অনুবাদ'টুপি') হলো একটি নরম নলাকার টুপি, যা সাধারণত লাল রঙের হয় এবং কখনো কখনো একটি রেশমের থোবা এর উপরে লাগানো থাকে। “ফেজ” নামটি মরক্কোর ফেজ শহরকে নির্দেশ করে যেখানে ক্রিমসেম ব্যারি ফল থেকে এই টুপিগুলো রং করার রঞ্জক পর্দার্থ পাওয়া যায়।[৩] ফেজ অতীতে উসমানীয় সাম্রাজ্যে এই টুপিগুলো খুবই জনপ্রিয় ছিল, যা বর্তমানেও এর জনপ্রিয়তার কারণ।[৪][৫]

১৯শ শতাব্দীতে ফেজ উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতীকে পরিণত হয়। ১৮২৭ সালে, দ্বিতীয় মাহমুদ তার সেনা বাহিনী, আসকির-ই-মানসুর-ই-মুহাম্মদি এর জন্য এই টুপি পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেন। এই সিদ্ধান্তটি আসমীয় নৌবাহিনীর প্রধানের অনুপ্রেরণায় নেওয়া হয়, যিনি মাগরেব থেকে ফিরে এসে এর ধরনটি সমর্থন করেন। ১৮২৯ সালে, একটি নতুন আইন তৈরির মাধ্যমে মাহমুদ এই টুপিগুলো সকল সরকারি এবং ধর্মীয় কর্মকর্তার পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেন।[৬][৭] ১৯২৫ সালে, আতাতার্ক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ টুপিগুলোকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

ইতিহাস

পোশাক বদলানোর পর উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের প্রতিকৃতি
গ্রিক-তুর্কি যুদ্ধ (১৮৯৭)-এর সময় ফেজ টুপি পরিহিত উসমানীয় সৈন্যরা

মরক্কোর ফেজ শহরের নামানুসারে তুরস্কের ফেজের নামকরণ করা হয়, যা টুপিগুলো রং করতে এক সময়ে ব্যবহৃত ক্রিমসেম ব্যারি ফলের উৎস ছিলো।[৮][৯][১০] টু‌পি‌টি গ্রিস,[৮][৯] মরক্কো[১১] বা তুরস্ক থেকে এসেছে।[১০][১২] এ টু‌পিগুলো উসমানীয় সাম্রাজ্যের পরবর্তীকালে জন‌প্রিয় ছিল এবং সমগ্র সাম্রাজ্য জুড়ে এর ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে।[১৩][১০][১৪]

ই‌তিহাস‌বিদ জেরেমি সিল এর মতে, ফেজ তুরস্ক থেকেই উদ্ভূত এবং দ্বিতীয় মাহমুদের নির্দেশে সে‌টি মুস‌লিম পুরুষদের প্রার্থনার সময়ে ব্যবহৃত পাগ‌ড়ির এক‌টি আধূ‌নিক বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[১২]

১৭ শতাব্দীর তু‌র্কি ই‌তিহাস‌বিদ, ইভলিয়া সেলেবি আলজেরিয়ার পুরুষদের ফেজ পরিধানের কথা উ‌ল্লেখ করেছেন।[১১][সন্দেহপূর্ণ ]

প্রথম‌দি‌কে, ফেজ এক‌টি প্রান্তহীন লাল, সাদা বা কা‌লো র‌ঙের ‌বো‌নেট ছিল, যার উপর পাগ‌ড়ি প‌রিধান করা হ‌তো। পরবর্তীতে পাগ‌ড়ি‌টি ছ‌ড়ি‌য়ে দেওয়া হয়, বো‌নেট‌টি ছোট এর রং হি‌সে‌বে লাল রং নির্দিষ্ট করা হয়। মুস‌লিম‌দের প্রাত‌্যহিক প্রার্থনা, সালা‌তের সম‌য়ে তা‌দের মাথা মা‌টি‌কে ঠেকা‌তে হয়, তাই প্রান্তযুক্ত কো‌নো টু‌পির প‌রিবর্তে ফেজ প‌রে প্রার্থণা করা তা‌দের জন‌্য সহজতর ছিল।

১৮২৬ সালে, উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ জ্যানিসারিরদের দমন করেন এবং সামরিক বাহিনীর পুনর্গঠন আটকে দেন। তুরস্কের আধূনিক সামরিক বাহিনীতে পশ্চিমাদের মতো পোশাক গ্রহণ করা হয়েছে এবং টুপি হিসেবে একটি কাপড় পেচানো ফেজ নির্বাচন করা হয়েছে। ১৮২৭ সালে, তিউনিস থেকে সুলতানের বাহিনীর জন্য ৫০,০০০ ফেজ ক্রয় করা হয়। ১৮২৯ সালে, সুলতান তার সরকারি কর্মচারীদের পাগড়ি ছাড়া ফেজ পরিধান করার নির্দেশ প্রদান করেন, পাগড়ি নিষিদ্ধ করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে ফেজ ফেজ পরিধান করতে বাধ্য করা, যা সফল হয়। এটি একটি আমূল সমতাবাদী পদক্ষেপ ছিল, যা ব্যয়নিয়ন্ত্রক আইন বর্ধিত করে এবং মর্যাদা, ধর্ম এবং দখলের সংকেত প্রদান করার সাথে তানযিমাত পুনর্গঠনের পূর্বাভাস দেয়।ব্যাবসায়ী এবং কারিগরেরা প্রত্যাখ্যান করলেও, ফেজ পূর্বাঞ্চলের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোর আধূনিকতার প্রতীকে পরিণত হয়। এটি থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে অন্যান্য দেশেও একই ধরনের আইন তৈরি হয় (যেমন: ১৮৭৩ সালে ইরানে)।

বর্ধিত চাহিদার কারণে ফেজ প্রস্তুতকারকরা তিউনিসিয়া থেকে ইস্তাম্বুল চলে যেতে শুরু করেন এবং সেখানেে এয়ুপ এ কারখানা স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন নতুন আকৃতি, উচ্চতা, রঙ এবং কাঁচামাল দিয়ে তৈরি হতো। ফেজ এর টকটকে এবং গাঢ় লাল রং প্রথমদিকে কর্নেল ফল থেকে তৈরি করা হতো। কম দামী কৃত্রিম কাপড়ের আবিষ্কারের ফলে, চেক প্রজাতন্ত্রের (তখন অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যে অন্তর্ভূক্ত) স্ট্রাকোনিসের কারখানাগুলোতে ফেত তৈরি শুরু হয়। অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্য বসনিয়া দখল করলে অস্ট্রিয়ান পণ্য বর্জন করা শুরু হয়, যা সে সময়ে অস্ট্রিয়ানরা ফেজ তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম থাকা এটি বর্জন নামেও পরিচিত হয়। ফেজ এর অস্তিত্ব রক্ষা পেলেও, এ আন্দোলনের ফলে তা সার্বজনীনতা হারায় এবং অন্যান্য ধরনের টুপি সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে।

প্রতীক হিসেবে ব্যবহার

ফেজ শুধুমাত্র উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্তির প্রতীকই নয়, বরং ইসলামের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে।[১৫] এটি উসমানীয় সাম্রজ্যের জনগন এবং ইহুদিদেরও প্রধান টুপি ছিল। ইহুদি পুরুষেরা ফেজ পরিধান করত এবং সেটিকে তার আরবি নাম “তারবুস” বলে অভিহিত করত (বিশেষ করে আরবের ইহুদিরা, যাদের অধিকাংশই ছিল ফিলিস্তিন, মিশরীয় এবং সিরিয়ান)।[১৬][১৭][১৮] উসমানীয় সাম্রাজ্যের সাথে সম্পর্কের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ফেজ গৃহীত হয়।

১৯ এবং ২০ শতকে বলকান অঞ্চলের মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের কাছে ফেজ ছিল পছন্দীয় টুপি, যাদের অধিকাংশ উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীন ছিল। বলকান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ফেজ এর বিভিন্ন প্রকারভেদ ছিল, যা মূলত টুপির সামনে ধর্মের চিহ্ন যোগের ক্ষেত্রে ছিল। উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা অর্ধ-স্বাধীন সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত মন্টিনিগ্রো এর অর্থোডক্স নাগরিকরা সামনে গ্রিক ক্রসের চিহ্ন যুক্ত ফেজ পরিধান করত। ইলিরিয়ান আন্দোলনের সমর্থকরা তাদের ধর্ম নির্বিশেষে সামনে তারা এবং অর্ধচন্দ্র যুক্ত ফেজ পরিধান করত, যে প্রতীকগুলো তাদের বিশ্বাস অনুসারে বলকানে ইসলাম আসার পূর্বেও ছিল। ১৮৫০ সালে, নতুন স্বায়ত্তশাসিত সার্বিয়ার মন্ত্রণালয়েল কর্মীদের পোষাকের অংশ হিসেবে সার্বিয়ার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা যুক্ত লাল রঙের ফেজ ছিল।[১৯]

সময়ের সাথে ফেজ একটি প্রাচ্যতাত্ত্বিক সাংস্কৃতিক পরিচিতিতে পরিনত হয়। ফেজকে পশ্চিমা দেশগুলোতে নতুন এবং রোমান্টিক বলে মনে করা হয়। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২০ শতাব্দির দিকে এটি পুরুষের ধূমপানের পোষাকে পরিণত হয়। ফেজ এতটাই প্রতীকী ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল যে ১৯২৫ সালে, মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক এর আধূনিকতা পুনর্গঠনে একটি অংশ হিসেবে তুরস্ক থেকে এটি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।[২০]

ফেজ বর্তমানেও অনেক বিখ্যাত, বিশেষ করে মরক্কোতে।[১৫] ২০ শতাব্দিতে ফরাসি আধিপত্যের বিরুেদ্ধে এটি আরও বিখ্যাত সাংস্কৃতিক প্রতীকে পরিণত হয়।[১৫]

গ্রন্থপঞ্জি

  • Patricia Baker, “The Fez in Turkey: A Symbol of Modernization?” Costume 20 (1986): 72–85
  • Donald Quataert, “Clothing Laws, State, and Society in the Ottoman Empire, 1720–1829” International Journal of Middle East Studies 29, no. 3 (1997): 403–425
  • Wilson Chacko Jacob, “Working Out Egypt: Masculinity and Subject Formation Between Colonial Modernity and Nationalism,” 1870–1940” (PhD diss., New York University, 2005), chapter 6 (326–84).

তথ্যসূত্র

  1. Meninski, Franciszek à Mesgnien (1680), “فس”, in Thesaurus linguarum orientalium, Turcicae, Arabicae, Persicae, praecipuas earum opes à Turcis peculiariter usurpatas continens, nimirum Lexicon Turkico-Arabico-Persicum, Vienna, column 3519
  2. Hans Wehr, Dictionary of Modern Written Arabic, 4th ed., page 649.
  3. "History of the Fez | Iconic Hats | Village Hats" 
  4. Amphlett, Hilda (২০০৩)। Hats: a history of fashion in headwear। Mineola, New York: Courier Dover। 
  5. Kaya, Ibrahim (২০০৪)। Social theory and later modernities: the Turkish experience। Liverpool, England: Liverpool University Press। পৃষ্ঠা 119। 
  6. Quataert, D. (1997). Clothing Laws, State, and Society in the Ottoman Empire, 1720-1829. International Journal of Middle East Studies, 29(3), page 412
  7. Kahlenberg, Caroline R. (২০১৯)। "The Tarbush Transformation: Oriental Jewish Men and the Significance of Headgear in Ottoman and British Mandate Palestine"Journal of Social History52 (4): 1212–1249। ডিওআই:10.1093/jsh/shx164 
  8. Andrea B. Rugh (১৯৮৬)। Reveal and Conceal: Dress in Contemporary Egypt। Syracuse University Press। পৃষ্ঠা 13। আইএসবিএন 978-0-8156-2368-7 
  9. R. Turner Wilcox (২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। The Mode in Hats and Headdress: A Historical Survey with 198 Plates। Courier Corporation। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 978-0-486-31830-1 
  10. Hilda Amphlett (২০১২)। Hats: A History of Fashion in Headwear। Courier Corporation। পৃষ্ঠা 12। আইএসবিএন 978-0486136585FEZ. (From Fez in Morocco). Of Turkish origin. 
  11. EKREM BUĞRA EKINCI (২০১৬), Fez: A time-honored Ottoman hat from the Mediterranean, Daily Sabah, The fez used to be common headwear in Mediterranean countries and originated from Morocco. 
  12. Ann LoLordo (১৯৯৭), "That brimless hat signified style Fez: In such countries as Morocco, Turkey, Syria and Egypt, the tarbush has had a colorful political past, favored by king and commoner and then banned by governments. Only two makers remain in Cairo.", The Baltimore Sun, The origin of the fez is disputed. One historian, Jeremy Seal, says the hat originated in Turkey where the Sultan Mahmoud II sought to replace the cloth turban with a modern headpiece. The fez bore no brim to enable good Muslims to press their heads to the ground in prayer, according to Seal's "A Fez of the Heart," a history of the hat. Others say the hat got its name from the city in Morocco from which the red-berry dye originates. 
  13. "Fez Journal; Last Refuge of the Tall Tasseled Ottoman Hat"The New York Times। ২২ মার্চ ১৯৯৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯ 
  14. Ruth Turner Wilcox (২০১৩)। The Mode in Hats and Headdress: A Historical Survey with 198 Plates। Courier Corporation। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 978-0486318301The Turkish fez 
  15. Mark Juergensmeyer; Wade Clark Roof (২০১২)। Encyclopedia of Global Religion। SAGE। পৃষ্ঠা 402। আইএসবিএন 978-0-7619-2729-7 
  16. "Jewish Community in Ottoman Empire"DailySabah। ১৩ অক্টোবর ২০১৭। 
  17. Bywater, Maria (৩০ জুলাই ২০১৪)। "The Fabric of Jewish History: Ottoman Jews"Sew Jewish (ইংরেজি ভাষায়)। 
  18. Archived at Ghostarchive and the Wayback Machine: "April 1897 - Jaffa Gate in Jerusalem (speed corrected w/ added sound)"। ৬ অক্টোবর ২০১৮। 
  19. A. Maxwell (৫ আগস্ট ২০১৪)। Patriots Against Fashion: Clothing and Nationalism in Europe's Age of Revolutions। Springer। আইএসবিএন 978-1-137-27714-5 
  20. Deringil, Selim (জানুয়ারি ১৯৯৩)। "The Invention of Tradition as Public Image in the Late Ottoman Empire, 1808 to 1908"। Comparative Studies in Society and History35 (1): 9। ডিওআই:10.1017/S0010417500018247 

বহিঃসংযোগ

  • উইকিমিডিয়া কমন্সে ফেজ (টুপি) সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।