বিষয়বস্তুতে চলুন

মোবাইল ব্যাংকিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
ব্যাংকের দৃষ্টিকোণ থেকে, মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকদের নগদ উত্তোলন এবং আমানত লেনদেনের জন্য একটি ব্যাংক শাখায় যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে লেনদেন পরিচালনার ব্যয় হ্রাস করে। মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণত নগদ অর্থের সাথে জড়িত লেনদেন পরিচালনা করে না, এবং একজন গ্রাহককে নগদ উত্তোলন বা আমানতের জন্য একটি এটিএম বা ব্যাংক শাখায় যেতে হয়। ডিভাইসের ক্যামেরা ব্যবহার করে ডিজিটালভাবে তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চেক প্রেরণ করার জন্য অনেক অ্যাপ্লিকেশনে এখন একটি রিমোট ডিপোজিট সুবিধা রয়েছে।
ব্যাংকের দৃষ্টিকোণ থেকে, মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকদের নগদ উত্তোলন এবং আমানত লেনদেনের জন্য একটি ব্যাংক শাখায় যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে লেনদেন পরিচালনার ব্যয় হ্রাস করে। মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণত নগদ অর্থের সাথে জড়িত লেনদেন পরিচালনা করে না, এবং একজন গ্রাহককে নগদ উত্তোলন বা আমানতের জন্য একটি এটিএম বা ব্যাংক শাখায় যেতে হয়। ডিভাইসের ক্যামেরা ব্যবহার করে ডিজিটালভাবে তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চেক প্রেরণ করার জন্য অনেক অ্যাপ্লিকেশনে এখন একটি রিমোট ডিপোজিট সুবিধা রয়েছে।


'''''মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল পেমেন্ট থেকে পৃথক একটি ব্যবস্থা। যা বিক্রয় বিন্দুতে বা দূরবর্তী ভাবে পণ্য বা পরিষেবাগুলির জন্য অর্থ প্রদানের জন্য একটি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের সাথে জড়িত, ইএফটিপিওএস পেমেন্ট কার্যকর করার জন্য ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনুরূপ।'''''
'''''মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল পেমেন্ট থেকে পৃথক একটি ব্যবস্থা। যা বিক্রয় বিন্দুতে বা দূরবর্তী ভাবে পণ্য বা পরিষেবাগুলির জন্য অর্থ প্রদানের জন্য একটি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের সাথে জড়িত, ইএফটিপিওএস পেমেন্ট কার্যকর করার জন্য ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনুরূপ।'''''<ref>[http://www.kpmg.com/GE/en/Insightmagazine/Documents/Monetizing_mobile_report_ENG.pdf/ KPMG "Monetizing Mobile" July 2011]</ref>





১৩ নং লাইন: ১৪ নং লাইন:


'''''২০১০ সালে ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’।'''''
'''''২০১০ সালে ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’।'''''

== ইতিহাস ==
প্রথম দিকের মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবাগুলি এসএমএস ব্যবহার করেছিল, যা এসএমএস ব্যাংকিং নামে পরিচিত একটি পরিষেবা। ১৯৯৯ সালে স্মার্ট ফোন চালু হওয়ার সাথে সাথে ডাব্লুএপি সহায়তা নিয়ে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলি সর্বপ্রথম তাদের গ্রাহকদেরকে এই প্ল্যাটফর্মে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করতে শুরু করে।<ref>{{cite web|url=http://www.itavisen.no/237581/verdens-forste-wap-bank-fra-norge|title=The World's first WAP Bank is Norwegian|date=24 September 1999|publisher=itavisen.no|archive-url=https://web.archive.org/web/20110504023854/http://www.itavisen.no/237581/verdens-forste-wap-bank-fra-norge|archive-date=4 May 2011|url-status=dead|access-date=18 October 2010}}</ref>

২০১০ সালের আগে মোবাইল ব্যাংকিং প্রায়শই এসএমএস বা মোবাইল ওয়েবের মাধ্যমে পরিচালিত হত। আইফোনের সাথে অ্যাপলের প্রাথমিক সাফল্য এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে ফোনের দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মোবাইল ডিভাইসে ডাউনলোড করা বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সাথে বলা হয়েছে এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ এবং জাভাস্ক্রিপ্ট-এর মতো ওয়েব প্রযুক্তিতে অগ্রগতির ফলে অন্যান্য ব্যাংকগুলোও পরিপূরক হিসাবে দেশীয় অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে মোবাইল ওয়েব ভিত্তিক পরিষেবা চালু করেছে। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো জেএসপিতে একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন মডিউল যেমন জে২ইই এবং অন্য আরেকটি মডিউল জে২এমই-এর ফাংশন নিয়ে গঠিত।<ref>{{Cite book|title=Proceedings of Fourth International Conference on Soft Computing for Problem Solving: SocProS 2014, Volume 2|last=Das|first=Kedar|last2=Deep|first2=Kusum|year=2014|publisher=Springer|pages=377|isbn=9788132222194|last3=Pant|first3=Millie|last4=Bansal|first4=Jagdish|last5=Nagar|first5=Atulya|location=Heidelberg}}</ref>

মাপা রিসার্চের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা (মে ২০১২) থেকে জানা যায় যে ব্যাংকের প্রধান ওয়েবসাইট পরিদর্শনের পর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ব্যাংকের মোবাইল ডিভাইস সনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে।<ref>{{cite web|url=http://www.maparesearch.com/news/article/how-the-banks-handle-mobile-detection|title=A third of banks have mobile detection|date=16 May 2012|publisher=Mapa Research|archive-url=https://archive.is/20130128181645/http://www.maparesearch.com/news/article/how-the-banks-handle-mobile-detection|archive-date=28 January 2013|url-status=dead|access-date=16 May 2012}}</ref> মোবাইল সনাক্তকরণে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটতে পারে যেমন একটি অ্যাপ স্টোরে পুনঃনির্দেশিত করা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নির্দিষ্ট কোন ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশিত করা বা ব্যবহারকারীর বেছে নেওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অপশনের একটি তালিকা সরবরাহ করা।


== '''মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা''' ==
== '''মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা''' ==

০৩:২৭, ১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে কোন ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদত্ত একটি পরিষেবা যা তার গ্রাহকদের স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মতো মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে দূরনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করার সুবিধা দেয়। সম্পর্কিত ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের বিপরীতে এতে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয় সাধারণত যেগুলোকে অ্যাপ বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উদ্দেশ্যে এই অ্যাপ সরবরাহ করে থাকে। মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণত ২৪ ঘন্টার ভিত্তিতে উপলব্ধ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কোন ধরণের হিসাব অ্যাক্সেস করা যেতে পারে এবং কী পরিমাণ লেনদেন করা যেতে পারে এমন বিষয়ে কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল ডিভাইসে ইন্টারনেট বা ডেটা সংযোগের উপলব্ধতার উপর নির্ভরশীল।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনগুলো প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর নির্ভর করে। অ্যাপগুলোতে সাধারণত অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স ও সর্বশেষ লেনদেনের তালিকা, বৈদ্যুতিন বিল পরিশোধ, রিমোট চেক ডিপোজিট, ব্যক্তি-ব্যক্তি লেনদেন এবং কোনও গ্রাহক বা অন্যের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।[১] কিছু অ্যাপ্লিকেশন গ্রাহকদেরকে কখনও কখনও বিবৃতির অনুলিপি ডাউনলোড এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা মুদ্রণ করারও সুবিধা প্রদান করে। একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের ফলে ব্যবহারের সহজতা, গতি, নমনীয়তা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা উন্নত হয় যেহেতু এটি ব্যবহারকারীর মোবাইল ডিভাইসের অন্তর্নির্মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে একীভূত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ব্যাংকের দৃষ্টিকোণ থেকে, মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকদের নগদ উত্তোলন এবং আমানত লেনদেনের জন্য একটি ব্যাংক শাখায় যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে লেনদেন পরিচালনার ব্যয় হ্রাস করে। মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণত নগদ অর্থের সাথে জড়িত লেনদেন পরিচালনা করে না, এবং একজন গ্রাহককে নগদ উত্তোলন বা আমানতের জন্য একটি এটিএম বা ব্যাংক শাখায় যেতে হয়। ডিভাইসের ক্যামেরা ব্যবহার করে ডিজিটালভাবে তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চেক প্রেরণ করার জন্য অনেক অ্যাপ্লিকেশনে এখন একটি রিমোট ডিপোজিট সুবিধা রয়েছে।

মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল পেমেন্ট থেকে পৃথক একটি ব্যবস্থা। যা বিক্রয় বিন্দুতে বা দূরবর্তী ভাবে পণ্য বা পরিষেবাগুলির জন্য অর্থ প্রদানের জন্য একটি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের সাথে জড়িত, ইএফটিপিওএস পেমেন্ট কার্যকর করার জন্য ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনুরূপ।[২]


১৯৯৯ সালে মোবাইল ওয়াপ পদ্ধতির মাধ্যমে স্মার্টফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউরোপীয়ান ব্যাংকে চালু করা হয় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার।[৩]

২০১০ সালে ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’।

ইতিহাস

প্রথম দিকের মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবাগুলি এসএমএস ব্যবহার করেছিল, যা এসএমএস ব্যাংকিং নামে পরিচিত একটি পরিষেবা। ১৯৯৯ সালে স্মার্ট ফোন চালু হওয়ার সাথে সাথে ডাব্লুএপি সহায়তা নিয়ে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলি সর্বপ্রথম তাদের গ্রাহকদেরকে এই প্ল্যাটফর্মে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করতে শুরু করে।[৪]

২০১০ সালের আগে মোবাইল ব্যাংকিং প্রায়শই এসএমএস বা মোবাইল ওয়েবের মাধ্যমে পরিচালিত হত। আইফোনের সাথে অ্যাপলের প্রাথমিক সাফল্য এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে ফোনের দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মোবাইল ডিভাইসে ডাউনলোড করা বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সাথে বলা হয়েছে এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ এবং জাভাস্ক্রিপ্ট-এর মতো ওয়েব প্রযুক্তিতে অগ্রগতির ফলে অন্যান্য ব্যাংকগুলোও পরিপূরক হিসাবে দেশীয় অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে মোবাইল ওয়েব ভিত্তিক পরিষেবা চালু করেছে। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো জেএসপিতে একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন মডিউল যেমন জে২ইই এবং অন্য আরেকটি মডিউল জে২এমই-এর ফাংশন নিয়ে গঠিত।[৫]

মাপা রিসার্চের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা (মে ২০১২) থেকে জানা যায় যে ব্যাংকের প্রধান ওয়েবসাইট পরিদর্শনের পর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ব্যাংকের মোবাইল ডিভাইস সনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে।[৬] মোবাইল সনাক্তকরণে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটতে পারে যেমন একটি অ্যাপ স্টোরে পুনঃনির্দেশিত করা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নির্দিষ্ট কোন ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশিত করা বা ব্যবহারকারীর বেছে নেওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অপশনের একটি তালিকা সরবরাহ করা।

মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা

মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে একজন গ্রাহক যেসব সুবিধাগুলো পেতে পারেন তা নিচে তুলে ধরা হলো:

  • ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন একাউন্টে লগইন করার সুবিধা। গ্রাহক চাইলে যেকোনো মুহূর্তে একাউন্টে লগইন করতে পারবে।
  • একাউন্টের ব্যালেন্স জানা।
  • এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠানো। তবে বাংলাদেশে এ সুবিধা শুধু একই ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
  • নিজের একাধিক একাউন্টের মধ্যে টাকা পাঠানো যায়।
  • ইউটিলিটি বিল। যেমন– বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফোন, পানি ইত্যাদি পরিশোধ করা যায়।
  • একাউন্টের আয়-ব্যয়, উত্তোলন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারা।
  • চেক বই এর জন্য আবেদন ও চেক এর পেমেন্ট বাতিল করা যায়।
  • সুদের হার, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার ইত্যাদি জানা যায়।

বাংলাদেশে সব ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নেই, তবে নিচের কয়েকটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের এ সুবিধা ২০১০ সাল থেকে দিয়ে আসছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এখন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ কার্যক্রমের আওতায় তার গ্রাহকদেরকে এ সুবিধা প্রদান শুরু করেছে।

মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা

অনেক সময় পাসওয়ার্ড অন্যে জানার ফলে একাউন্টের গোপনীয়তা বজায় রাখা সম্ভব হয় না। এছাড়া কর যারা ফাঁকি দেয় তারা এ ব্যাংকিং এর সুবিধা বেশি ভোগ করতে পারে। সুতরাং সুবিধার ন্যায় অসুবিধা থাকলেও আধুনিক সমাজে মোবাইল ব্যাংকিং এর ভূমিকা অনেক গুরুত্ব বহন করে।

অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে পার্থক্য

অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে বেশ পার্থক্য বিদ্যমান।

  • মোবাইল ব্যাংকিং বিদ্যমান মোবাইল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিফিকেশন মডিউল নম্বর থেকেই ব্যাংক হিসেব নাম্বার নির্ধারিত হয়।
  • অপরপক্ষে অনলাইন ব্যাংকিং আপনার মূল ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার বহন করে।
  • মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইলের তরঙ্গ (নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করেই কাজ করতে পারে।
  • অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ইন্টারনেটে যুক্ত থাকতে হবে।
  • মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যে কোন মুহূর্তে যে কোন জায়গায় টাকা পাঠানো যায়।
  • অনলাইন ব্যাংকে যে কোন স্থানে টাকা পাঠানো যায় কিন্তু তার আগে বেনিফিশিয়ারি এ্যড করে নিতে হয়।
  • অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর যেকোনো মুহূর্তে টাকা টান্সফার করা যায়, কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং থেকে অনলাইন ব্যাংকিং এ টাকা পাঠানো দুরূহ।
  • অনলাইন ব্যাংকিংয়ে মানিট্রান্সফার অঙ্ক অনেক বেশি, কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং এর লিমিট সীমিত।
  • মোবাইল ব্যাংকিং এ টাকা এনক্যাশ করতে এজেন্ট অর্থাৎ third-party লাগে, কিন্তু অনলাইন ব্যাংকিংয়ে এটা লাগেনা।

আরও দেখুন

টীকা

  1. BBVA। Mobile Banking (ইংরেজি ভাষায়)। Centro de Innovación BBVA। পৃষ্ঠা 22। 
  2. KPMG "Monetizing Mobile" July 2011
  3. "The World's first WAP Bank is Norwegian"। itavisen.no। ১৯৯৯-০৯-২৪। ২০১১-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১৮ 
  4. "The World's first WAP Bank is Norwegian"। itavisen.no। ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯। ৪ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১০ 
  5. Das, Kedar; Deep, Kusum; Pant, Millie; Bansal, Jagdish; Nagar, Atulya (২০১৪)। Proceedings of Fourth International Conference on Soft Computing for Problem Solving: SocProS 2014, Volume 2। Heidelberg: Springer। পৃষ্ঠা 377। আইএসবিএন 9788132222194 
  6. "A third of banks have mobile detection"। Mapa Research। ১৬ মে ২০১২। ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১২ 

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ