নেপালে স্বাস্থ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mamun Mehedee (আলোচনা | অবদান)
অনুবাদ, উন্নতি
Mamun Mehedee (আলোচনা | অবদান)
→‎মাতৃস্বাস্থ্য: সংশোধন, সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র, অনুবাদ
১০৫ নং লাইন: ১০৫ নং লাইন:


=== মাতৃস্বাস্থ্য ===
=== মাতৃস্বাস্থ্য ===
নেপাল মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের দিকে বেশ ভাল উন্নতি করেছে এবং সেই ২০১৩ সালে থেকে তারা মানব উন্নয়ন সূচক #৪ (শিশু মৃত্যুহার কমানো) এবং #৫ক (মাতৃমৃত্যুর হার কমানো) অর্জনের পথে আছে। এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়গুলো নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য একটা বিশেষ সুযোগ ছিল কীভাবে বিভিন্ন কার্যকরী প্রোগ্রাম ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিষয়গুলোর উন্নতি করা যায়।
এখানে

নেপালে মাতৃস্বাস্থ্যের ব্যাপারেও দারুণ উন্নতি করেছে। মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৯০ সালে প্রতি ১০০,০০০-তে ৭৪৮ থেকে ২০১৪ সালে তা কমে হয়েছে প্রতি ১০০,০০০-তে মাত্র ১৯০ জন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.gapminder.org/tools/#_chart-type=bubbles&state_time_value=1991&end=2013&startSelected=1980&endSelected=2013;&entities_select@_geo=npl&trailStartTime=1991;;;&marker_axis/_y_which=maternal/_mortality/_ratio/_per/_100000/_live/_births&domainMax:2680&zoomedMin:1&zoomedMax:2680&scaleType=log;&axis/_x_which=time&domainMin=1800&domainMax=2015&zoomedMin=1800&zoomedMax=2012&scaleType=time|শিরোনাম=Gapminder Tools|ওয়েবসাইট=www.gapminder.org|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-12}}</ref> নেপাল মোট উর্বরতার হার হ্রাসেও দারুণ উন্নতি করেছে, ১৯৯১ সালের ৫.৩<ref name=":9">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=Nepal fertility, family planning and health survey: (NFHS, 1991). Kathmandu Nepal. 1993.|শিরোনাম=Nepal fertility, family planning and health survey: (NFHS, 1991)|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|কর্ম=|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=}}</ref> থেকে ২০১৪ সালে তা কমে এসেছে ২.৩-তে।<ref name=":10">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dohs.gov.np/wp-content/uploads/2014/04/Annual_Report_2070_71.pdf|শিরোনাম="Annual Report 2013/2014" (PDF). Ministry of Health and Population of Nepal, Department of Health Services. January 2015. Retrieved 24 January 2017.|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>

মাতৃস্বাস্থ্যের অন্যান্য দিকগুলো ঠিক থাকলেও জন্মবিরতিকরণ প্র্রক্রিয়াগ্রহণের সূচক নিম্নমুখী ২০০৬ (৪৪.২%) এবং ২০১১ (৪৩.২%)<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dhsprogram.com/pubs/pdf/FR257/FR257%5B13April2012%5D.pdf|শিরোনাম="Nepal Demographic and Health Survey 2011. Kathmandu, Nepal: Ministry of Health and Population (MoHP), New ERA and ICF International, Calverton, Maryland; 2012"|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> এবং সেইসাথে অন্য দেশে জীবিকা নির্বাহ করতে যাবার তাগিদে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেশ বেড়েছে (গ্রামাঞ্চলে তিন-চতুর্থাংশ)। ১৯৯৬ সালের পর থেকে মাতৃ স্বাস্থ্যসেবার মান বেশ বেড়েছে। সেইসাথে ২০১৪ সালে মাতৃস্বাস্থ্যের পরিব্যাপ্তী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত পরিদর্শনের হারও বেড়েছে (৬০% কমপক্ষে ৪ বার পরিদর্শনে)।<ref name=":10" /> এছাড়াও জন্ম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও জন্মে সহায়তাকারী দক্ষ দাই-এর হার বেড়েছে।<ref name=":10" />


=== শিশু স্বাস্থ্য ===
=== শিশু স্বাস্থ্য ===
নেপাল মানব উন্নয়ন সূচক ৪ অর্জনের পথে আছে। সেইসাথে জাতীয় উপাত্ত থেকে দেখা যায় শিশুমৃত্যু ৩৫.৮ হারে ২০১৫ সালে পাঁচ বছরের কমবয়সী প্রতি হাজারে ৫ জন<ref name=":11">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://data.worldbank.org/country/nepal|শিরোনাম=Nepal {{!}} Data|ওয়েবসাইট=data.worldbank.org|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-12}}</ref> শিশুমৃত্যু তে নেমে এসেছে যা ১৯৯১ সালে ছিল ১৬২ জন।<ref name=":9" /> বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই হার ৬৫% কমে প্রতি হাজারে ১২৮ থেকে ৪৮-তে এসেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.gapminder.org/tools/#_chart-type=bubbles&state_time_value=2011&start=1931&end=2011&startSelected=1949&endSelected=2011;&entities_select@_geo=npl&trailStartTime=2011;;;&marker_axis/_y_which=under/_five/_mortality/_from/_cme/_per/_1000/_born&domainMin:1.8&domainMax:492.8&zoomedMin:1.8&zoomedMax:492.8&scaleType=log;&axis/_x_which=time&domainMin=1931&domainMax=2011&zoomedMin=1931&zoomedMax=2011&scaleType=time|শিরোনাম=Gapminder Tools|ওয়েবসাইট=www.gapminder.org|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-12}}</ref>

কার্যকরী প্রোগ্রামের উন্নতির মাধ্যমে নেপাল শিশুমৃত্যুর গুরুত্বপূর্ণ কারণসমূহ মোকাবেলা ও বিভিন্ন দলভিত্তিক ও জাতীয় ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বি-বার্ষিক ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো এবং কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন। শিশুদের টিকাপ্রদানের হার দারুণভাবে বেড়েছে এবং ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের মাতৃদুগ্ধপানে উৎসাহিত করার ব্যাপারটিও মুটামুটিভাবে সাড়া ফেলেছে। যদিও গত কয়েক বছরে এনএমআর দৃঢ়ভাবে এটা নিয়ে কাজ করে গেছে। এতে করে ২০১৫ সালে প্রতি হাজারে শিশুমৃত্যুহার ছিল ২২.২ এর কাছাকাছি। এর সাথে তুলনা করা যায় ভারতের শিশুমৃত্যুহার ২৭.৭ (২০১৫) এবং পাকিস্তানের ৪৫.৫ (২০১৫)।<ref name=":11" />

এনএমআর নেপালের একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান, ২০১৫ সালে যাদের কারণে নেপালের শিশু মৃত্যুহার ৭৬% এবং ৫ বছরের কমবয়সী ৫৮% শিশু মৃত্যুহার কমেছে এবং এর উদ্দেশ্যে আরো সামনে এগিয়ে যাওয়া।<ref name=":11" /> কিছু বিরুপ কারণ স্বাস্থ্যসূচককে প্রভাবিত করে। তবে, নেপালে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসূচকগুলোতেই উন্নতি করেছে অনেক বাঁধা-বিপত্তি স্বত্ত্বেও। এটা অর্জনের প্রচেষ্টার কারণে অনেক ব্যাখাই দাঁড় করানো যায় যার মধ্যে অন্যতম ব্যাপার হলো কোনো প্রকার জটিলতাই স্বাস্থ্যসেবার মানকে প্রভাবিত করতে পারে নি। সকল অবস্থাতেই স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে ক্লিনিকগুলোতে পাঠানো হতো জটিলতায় আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে। মূলত দেশের এই জটিলতাই এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছিল যাতে করে এই ব্যবস্থাটা আরো উন্নতি লাভ করেছে। নেপালের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সেবা প্রদান, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে চিকিৎসা প্রদান, সমাজ ও দলভিত্তিক মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ বিশেষ করে মহিলাদের দলভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, মহিলাদের দল এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় (এইচএফওএমসি) দারুণভাবে ভূমিকা রেখেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3003631/|শিরোনাম=Understanding effects of armed conflict on health outcomes: the case of Nepal|শেষাংশ=Devkota|প্রথমাংশ=Bhimsen|শেষাংশ২=van Teijlingen|প্রথমাংশ২=Edwin R|তারিখ=2010-12-01|সাময়িকী=Conflict and Health|খণ্ড=4|পাতাসমূহ=20|doi=10.1186/1752-1505-4-20|issn=1752-1505|pmc=3003631|pmid=21122098}}</ref>

==== শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রম ====
==== শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রম ====



১৩:৪১, ১২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নেপালে স্বাস্থ্যসেবা সরকারি ও বেসরকারি দুইভাবেই দেয়া হয়। তবে তা আন্তর্জাতিক মান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নেপালেই বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষ করা গেছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।[১][২] এছাড়াও দেশটির ভৌগলিক ও সামাজিক বৈচিত্রতা এবং বিভিন্ন মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, দাবানল, ভূমিধস, ভূমিকম্প ইত্যাদির কারণে এইসব রোগব্যধি দ্রুত বিস্তার লাভ করে থাকে।[২] দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বিশেষ করে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীরা বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রমণ, মৃত্যুঝুঁকি, পুষ্টিহীনতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে আছে।[২] তবে, এখন স্বাস্থ্যসেবায় কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে বলতে গেলে মাতৃস্বাস্থের উন্নতি বেশ দারুণভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে। এই উন্নতিগুলোর মধ্যে রয়েছে:[৩]

  • ১৯৭৫ সালের মানব উন্নয়ন সূচক ০.২৯১ থেকে ২০১১[৪] সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ০.৪৫৮ -তে।[৫][৬]
  • শিশু জন্মের সময় মৃত্যুহার ১৯৯০ সালে প্রতি ১০০,০০০-তে ৮৫০ জন থেকে ২০১৩ সালে তা কমে দাড়িয়েছে প্রতি ১০০,০০০-তে ১৯০ জনে।[৭]
  • পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার ২০০৫ সালে প্রতি ১০০০ জনে ৬১.৫ থেকে ২০১৮ সালে প্রতি ১০০০ জনে তা কমে দাড়িয়েছে ৩১.৪-তে।[৮]
  • শিশু মৃত্যুহার ১৯৯০ সালে ৯৭.৭০ থেকে ২০১৫ সালে তা কমে দাড়িয়েছে ২৯.৪০-তে।[৯]
  • পুষ্টিহীন শিশু: পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের মধ্যে খর্বতা ৩৭%, কৃশকায়তা ১১% এবং কম ওজন ৩০%।[১০]
  • প্রত্যাশিত গড় আয়ু ২০০৫ সালে ৬৬ বছর থেকে ২০১৮-তে বেড়ে দাড়িয়েছে ৭১.৫ বছরে।[১১][১২]
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৭৪[১৩]
প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭১.৫[১৪]
উর্বরতা হার ২.১৮[১৫]
শিশু মৃত্যুহার ২৯.৪০[১৬]
স্বাস্থ্যখাতে প্রতি একজনে মোট খরচ

(আন্তর্জাতিক ডলারে, ২০১৪)

১৩৭[১৭]
মোট জিডিপি'র যত অংশ স্বাস্থ্যখাতে

খরচ হয়

৫.৮[১৭]

স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়

২০০২ সালে সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রতিজন মানুষের জন্য প্রায় ২.৩০ ইউএস ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর প্রায় ৭০% এসেছিল ব্যক্তিগত তহবিল থেকে। ২০০৯ সালে সরকার স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট নির্ধারণ করেছিল প্রায় ৫.৮% মাত্র।[১৮] ২০১২ সালে সরকার দেশটির ৫ টি জেলায় সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন।[১৯]

এরপর ২০১৪ সালে নেপালে প্রতিজনে স্বাস্থ্যখাতে খরচের পরিমাণ ছিল ১৩৭ ইউএস ডলার।[২০]

অবকাঠামোগত স্বাস্থ্যসেবা

নেপালের স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যবিধি, পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা বেশ নিম্নমানের এবং তা দেশের বড় একটা জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছাতে ব্যর্থ।[২১]গরীব লোকেরা উচ্চ খরচ, সেবার অপর্যাপ্ততা, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও বিরাজমান ভ্রান্ত কিছু বিশ্বাসের কারণে তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।[২২] পুনঃউৎপাদনমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থার সুযোগ কম যে কারণে এটা মেয়েদের বিভিন্ন অসুবিধার সৃষ্টি করে। ২০০৯ সালের জাতিসংঘেমানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে নেপালের চলমান সামাজিক সচেতনতা, জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত ভিন্ন অবস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সরকারি সেবার প্রতি অনীহা বিষয়ক ব্যাপারগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়।[২৩][২৪][২৫]

এই সমস্যাগুলোর কারণে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে জনগণকে পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভনিরোধক পদ্ধতি, গর্ভবতী স্ত্রীদের একে অন্যের প্রতি যোগাযোগ, নিরাপদ মাতৃত্ব চর্চা যেমন- বাচ্চা জন্মের সময় দক্ষ পরিচর্যাকারী ভূমিকা ও জন্মের পরপরই মায়ের বুকের দুধ পান করানো সহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎসাহিত করছে।[২৬]

নেপালে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত, অর্ধেকের বেশি গর্ভবতী মহিলা এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং সেইসাথে ৩৫% পুনঃসন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীরা রক্তশূণ্যতায় ভুগে থাকেন। মাত্র ২৪% শিশুরা আয়রনসমৃদ্ধ খাবার পায়, ২৪% শিশু নূন্যতম গ্রহণযোগ্য খাবার খেতে পারে এবং অর্ধেকের বেশি গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় সম্পুরক আয়রণ গ্রহণ করতে হয়। নেপালে পুষ্টিহীনতার কারণ হিসেবে যে কারণগুলো কাজ করে সেগুলো হলো ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হবার সংখ্যা, যথাযথ স্বাস্থ্য সচেতনতার অভা্ব এবং এবং খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করা (৪৪%)।[২৭]

পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুর পুষ্টি[২৮]

মন্থর গতির অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সৃষ্ট খাদ্য ঘাটতি এবং পুষ্টিহীনতার কারণে নেপালের মধ্য অঞ্চল ও পেছনের পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ী ও পার্বত্য অঞ্চলের মহিলা ও শিশুরা এর দ্বারা বেশি আক্রান্ত হয়েছে। যদিও খর্বতা এবং কমওজন-এর সংখ্যা কমেছে, তবে একইসাথে গত সাত বছরে স্বতন্ত্রভাবে বুকের দুধ পান করানো মায়ের সংখ্যা বেড়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪১% শিশুদের মাঝে খর্বতা লক্ষ করা গেছে, পশ্চিম দিকের পার্বত্য এলাকায় তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬০%-তে। ২০১৬ সালে ডিএইচএস-এর এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে নেপালে ৩৬% শিশুদের মধ্যে খর্বতা দেখা যায় (পরিমিত ব্যবধান -২ এর নিচে), ১২% শিশু গুরুতরভাবে খর্ব (পরিমিত ব্যবধান -৩ এর নিচে), পাঁচ বছরের কমবয়সী ২৭% শিশুর কম ওজন এবং ৫% গুরুতরভাবে কম ওজন। আবার, শহর ও গ্রামে পাঁচ বছরের কম বয়সী খর্ব শিশুদের সংখ্যার মধ্যেও বৈচিত্রতা লক্ষ করা যায়। সেখানে দেখা যায় শহরের (৩২% খর্ব এবং ২৩% কমওজন) তুলনায় গ্রামের (৪০% খর্ব এবং ৩১% কমওজন) শিশুদের মধ্যে খর্বতা বেশি। আরেকদিকে দৈনিক খাবার গ্রহণের সাথে খর্বতা, কমওজন এবং কৃশকায়তার একটি ইতিবাচক সম্পর্ক লক্ষ করা গেছে। শিশুদের মধ্যে যাদের নিরাপদ খাদ্যের যোগান আছে তাদের মধ্যে খর্বতা তুলনামুলকভাবে কম (৩৩%), অন্যদিকে যাদের নিরাপদ খাদ্যের যোগান কম তাদের মধ্যে খর্বতা তুলনামুলকভাবে বেশি (৪৯%)।[২৯] একইভাবে, পারিবারিক শিক্ষার সাথে শিশুদের খর্বতার বিপরীত ধরনের সম্পর্ক লক্ষ করা গেছে। সেইসাথে কমওজন এবং খর্বতার সাথে ব্যক্তিগত সম্পত্তির সম্পর্কও লক্ষ করা গেছে। যাদের সম্পদের পরিমাণ বেশি তাদের খর্বতা (১৭%) ও কমওজনের (১২%) তুলনায় যাদের সম্পদের পরিমাণ কম তাদের সন্তানদের মধ্যে খর্বতা (৪৯%) ও কমওজনের (৩৩%) সংখ্যা বেশি লক্ষ করা গেছে।[৩০]

গত দুই দশকে নেপাল শিশুদের পুষ্টির ব্যাপারে বেশ ভাল উন্নতি করেছে। ২০০১ সালের পর থেকে খর্বতা ও কমওজনবিশিষ্ট শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে নেপালে খর্বতায় আক্রান্ত শিশুর পরিমাণ ছিল মাত্র ১৪%, ২০০৬ থেকে ২০১১ সালে ছিল ১৬% এবং ২০১১ থেকে ২০১৬ সালে ছিল মাত্র ১২%। কমওজনবিশিষ্ট শিশুদের ক্ষেত্রের একই ধরনের ফলাফল লক্ষ করা গেছে। এই ফলাফল থেকে লক্ষ করা যায় যে নেপাল টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের দিকে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে নেপালকে। ২০১৭ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রায় খর্বতা ৩১% ও কমওজনবিশিষ্ট শিশুর সংখ্যা ২৫%-তে আনার লক্ষ্য ছিল। (ন্যাশনাল প্লানিং কমিশন ২০১৫)[৩১]

নেপালে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত, অর্ধেকের বেশি গর্ভবতী মহিলা এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং সেইসাথে ৩৫% পুনঃসন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীরা রক্তশূণ্যতায় ভুগে থাকেন। মাত্র ২৪% শিশুরা আয়রনসমৃদ্ধ খাবার পায়, ২৪% শিশু নূন্যতম গ্রহণযোগ্য খাবার খেতে পারে এবং অর্ধেকের বেশি গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় সম্পুরক আয়রণ গ্রহণ করতে হয়। নেপালে পুষ্টিহীনতার কারণ হিসেবে যে কারণগুলো কাজ করে সেগুলো হলো ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হবার সংখ্যা, যথাযথ স্বাস্থ্য সচেতনতার অভা্ব এবং এবং খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করা (৪৪%)।[২৭]

নেপালে শহর ও গ্রামের তুলনামুলক চিত্র[২৯]
শহর এলাকা গ্রাম এলাকা সার্বিক
খর্বতা ২৭% ৪২% ৪১%
কৃশকায়তা ৮% ১১% ১১%
ওজনকম ১৭% ৩০% ২৯%

ভৌগলিক অবস্থা

নেপালের বেশিরভাগ গ্রাম এলাকা পার্বত্য অঞ্চলের অন্তর্গত। নেপালের অসমতল অঞ্চলগুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের বেশ অভাব যে কারণে গ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে প্রায় বঞ্চিত।[৩২] অনেক গ্রাম আছে যেখানে এখনও পায়ে হেঁটে যেতে হয়। এ কারণে চিকিৎসাব্যবস্থা বিলম্বিত হয় যা একজন রোগীর তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসাকে বাঁধাগ্রস্ত করে।[৩৩] তাই, নেপালে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসেবাগুলো শহরাঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। তাই গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে বাঁধাগ্রস্ত হয়।[৩৪]

২০০৩ সালে নেপালে মাত্র ১০ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল, ৮৩ টি হাসপাতাল, ৭০০ টি স্বাস্থ্যপদ এবং ৩,১৫৮ টি উপ-স্বাস্থ্যপদ ছিল যা গ্রাম্যসেবা দিত। সেইসাথে ১,২৫৯ জন ডাক্তার ছিলেন, গড়ে ১৮,৪০০ জন রোগীর জন্য মাত্র ১ জন ডাক্তার ছিলেন।[৩৫] ২০০০ সালে, স্বাস্থ্যখাতে সরকারি তহবিলের পরিমাণ ছিল প্রতি জনে প্রায় ২.৩০ ইউএস ডলার এবং প্রায় ৭০% খরচ সংগ্রহ করা হতো ব্যক্তিগত তহবিল থেকে। ২০০৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫.১% এবং বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ছিল মোট বরাদ্দের ৩০%।[৩৬]

রাজনৈতিক প্রভাব

নেপালের স্বাস্থ্যসেবার একটি বড় অংশ নির্ভর করে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও রাজধানী কাঠমান্ডুকেন্দ্রিক সম্পদ ব্যবহারের উপর যে কারণে নেপালের অন্যান্য অংশ আলাদা হয়ে পড়েছে।

১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পর স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৯ সালে স্থানীয় আত্ম-তদারকি আইন প্রণয়ন করা হয় যাতে করে জনগণ মৌলিক সেবাগুলো যেমন- স্বাস্থ্য, সুপেয় পানি এবং গ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাভ করে। কি্ন্তু এই প্রোগ্রাম স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি দেখাতে পারেনি। রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার কারণে[৩৭] নেপাল কেন্দ্রবিমুখ উন্নতি অর্জন করতে পারে নি।[৩৮] যে কারণে দেশটি তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও গাঠনিক কার্যকারিতার দিক থেকে বেশ পিছিয়ে।[২৩]

স্বাস্থ্য পরিস্থিতি

প্রত্যাশিত গড় আয়ু

২০১০ সালে, নেপালের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৫.৮ বছর। ২০১২ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র উপাত্ত অনুযায়ী নেপালের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৬৮ বছর। ২০১০ ও ২০১২ সালে জন্মের সময় ছেলে-মেয়ে উভয় সন্তানের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত আয়ু বেড়েছে ৬ বছর। ২০১২ সালে, প্রত্যাশিত সুস্বাস্থ্য ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে ছিল ৯ বছর যা কিনা জন্মের সময় সামগ্রিক প্রত্যাশিত আয়ুর চেয়ে কম। প্রত্যাশিত সুস্বাস্থ্যের এই হ্রাস পূর্ণ ৯ বছরের সমতুল্য রোগব্যধিতে আত্রান্ত হওয়া ও শারীরিক অক্ষমতার সমান।[১১]

রোগব্যধি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নেপালে অসুস্থতা ও মৃত্যুহারের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে নয়টি বিষয়কে চিহ্নিত করা যায়:

  1. ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)(৯.২%)
  2. হৃদরোগ (৯.২%)
  3. শ্বসন সম্পর্কিত জটিলতা (৮%)
  4. ডায়রিয়াজনিত রোগ (৩.৩%)
  5. নিজের ক্ষতি করা (3%)
  6. যক্ষ্মা(৩%)
  7. বহুমূত্র রোগ(২.৮%)
  8. সড়কে আহত (২.৭%)
  9. অকাল গর্ভপাত (২.৫%)[১৪]

এইচআইভি/এইডস

২০১৩ সালে নেপালের মোট জনসংখ্যার ৮.১% প্রায় ৪০,৭২৩ জনের মধ্যে ১৪ বছর বা এর কমবয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ৩,২৮২ জন এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিল। ৫০ বছর বা এর উপরের বয়সী ৩,৩৮৫ জনের মাঝে এইচআইভি সংক্রমিত হয় (মোট জনসংখ্যার ৮.৩%)। সংক্রমিত লোকদের মধ্যে পুরুষ দুই-তৃতীয়াংশ (৬৬%) আর বাকী এক-তৃতীয়াংশ (২৪%) হলো মহিলা যাদের মধ্যকার ৯২.২% হলো ১৫-৪৯ বছর বয়সী সন্তান জন্মদানে সক্ষম। স্ত্রী ও পুরুষের সংক্রমিত হবার অনুপাত ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২.১৫ থেকে ১.৯৫-তে নেমে এসেছে যা ২০২০ সালের মধ্যে ১.৮৬-তে নেমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।[৩৯] নেপালে এটি ছড়ায় মূলত নেশাগ্রহণকারী, অভিবাসী, যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দের এবং মানুষের সাথে যৌনকাজ সম্পন্ন করার কারণে। ২০০৭ সালে ইনটেগ্রেটেড বায়ো-বিহেভিয়ারাল সার্ভেলিয়েন্স স্টাডি (আইবিবিএস)-এর এক ফলাফল থেকে দেখা যায় যে শহরে অঞ্চলের নেশাগ্রহণকারীদের মধ্যে কাঠমান্ডু, পোখারা এবং পূর্ব ও পশ্চিম তেরাই-তে সংখ্যায় তারা সবচেয়ে বেশি যাদের ৬.৮% থেকে ৩৪.৭%-ই এইচআইভি পজিটিভ। সংখ্যার বিচারে, নেপালের ১.৫ মিলিয়ন থেকে ২ মিলিয়ন অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এইআইভি পজিটিভ জনসংখ্যা বিদ্যমান। প্রতিটা উপগ্রপ থেকে ২.৮% অভিবাসীরা মুম্বাই থেকে ফিরে আসছে আর এইচআইভি-তে আক্রান্ত হচ্ছে।[৪০]

২০০৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, নারী যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দেরদের মাঝে এইচআইভি বিদ্যমান ছিল যথাক্রমে ২% এবং ১%-এরও কম এবং শহর এলাকায় তা ৩.৩%। এইচআইভি সংক্রমণে নারীদের চেয়ে পুরুষের ভূমিকাই বেশি। সেইসাথে শহর এলাকা ও পশ্চিমাংশের জায়গাগুলোতেও বেশি যেখানে অভিবাসী শ্রমিকরা কাজ করে। অভিবাসী শ্রমিকেরা ৪১% এইচআইভি সংক্রমণে ভুমিকা রাখে। এরপরেই রয়েছে যৌনকর্মীরা (১৫.৫%) এবং নেশাগ্রহণকারীরা (১০.২%)[৪০]

মাতৃস্বাস্থ্য

নেপাল মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের দিকে বেশ ভাল উন্নতি করেছে এবং সেই ২০১৩ সালে থেকে তারা মানব উন্নয়ন সূচক #৪ (শিশু মৃত্যুহার কমানো) এবং #৫ক (মাতৃমৃত্যুর হার কমানো) অর্জনের পথে আছে। এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়গুলো নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য একটা বিশেষ সুযোগ ছিল কীভাবে বিভিন্ন কার্যকরী প্রোগ্রাম ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিষয়গুলোর উন্নতি করা যায়।

নেপালে মাতৃস্বাস্থ্যের ব্যাপারেও দারুণ উন্নতি করেছে। মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৯০ সালে প্রতি ১০০,০০০-তে ৭৪৮ থেকে ২০১৪ সালে তা কমে হয়েছে প্রতি ১০০,০০০-তে মাত্র ১৯০ জন।[৪১] নেপাল মোট উর্বরতার হার হ্রাসেও দারুণ উন্নতি করেছে, ১৯৯১ সালের ৫.৩[৪২] থেকে ২০১৪ সালে তা কমে এসেছে ২.৩-তে।[৪৩]

মাতৃস্বাস্থ্যের অন্যান্য দিকগুলো ঠিক থাকলেও জন্মবিরতিকরণ প্র্রক্রিয়াগ্রহণের সূচক নিম্নমুখী ২০০৬ (৪৪.২%) এবং ২০১১ (৪৩.২%)[৪৪] এবং সেইসাথে অন্য দেশে জীবিকা নির্বাহ করতে যাবার তাগিদে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেশ বেড়েছে (গ্রামাঞ্চলে তিন-চতুর্থাংশ)। ১৯৯৬ সালের পর থেকে মাতৃ স্বাস্থ্যসেবার মান বেশ বেড়েছে। সেইসাথে ২০১৪ সালে মাতৃস্বাস্থ্যের পরিব্যাপ্তী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত পরিদর্শনের হারও বেড়েছে (৬০% কমপক্ষে ৪ বার পরিদর্শনে)।[৪৩] এছাড়াও জন্ম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও জন্মে সহায়তাকারী দক্ষ দাই-এর হার বেড়েছে।[৪৩]

শিশু স্বাস্থ্য

নেপাল মানব উন্নয়ন সূচক ৪ অর্জনের পথে আছে। সেইসাথে জাতীয় উপাত্ত থেকে দেখা যায় শিশুমৃত্যু ৩৫.৮ হারে ২০১৫ সালে পাঁচ বছরের কমবয়সী প্রতি হাজারে ৫ জন[৪৫] শিশুমৃত্যু তে নেমে এসেছে যা ১৯৯১ সালে ছিল ১৬২ জন।[৪২] বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই হার ৬৫% কমে প্রতি হাজারে ১২৮ থেকে ৪৮-তে এসেছে।[৪৬]

কার্যকরী প্রোগ্রামের উন্নতির মাধ্যমে নেপাল শিশুমৃত্যুর গুরুত্বপূর্ণ কারণসমূহ মোকাবেলা ও বিভিন্ন দলভিত্তিক ও জাতীয় ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বি-বার্ষিক ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো এবং কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন। শিশুদের টিকাপ্রদানের হার দারুণভাবে বেড়েছে এবং ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের মাতৃদুগ্ধপানে উৎসাহিত করার ব্যাপারটিও মুটামুটিভাবে সাড়া ফেলেছে। যদিও গত কয়েক বছরে এনএমআর দৃঢ়ভাবে এটা নিয়ে কাজ করে গেছে। এতে করে ২০১৫ সালে প্রতি হাজারে শিশুমৃত্যুহার ছিল ২২.২ এর কাছাকাছি। এর সাথে তুলনা করা যায় ভারতের শিশুমৃত্যুহার ২৭.৭ (২০১৫) এবং পাকিস্তানের ৪৫.৫ (২০১৫)।[৪৫]

এনএমআর নেপালের একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান, ২০১৫ সালে যাদের কারণে নেপালের শিশু মৃত্যুহার ৭৬% এবং ৫ বছরের কমবয়সী ৫৮% শিশু মৃত্যুহার কমেছে এবং এর উদ্দেশ্যে আরো সামনে এগিয়ে যাওয়া।[৪৫] কিছু বিরুপ কারণ স্বাস্থ্যসূচককে প্রভাবিত করে। তবে, নেপালে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসূচকগুলোতেই উন্নতি করেছে অনেক বাঁধা-বিপত্তি স্বত্ত্বেও। এটা অর্জনের প্রচেষ্টার কারণে অনেক ব্যাখাই দাঁড় করানো যায় যার মধ্যে অন্যতম ব্যাপার হলো কোনো প্রকার জটিলতাই স্বাস্থ্যসেবার মানকে প্রভাবিত করতে পারে নি। সকল অবস্থাতেই স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে ক্লিনিকগুলোতে পাঠানো হতো জটিলতায় আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে। মূলত দেশের এই জটিলতাই এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছিল যাতে করে এই ব্যবস্থাটা আরো উন্নতি লাভ করেছে। নেপালের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সেবা প্রদান, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে চিকিৎসা প্রদান, সমাজ ও দলভিত্তিক মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ বিশেষ করে মহিলাদের দলভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, মহিলাদের দল এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় (এইচএফওএমসি) দারুণভাবে ভূমিকা রেখেছে।[৪৭]

শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রম

টিকা কার্যক্রম
সমাজভিত্তিক শৈশব রোগব্যধির সমন্বিত ব্যবস্থাপনা
সমাজভিত্তিক নবজাতক সুরক্ষা কার্যক্রম
জাতীয় পুষ্টি কার্যক্রম
শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়ক কার্যক্রম

নেপালের সড়ক দুর্ঘটনা

মানসিক স্বাস্থ্য

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Rebuilding Nepal's Healthcare System"Possible (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  2. "World Health Organization. November 2007" (পিডিএফ) 
  3. "A healthy majority - Nepali Times"archive.nepalitimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  4. "gapminder.org. Retrieved 6 September 2016." 
  5. "Nepal country profile. Library of Congress Federal Research Division (November 2005" (পিডিএফ) 
  6. (পিডিএফ) http://hdr.undp.org/en/media/Lets-Talk-HD-HDI_2010.pdf  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  7. https://spreadsheets.google.com/pub?key=pyj6tScZqmEcVezxiMlWaRw&output=xls  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  8. https://www.gapminder.org/tools/#$state$time$value=2018;&marker$select@$geo=npl;;&axis_y$which=child_mortality_0_5_year_olds_dying_per_1000_born&domainMin:null&domainMax:null&zoomedMin:null&zoomedMax:null&scaleType=genericLog&spaceRef:null;;;&ui$chart$trails:false;;&chart-type=bubbles  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  9. https://spreadsheets.google.com/pub?key=phAwcNAVuyj0NpF2PTov2Cw&output=xls  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  10. (পিডিএফ) http://dohs.gov.np/wp-content/uploads/2016/06/Annual_Report_FY_2071_72.pdf  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  11. ""Nepal: WHO Statistical Profile". who.int. Retrieved 12 September 2016"www.gapminder.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  12. ""Gapminder Tools". Retrieved 9 September 2018."www.gapminder.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  13. ""world bank". gapminder.org. Retrieved 7 September 2016" 
  14. "WHO | Nepal: country profiles"WHO। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  15. https://spreadsheets.google.com/pub?key=phAwcNAVuyj0TAlJeCEzcGQ&output=xls  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  16. https://spreadsheets.google.com/pub?key=phAwcNAVuyj0NpF2PTov2Cw&output=xls  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  17. "WHO | Nepal"WHO। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  18. "HEALTH PROFILE NEPAL"World Life Expectancy (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  19. "Health for all MYREPUBLICA.com - News in Nepal: Fast, Full & Factual, POLITICAL AFFAIRS, BUSINESS & ECONOMY, SOCIAL AFFAIRS, LIFESTYLE, SPORTS, OPINION, INTERVIEW, INTERNATIONAL, THE WEEK news in English in Nepal"web.archive.org। ২০১২-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  20. "WHO | Nepal"WHO। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  21. "Karuna-Shechen Humanitarian Projects in the Himalayan Region"karuna-shechen.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  22. [Beine, David. 2001. "Saano Dumre Revisited: Changing Models of Illness in a Village of Central Nepal "Beine, David. 2001. "Saano Dumre Revisited: Changing Models of Illness in a Village of Central Nepal"] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)karuna-shechen.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  23. "Reports | Human Development Reports" (পিডিএফ)hdr.undp.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  24. Upadhyay, Prakash (২০১৮-০২-০৫)। "Social Science Research and Everyday Human Life"Journal of Nepalese Business Studies10 (1): 28–41। আইএসএসএন 2350-8795ডিওআই:10.3126/jnbs.v10i1.19131 
  25. Beine, David K. (২০০৩)। "Book review: Ensnared by AIDS: Cultural contexts of HIV/AIDS in Nepal"PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  26. (পিডিএফ) http://www.measuredhs.com/pubs/pdf/FA51/FA51.pdf  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  27. ""Nepal: Nutrition Profile" (PDF). usaid.gov. Retrieved 10 September 2016." (পিডিএফ) 
  28. [Nepal Demographic and Health Survey. Nepal: Ministry of Health and Population. 2011 "Nepal Demographic and Health Survey. Nepal: Ministry of Health and Population. 2011"] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  29. "নেপালের শিশু জরিপ - Read, Learn and Spread the Knowledge"www.reviewmapper.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১০ 
  30. [Nepal Demographic and Health Survey. Nepal: Ministry of Health and Population. 2016 "Nepal Demographic and Health Survey. Nepal: Ministry of Health and Population. 2016"] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  31. [National Planning Commission 2015 "National Planning Commission 2015"] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  32. International Fund for Agricultural Development (IFAD) retrieved 20 September 2011
  33. "United Methodist Committee on relief; retrieved on 20 September 2011"। ২৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯ 
  34. "Shiba Kumar Rai, Kazuko Hirai, Ayako Abe, Yoshimi Ohno 2002 "Infectious Diseases and Malnutrition Status in Nepal: an Overview"" (পিডিএফ)। ২ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯ 
  35. "HEALTH PROFILE NEPAL"World Life Expectancy (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১০ 
  36. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; cp নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  37. "Raj Panta, Krishna Ph.D.। "Decentralization of Corruption and Local Public Service Delivery in Nepal" (PDF)। Nepal Rastra Bank।" (পিডিএফ) 
  38. "Reports | Human Development Reports" (পিডিএফ)hdr.undp.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১০ 
  39. "2016 Project Elijah Final Report PDF"dx.doi.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১১ 
  40. "United States Agency for International Development"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৭-২৬। 
  41. "Gapminder Tools"www.gapminder.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২ 
  42. [Nepal fertility, family planning and health survey: (NFHS, 1991). Kathmandu Nepal. 1993. "Nepal fertility, family planning and health survey: (NFHS, 1991)"] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  43. ""Annual Report 2013/2014" (PDF). Ministry of Health and Population of Nepal, Department of Health Services. January 2015. Retrieved 24 January 2017." (পিডিএফ) 
  44. ""Nepal Demographic and Health Survey 2011. Kathmandu, Nepal: Ministry of Health and Population (MoHP), New ERA and ICF International, Calverton, Maryland; 2012"" (পিডিএফ) 
  45. "Nepal | Data"data.worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২ 
  46. "Gapminder Tools"www.gapminder.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২ 
  47. Devkota, Bhimsen; van Teijlingen, Edwin R (২০১০-১২-০১)। "Understanding effects of armed conflict on health outcomes: the case of Nepal"Conflict and Health4: 20। আইএসএসএন 1752-1505ডিওআই:10.1186/1752-1505-4-20পিএমআইডি 21122098পিএমসি 3003631অবাধে প্রবেশযোগ্য 

বহিঃসংযোগ