বিষয়বস্তুতে চলুন

অ্যামেনোরিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্প্রসারণ
১০৩ নং লাইন: ১০৩ নং লাইন:
এক একজন মানুষের ওপর অ্যামেনোরিয়ার সামাজিক প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা। প্রায়ই অ্যামেনোরিয়া যুক্ত থাকে অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এবং অন্যান্য আহার ব্যাধির সঙ্গে, যাদের নিজস্ব আলাদা প্রভাব আছে। যদি দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া জীবনের প্রথম দিকেই এসে যায়, উদাহরণ স্বরূপ অত্যধিক ব্যায়াম বা ওজন কমে যাবার ফলে, আদ্যঋতু জীবনে আর না ও আসতে পারে। এই অবস্থায় একজন মহিলা আর গর্ভবতী না ও হতে পারেন, এমনকি ওষুধের সাহায্যেও নয়। দীর্ঘ মেয়াদী অ্যামেনোরিয়া হলে ইস্ট্রোজেনের অভাব দেখা দেয়, যার ফলে অল্প বয়সেই ঋতুবন্ধ হয়ে যেতে পারে। ২৫ থেকে ৩০ বছরের পরে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্যালসিয়াম ক্ষতি নিয়ন্ত্রনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন অ্যামেনোরিয়া হবার কারণে কোন মহিলার ডিম্বাশয় আর ইস্ট্রোজেন তৈরী করেনা, তখন তিনি দ্রুত ক্যালসিয়াম হারাবেন, এবং অসুখটি হয়ে দাঁড়াবে অস্টিওপোরোসিস।<ref>{{cite web|last=Konstantinovsky|first=Michelle|title=Amenorrhea: Dieting to the extreme|url=http://www.sheknows.com/health-and-wellness/articles/814110/amenorrhea-dieting-to-the-extreme-1|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20131203040840/http://www.sheknows.com/health-and-wellness/articles/814110/amenorrhea-dieting-to-the-extreme-1|archivedate=2013-12-03|df=}}</ref> অ্যামেনোরিয়ার জন্য টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে লোমের আধিক্য দেখা দেয় এবং স্তনের আকার ছোটো হয়ে যায়।<ref>{{cite web|last=Hickson|first=Anna-Sofie|title=Amenorrhea Side Effects|url=http://www.livestrong.com/article/99448-amenorrhea-side-effects/|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20131203054629/http://www.livestrong.com/article/99448-amenorrhea-side-effects/|archivedate=2013-12-03|df=}}</ref> [[অ্যান্ড্রোজেন]] এর মাত্রা বেড়ে গেলে, বিশেষত টেস্টোস্টেরন, ওভারিয়ান সিস্ট হতে পারে। কিছু অ্যামেনোরিয়াযুক্ত দৌড়বিদদের মধ্যে গবেষণা করে দেখা গেছে যে ঋতু বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের আত্মসম্মানেও ঘাটতি এসে যায়।<ref>{{cite journal|last=Comenitz|first=Linda|title=The psychological effects of secondary amenorrhea in women runners|journal=Clinical Social Work Journal|year=1983|volume=11|issue=1|pages=87–96|doi=10.1007/BF00755658}}</ref>
এক একজন মানুষের ওপর অ্যামেনোরিয়ার সামাজিক প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা। প্রায়ই অ্যামেনোরিয়া যুক্ত থাকে অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এবং অন্যান্য আহার ব্যাধির সঙ্গে, যাদের নিজস্ব আলাদা প্রভাব আছে। যদি দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া জীবনের প্রথম দিকেই এসে যায়, উদাহরণ স্বরূপ অত্যধিক ব্যায়াম বা ওজন কমে যাবার ফলে, আদ্যঋতু জীবনে আর না ও আসতে পারে। এই অবস্থায় একজন মহিলা আর গর্ভবতী না ও হতে পারেন, এমনকি ওষুধের সাহায্যেও নয়। দীর্ঘ মেয়াদী অ্যামেনোরিয়া হলে ইস্ট্রোজেনের অভাব দেখা দেয়, যার ফলে অল্প বয়সেই ঋতুবন্ধ হয়ে যেতে পারে। ২৫ থেকে ৩০ বছরের পরে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্যালসিয়াম ক্ষতি নিয়ন্ত্রনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন অ্যামেনোরিয়া হবার কারণে কোন মহিলার ডিম্বাশয় আর ইস্ট্রোজেন তৈরী করেনা, তখন তিনি দ্রুত ক্যালসিয়াম হারাবেন, এবং অসুখটি হয়ে দাঁড়াবে অস্টিওপোরোসিস।<ref>{{cite web|last=Konstantinovsky|first=Michelle|title=Amenorrhea: Dieting to the extreme|url=http://www.sheknows.com/health-and-wellness/articles/814110/amenorrhea-dieting-to-the-extreme-1|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20131203040840/http://www.sheknows.com/health-and-wellness/articles/814110/amenorrhea-dieting-to-the-extreme-1|archivedate=2013-12-03|df=}}</ref> অ্যামেনোরিয়ার জন্য টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে লোমের আধিক্য দেখা দেয় এবং স্তনের আকার ছোটো হয়ে যায়।<ref>{{cite web|last=Hickson|first=Anna-Sofie|title=Amenorrhea Side Effects|url=http://www.livestrong.com/article/99448-amenorrhea-side-effects/|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20131203054629/http://www.livestrong.com/article/99448-amenorrhea-side-effects/|archivedate=2013-12-03|df=}}</ref> [[অ্যান্ড্রোজেন]] এর মাত্রা বেড়ে গেলে, বিশেষত টেস্টোস্টেরন, ওভারিয়ান সিস্ট হতে পারে। কিছু অ্যামেনোরিয়াযুক্ত দৌড়বিদদের মধ্যে গবেষণা করে দেখা গেছে যে ঋতু বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের আত্মসম্মানেও ঘাটতি এসে যায়।<ref>{{cite journal|last=Comenitz|first=Linda|title=The psychological effects of secondary amenorrhea in women runners|journal=Clinical Social Work Journal|year=1983|volume=11|issue=1|pages=87–96|doi=10.1007/BF00755658}}</ref>


=== ঔষধ জনিত ===
কিছু ঔষধ, বিশেষত গর্ভনিরোধক ঔষধ, একজন সুস্থ সবল মহিলার অ্যামেনোরিয়া ঘটাতে পারে। সাধারণত ঔষধ শুরু করার কিছু পরেই ঋতুবন্ধ শুরু হয়ে যায় এবং ঔষধ বন্ধ করার পরে পুনরায় চালু হতে এক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। হরমোনাল গর্ভনিরোধক যেগুলিতে [[প্রোজেস্টেরন ওনলি পিল|শুধু প্রোজেস্টেরন আছে]] যেমন খাওয়ার জন্মনিরোধক মাইক্রোনর এবং বিশেষ করে উচ্চ মাত্রায় তৈরী ইঞ্জেকশনভিত্তিক [[ডিপো প্রোভেরা]] সাধারণত এই [[বিরূপ প্রভাব|পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া]] নিয়ে আসে। [[বর্ধিত চক্রের সংযুক্ত হরমোনাল গর্ভনিরোধক|বর্ধিত চক্রের সংযুক্ত হরমোনাল গর্ভনিরোধক ব্যবহার]] করলেও ঋতু দমন হয়। রোগীরা যাঁরা প্রথমে [[সংযুক্ত মৌখিক হরমোনাল গর্ভনিরোধক]] (ওসিওপি) এর মত গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন এবং পরে ছেড়ে দেন তাঁদের একটি প্রত্যাহার লক্ষণ হিসাবে দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া হতে পারে।<ref>{{cite web|last=Willacy|first=Hayley|title=Combined Oral Contraceptive (Follow-up and Common Problems)|url=http://www.patient.info/doctor/Combined-Oral-Contraceptive-(Follow-Up-and-Common-Problems).htm}}</ref> এই সংযোগটি ভাল বোঝা যায় নি, কারণ যেসব মহিলার ওসিওপি ব্যবহার বন্ধ করে প্রত্যাহার লক্ষণ হিসাবে অ্যামেনোরিয়া হয়েছে এবং যেসব মহিলার অন্য কোন কারণের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া হয়েছে, গবেষণা করে তাঁদের হরমোন মাত্রায় কোন তফাৎ পাওয়া যায়নি।<ref>{{cite journal|last=Weisberg|first=E|title=Fertility after discontinuation of oral contraceptives|journal=Clinical reproduction and fertility|date=December 1982|volume=1|issue=4|pages=261–72|pmid=6764883}}</ref> নতুন ধরণের গর্ভনিরোধক বড়ির ব্যবহার, যেমন একটানা মৌখিক গর্ভনিরোধক ঔষধ (ওসিপি সমূহ) যেগুলি প্রতি চক্রের স্বাভাবিক ৭ দিনের প্লাসিবো বড়ি নয়, মহিলাদের মধ্যে অ্যামেনোরিয়া হবার হার বাড়িয়ে দিয়েছে। গবেষণা বলছে মহিলাদের ১ বছর ধরে একটানা ওসিপি ব্যবহার করে চিকিৎসা করলে অ্যামেনোরিয়া হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।<ref name="pmid19209272">{{cite journal|last=Wright|first=KP|author2=Johnson, JV|title=Evaluation of extended and continuous use oral contraceptives|journal=Therapeutics and clinical risk management|date=October 2008|volume=4|issue=5|pages=905–11|pmid=19209272|pmc=2621397}}</ref>

নিয়মিত আফিমযুক্ত ড্রাগের ব্যবহার (যেমন হেরোইন) দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারকারীদের মধ্যে অ্যামেনোরিয়া ঘটিয়েছে।{{citation needed|date=January 2014}}

[[স্কিটসোফ্রিনিয়া]] চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রতি-মনোরোগ ঔষধ অ্যামেনোরিয়ার কারণ বলে জানা গেছে। নতুন গবেষণা প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি-মনোরোগ ঔষধ বিধিব্যবস্থায় মেটফরমিনের একটি ডোজ যোগ করলে ঋতু পুনঃস্থাপিত হয়।<ref name="pmid22711171">{{cite journal|last=Wu|first=RR|last2=Jin |first2=H |last3=Gao |first3=K |last4=Twamley |first4=EW |last5=Ou |first5=JJ |last6=Shao |first6=P |last7=Wang |first7=J |last8=Guo |first8=XF |last9=Davis |first9=JM |last10=Chan |first10=PK |last11=Zhao |first11=JP|title=Metformin for treatment of antipsychotic-induced amenorrhoea and weight gain in women with first-episode schizophrenia: a double-blind, randomized, placebo-controlled study|journal=The American Journal of Psychiatry|date=Aug 1, 2012|volume=169|issue=8|pages=813–21|doi=10.1176/appi.ajp.2012.11091432|pmid=22711171}}</ref> মেটফরমিন [[ইনসুলিন]] কে বাধা দেবার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এছাড়াও প্রোল্যাকটিন, টেস্টোস্টেরন, এবং লুটেনাইজিং হরমোন (এলএইচ) এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। মেটফরমিন এলএইচ/এফএসএইচ অনুপাত কমিয়ে দেয়। মেটফরমিনের ওপর গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এই হরমোনগুলির নিয়ন্ত্রণ দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া হবার মূল কারণ।
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist}}
{{Reflist}}

১৪:২৯, ১৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অ্যামেনোরিয়া
প্রতিশব্দঅ্যামেনোরিয়া, অ্যামেনোরিয়া
বিশেষত্বস্ত্রীরোগবিদ্যা

একটি মহিলার প্রজনন বয়সে  মাসিক এর অভাবকে অ্যামেনোরিয়া বলা হয়। অ্যামেনোরিয়ার শারীরবৃত্তীয় অবস্থা দেখা যায়, বেশিরভাগই, গর্ভাবস্থায় এবং ল্যাকটেশন (স্তন্যপান করানো) এর সময়ে, শেষেরটি গর্ভনিরোধের একটি রূপ হিসাবেও পরিচিত, ল্যাকটেশনাল অ্যামেনোরিয়া পদ্ধতি ।  প্রজনন সময়ের বাইরে  শৈশবে  এবং পরে রজোনিবৃত্তি হলে ঋতুস্রাব হয়না।

অ্যামেনোরিয়া  অনেক সম্ভাব্য অসুখের একটি উপসর্গ। প্রাথমিক অ্যামেনোরিয়া (মাসিক চক্র কখনোই শুরু না হওয়া) গঠনের সমস্যার জন্য হতে পারে, যেমন জন্মগতভাবে জরায়ুর অনুপস্থিতি অথবা  ডিম্বাশয় এর ডিম্বাণু গ্রহণ করা বা পালন করার ক্ষমতার অভাব। এছাড়াও, বয়ঃসন্ধির গঠনে বিলম্ব হলেও প্রাথমিক অ্যামেনোরিয়া হয়।  ১৪ বছর বয়সে আদ্যঋতুর অনুপস্থিতির সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের যৌন বৈশিষ্ট্য এর অনুপস্থিতি অথবা  দ্বিতীয় পর্যায়ের যৌন বৈশিষ্ট্য স্বাভাবিক, কিন্তু ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত কোন আদ্যঋতু না থাকা দিয়ে এটা সংজ্ঞায়িত করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের অ্যামেনোরিয়া (মাসিক চক্র বিরতি) প্রায়শই হাইপোথ্যালামাসপিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন ব্যাঘাত, অকাল রজোনিবৃত্তি বা জরায়ুর মধ্যে ক্ষত হওয়ার কারণে হয়। একটি মহিলার পূর্বে স্বাভাবিক ঋতুচক্র থাকলেও তিন মাস বন্ধ থাকলে বা অলিগোমেনোরিয়ার ইতিহাস থাকলে নয় মাস ঋতুস্রাব বন্ধ থাকা দিয়ে এটি সংজ্ঞায়িত করা হয়।[১]

শ্রেণীবিন্যাস

অ্যামেনোরিয়ার শ্রেণীবিন্যাস করার জন্য দুটি প্রধান উপায় আছে। অ্যামেনোরিয়াকে প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত হিসাবে, অথবা কার্যকরী "বিভাগের" উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।[২] পরের শ্রেণীবিন্যাসটি রোগীর হরমোনের অবস্থা সম্পর্কিত; হাইপো-, ইইউ-,বা হাইপারগোনাডোট্রপিক (যেখানে জননাঙ্গ এবং ফলিকল উদ্দীপক হরমোন (এফএসএইচ) এর যোগাযোগ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এফএসএইচ এর মাত্রা  নিম্ন, স্বাভাবিক বা উচ্চ হয়ে যায়)।

  •  প্রাথমিক বনাম দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত দ্বারা: প্রাথমিক অ্যামেনোরিয়া হল ১৬ বছর বয়সেও একটি মহিলার ঋতুস্রাবের অনুপস্থিতি।[৩] যেহেতু বয়ঃসন্ধির পরিবর্তনের জন্য  আদ্যঋতু বা প্রথমঋতু হয়, যে কিশোরীদের ১৪ বছর বয়সেও প্রথমঋতু হয়নি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত যৌন বৈশিষ্ট্য থাকার কোন লক্ষণ নেই, যেমন থেলারশে বা পিউবারশে— এইভাবে বয়ঃসন্ধি শুরুর কোন লক্ষণ নেই বলে বিবেচিত হয়, তাদেরই প্রাথমিক অ্যামেনোরিয়া আছে বলা হয়।[৪] দ্বিতীয় পর্যায়ের অ্যামেনোরিয়া হল যেখানে একটি নিয়মিত ঋতুযুক্ত মহিলার শুরু হওয়া ঋতুস্রাব তিন মাসের জন্য এবং অনিয়মিত ঋতুযুক্ত একটি মহিলার ঋতুস্রাব নয় মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। এটি সাধারণত দেখা যায় ৪০-৫৫ বছর বয়স্ক নারীদের নধ্যে। তবে কিশোরী ক্রীড়াবিদদের মাসিক চক্রের ব্যাঘাতের সম্ভাবনা অন্য যে কোন বয়সের ক্রীড়াবিদদের থেকে বেশি।[৫] অ্যামেনোরিয়ার কারণে পেছন দিকেশ্রোণীচক্র এবং মেরুদণ্ডের কাছে গুরুতর ব্যথা হতে পারে। আপাত ভাবে এই ব্যথার কোন প্রতিকার নেই, কিন্তু প্রজেস্টেরনের একটি সংক্ষিপ্ত চিকিৎসা করে ঋতু শুরু হলে এর থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।
  • বিভাগের দ্বারা : প্রজনন অক্ষকে দেখা যেতে পারে  চারটি কক্ষের বিভাগ হিসাবে: ১. বহির্নালী (জরায়ু, জরায়ুর নিচের অংশ বা সার্ভিক্স, যোনি), ২. ডিম্বাশয়, ৩. পিটুইটারি গ্রন্থি, এবং ৪. হাইপোথ্যালামাস। পিটুইটারি এবং হাইপোথ্যালামিক কারণগুলিকে  প্রায়ই একসাথে দলবদ্ধ করা হয়।
প্রাথমিক/দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত বহির্নালী ব্যতিক্রমসমূহ/বাধা জননাঙ্গ/সীমান্তবর্তী অঙ্গ রোগ পিটুইটারি এবং হাইপোথ্যালামিক/কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক ব্যাধি
সংক্ষিপ্ত বিবরণ হাইপোথ্যালামিক-পিটুইটারি-ওভারিয়ান অক্ষ কাজ করছে। ডিম্বাশয় বা জননাঙ্গ পিটুইটারি উত্তেজনাতে সাড়া দেয়না। জননাঙ্গের অনুর্বরতা বা অকাল ঋতুবন্ধ সম্ভাব্য কারন। সাধারণত কিশোরীদের ক্রোমোজোম পরীক্ষায় বোঝা যায় হাইপারগোনাডোট্রপিক অ্যামেনোরিয়া হয়েছে। এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম পাওয়া যায় এবং হাইপো-ইস্ট্রোজেনিজম চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত, অপর্যাপ্ত মাত্রার এফএসএইচ থাকলে ডিম্বাশয় কম উদ্দীপ্ত হয় যা যথেষ্ট ইস্ট্রোজেন ক্ষরণে ব্যর্থ হয় যাতে এন্ডোমেট্রিয়াম (জরায়ুজ আস্তরণ) উদ্দীপ্ত হয়না, ফলে অ্যামেনোরিয়া হয়। সাধারণভাবে, যাঁদের হাইপারগোনাডোট্রপিক অ্যামেনোরিয়া আছে তাঁরা কার্যকরীভাবে উর্বর।
এফএসএইচ বহির্নালীর অস্বাভাবিকতা থাকলে নর্মগোনাডোট্রপিক হয় এবং এফএসএইচ এর মাত্রা স্বাভাবিক পরিসীমায় থাকে। জননাঙ্গের, সাধারণত ডিম্বাশয়ের, অস্বাভাবিকতা বর্ধিত এফএসএইচ মাত্রার বা হাইপারগোনাডোট্রপিক অ্যামেনোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এফএসএইচ মাত্রা সাধারণত ঋতুবন্ধের সীমায় থাকে। হাইপোথ্যালামিক এবং পিটুইটারি দুটি গ্রন্থির অস্বাভাবিকতাই নিম্ন মাত্রার এফএসএইচ সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যা হাইপারগোনাডোট্রপিক অ্যামেনোরিয়া ঘটায়।
প্রাথমিক
দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত

কারণ

কম ওজন

যেসব মহিলা নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম করেন অথবা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ওজন কমিয়েছেন তাঁদের হাইপোথ্যালামিক (বা 'খেলাধুলোর') অ্যামেনোরিয়া হবার ঝুঁকি থাকে।কার্যকরী হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া (এফএইচএ) মানসিক চাপ, ওজন কমে যাওয়া এবং/অথবা অত্যধিক ব্যায়াম দ্বারা সৃষ্ট হতে পারে। অনেক নারী আছেন যাঁরা খাদ্য সংযম করেন বা যাঁরা অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন কিন্তু তাঁদের ব্যায়াম এবং স্বাভাবিক ঋতুচক্র বজায় রাখতে ব্যয় করার জন্য যথেষ্ট ক্যালোরি গ্রহণ করেননা।[৭]নিয়মিত ঋতুচক্র চালানোর জন্য ন্যূনতম সঞ্চিত, সহজে সংযুক্ত শক্তিই প্রয়োজন, তাই পরম ওজনের চেয়ে কম শক্তি প্রাপ্যতা অ্যামেনোরিয়া শুরু হবার মূল কারণ হিসেবে দেখা গেছে।[৮]

শক্তির ভারসাম্যহীনতা এবং ওজন কমে যাওয়া, বিভিন্ন হরমোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঋতুচক্র ব্যাহত করতে পারে। ওজন কমে যাওয়ার ফলে  ঘ্রেলিন হরমোন বেশি ক্ষরিত হয়,  যা হাইপোথ্যালামিক-পিটুইটারি-ওভারিয়াল অক্ষকে বাধা প্রদান করে।[৯] ঘ্রেলিন হরমোনের বাড়তি ঘনত্ব জিএনআরএইচ স্পন্দনের মানের পরিবর্তন করে দেয়, যার জন্য পিটুইটারি থেকে এলএইচ এবং ফলিকল উদ্দীপক হরমোন (এফএসএইচ) এর ক্ষরণ কমে যায়।[১০]

কম ওজনের মহিলাদের লেপটিন হরমোনের কম মাত্রা দ্বিতীয় পর্যায়ের অ্যামেনোরিয়া সৃষ্টি করে।[১১]  ঘ্রেলিনের মত, লেপটিন শক্তির ভারসাম্যের সংকেত দেয়, এবং প্রজনন অক্ষে চর্বি সঞ্চয় করে।[১২]  লেপটিন এর মাত্রা কমে যাওয়া, শরীরের চর্বির  মাত্রা কমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, এবং জিএনআরএইচ স্পন্দনের ধীরগতির সঙ্গেও সম্পর্কিত।

একটি মহিলার যখন অ্যামেনোরিয়া, আহার ব্যাধি, এবং অস্টিওপোরোসিস একত্রে হয়, তাকে বলে ফিমেল অ্যাথলিট ট্রায়াড সিন্ড্রোম। কম খাওয়ার জন্য অ্যামেনোরিয়া হয় এবং হাড়ের ক্ষয় হলে এসে যায় অস্টিওপেনিয়া এবং সেটি পরিবর্তিত হতে পারে অস্টিওপোরোসিস এ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

এক একজন মানুষের ওপর অ্যামেনোরিয়ার সামাজিক প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা। প্রায়ই অ্যামেনোরিয়া যুক্ত থাকে অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এবং অন্যান্য আহার ব্যাধির সঙ্গে, যাদের নিজস্ব আলাদা প্রভাব আছে। যদি দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া জীবনের প্রথম দিকেই এসে যায়, উদাহরণ স্বরূপ অত্যধিক ব্যায়াম বা ওজন কমে যাবার ফলে, আদ্যঋতু জীবনে আর না ও আসতে পারে। এই অবস্থায় একজন মহিলা আর গর্ভবতী না ও হতে পারেন, এমনকি ওষুধের সাহায্যেও নয়। দীর্ঘ মেয়াদী অ্যামেনোরিয়া হলে ইস্ট্রোজেনের অভাব দেখা দেয়, যার ফলে অল্প বয়সেই ঋতুবন্ধ হয়ে যেতে পারে। ২৫ থেকে ৩০ বছরের পরে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্যালসিয়াম ক্ষতি নিয়ন্ত্রনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন অ্যামেনোরিয়া হবার কারণে কোন মহিলার ডিম্বাশয় আর ইস্ট্রোজেন তৈরী করেনা, তখন তিনি দ্রুত ক্যালসিয়াম হারাবেন, এবং অসুখটি হয়ে দাঁড়াবে অস্টিওপোরোসিস।[১৩] অ্যামেনোরিয়ার জন্য টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে লোমের আধিক্য দেখা দেয় এবং স্তনের আকার ছোটো হয়ে যায়।[১৪] অ্যান্ড্রোজেন এর মাত্রা বেড়ে গেলে, বিশেষত টেস্টোস্টেরন, ওভারিয়ান সিস্ট হতে পারে। কিছু অ্যামেনোরিয়াযুক্ত দৌড়বিদদের মধ্যে গবেষণা করে দেখা গেছে যে ঋতু বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের আত্মসম্মানেও ঘাটতি এসে যায়।[১৫]

ঔষধ জনিত

কিছু ঔষধ, বিশেষত গর্ভনিরোধক ঔষধ, একজন সুস্থ সবল মহিলার অ্যামেনোরিয়া ঘটাতে পারে। সাধারণত ঔষধ শুরু করার কিছু পরেই ঋতুবন্ধ শুরু হয়ে যায় এবং ঔষধ বন্ধ করার পরে পুনরায় চালু হতে এক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। হরমোনাল গর্ভনিরোধক যেগুলিতে শুধু প্রোজেস্টেরন আছে যেমন খাওয়ার জন্মনিরোধক মাইক্রোনর এবং বিশেষ করে উচ্চ মাত্রায় তৈরী ইঞ্জেকশনভিত্তিক ডিপো প্রোভেরা সাধারণত এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসে। বর্ধিত চক্রের সংযুক্ত হরমোনাল গর্ভনিরোধক ব্যবহার করলেও ঋতু দমন হয়। রোগীরা যাঁরা প্রথমে সংযুক্ত মৌখিক হরমোনাল গর্ভনিরোধক (ওসিওপি) এর মত গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন এবং পরে ছেড়ে দেন তাঁদের একটি প্রত্যাহার লক্ষণ হিসাবে দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া হতে পারে।[১৬] এই সংযোগটি ভাল বোঝা যায় নি, কারণ যেসব মহিলার ওসিওপি ব্যবহার বন্ধ করে প্রত্যাহার লক্ষণ হিসাবে অ্যামেনোরিয়া হয়েছে এবং যেসব মহিলার অন্য কোন কারণের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া হয়েছে, গবেষণা করে তাঁদের হরমোন মাত্রায় কোন তফাৎ পাওয়া যায়নি।[১৭] নতুন ধরণের গর্ভনিরোধক বড়ির ব্যবহার, যেমন একটানা মৌখিক গর্ভনিরোধক ঔষধ (ওসিপি সমূহ) যেগুলি প্রতি চক্রের স্বাভাবিক ৭ দিনের প্লাসিবো বড়ি নয়, মহিলাদের মধ্যে অ্যামেনোরিয়া হবার হার বাড়িয়ে দিয়েছে। গবেষণা বলছে মহিলাদের ১ বছর ধরে একটানা ওসিপি ব্যবহার করে চিকিৎসা করলে অ্যামেনোরিয়া হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।[১৮]

নিয়মিত আফিমযুক্ত ড্রাগের ব্যবহার (যেমন হেরোইন) দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারকারীদের মধ্যে অ্যামেনোরিয়া ঘটিয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

স্কিটসোফ্রিনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রতি-মনোরোগ ঔষধ অ্যামেনোরিয়ার কারণ বলে জানা গেছে। নতুন গবেষণা প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি-মনোরোগ ঔষধ বিধিব্যবস্থায় মেটফরমিনের একটি ডোজ যোগ করলে ঋতু পুনঃস্থাপিত হয়।[১৯] মেটফরমিন ইনসুলিন কে বাধা দেবার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এছাড়াও প্রোল্যাকটিন, টেস্টোস্টেরন, এবং লুটেনাইজিং হরমোন (এলএইচ) এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। মেটফরমিন এলএইচ/এফএসএইচ অনুপাত কমিয়ে দেয়। মেটফরমিনের ওপর গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এই হরমোনগুলির নিয়ন্ত্রণ দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত অ্যামেনোরিয়া হবার মূল কারণ।

তথ্যসূত্র

  1. Master-Hunter, Tarannum; Heiman, DL (২০০৬-০৪-১৫)। "Amenorrhea: Evaluation and Treatment"American Family Physician73 (8): 1374–82। পিএমআইডি 16669559। ২০০৮-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৭ 
  2. Speroff L, Fritz MA (২০০৫)। Clinical Gynecologic Endocrinology and Infertility.। Lippincott, Williams & Wilkins (2005)। পৃষ্ঠা 403ff। আইএসবিএন 0-7817-4795-3 
  3. "Amenorrhea, Primary: eMedicine Obstetrics and Gynecology"। ২৯ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৬ 
  4. Speroff, Leon; Glass, Robert H.; Kase, Nathan G. (১ জুন ১৯৯৯)। Clinical gynecologic endocrinology and infertility। Lippincott Williams & Wilkins। আইএসবিএন 978-0-683-30379-7 
  5. De Souza, M. J.; R. J. Toombs (২০১০)। "Amenorrhea"। Nanette F. Santoro and Genevieve Neal-Perry। Amenorrhea: A Case-Based, Clinical Guide। Humana Press। পৃষ্ঠা 101–125। আইএসবিএন 978-1-60327-864-5 
  6. "Amenorrhea: eMedicine Pediatrics: Surgery"। ৪ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৬ 
  7. Loucks AB, Verdun M, Heath EM (জানুয়ারি ১৯৯৮)। "Low energy availability, not stress of exercise, alters LH pulsatility in exercising women"Journal of Applied Physiology84 (1): 37–46। পিএমআইডি 9451615 
  8. Frisch RE, McArthur JW (সেপ্টেম্বর ১৯৭৪)। "Menstrual cycles: fatness as a determinant of minimum weight for height necessary for their maintenance or onset"। Science185 (4155): 949–51। ডিওআই:10.1126/science.185.4155.949পিএমআইডি 4469672 
  9. Södersten P, Bergh C, Zandian M (নভেম্বর ২০০৬)। "Psychoneuroendocrinology of anorexia nervosa"। Psychoneuroendocrinology31 (10): 1149–53। ডিওআই:10.1016/j.psyneuen.2006.09.006পিএমআইডি 17084040 
  10. Loucks AB, Thuma JR (জানুয়ারি ২০০৩)। "Luteinizing hormone pulsatility is disrupted at a threshold of energy availability in regularly menstruating women"। The Journal of Clinical Endocrinology and Metabolism88 (1): 297–311। ডিওআই:10.1210/jc.2002-020369পিএমআইডি 12519869 
  11. Köpp W, Blum WF, von Prittwitz S, ও অন্যান্য (জুলাই ১৯৯৭)। "Low leptin levels predict amenorrhea in underweight and eating disordered females"। Molecular Psychiatry2 (4): 335–40। ডিওআই:10.1038/sj.mp.4000287পিএমআইডি 9246675 
  12. Chan JL, Matarese G, Shetty GK, ও অন্যান্য (মে ২০০৬)। "Differential regulation of metabolic, neuroendocrine, and immune function by leptin in humans"Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America103 (22): 8481–6। ডিওআই:10.1073/pnas.0505429103পিএমআইডি 16714386পিএমসি 1482518অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  13. Konstantinovsky, Michelle। "Amenorrhea: Dieting to the extreme"। ২০১৩-১২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  14. Hickson, Anna-Sofie। "Amenorrhea Side Effects"। ২০১৩-১২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  15. Comenitz, Linda (১৯৮৩)। "The psychological effects of secondary amenorrhea in women runners"। Clinical Social Work Journal11 (1): 87–96। ডিওআই:10.1007/BF00755658 
  16. Willacy, Hayley। "Combined Oral Contraceptive (Follow-up and Common Problems)" 
  17. Weisberg, E (ডিসেম্বর ১৯৮২)। "Fertility after discontinuation of oral contraceptives"। Clinical reproduction and fertility1 (4): 261–72। পিএমআইডি 6764883 
  18. Wright, KP; Johnson, JV (অক্টোবর ২০০৮)। "Evaluation of extended and continuous use oral contraceptives"Therapeutics and clinical risk management4 (5): 905–11। পিএমআইডি 19209272পিএমসি 2621397অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  19. Wu, RR; Jin, H; Gao, K; Twamley, EW; Ou, JJ; Shao, P; Wang, J; Guo, XF; Davis, JM; Chan, PK; Zhao, JP (আগস্ট ১, ২০১২)। "Metformin for treatment of antipsychotic-induced amenorrhoea and weight gain in women with first-episode schizophrenia: a double-blind, randomized, placebo-controlled study"। The American Journal of Psychiatry169 (8): 813–21। ডিওআই:10.1176/appi.ajp.2012.11091432পিএমআইডি 22711171