শিশু নির্যাতন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১০৫ নং লাইন: ১০৫ নং লাইন:
* খারাপ স্বাস্থ্য - শিশুকালে কৃত দুব্যবহার মারাত্মক শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব ফেলে , যাতে রয়েছে শিশুকালে অপরিণত স্বাস্থ্য,<ref>{{cite journal |author1=Flaherty EG |author2=Thompson R |author3=Litrownik AJ |display-authors=etal | date = Dec 2006 | title = Effect of early শিশুhood adversity on শিশু health | url = | journal = Arch Pediatr Adolesc Med | volume = 160 | issue = 12| pages = 1232–8 | doi = 10.1001/archpedi.160.12.1232 | pmid = 17146020 }}</ref> বয়সন্ধি অবস্থায়<ref>Flaherty EG, Thompson R, Dubowitz H, et al Adverse শিশুhood experiences এবং শিশু health in early adolescence. JAMA Pediatr. 2013 Jul;167(7):622-9. doi=10.1001/jamapediatrics.2013.22 {{PMID|23645114}}</ref> এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিজনিত আচরণ ও স্বল্প জীবনকাল লাভ ইত্যাদি<ref name=Middlebrooks2008 /><ref name=Dolezal2009 /> যেসব প্রাপ্তবয়স্ক শিশুকালে নির্যাতন বা অবহেলার শিকার হয়েছেন তারা জীবদ্দশায় চুলকানি, আথ্রাইটিস, এজমা, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, এবং আলসারের মত রোগে ভোগেন<ref name=Dolezal2009 /><ref>{{cite journal |vauthors=Springer KW, Sheridan J, Kuo D, Carnes M | title = Long-term শারীরিক এবং mental health consequences of শিশুhood শারীরিক নির্যাতন: results from a large population-based sample of men এবং women | journal = শিশু নির্যাতন Negl | volume = 31 | pages = 517–30 | year = 2007 | pmid = 17532465 | doi = 10.1016/j.chiabu.2007.01.003 | issue=5 | pmc=3031095}}</ref><ref>Long-Term Consequences of শিশু নির্যাতন এবং অবহেলা. শিশু Welfare Information Gateway, U.S. Department of Health এবং Human Services 2013. [http://www.শিশুwelfare.gov/pubs/factsheets/long_term_consequences.cfm#factors Factsheet] {{webarchive|url=https://web.archive.org/web/20101113021526/http://www.শিশুwelfare.gov/pubs/factsheets/long_term_consequences.cfm |date=13 November 2010 }}</ref><ref name=Felitti1998>{{cite journal |vauthors=Felitti VJ, এবংa RF, Nordenberg D, Williamson DF, Spitz AM, Edwards V, Koss MP, Marks JS | title = Relationship of শিশুhood নির্যাতন এবং household dysfunction to many of the leading causes of death in adults. The Adverse শিশুhood Experiences (ACE) Study | volume = 14 | issue = 4 | pages = 245–58 | date = 1998 | pmid = 9635069 | doi = 10.1016/S0749-3797(98)00017-8 | work = American Journal of Preventative Medicine }}</ref> পরবর্তী জীবনে ক্যান্সারের মত রোগ তৈরি হবার ঝুঁকিসহ<ref>{{cite journal |vauthors=Fuller-Thomson E, Brennenstuhl S | title = Making a link between শিশুhood শারীরিক নির্যাতন এবং cancer: results from a regional representative survey | journal = Cancer | volume = 115 | issue = 14 | pages = 3341–50 | date = July 2009 | pmid = 19472404 | doi = 10.1002/cncr.24372 }}</ref> রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা কমে যাওয়া ইত্যাদি<ref name=Kolassa2012>{{cite web|last=Kolassa|first=Iris – Tatjana|title=Biological memory of শিশুhood maltreatment – current knowledge এবং recommendations for future research|url=http://vts.uni-ulm.de/docs/2012/8061/vts_8061_11733.pdf|work=Ulmer Volltextserver – Institutional Repository der Universität Ulm|accessdate=30 March 2014|format=PDF|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20140527212051/http://vts.uni-ulm.de/docs/2012/8061/vts_8061_11733.pdf|archivedate=27 May 2014|df=dmy-all}}</ref>
* খারাপ স্বাস্থ্য - শিশুকালে কৃত দুব্যবহার মারাত্মক শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব ফেলে , যাতে রয়েছে শিশুকালে অপরিণত স্বাস্থ্য,<ref>{{cite journal |author1=Flaherty EG |author2=Thompson R |author3=Litrownik AJ |display-authors=etal | date = Dec 2006 | title = Effect of early শিশুhood adversity on শিশু health | url = | journal = Arch Pediatr Adolesc Med | volume = 160 | issue = 12| pages = 1232–8 | doi = 10.1001/archpedi.160.12.1232 | pmid = 17146020 }}</ref> বয়সন্ধি অবস্থায়<ref>Flaherty EG, Thompson R, Dubowitz H, et al Adverse শিশুhood experiences এবং শিশু health in early adolescence. JAMA Pediatr. 2013 Jul;167(7):622-9. doi=10.1001/jamapediatrics.2013.22 {{PMID|23645114}}</ref> এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিজনিত আচরণ ও স্বল্প জীবনকাল লাভ ইত্যাদি<ref name=Middlebrooks2008 /><ref name=Dolezal2009 /> যেসব প্রাপ্তবয়স্ক শিশুকালে নির্যাতন বা অবহেলার শিকার হয়েছেন তারা জীবদ্দশায় চুলকানি, আথ্রাইটিস, এজমা, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, এবং আলসারের মত রোগে ভোগেন<ref name=Dolezal2009 /><ref>{{cite journal |vauthors=Springer KW, Sheridan J, Kuo D, Carnes M | title = Long-term শারীরিক এবং mental health consequences of শিশুhood শারীরিক নির্যাতন: results from a large population-based sample of men এবং women | journal = শিশু নির্যাতন Negl | volume = 31 | pages = 517–30 | year = 2007 | pmid = 17532465 | doi = 10.1016/j.chiabu.2007.01.003 | issue=5 | pmc=3031095}}</ref><ref>Long-Term Consequences of শিশু নির্যাতন এবং অবহেলা. শিশু Welfare Information Gateway, U.S. Department of Health এবং Human Services 2013. [http://www.শিশুwelfare.gov/pubs/factsheets/long_term_consequences.cfm#factors Factsheet] {{webarchive|url=https://web.archive.org/web/20101113021526/http://www.শিশুwelfare.gov/pubs/factsheets/long_term_consequences.cfm |date=13 November 2010 }}</ref><ref name=Felitti1998>{{cite journal |vauthors=Felitti VJ, এবংa RF, Nordenberg D, Williamson DF, Spitz AM, Edwards V, Koss MP, Marks JS | title = Relationship of শিশুhood নির্যাতন এবং household dysfunction to many of the leading causes of death in adults. The Adverse শিশুhood Experiences (ACE) Study | volume = 14 | issue = 4 | pages = 245–58 | date = 1998 | pmid = 9635069 | doi = 10.1016/S0749-3797(98)00017-8 | work = American Journal of Preventative Medicine }}</ref> পরবর্তী জীবনে ক্যান্সারের মত রোগ তৈরি হবার ঝুঁকিসহ<ref>{{cite journal |vauthors=Fuller-Thomson E, Brennenstuhl S | title = Making a link between শিশুhood শারীরিক নির্যাতন এবং cancer: results from a regional representative survey | journal = Cancer | volume = 115 | issue = 14 | pages = 3341–50 | date = July 2009 | pmid = 19472404 | doi = 10.1002/cncr.24372 }}</ref> রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা কমে যাওয়া ইত্যাদি<ref name=Kolassa2012>{{cite web|last=Kolassa|first=Iris – Tatjana|title=Biological memory of শিশুhood maltreatment – current knowledge এবং recommendations for future research|url=http://vts.uni-ulm.de/docs/2012/8061/vts_8061_11733.pdf|work=Ulmer Volltextserver – Institutional Repository der Universität Ulm|accessdate=30 March 2014|format=PDF|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20140527212051/http://vts.uni-ulm.de/docs/2012/8061/vts_8061_11733.pdf|archivedate=27 May 2014|df=dmy-all}}</ref>
* শিশুকালে সহিংসতার শিকার হলে তা [[টেলোমার]] স্বল্পতা এবং [[টেলোমার]] হ্রাসজনিত কার্যের আংশকা তৈরি করে।<ref name="pmid22525489">{{cite journal |vauthors=Shalev I, Moffitt TE, Sugden K, Williams B, Houts RM, Danese A, Mill J, Arseneault L, Caspi A | title = Exposure to violence during শিশুhood is associated with telomere erosion from 5 to 10 years of age: a longitudinal study | journal = Mol. Psychiatry | volume = 18 | issue = 5 | pages = 576–81 | year = 2013 | pmid = 22525489 | pmc = 3616159 | doi = 10.1038/mp.2012.32 | url = }}</ref> টেলোমারের বৃদ্ধির ফলে জীবনকাল হ্রাস পেতে পারে যা ৭-১৫ বছরও হতে পারে।<ref name=Kolassa2012 />
* শিশুকালে সহিংসতার শিকার হলে তা [[টেলোমার]] স্বল্পতা এবং [[টেলোমার]] হ্রাসজনিত কার্যের আংশকা তৈরি করে।<ref name="pmid22525489">{{cite journal |vauthors=Shalev I, Moffitt TE, Sugden K, Williams B, Houts RM, Danese A, Mill J, Arseneault L, Caspi A | title = Exposure to violence during শিশুhood is associated with telomere erosion from 5 to 10 years of age: a longitudinal study | journal = Mol. Psychiatry | volume = 18 | issue = 5 | pages = 576–81 | year = 2013 | pmid = 22525489 | pmc = 3616159 | doi = 10.1038/mp.2012.32 | url = }}</ref> টেলোমারের বৃদ্ধির ফলে জীবনকাল হ্রাস পেতে পারে যা ৭-১৫ বছরও হতে পারে।<ref name=Kolassa2012 />

==== প্রতিকুল শিশুকালের অভিজ্ঞতা পর্যবেক্ষণ ====

[[File:The ACE Pyramid.gif|369px |thumb |framed |right |[[সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভনশন]] অনুসারে শিশুকালে বৈরী অভিজ্ঞতা লাভের সম্ভাব্য পথের চিত্র যেমন নির্যাতন এবং অবহেলা যা স্বাস্থ্য এবং পরিপূর্ণরূপে জীবনভর ভাল থাকার পথে বাধা হতে পারে<ref name=CDCACE>{{cite web |author=Division of হিংসাত্মক আচরণ Prevention |title=The Adverse শিশুকাল Experiences (ACE) Study |url=https://www.cdc.gov/হিংসাত্মক আচরণprevention/acestudy/ |website=cdc.gov |publisher=Centers for Disease Control এবং Prevention |accessdate=January 2016 |deadurl=no |archiveurl=https://web.archive.org/web/20151231190742/http://www.cdc.gov/হিংসাত্মক আচরণprevention/acestudy/ |archivedate=31 December 2015 |df=dmy-all }}</ref>]]

[[প্রতিকুল শিশুকালের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা]] হল একটি দীর্ঘমেয়াদি অনুসন্ধান যা শিশুকাল ও প্রতিকুলতার মধ্যে চালানো হয় এতে অর্ন্তভুক্ত আছে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন এবং অবহেলা, ও পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্য সমস্যা। এই গবেষনার প্রাথমিক স্তর শুরু হয় ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সালে [[সান ডিয়েগো, ক্যালিফোর্নিয়া]]য়।<ref name=CDCACE /> বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই গবেষনার উল্লেখ্যযোগ্য দিকগুলোকে এভাবে তুলে ধরে:

{{quote|প্রতিকুল শিশুকালের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১৭,৩০০ মধ্য বয়সি, মধ্যম আয়ের এবং বেশিরভাগ চাকুরিজীবি অংশগ্রহন করেন ও বলেন যে, শিশুকালে কৃত দুব্যবহার এবং ঘরে কৃত ত্রুটিপূর্ণ আচরণ পরবর্তী জীবদ্দশায় প্রভাব বিস্তার করেছে। এমন সব মারাত্মক রোগ যেগুলো আমেরিকায় মৃত্যুর সাধারণ কারন এবং বিকলাঙ্গতার কারণ। এই গবেষনায় শিশুকালে কৃত দুব্যবহার এবং ঘরে কৃত ত্রুটিপূর্ণ আচরণের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল ও অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে যেমন: মানসিক, শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন; মায়ের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আচরণ; এবং পরিবারের সদস্য যা হয়ত নির্যাতনকারী, মানসিকভাবে অসুস্থ অথবা আত্মঘাতক অথবা জেল খেটেছেন এমন ব্যক্তি। প্রতিকুল অভিজ্ঞতা (যেমন শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন শিশুকালে) এবং পরবর্তী জীবনে নিজে দাখিল করা রিপোর্ট যেমন সিগারেট পান, স্থুলতা, শারীরিক অকার্যকারিতা, মদ্যপান, নেশাজাতীয় নির্যাতন, হতাশা, আত্মহননের চেষ্টা, যৌন উশৃঙ্খলতা এবং যৌনবাহিত রোগ ইত্যাদির মধ্যে গুরুতর সম্পর্ক রয়েছে। অধিকন্তু, যেসব মানুষ শিশুকালে অধিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে রিপোর্ট করেছেন তারা অনেক বেশি স্বাস্থ্য ঝুকিগত আচরণ করেছেন, যা এই রিপোর্টের মতে একটি খাপ খাওয়ানোর চেষ্টার ফলে হয়েছে। একইভাবে, বেশি প্রতিকুল শিশুকালের অভিজ্ঞতার রিপোর্ট হয়েছে এমন ব্যক্তির দেখা গেছে হৃদরোগজনিত সমস্যা, ক্যান্সার, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাড়ে ফাটল, লিভারের রোগ এবং খারাপ স্বাস্থ্যের অধিকারী হন। সুতরাং শিশুর প্রতি দুব্যবহার এবং অন্যান্য প্রতিকূল শিশুকালের অভিজ্ঞতা হল স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ, রোগাক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর কারন। আর এটি নিয়মিত পরীক্ষায় ধরা যেতে পারে। যদিও এসিই'র করা গবেষনাটি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ তবুও এটা ধরে নেয়া যেতে পারে যে এই ধরনের প্রবনতা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অর্থনৈতিক স্তরের মানুষের মধ্যে এবং সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে এমন জায়গায় রয়েছে।<ref name="Nature&Consequences" />}}

প্রাপ্তবয়স্কদের উপর করা একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় জানা গেছে শিশুকাল বৈরী অভিজ্ঞতার শিকার যেমন মৌখিক, শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন, এছাড়াও অন্যান্য ধরনের শিশুকালের ট্রমার মধ্যে ২৫.৯% প্রাপ্তবয়স্ক মৌখিক নির্যাতনের শিকার, ১৪.৮% রিপোর্ট করেছেন শারীরিক নির্যাতন, এবং ১২.২% রিপোর্ট করেছেন যৌন নির্যাতন। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভনশন এবং বিহেবরিয়া রিস্ক ফ্যক্টর সার্ভেলেন্স সিস্টেম এই সব তথ্য উপাত্ত প্রদান করে।<ref>{{cite web|url=https://www.cdc.gov/mmwr/preview/mmwrhtml/mm5949a1.htm|title=Adverse শিশুকাল Experiences Reported by Adults --- Five States, 2009|publisher=|accessdate=5 March 2015|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20150311085117/http://www.cdc.gov/mmwr/preview/mmwrhtml/mm5949a1.htm|archivedate=11 March 2015|df=dmy-all}}</ref> শিশুকাল বৈরী অভিজ্ঞতা লাভের সাথে খারাপ স্বাস্থ্য লাভের সম্পর্ক রয়েছে যার ফলে ক্যান্সার, হার্ট এ্যাটাক, মানসিক রোগ, জীবনকাল কমে যাওয়া, নেশা এবং মদ্যপানের মাধ্যমে নিজেকে নির্যাতন করার প্রবণতা উল্লেখ্য।<ref>{{cite web|url=https://www.cdc.gov/ace/|title=Adverse শিশুকাল Experiences (ACE) Study -শিশু Maltreatment-হিংসাত্মক আচরণ Prevention-Injury Center-CDC|publisher=|accessdate=5 March 2015|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20140519000630/http://www.cdc.gov/ace/|archivedate=19 May 2014|df=dmy-all}}</ref> ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে কৃত একটি নাম গোপনীয় জরিপে ছাত্ররা দেখে যে প্রায় ৬-৭% অষ্টম, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেনীর সত্যিই আত্মহনন করতে চেয়েছিল। হতাশার রেট দ্বিগুনের চেয়েও বেশি। অন্যান্য ঝুকিগত আচরনের মাত্রাও ছিল বেশি।<ref>{{cite web|url=http://www.doh.wa.gov/Portals/1/Documents/Pubs/160-183-HYS-AnalyticReport2010.pdf|title=Washington State Healthy Youth Survey 2010 Analytic Report|type=Report|date=June 2011|publisher= Washington State Department of Health|archiveurl=https://web.archive.org/web/20150120053603/http://www.doh.wa.gov/Portals/1/Documents/Pubs/160-183-HYS-AnalyticReport2010.pdf|archivedate= 20 January 2015|deadurl=y}}</ref> শিশু শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের সাথে আত্মহত্যার সম্পর্ক রয়েছে।<ref>{{cite journal|title= The Relation Between শিশু Maltreatment এবং Adolescent Suicidal Behavior: A Systematic Review এবং Critical Examination of the Literature|author=Miller AB |publisher=|display-authors=etal|pmid=23568617|doi=10.1007/s10567-013-0131-5|volume=16|issue=2 |pmc=3724419|year=2013|journal=Clin শিশু Fam Psychol Rev|pages=146–72}}</ref> আইনি এবং সাংস্কৃতিক কারন ছাড়াও পিতা-মাতার থেকে আলাদা করা হবে এই আশংকায় শিশুরা নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে না বা রিপোর্ট করা হয় না।

শিশুকালে নির্যাতন নেশা ও মদ্যপানের অভ্যাশ গড়ার ঝুকি বাড়ায় কৈশর ও প্রাপ্তবয়স্ক লোকের মধ্যে। গবেষনায় দেখা গেছে যেকোন ধরনের শিশুকালীন নির্যাতনের ফলে মস্তিষ্কের পরিবর্তন সাধিত হয় আর তা কোন ব্যক্তিকে আসক্তিমুলক কাজের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। একটি গুরুত্বপূর্ন গবেষনায় ৯০০টি কোর্ট কেসের উপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যেসব শিশু নির্যাতন, যৌন এবং শারীরিক নির্যাতন, পাশাপাশি রয়েছে অবহেলা করার মত মামলা সেইসব ব্যক্তিরা বর্তমানে মদ্যপানে আসক্ত। শিশুকালে নির্যাতনের ফলে কিভাবে আসক্তিমুলক কাজে জড়িয়ে পড়ে কোন ব্যক্তি তাই এই গবেষণার মূল বিষয়।<ref name="Enoch 2011">{{cite journal|last1=Enoch|first1=Marry-Anne|title=The role of early life stress as a predictor for alcohol এবং drug dependence|journal=Psychopharmacology|date=2011|pages=17–31|url=https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/20596857|pmid=20596857|doi=10.1007/s00213-010-1916-6|pmc=3005022}}</ref>


=== বাল্য বিবাহ ===
=== বাল্য বিবাহ ===

১৬:৫২, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শিশু নির্যাতন বা শিশুর প্রতি নির্দয় আচরন হল বিশেষত বাবা-মা বা অন্য কোন অভিবাবক দ্বারা কোন শিশুর প্রতি শারীরিক, যৌন, বা মানসিক দুর্ব্যবহার করা বা শিশুকে অবহেলা করা। বাবা-মা বা অভিবাবক পর্যায়ের কারো কোন কার্য বা অসম্পুর্ণ কোন কার্য দ্বারা কোন শিশু সত্যিকারভাবে বা ধীরে ধীরে ক্ষতির সম্মুখীন হলে তা শিশু নির্যাতনের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত হবে। সেটা হতে পারে বাড়িতে, কোন প্রতিষ্ঠানে, স্কুলে, কোন সম্প্রদায়ে যেখানে শিশুটি অবস্থান করে।

শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি নির্দয় আচরন উভয় শব্দই সমানভাবে ব্যবহৃত হয়, যদিও কিছু গবেষক এই দুই শব্দের পার্থক্য করেন। যেমন শিশুর প্রতি নির্দয় আচরন শব্দটি তারা শিশুর প্রতি অবহেলা, শিশু পাচার এবং শোষন এগুলো বোঝাতে ব্যবহার করেন।

বিভিন্ন বিচার ব্যবস্থায় শিশু নির্যাতনের নিজস্ব সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে যাতে করে নির্যাতিত শিশুটিকে পরিবার থেকে আলাদা করা যায় এবং নির্যাতনকারীকে আইনের আওতায় আনা যায়।

সংজ্ঞা

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শিশু নির্যাতনের সংজ্ঞায় কোন কোন বিষয়কে শিশু নির্যাতন বলা হবে তা নিয়ে ভিন্নতা দেখা যায়। এটা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শ্রেণী ও ইতিহাসেও পরিলক্ষিত হয়।[১][২] সাহিত্যে শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণকে পারস্পরিকভাবে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।[৩]:১১ শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণ একটি সামগ্রিক সংজ্ঞা যা দিয়ে শিশুর প্রতি সকল ধরনের নির্যাতন এবং অবহেলাকে বোঝায়।[৪] প্রচলিত সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ শিশুর প্রতি দুর্ব্যবহারমুলক সংজ্ঞাকে প্রভাবিত করে।[৫] এই সমস্যাটি[৫] নিয়ে সমাজে যারা কাজ করেন যেমন শিশু নিরাপত্তা এজেন্সি, আইনি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, গবেষক ও উকিল ইত্যাদি তাদের মাঝেও শিশু নির্যাতনের সংজ্ঞা আলাদা আলাদা। যেহেতু এই সকল ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের নিজস্ব সংজ্ঞা রয়েছে সেহেতু যোগাযোগের ক্ষেত্রে তা একটা বাধা হয়ে দাড়ায় যার ফলে শিশু নির্যাতন চিহ্নিত করা, মূল্যায়ন করা, অনুসরণ করা, সেবা দেয়া এবং শিশু নির্যাতন বন্ধ করা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।[৩]:[৬]

সাধারণভাবে, নির্যাতন বলতে বুঝায় স্বতস্ফুর্তভাবে ঐ সমস্ত কৃত কাজ যেখানে "অবহেলা" বলতে বুঝায় কেউ নিজেকে অন্যের কাছ থেকে সরিয়ে রাখাকে।[৪][৭] শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণের মধ্যে এই দুটো সংজ্ঞাই অর্ন্তভূক্ত যা কোন বাবা-মা বা অভিবাবক শিশুর প্রতি দেখালে শিশুর সত্যিকার ক্ষতি বা ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।[৪] কিছু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রণেতা "নির্যাতন" সংজ্ঞায় অবহেলাকেও যুক্ত করেন, যেখানে অন্যরা তা করে না; এর পেছনে কারন হল যে ক্ষতিটা শিশুর হচ্ছে তা হয়ত অনিচ্ছাকৃত অথবা তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি সমস্যার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত নন। যা হয়ত সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের ফলে তৈরী হয়েছে যে শিশুকে কিভাবে বড় করতে হবে।[৮][৯] শিশু নির্যাতন এবং অবহেলার বিলম্বিত পরিণতি বিশেষত মানসিক অবহেলা এবং নির্যাতনের বৈচিত্র্যও বিবেচ্য বিষয়।[৯]

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণকে সংজ্ঞায়িত করেছে "সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, অবহেলা বা ঐ ধরনের কোন কাজ অথবা বানিজ্যিক বা অন্য কোনভাবে শোষন করা ইত্যাদি যার ফলে কোন শিশুর বাস্তবিক শারীরিক ক্ষতি, জীবনের হুমকি, বেড়ে উঠা, মর্যাদা, দায়িত্ববোধ, বিশ্বাস বা ক্ষমতা ইত্যাদির ক্ষতি হয় বা ক্ষতির কোন আশংকা থাকে তাকে শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণ হিসেবে গন্য করা হবে।[১০] যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণকে সংজ্ঞায়িত করেছে এভাবে, নির্যাতন হতে পারে তা শব্দ, কথা বা প্রত্যক্ষ কোন কর্ম যা শিশুর প্রতি হুমকি বা ক্ষতি করতে পারে। অন্যদিকে অবহেলার সংজ্ঞায় রাখা হয়েছে, কোন শিশুকে সাধারণ শারীরিক, মানসিক বা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা প্রদান করতে ব্যর্থ হলে এবং কোন প্রকার ক্ষতি থেকে শিশুকে রক্ষা করতে না পারাকে।[৩]:১১ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার শিশু নির্যাতনকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে, কোন সাম্প্রতিক কর্ম বা বাবা-মা বা অভিবাবকের কোন অবহেলার ফলে যদি কোন শিশুর মৃত্যু হয়, কোন শারীরিক/ মানসিক ক্ষতি হয়, যৌন নির্যাতন বা শোষনের শিকার হয় অথবা কোন ভীষণ ক্ষতি হতে পারে এমন কোন কাজ করলে বা থামাতে ব্যর্থ হলে তা শিশু নির্যাতনের আওতায় গন্য হবে।[১১][১২]

প্রকারভেদ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চার ধরনের শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণকে ভাগ করেন: শারীরিক নির্যাতন; যৌন নির্যাতন; মানসিক নির্যাতন; এবং অবহেলা জনিত নির্যাতন[১৩]

শারীরিক নির্যাতন

বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন বিষয়গুলোকে শারীরিক নির্যাতন বলা হবে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।[১৪] শারীরিক নির্যাতন এককভাবে সংগঠিত হয় না বরং অন্য আচরণের সাথে যুক্ত হয়ে সংগঠিত হয়ে থাকে যেমন কতৃত্বমূলক নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে, চিন্তিত করে এমন কোন আচরণের ফলে এবং বাবা-মায়ের তরফ থেকে উষ্ণ সম্পর্কের অভাবে।

শিশুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার উপর ইচ্ছাকৃত শারীরিক জোর খাটানো হলে তার ফলে কোন শারীরিক ক্ষতি, বেচে থাকার প্রতি হুমকি দেখা দিলে, বেড়ে ওঠার বা মর্যাদা হানি হলে বা হবার সম্ভাবনা থাকলে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে শিশুকে আঘাত করা, পিটানো, লাথি মারা, ঝাকানো, কামড়ানো, গলা টিপে ধরা, দগ্ধ করা, পোড়ানো, বিষ প্রয়োগ করা এবং শ্বাসরোধ করা। শিশুর বিরুদ্ধে কৃত অত্যাধিক শারীরিক নির্যাতনগুলোকে যে বস্তু দিয়ে শাস্তি দেয়া হয়েছে তা দ্বারা পরিমাপ করা হয়।[১৩]

জোয়ান ডুরান্ট এবং রন এনসম লিখেছেন যে বেশির ভাগ শারীরিক নির্যাতন হল শারীরিক শাস্তি সেটা হতে পারে উদ্দেশ্যপূর্ণ, আচরণগত রীতি নীতি এবং তার প্রভাবে প্রভাবিত।[১৫] শারীরিক নির্যাতন এবং শারীরিক শাস্তির সংজ্ঞা অংশত একই হওয়ায় দুটোর মধ্যে সুক্ষ্ম বা একেবারেই কোন পাথর্ক্য করা যায় না।.[১৬] উদাহরণসরূপ, পাওলো সার্জিও পিনহিরো জাতিসংঘের সাধারণ স্টাডিতে শিশুর প্রতি নির্যাতন সম্পর্কে লিখেছেন:

শারীরিক শাস্তির মধ্যে অর্ন্তভুক্ত আছে শিশুকে হাত বা চাবুক, লাঠি, বেল্ট, জুতা, কাঠের চামচ ইত্যাদি দ্বারা আঘাত করা ('করাঘাত', 'থাপ্পড়', 'পাছায় চড় মারা')। কিন্তু এর মধ্যে আরো থাকতে পারে শিশুকে লাথি মারা, ঝাকানো, ছুড়ে মারা, ঘষানো, চিমটি কাটা, কামড়ানো, চুল টানা বা কানে চাপড় মারা, শিশুকে অস্বস্তিকর অবস্থানে থাকতে বাধ্য করা, পোড়ানো, ছ্যাকা দেয়া অথবা জোর পূর্বক কোন কিছু খেতে বাধ্য করা (উদাহরণসরূপ, সাবান দিয়ে শিশুর মুখ ধুতে বাধ্য করা বা ঝাল মশলা খেতে বাধ্য করা)।[১৭]

বেশিরভাগ দেশেই যেখানে শিশু নির্যাতন আইন চালু আছে সেখানে ইচ্ছাকৃত মারাত্মক আঘাত প্রদান করা বা কোন কার্য যা শিশুকে অবশ্যই মারাত্মক আঘাত বা মৃত্যু ডেকে আনতে পারে এরূপ কার্যকে অবৈধ গন্য করা হয় [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং কালশিরে পড়া, গায়ে আচড় কাটা, পোড়া, ভাঙ্গা হাড়, ক্ষত ছাড়াও পুন পুন বিপত্তি ঘটানো এবং দুর্ব্যবহার করার ফলে কোন শারীরিক আঘাত পেলে তা নির্যাতন হিসেবে গন্য করা হবে।[১৮] একাধিক আঘাত বা ভাঙ্গা যা সারছে বা সারার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এমন হলে তা নির্যাতনের প্রতি নির্দেশ করে এবং সন্দেহের উদ্রেক করে।

মনোবিজ্ঞানি এলিচ মিলার, তার শিশু নির্যাতন বিষয়ক বইয়ে উল্লেখ্য করেছেন যে, চটোপাঘাত, পেটানো, থাপ্পড় দেয়া ও অবমাননা ইত্যাদি সবই হল নির্যাতনের বিভিন্ন রূপ কারন তা শিশুর মর্যাদাতে আঘাত করে ও শারীরিক আঘাত করে যদিও অনেক সময় তার প্রভাব তাৎক্ষনিকভাবে দেখা যায় না।[১৯]

প্রায়শই, শিশু বয়সে নির্যাতন ভবিষ্যতে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে যাতে আছে পুনরায় ঐ ধরনের ঘটনার শিকার হওয়া, ব্যক্তিত্ব সমস্যা, পোষ্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস সমস্যা, সংযোগ সমস্যা, বিষাদ, মানসিক অবসাদ, আত্মহত্যার প্রবণতা, খাবার সমস্যা, বস্তু/পদার্থ দ্বারা নির্যাতন করা অথবা আগ্রাসনমুখী আচরণ করা। শিশুকালে বাড়িঘর না থাকাও শিশু নির্যাতনের একটি কারণ।[২০]

যৌন নির্যাতন

শিশু যৌন নির্যাতন হল এক প্রকারে শিশু নির্যাতন যেখানে কোন প্রাপ্তবয়স্ক বা বড় শিশুর দ্বারা কোন শিশু যৌনতামুলক আচরণের শিকার হয়।[২১] যৌন নির্যাতন বলতে বুঝায় কোন শিশুর যৌনতামুলক কাজে অংশগ্রহণ করা যার উদ্দেশ্য কোন ব্যক্তির শারীরিক সন্তুষ্টি লাভ বা বানিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া।[১৮][২২] এই ধরনের যৌন নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে কোন শিশুকে যৌনতামুলক কাজ করতে বলা বা চাপ দেওয়া, যৌনাঙ্গের প্রদর্শন করতে বলা বা বাধ্য করা, শিশুকে পর্নো দেখানো, কোন শিশুর সাথে সত্যিকার অর্থে যৌন সঙ্গির মত আচরণ করা, শিশুর যৌনাঙ্গ স্পর্ষ করা বা দেখা বা শিশু পর্নো তৈরী করা।[২১][২৩][২৪] শিশুদের যৌনতামুলক সেবা বিক্রয় করাকে সাধারণ কারাবরোধ নয় বরং শিশু নির্যাতন হিসেবে দেখা হয়।[২৫]

শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুর যে সমস্ত ক্ষতির শিকার হয় তার মধ্যে আছে অপরাধবোধ এবং আত্ম নিন্দা, নির্যাতনের ঘটনা মনে পড়া, দুঃস্বপ্ন, অনিদ্রা, নির্যাতনে সংযুক্ত জিনিসপত্রের প্রতি ভীতি (যেমন বস্তু, গন্ধ, স্থান, হাসপাতালে গমন ইত্যাদি), আত্ম-শ্রদ্ধায় সমস্যা, যৌন অক্ষমতা, তীব্র ব্যাথা, আসক্তি, নিজেকে আঘাত করা, আত্ম হত্যার প্রবণতা, শারীরিক অসস্তির অভিযোগ, হতাশাবোধ,[২৬] পোষ্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার,[২৭] উদ্বিগ্নতা সহ,[২৮] অন্যান্য মানসিক সমস্যা যেমন বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার[২৯] এবং ডিসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার,[২৯] প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর পুনরায় উক্ত ঘটনা ঘটানো/ঘটনার শিকার হওয়ার প্রবণতা,[৩০] বুলিমিয়া নার্ভোসা,[৩১] এবং শিশুর শারীরিক আঘাতও হতে পারে অন্যান্য সমস্যারগুলোর একটি।[৩২] যে সমস্ত শিশু যৌন হেনস্তা বা নির্যাতনের শিকার হয় তারা যৌন বাহিত রোগে আক্রান্ত হবার ঝুকিতে থাকে কারন তাদের ঐ সমস্ত রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়নি এবং জোর পূর্বক যৌন মিলনের ফলে তাদের শ্লৈষিক ঝিল্লি ছেড়ার মত ক্ষতি হতে পারে।[৩৩] কম বয়সে যৌনতার শিকার হওয়াকে এইচআইভির মত রোগ ছড়ানোর ঝুকির সাথে বিবেচনা করা হয় কারন যৌনতা সমন্ধে কম জ্ঞান, এইচআইভি'র দ্রুত বৃদ্ধি, যৌন মিলনের ঝুকিপূর্ন প্রয়োগ, কনডম ব্যবহার না করা, নিরাপদ যৌন মিলনের পন্থা না জানা, ঘন ঘন যৌন সঙ্গি বদল, অনেক বছর ধরে যৌন কর্মকান্ডে জড়িত থাকা।[৩৩]

আমেরিকায় প্রায় ১৫% থেকে ২৫% মহিলা এবং ৫% থেকে ১৫% পুরুষ শিশু অবস্থায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।[৩৪][৩৫][৩৬] বেশিরভাগ যৌন নির্যাতনকারী নির্যাতনের শিকার ছেলে বা মেয়ের পূর্ব পরিচিত; প্রায় ৩০% শিশুর আত্মীয়, প্রায়শই সেটা ভাই, বোন, বাবা, মা, চাচা-চাচী, ফুফা-ফুফু, খালু-খালা অথবা চাচাতো, মামাতো, ফুফাত ভাই অথবা বোন; প্রায় ৬০% হল অন্য ভাবে পরিচিত লোকজন যেমন পারিবারিক বন্ধু, শিশু দেখাশোনাকারী, প্রতিবেশী। অপরিচিত লোক দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয় প্রায় ১০%।[৩৪] তিনভাগের একভাগেরও বেশি ঘটনায় দেখা গেছে নির্যাতনকারীও আঠারো বছরের নিচে।[৩৭]

১৯৯৯ সালে বিবিসি প্রতিবেদন করে আরএএইচআই ফাউন্ডেশন কতৃক কৃত একটি জরিপের ওপর। তারা ভারতে যৌন নির্যাতনের উপর জরিপটি চালায় সেখানে প্রায় ৭৬% অংশগ্রহণকারী জানায় তারা শিশু অবস্থায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার ৪০% হল পারিবারিক সদস্য।[৩৮]

মানসিক নির্যাতন

শিশুর মানসিক নির্যাতন সমন্ধে বেশ কিছু সংজ্ঞা আছে:

  • ২০১৩ সালে, আমেরিকান মানসিক সংস্থা (এপিএ) শিশুর মানসিক নির্যাতনকে ডিএসএম-৫ হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে, বর্ণনা করা হয় এভাবে "অনিচ্চাকৃত নয় এমন মৌখিক এবং অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে শিশুর বাবা-মা বা তত্ত্বাবধানকারী যদি মানসিকভাবে শিশুকে ক্ষতিগ্রস্থা করে বা ক্ষতি হবার সম্ভাবনা তৈরী করে তবে তা মানসিক নির্যাতন"[৩৯]
  • ১৯৯৫ সালে, এপিএসএসি সংজ্ঞায়িত করে এভাবে: ভীতি প্রদর্শন, বন্দি রাখা, শোষন করা, ভুল পদ প্রদর্শন, শিশুর আবেগীয় চাহিদার প্রতি নজর না দেয়া, অবজ্ঞা করলে বা অবহেলা করলে এবং কোন পুনপুন আচরন, ঘটনার দ্বারা শিশুকে যদি এটা বোঝানো হয় যে সে মূল্যহীন, অদরকারী, ভালবাসার অযোগ্য, অপ্রত্যাশিত, বিপদগ্রস্থ অথবা অন্য কোন চাহিদা মেটানোর জন্যই শুধু মাত্র তৈরী তবে তা মানসিক নির্যাতন হবে।[৪০]
  • আমেরিকায়, অঙ্গরাজ্য হিসেবে আইন ভিন্ন, কিন্তু বেশিরভাগেরই "মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ" হলে তার জন্য আইন আছে।[৪১]
  • কেউ কেউ এই সব নির্যাতনকে সামাজিক ও মানসিক দোষ বলে মানেন। শিশু বেড়ে ওঠার সময় যে সমস্ত আচরণ করা হয় যেমন চিৎকার করে কথা বলা বা নির্দেশ দেওয়া, রুক্ষ মেজাজ দেখানো, অমনোযোগি হওয়া, কঠিন সমালোচনা এবং শিশুর ব্যক্তিত্বের উপর দোষারোপ করা।[১৮] অন্যান্য উদাহরণের মধ্যে আছে নাম বিকৃত করে ডাকা, রসিকতা করা, নিচুভাব দেখানো, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ভাংচুর করা, পোষা প্রানী নির্যাতন বা হত্যা করা, অত্যাধিক সমালোচনা, শিশুর কাছ থেকে সঠিক নয় এমন বা বেশি বেশি আশা করা, কথা বলা বন্ধ করা, এবং নিয়মিত লজ্জা দেওয়া বা দোষ দেখা ইত্যাদি।[৪২]

২০১৪ সালে, এপিএ বক্তব্য দেয় যে:[৪৩]

  • "শিশু বয়সে মানসিক নির্যাতন শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের মতই ভয়াবহ"
  • "আমেরিকায় বার্ষিক প্রায় ৩ মিলিয়ন শিশু বিভিন্ন ধরনের মানসিক দুব্যবহারের শিকার হয়"
  • মানসিক নির্যাতন হল শিশুর জন্য সবচেয়ে দ্বন্ধতাপূর্ন এবং সর্বত প্রচলিত নির্যাতন এবং অবহেলা"
  • "এই গুরুত্ব হেতু শিশুর মানসিক নির্যাতন এবং এর ফলে সৃষ্ট নির্যাতিত শিশুর কথা বিবেচনা করে এই সমস্যাকে মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা প্রশিক্ষনের সর্বপ্রথম বিবেচ্য বিষয় হিসেবে দেখা উচিত।"

২০১৫ সালে, আরো গবেষনা ২০১৪ সালে এপিএ কতৃক কৃত এই বক্তব্যগুলোকে আরো সুনিশ্চিত করে।[৪৪][৪৫]

মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশু নির্যাতনকারীর থেকে দুরত্ব তৈরী করে, বিকৃত শব্দসমূহকে মনে ধারন করে বা নির্যাতনকারীর সাথে ঝগড়া করে। মানসিক নির্যাতনের ফলে অস্বাভাবিক বা প্রতিবন্ধকতাপূর্ন জীবন হিসেবে শিশু বেড়ে ওঠে যাকে সংযোজন তত্ব বলে। যেখানে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি নিজেকে নির্যাতনের জন্য দোষারোপ করে, অসহায়ত্ব শিখে, এবং প্রতিবাদ না করার আচরণ করতে শিখে।[৪২]

অবহেলা

শিশু অবহেলা হল কোন বাবা-মা বা অন্য কোন দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হওয়া যেমন প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য সেবা বা তত্বাবধানজনিত কাজে অবহেলা করা যার ফলে শিশুর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পরিপূর্ণ সুস্থতার ক্ষতি হয় বা হুমকি হয়ে দাড়ায়। অবহেলার মধ্যে আরো আছে শিশু তার চারপাশের মানুষের থেকে মনোযোগ না পাওয়া এবং শিশুর বাচার জন্য প্রয়োজনীয় ও সংযুক্ত অন্যান্য জিনিস না পাওয়া যেটা মনোযোগ, ভালবাসা ও যত্নের অভাবে হয়ে থাকে।[১৮]

শিশু অবহেলার ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত কিছু বিষয়ের মধ্যে আছে শিশুটি ঘন ঘন স্কুলে অনুপস্থিত থাকছে, খাবার বা টাকা খোজা বা চুরি করা, স্বাস্থ্যজনিত সেবার অভাব ও দাতের অযত্ন, নিয়মিতই অপরিচ্ছন্ন থাকা এবং আবহাওয়া অনুযায়ী পোষাক পরিধান না করা।[৪৬] child নিরাপত্তা সেবা প্রতিষ্ঠান রিপোট করে যে বিগত বছরগুলোতে অবহেলা হল শিশুদের প্রতি করা সাধারণ দুব্যর্বহারের একটি[৪৭]

অবহেলাপূর্ন কাজগুলোকে ছয়টি উপভাগে ভাগ করা যায়:[৭]

  • তত্বাবধানজনিত অবহেলা: বৈশিষ্ট্য হল বাবা-মা না থাকা যার ফলে শিশুর শারীরিক ক্ষতি, যৌন নিপিড়ন বা অপরাধে জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি
  • শারীরিক অবহেলা: বৈশিষ্ট্যের আছে নূনতম শারীরিক প্রয়োজনগুলো মেটাতে না পারা যেমন নিরাপদ ও পরিষ্কার ঘর;
  • সাস্থ্যজনিত অবহেলা: শিশুকে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে না পারা;
  • মানসিক অবহেলা: যত্ন, উৎসাহ এবং সহায়তা প্রদান না করা;
  • শিক্ষাগত অবহেলা: স্কুলে অংশগ্রহন করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিতে না পারা। এবং
  • ত্যাগ করা: কোন শিশুকে দীর্ঘ সময়ের জন্য একা রেখে যাওয়া

অবহেলার শিকার শিশুর দেরীতে শারীরিক এবং মানসিক গঠন হয়, যার ফলে সাইকোপ্যাথোলজি এবং মস্তিষ্ক সংক্রান্ত কার্যাবলী যেমন ক্রিয়া, মনোযোগ, প্রক্রিয়াকরণ গতি, ভাষা, স্মরণক্ষমতা এবং সামাজিক গুনাবলী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।[৪৮] গবেষনাকারীরা অনুসন্ধানের সময় দেখেছেন যে যেসব শিশু দুর্ব্যবহারের শিকার তারা প্রায়শই দত্তক নেয়া শিশু বা বাবা-মা ছাড়া অন্য কারো কাছে লালিত শিশু। তাদের মানসিক চিন্তা ও আচরণগুলো বাবা-মায়ের কাছে থাকা শিশুর মত হয় কারন তারা চায় হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং নিরাপদ সম্পর্ক তৈরি করতে। তারা নিজেরাই নিজেদের চারপাশ নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে এবং অসামঞ্জস্য সম্পর্ক রাখে। এরকম শিশুরা তাদের প্রতিপালককে নিরাপত্তা প্রদানকারী হিসেবে দেখে না বরং বেড়ে ওঠার সাথে সাথে তাদের প্রতি আগ্রাসী ও অতিক্রিয়তা দেখিয়ে থাকে। এসব শিশু কোন দুব্যর্বহারকারীর সাথে মানিয়ে চলে নিজের ভেতরের অসস্তি বা আবেগ চাপা দিয়ে ফলে তারা অতি তৎপর কিন্তু আন্তরিকতাহীন, নিজ উদ্দেশ্য সাধনে তৎপর এবং কুটিল বৈশিষ্ট্য লাভ করে।[৪৯] যেসব শিশু ছোট অবস্থায় অবহেলার শিকার হয় তারা কারো সাথে সম্পর্ক করা এবং বজায় রাখাতে সমস্যায় পড়ে যেমন বন্ধুত্ব বা প্রেমময় সম্পর্কের ক্ষেত্রে।

পরিণতি

শিশু নির্যাতনের ফলে তাৎক্ষনিক শারীরিক ফলাফল দেখা দিতে পারে কিন্তু তা পোক্তভাবে বৃদ্ধির কে ক্ষতিগ্রস্থ করে।[৫০] এছাড়াও আরো অনেক মারাত্মক শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব যেমন খারাপ স্বাস্থ্য, মারাত্মক শারীরিক হুমকির অবস্থা তৈরী হওয়া, স্বল্প জীবনকাল, শারীরিক আচরণ পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি[৫১][৫২]

এমন দুব্যর্বহারের শিকার শিশু বড় হয়ে দুব্যর্বহারকারী প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠে।[৫৩][৫৪][৫৫] ১৯৯১ সালের করা একটি রিপোর্টে দেখা যায় প্রায় ৯০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্কই শিশু অবস্থায় দুব্যর্বহারের শিকার।[৫৬] প্রায় ৭ মিলিয়ন আমেরিকান বাচ্চা শিশু সেবা নিয়ে থাকে এবং বেশিরভাগ সময়ই সঠিক যত্ন নেয়া হয় না।[৫০]

আবেগপ্রবণ

শিশু নির্যাতনের ফলে বিভিন্ন ধরনের আবেগীক প্রভাব দেখা যায়। যারা নিয়মিতই অবহেলার শিকার হয়, লজ্জা দেয়া হয়, ভয় দেখানো হয় এবং অবমানিত করা হয় তারা শারীরিকভাবে নির্যাতনের থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।[৫৭] জয়ফুল হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ তার পরিবার, যত্নকারী এবং সমাজের প্রভাবে প্রভাবিত হয়।[৫৮] নির্যাতনের শিকার শিশু বড় হয়ে অনিরাপদ বোধ করা, স্ব-উৎসাহের অভাবে, এবং উন্নয়নের অভাববোধ করে। অনেকে সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে না পারা, সামাজিকতা বর্জন, স্কুলে সমস্যার শিকার হওয়া এবং সম্পর্ক গড়ে তোলার সমস্যায় ভুগেন।[৫৭]

বাচ্চা এবং ছোট শিশুরা যারা স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি এমন শিশুরা বড় শিশুর থেকে ভিন্নভাবে আচরণ করে থাকে যদি তারা নির্যাতনের শিকার হয়। এমন শিশুরা যদি মানসিকভাবে নির্যাতন বা অবহেলার শিকার হয় তবে তারা অপরিচিত ব্যক্তি বা যাদের তারা হয়ত বেশি সময় দেখে নি তাদের প্রতি মমতা দেখায়[৫৯] তারা আত্মবিশ্বাসহীন, উদ্বিগ্ন হয়, বাবা-মায়ের সাথে নিবিড় সম্পর্ক হয় না এবং অন্য শিশু বা প্রানীদের প্রতি আগ্রাসী আচরন দেখায় [৫৯] একই বয়সের শিশুদের প্রতি চিহ্নিত করা যায় এমন ভিন্ন আচরণ করে। বড় শিশুরা বাজে ভাষায় কথা বলে, নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে যুদ্ধ করে, বাবা-মায়ের থেকে সরিয়ে ফেলে, সামাজিকতা বর্জন করে এবং খুব কম বন্ধু বান্ধব থাকে।[৫৯]

শিশুরা রিএক্টিভ এটাচমেন্ট সমস্যায় ভুগতে পারে একে চিহ্নিত করা হয় বেড়ে ওঠার সময় অনুচিত সামাজিক সম্পর্ক ও বিশৃঙ্খলতা দিয়ে আর তা শুরুও হয় ৫ বছর বয়সের আগে।[৬০] এই সমস্যা বেশিরভাগ সামাজিক অবস্থায় বিফল হওয়া বা রীতিমাফিক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত করে। দীর্ঘ সময় ধরে কৃত আবেগীক নির্যাতনের ক্ষেত্রে এখনো কোন বিস্তৃত গবেষনা হয় নি কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষনায় এর দীর্ঘ মেয়াদি ফলাফল রেকর্ড করা হচ্ছে। আবেগীক নির্যাতন হতাশা বৃদ্ধি, দুশ্চিন্তা এবং আন্তঃব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরীকে বাধাগ্রস্থ করে (Spertus, Wong, Halligan, & Seremetis, 2003)[৬০] শিশু নির্যাতনের শিকার এবং অবহেলার শিকার শিশুরা কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে অপরাধ করে।[৬১]

গৃহে নিগ্রহের ঘটনা ঘটলে শিশুরা নিগ্রহের প্রভাবে প্রভাবিত হয় যদিও তারা সরাসরি এর শিকার নয় তবুও এটা তাদের মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এক গবেষনায় দেখা গেছে গৃহে নিগ্রহের প্রত্যক্ষকারী শিশু যার পরিমান প্রায় ৩৬.৮%, গুরুতর অপরাধ করে থাকে যেখানে নির্যাতনের সরাসরি শিকার শিশুদের পরিমান ৪৭.৫%। এসব শিশুরা আচরণগত ও মানসিক সমস্যার শিকার হয় যেমন হতাশা, খিটখিটে, উদ্বিগ্ন, পড়ালেখার সমস্যা এবং ভাষা সমস্যায় ভুগে।[৬২]

সর্বতভাবে নির্যাতনের ফলে কোন শিশুর মানসিক ও শারীরিক দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদী সমস্যা হতে পারে যা একটি শিশুর বেড়ে ওঠা এবং উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন হয়।

শারীরিক

বাচ্চার পাজরের ফাটল হতে পারে শিশু নির্যাতনের লক্ষণ

কোন নির্যাতনের শারীরিক প্রভাব বা অবহেলার প্রভাব ছোট হতে পারে যেমন (আচড় বা কাটাছেড়া) অথবা মারাত্মক যেমন ভাঙ্গা হাড়, রক্তক্ষরণ এমনকি মৃত্যুও। কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক প্রভাব হয় স্বল্পস্থায়ী; কিন্তু শিশু যে মানসিক কষ্ট ভোগ করে তাও গণনায় ধরতে হবে। পাজরের ফাটল হওয়া শারীরিক নির্যাতনের সাথে দেখা যায় এবং যদি কোন শিশুর মধ্যে দেখা যায় তবে তা নির্যাতনের প্রতি নির্দেশক হতে পারে কিন্তু খুব কমই এমনটা পাওয়া যায়।[৬৩][৬৪]

শিশু নির্যাতনের ও অবহেলার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা যায় (শারীরিক স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে):

  • শেকেন বেবি সিনড্রোম - শিশুকে ঝাকানো হল সাধারণ প্রকারের শিশু নির্যাতন যেটা প্রায়শই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে (৮০% ) বা মৃত্যুও(৩০% )।[৬৫] ক্ষতিটা হয় ইন্ট্রাকর্নিয়াল হাইপারটেনশনের ফলে (কঙ্কালে চাপ দেয়ার ফলে) যাতে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়, মেরুদন্ড ও ঘাড়ের ক্ষতি, এবং পাজর ও হাড়ে ফাটল ধরা ইত্যাদি।[৬৬]
  • বিকলাঙ্গ মস্তিষ্ক - দেখা গেছে শিশু নির্যাতন এবং অবহেলায় মস্তিষ্কের কোন বিশেষ অংশ সঠিকভাবে গঠন হয়নি বা ব্যবহার হয় না ফলে বিকলাঙ্গ মস্তিষ্কের সৃষ্টি হয়।[৬৭][৬৮] মস্তিষ্কের এই সব পরিবর্তনের দীর্ঘ মেয়াদি ফলাফল বয়ে আনে যা দেখা যায় ভাষা দক্ষতা, শিক্ষাক্ষেত্রে এবং বোধের ক্ষমতায় ।[৬৯]
  • খারাপ স্বাস্থ্য - শিশুকালে কৃত দুব্যবহার মারাত্মক শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব ফেলে , যাতে রয়েছে শিশুকালে অপরিণত স্বাস্থ্য,[৭০] বয়সন্ধি অবস্থায়[৭১] এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিজনিত আচরণ ও স্বল্প জীবনকাল লাভ ইত্যাদি[৫১][৫২] যেসব প্রাপ্তবয়স্ক শিশুকালে নির্যাতন বা অবহেলার শিকার হয়েছেন তারা জীবদ্দশায় চুলকানি, আথ্রাইটিস, এজমা, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, এবং আলসারের মত রোগে ভোগেন[৫২][৭২][৭৩][৭৪] পরবর্তী জীবনে ক্যান্সারের মত রোগ তৈরি হবার ঝুঁকিসহ[৭৫] রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা কমে যাওয়া ইত্যাদি[৭৬]
  • শিশুকালে সহিংসতার শিকার হলে তা টেলোমার স্বল্পতা এবং টেলোমার হ্রাসজনিত কার্যের আংশকা তৈরি করে।[৭৭] টেলোমারের বৃদ্ধির ফলে জীবনকাল হ্রাস পেতে পারে যা ৭-১৫ বছরও হতে পারে।[৭৬]

প্রতিকুল শিশুকালের অভিজ্ঞতা পর্যবেক্ষণ

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভনশন অনুসারে শিশুকালে বৈরী অভিজ্ঞতা লাভের সম্ভাব্য পথের চিত্র যেমন নির্যাতন এবং অবহেলা যা স্বাস্থ্য এবং পরিপূর্ণরূপে জীবনভর ভাল থাকার পথে বাধা হতে পারে[৭৮]

প্রতিকুল শিশুকালের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা হল একটি দীর্ঘমেয়াদি অনুসন্ধান যা শিশুকাল ও প্রতিকুলতার মধ্যে চালানো হয় এতে অর্ন্তভুক্ত আছে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন এবং অবহেলা, ও পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্য সমস্যা। এই গবেষনার প্রাথমিক স্তর শুরু হয় ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সালে সান ডিয়েগো, ক্যালিফোর্নিয়ায়[৭৮] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই গবেষনার উল্লেখ্যযোগ্য দিকগুলোকে এভাবে তুলে ধরে:

প্রতিকুল শিশুকালের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১৭,৩০০ মধ্য বয়সি, মধ্যম আয়ের এবং বেশিরভাগ চাকুরিজীবি অংশগ্রহন করেন ও বলেন যে, শিশুকালে কৃত দুব্যবহার এবং ঘরে কৃত ত্রুটিপূর্ণ আচরণ পরবর্তী জীবদ্দশায় প্রভাব বিস্তার করেছে। এমন সব মারাত্মক রোগ যেগুলো আমেরিকায় মৃত্যুর সাধারণ কারন এবং বিকলাঙ্গতার কারণ। এই গবেষনায় শিশুকালে কৃত দুব্যবহার এবং ঘরে কৃত ত্রুটিপূর্ণ আচরণের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল ও অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে যেমন: মানসিক, শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন; মায়ের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আচরণ; এবং পরিবারের সদস্য যা হয়ত নির্যাতনকারী, মানসিকভাবে অসুস্থ অথবা আত্মঘাতক অথবা জেল খেটেছেন এমন ব্যক্তি। প্রতিকুল অভিজ্ঞতা (যেমন শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন শিশুকালে) এবং পরবর্তী জীবনে নিজে দাখিল করা রিপোর্ট যেমন সিগারেট পান, স্থুলতা, শারীরিক অকার্যকারিতা, মদ্যপান, নেশাজাতীয় নির্যাতন, হতাশা, আত্মহননের চেষ্টা, যৌন উশৃঙ্খলতা এবং যৌনবাহিত রোগ ইত্যাদির মধ্যে গুরুতর সম্পর্ক রয়েছে। অধিকন্তু, যেসব মানুষ শিশুকালে অধিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে রিপোর্ট করেছেন তারা অনেক বেশি স্বাস্থ্য ঝুকিগত আচরণ করেছেন, যা এই রিপোর্টের মতে একটি খাপ খাওয়ানোর চেষ্টার ফলে হয়েছে। একইভাবে, বেশি প্রতিকুল শিশুকালের অভিজ্ঞতার রিপোর্ট হয়েছে এমন ব্যক্তির দেখা গেছে হৃদরোগজনিত সমস্যা, ক্যান্সার, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাড়ে ফাটল, লিভারের রোগ এবং খারাপ স্বাস্থ্যের অধিকারী হন। সুতরাং শিশুর প্রতি দুব্যবহার এবং অন্যান্য প্রতিকূল শিশুকালের অভিজ্ঞতা হল স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ, রোগাক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর কারন। আর এটি নিয়মিত পরীক্ষায় ধরা যেতে পারে। যদিও এসিই'র করা গবেষনাটি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ তবুও এটা ধরে নেয়া যেতে পারে যে এই ধরনের প্রবনতা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অর্থনৈতিক স্তরের মানুষের মধ্যে এবং সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে এমন জায়গায় রয়েছে।[১৩]

প্রাপ্তবয়স্কদের উপর করা একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় জানা গেছে শিশুকাল বৈরী অভিজ্ঞতার শিকার যেমন মৌখিক, শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন, এছাড়াও অন্যান্য ধরনের শিশুকালের ট্রমার মধ্যে ২৫.৯% প্রাপ্তবয়স্ক মৌখিক নির্যাতনের শিকার, ১৪.৮% রিপোর্ট করেছেন শারীরিক নির্যাতন, এবং ১২.২% রিপোর্ট করেছেন যৌন নির্যাতন। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভনশন এবং বিহেবরিয়া রিস্ক ফ্যক্টর সার্ভেলেন্স সিস্টেম এই সব তথ্য উপাত্ত প্রদান করে।[৭৯] শিশুকাল বৈরী অভিজ্ঞতা লাভের সাথে খারাপ স্বাস্থ্য লাভের সম্পর্ক রয়েছে যার ফলে ক্যান্সার, হার্ট এ্যাটাক, মানসিক রোগ, জীবনকাল কমে যাওয়া, নেশা এবং মদ্যপানের মাধ্যমে নিজেকে নির্যাতন করার প্রবণতা উল্লেখ্য।[৮০] ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে কৃত একটি নাম গোপনীয় জরিপে ছাত্ররা দেখে যে প্রায় ৬-৭% অষ্টম, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেনীর সত্যিই আত্মহনন করতে চেয়েছিল। হতাশার রেট দ্বিগুনের চেয়েও বেশি। অন্যান্য ঝুকিগত আচরনের মাত্রাও ছিল বেশি।[৮১] শিশু শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের সাথে আত্মহত্যার সম্পর্ক রয়েছে।[৮২] আইনি এবং সাংস্কৃতিক কারন ছাড়াও পিতা-মাতার থেকে আলাদা করা হবে এই আশংকায় শিশুরা নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে না বা রিপোর্ট করা হয় না।

শিশুকালে নির্যাতন নেশা ও মদ্যপানের অভ্যাশ গড়ার ঝুকি বাড়ায় কৈশর ও প্রাপ্তবয়স্ক লোকের মধ্যে। গবেষনায় দেখা গেছে যেকোন ধরনের শিশুকালীন নির্যাতনের ফলে মস্তিষ্কের পরিবর্তন সাধিত হয় আর তা কোন ব্যক্তিকে আসক্তিমুলক কাজের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। একটি গুরুত্বপূর্ন গবেষনায় ৯০০টি কোর্ট কেসের উপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যেসব শিশু নির্যাতন, যৌন এবং শারীরিক নির্যাতন, পাশাপাশি রয়েছে অবহেলা করার মত মামলা সেইসব ব্যক্তিরা বর্তমানে মদ্যপানে আসক্ত। শিশুকালে নির্যাতনের ফলে কিভাবে আসক্তিমুলক কাজে জড়িয়ে পড়ে কোন ব্যক্তি তাই এই গবেষণার মূল বিষয়।[৮৩]

বাল্য বিবাহ

বাল্য বিবাহ হল দুজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক লোকের মধ্যে বিবাহ অথবা কোন প্রাপ্ত বয়স্কের সাথে কোন শিশুর বিবাহ যেখানে প্রায়ই দেখা যায় শিশুটি বয়সন্ধিকাল পেরোয়নি এমন। বাল্য বিবাহ পৃথিবীর অনেক জায়গায়ই সাধারণ ঘটনা, বিশেষত এশিয়া এবং আফ্রিকায়। যেহেতু ১৮ বছরের নিচে কোন ব্যাক্তি বিয়েতে পূর্ন সম্মতি দিতে পারে না সেহেতু বাল্য বিবাহকে বলা হয় জোরপূর্বক বিবাহ। এরূপ বিবাহে শিশু নির্যাতনে গুরুতর আশংকা থাকে।[৮৪]অনেক দেশেই এমন আচরণ আইনানুগ এবং এমনকি যেখানে এরূপ বিবাহ নিষিদ্ধ সেখানেও এর কোন প্রয়োগ নেই[৮৫]

ভারতে সবচেয়ে বেশি বাল্য বিবাহ হয় প্রায় ৪০% সারা বিশ্বের তুলনায়।[৮৬] সবচেয়ে বেশি বাল্য বিবাহ হয় এমন দেশ হল: নাইজার (৭৫%), মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক এবং চাদ (৬৮%), এবং বাংলাদেশ (৬৬%).[৮৭]


আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Coghill, D.; Bonnar, S.; Duke, S.; Graham, J.; Seth, S. (২০০৯)। Child and Adolescent PsychiatryOxford University Press। পৃষ্ঠা 412। আইএসবিএন 0-19-923499-X। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৬ 
  2. Wise, Deborah (২০১১)। "Child Abuse Assessment"। Hersen, Michel। Clinician's Handbook of Child Behavioral AssessmentAcademic Press। পৃষ্ঠা 550। আইএসবিএন 0-08-049067-0। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৬ 
  3. Leeb, R.T.; Paulozzi, L.J.; Melanson, C.; Simon, T.R.; Arias, I. (জানুয়ারি ২০০৮)। Child Maltreatment Surveillance: Uniform Definitions for Public Health and Recommended Data Elements, Version 1.0 (পিডিএফ)। Atlanta, Georgia: Centers for Disease Control and Prevention, National Center for Injury Prevention and Control। ২৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. McCoy, M.L.; Keen, S.M. (২০১৩)। "Introduction"। Child Abuse and Neglect (2 সংস্করণ)। New York: Psychology Press। পৃষ্ঠা 3–22। আইএসবিএন 1-84872-529-9ওসিএলসি 863824493। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  5. Conley, Amy (২০১০)। "2. Social Development, Social Investment, and Child Welfare"। Midgley, James; Conley, Amy। Social Work and Social Development: Theories and Skills for Developmental Social WorkOxford University Press। পৃষ্ঠা 53–55। আইএসবিএন 0-19-045350-8। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৬ 
  6. Bonnie S. Fisher; Steven P. Lab, সম্পাদকগণ (২০১০)। Encyclopedia of Victimology and Crime PreventionSage Publications। পৃষ্ঠা 86–92। আইএসবিএন 1-4522-6637-9। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৬ 
  7. "What is Child Abuse and Neglect?"। Australian Institute of Family Studies। সেপ্টেম্বর ২০১৫। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. Mehnaz, Aisha (২০১৩)। "Child Neglect: Wider Dimensions"। RN Srivastava; Rajeev Seth; Joan van Niekerk। Child Abuse and Neglect: Challenges and Opportunities। JP Medical Ltd। পৃষ্ঠা 101। আইএসবিএন 9350904497। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। Many do not consider neglect a kind of abuse especially in a condition where the parents are involved as it is often considered unintentional and arise from a lack of knowledge or awareness. This may be true in certain circumstances and often it results in insurmountable problem being faced by the parents. 
  9. Friedman, E; Billick, SB (জুন ২০১৫)। "Unintentional child neglect: literature review and observational study."। Psychiatric Quarterly86 (2): 253–9। ডিওআই:10.1007/s11126-014-9328-0(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য))[T]he issue of child neglect is still not well understood, partially because child neglect does not have a consistent, universally accepted definition. Some researchers consider child neglect and child abuse to be one in the same [sic], while other researchers consider them to be conceptually different. Factors that make child neglect difficult to define include: (1) Cultural differences; motives must be taken into account because parents may believe they are acting in the child's best interests based on cultural beliefs (2) the fact that the effect of child abuse is not always immediately visible; the effects of emotional neglect specifically may not be apparent until later in the child's development, and (3) the large spectrum of actions that fall under the category of child abuse. 
  10. "Child abuse and neglect by parents and other caregivers" (পিডিএফ)World Health Organization। পৃষ্ঠা 3। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৬ 
  11. Herrenkohl RC (২০০৫)। "The definition of child maltreatment: from case study to construct"। Child Abuse and Neglect29 (5): 413–24। ডিওআই:10.1016/j.chiabu.2005.04.002পিএমআইডি 15970317 
  12. "Definitions of Child Abuse and Neglect in Federal Law"childwelfare.gov। Children’s Bureau, Administration for Children and Families, U.S. Department of Health and Human Services। 16 May 2016 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ February 2016  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  13. World Health Organization and International Society for Prevention of Child Abuse and Neglect (২০০৬)। "1. The nature and consequences of child maltreatment"। Preventing child maltreatment: a guide to taking action and generating evidence (PDF)। Geneva, Switzerland। আইএসবিএন 9241594365 
  14. Noh Anh, Helen (1994). "Cultural Diversity and the Definition of Child Abuse", in Barth, R.P. et al., Child Welfare Research Review, Columbia University Press, 1994, p. 28. আইএসবিএন ০-২৩১-০৮০৭৪-৩
  15. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Lessons নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  16. Saunders, Bernadette; Goddard, Chris (২০১০)। Physical Punishment in Childhood: The Rights of the Child। Chichester, West Sussex, UK: John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 2–3। আইএসবিএন 978-0-470-72706-5 
  17. Pinheiro, Paulo Sérgio (২০০৬)। "Violence against children in the home and family"World Report on Violence Against Children। Geneva, Switzerland: United Nations Secretary-General's Study on Violence Against Children। আইএসবিএন 92-95057-51-1। ১১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  18. Theoklitou D, Kabitsis N, Kabitsi A (২০১২)। "Physical and emotional abuse of primary school children by teachers"। Child Abuse Negl36 (1): 64–70। ডিওআই:10.1016/j.chiabu.2011.05.007পিএমআইডি 22197151 
  19. "Alice Miller – Child Abuse and Mistreatment"। ৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  20. "Archived copy"। ১০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  21. "Child Sexual Abuse"Medline Plus। U.S. National Library of Medicine। ২ এপ্রিল ২০০৮। ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  22. "Guidelines for psychological evaluations in child protection matters. Committee on Professional Practice and Standards, APA Board of Professional Affairs"। The American Psychologist54 (8): 586–93। আগস্ট ১৯৯৯। ডিওআই:10.1037/0003-066X.54.8.586পিএমআইডি 10453704Abuse, sexual (child): generally defined as contacts between a child and an adult or other person significantly older or in a position of power or control over the child, where the child is being used for sexual stimulation of the adult or other person. 
  23. Martin J, Anderson J, Romans S, Mullen P, O'Shea M (১৯৯৩)। "Asking about child sexual abuse: methodological implications of a two stage survey"। Child Abuse & Neglect17 (3): 383–92। ডিওআই:10.1016/0145-2134(93)90061-9পিএমআইডি 8330225 
  24. NSPCC। "Search"NSPCC। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  25. Brown, Patricia Leigh (২৩ মে ২০১১)। "In Oakland, Redefining Sex Trade Workers as Abuse Victims"The New York Times। ২৬ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১১Once viewed as criminals and dispatched to juvenile centers, where treatment was rare, sexually exploited youths are increasingly seen as victims of child abuse, with a new focus on early intervention and counseling. 
  26. Roosa MW, Reinholtz C, Angelini PJ (১৯৯৯)। "The relation of child sexual abuse and depression in young women: comparisons across four ethnic groups"Journal of Abnormal Child Psychology27 (1): 65–76। পিএমআইডি 10197407। ২০০৪-১২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  27. Widom CS (১৯৯৯)। "Post-traumatic stress disorder in abused and neglected children grown up"American Journal of Psychiatry156 (8): 1223–1229। ডিওআই:10.1176/ajp.156.8.1223 (নিষ্ক্রিয় ২০১৭-০১-৩১)। পিএমআইডি 10450264 
  28. Levitan R. D.; Rector N. A.; Sheldon T.; Goering P. (২০০৩)। "Childhood adversities associated with major depression and/or anxiety disorders in a community sample of Ontario: Issues of co-morbidity and specificity"Depression & Anxiety17 (1): 34–42। ডিওআই:10.1002/da.10077পিএমআইডি 12577276 
  29. "Confirmation of Childhood Abuse in Child and Adolescent Case... : The Journal of Nervous and Mental Disease"LWW। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  30. Messman-Moore, T. L.; Long, P. J. (২০০০)। "Child Sexual Abuse and Revictimization in the Form of Adult Sexual Abuse, Adult Physical Abuse, and Adult Psychological Maltreatment"। Journal of Interpersonal Violence15 (5): 489–502। ডিওআই:10.1177/088626000015005003 
  31. Hornor, G (২০১০)। "Child sexual abuse: consequences and implications"। Journal of Pediatric Health Care24 (6): 358–364। ডিওআই:10.1016/j.pedhc.2009.07.003পিএমআইডি 20971410 
  32. Dinwiddie S, Heath AC, Dunne MP, Bucholz KK, Madden PA, Slutske WS, Bierut LJ, Statham DB, Martin NG (২০০০)। "Early sexual abuse and lifetime psychopathology: a co-twin-control study"Psychological Medicine30 (1): 41–52। ডিওআই:10.1017/S0033291799001373পিএমআইডি 10722174। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  33. Thornton, Clifton P.; Veenema, Tener Goodwin (২০১৫)। "Children seeking refuge: A review of the escalating humanitarian crisis of child sexual abuse and HIV/AIDS in Latin America"Journal of the Association of Nurses in AIDS Care26 (4): 432–442। ডিওআই:10.1016/j.jana.2015.01.002। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫ 
  34. Whealin, Julia (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Child Sexual Abuse"। National Center for Post Traumatic Stress Disorder, US Department of Veterans Affairs। ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  35. Finkelhor D (১৯৯৪)। "Current information on the scope and nature of child sexual abuse" (পিডিএফ)The Future of Children। Princeton University। 4 (2): 31–53। জেস্টোর 1602522ডিওআই:10.2307/1602522পিএমআইডি 7804768। ১৩ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  36. Gorey KM, Leslie DR (এপ্রিল ১৯৯৭)। "The prevalence of child sexual abuse: integrative review adjustment for potential response and measurement biases"। Child Abuse & Neglect21 (4): 391–8। ডিওআই:10.1016/S0145-2134(96)00180-9পিএমআইডি 9134267 
  37. Finkelhor, David; Richard Ormrod; Mark Chaffin (২০০৯)। "Juveniles Who Commit Sex Offenses Against Minors" (পিডিএফ)Washington, DC: Office of Juvenile Justice and Delinquency Prevention. Office of Justice Programs, Department of Justice। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  38. "India's hidden incest ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ মে ২০১৩ তারিখে," BBC News, 22 January 1999.
  39. Donald Black। DSM-5® Guidebook: The Essential Companion to the Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders, Fifth Edition। পৃষ্ঠা 423আইএসবিএন 978-1-58562-465-2 
  40. John E. B. Myers। The APSAC Handbook on Child Maltreatment। SAGE Publications Inc। পৃষ্ঠা 126–130আইএসবিএন 978-1-4129-6681-8 
  41. "Child Abuse Laws State-by-State"findLaw। ৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  42. "Child Abuse"। The National Center for Victims of Crime। ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  43. "Childhood Psychological Abuse as Harmful as Sexual or Physical Abuse"। The American Psychological Association। ৮ অক্টোবর ২০১৪। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  44. McGill University। "Different types of child abuse: Similar consequences"Science News। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  45. Loudenback, Jeremy। "Is Emotional Abuse as Harmful as Physical and Sexual Abuse?"Chronicle of Social Change। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  46. "Chronic neglect" (পিডিএফ)। ১১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১২ 
  47. "child Maltreatment 2010: Summary of Key Findings" (পিডিএফ)। children's Bureau, child Welfare Information Gateway, Protecting children Strengthening Families। 16 September 2012 তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ May 2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  48. "Neurocognitive impacts for children of poverty and neglect"। Apa.org। জুলাই ২০১২। ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ 
  49. Golden J.A., Prather W. (২০০৯)। "A behavioral perspective of childhood trauma and attachment issues: toward alternative treatment approaches for children with a history of abuse"। International Journal of Behavioral and Consultation Therapy5: 56–74। 
  50. Cohn Jonathan (২০১১)। ""The Two Year Window." (Cover story)"New Republic242 (18): 10–13। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  51. Middlebrooks, J.S.; Audage, N.C. (২০০৮)। The Effects of childhood Stress on Health Across the Lifespan (পিডিএফ)। Atlanta, Georgia (USA): Centers for Disease Control and Prevention, National Center for Injury Prevention and Control। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  52. Dolezal, T.; McCollum, D.; Callahan, M. (২০০৯)। Hidden Costs in Health Care: The Economic Impact of Violence and Abuse। Academy on Violence and Abuse। 
  53. Thornberry TP, Henry KL (২০১৩)। "Intergenerational continuity in maltreatment"J Abnorm child Psychol41 (4): 555–569। ডিওআই:10.1007/s10802-012-9697-5পিএমআইডি 23192742পিএমসি 3640695অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  54. Ertem IO, Leventhal JM, Dobbs S (২০০০)। "Intergenerational continuity of child physical abuse: how good is the evidence?"। Lancet356 (9232): 814–9.। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(00)02656-8পিএমআইডি 11022929 
  55. Thornberry TP, Knight KE, Lovegrove PJ (২০১২)। "Does maltreatment beget maltreatment? A systematic review of the intergenerational literature."Trauma Violence Abuse.13 (3): 135–52.। ডিওআই:10.1177/1524838012447697পিএমআইডি 22673145পিএমসি 4035025অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  56. Starr RH, Wolfe DA (1991). The Effects of child Abuse and neglect (pp. 1–33). New York: The Guilford Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৯৮৬২-৭৫৯-৬
  57. "Emotional Abuse"American Humane Association। ২২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  58. "www.joyfulheartfoundation.org/learn/child-abuse-neglect/effects-child-abuse-neglect"www.joyfulheartfoundation.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২২ 
  59. "Emotional abuse: Signs, symptoms and effects"NSPCC। ২৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  60. "Reactive attachment disorder"। ১১ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। টেমপ্লেট:Subscription needed
  61. "Impact of child abuse"Adults Surviving child Abuse (ASCA)। ২৪ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  62. "Behind Closed Doors: The Impact of Domestic Violence on children" (পিডিএফ)UNICEF। ২০০৬। 
  63. Kemp AM, Dunstan F, Harrison S, Morris S, Mann M, Rolfe K, Datta S, Thomas DP, Sibert JR, Maguire S (২০০৮)। "Patterns of skeletal fractures in শিশু নির্যাতন: systematic review"BMJ337 (oct02 1): a1518। ডিওআই:10.1136/bmj.a1518পিএমআইডি 18832412পিএমসি 2563260অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  64. Lee, Joseph Jonathan; Gonzalez-Izquierdo, Arturo; Gilbert, Ruth (৩১ অক্টোবর ২০১২)। "Risk of Maltreatment-Related Injury: A Cross-Sectional Study of children under Five Years Old Admitted to Hospital with a Head or Neck Injury or Fracture"PLoS ONE7 (10): e46522। আইএসএসএন 1932-6203ডিওআই:10.1371/journal.pone.0046522পিএমআইডি 23118853পিএমসি 3485294অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2012PLoSO...746522L। ৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  65. Morad Y, Wygnansky-Jaffe T, Levin AV (২০১০)। "Retinal haemorrhage in abusive head trauma."। Clin Exp Ophthalmol38 (5): 514–520। ডিওআই:10.1111/j.1442-9071.2010.02291.xপিএমআইডি 20584025 
  66. "Shaken Baby Syndrome information page"। National Institute of Neurological Disorders এবং Stroke। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  67. De Bellis MD, Thomas LA (২০০৩)। "Biologic findings of post-traumatic stress disorder এবং শিশু maltreatment."। Curr Psychiatry Rep5 (2): 108–17। ডিওআই:10.1007/s11920-003-0027-zপিএমআইডি 12685990 
  68. Raabe FJ, Spengler D (৭ আগস্ট ২০১৩)। "Epigenetic risk factors in PTSD এবং depression"Frontiers in Psychiatry4 (80): 80। ডিওআই:10.3389/fpsyt.2013.00080পিএমআইডি 23966957পিএমসি 3736070অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  69. Tiffany Watts-English T, Fortson BL, Gibler N, Hooper SR, De Bellis MD Journal of Social Issues 2006 Volume 62, Issue 4, pages 717–736 doi=10.1111/j.1540-4560.2006.00484.x "Archived copy" (পিডিএফ)। ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৪ 
  70. Flaherty EG; Thompson R; Litrownik AJ; ও অন্যান্য (ডিসে ২০০৬)। "Effect of early শিশুhood adversity on শিশু health"। Arch Pediatr Adolesc Med160 (12): 1232–8। ডিওআই:10.1001/archpedi.160.12.1232পিএমআইডি 17146020 
  71. Flaherty EG, Thompson R, Dubowitz H, et al Adverse শিশুhood experiences এবং শিশু health in early adolescence. JAMA Pediatr. 2013 Jul;167(7):622-9. doi=10.1001/jamapediatrics.2013.22 PubMed
  72. Springer KW, Sheridan J, Kuo D, Carnes M (২০০৭)। "Long-term শারীরিক এবং mental health consequences of শিশুhood শারীরিক নির্যাতন: results from a large population-based sample of men এবং women"শিশু নির্যাতন Negl31 (5): 517–30। ডিওআই:10.1016/j.chiabu.2007.01.003পিএমআইডি 17532465পিএমসি 3031095অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  73. Long-Term Consequences of শিশু নির্যাতন এবং অবহেলা. শিশু Welfare Information Gateway, U.S. Department of Health এবং Human Services 2013. Factsheet ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ নভেম্বর ২০১০ তারিখে
  74. Felitti VJ, এবংa RF, Nordenberg D, Williamson DF, Spitz AM, Edwards V, Koss MP, Marks JS (১৯৯৮)। "Relationship of শিশুhood নির্যাতন এবং household dysfunction to many of the leading causes of death in adults. The Adverse শিশুhood Experiences (ACE) Study"। American Journal of Preventative Medicine14 (4): 245–58। ডিওআই:10.1016/S0749-3797(98)00017-8পিএমআইডি 9635069  ভ্যানকুভার শৈলীতে ত্রুটি: non-Latin character (সাহায্য)
  75. Fuller-Thomson E, Brennenstuhl S (জুলাই ২০০৯)। "Making a link between শিশুhood শারীরিক নির্যাতন এবং cancer: results from a regional representative survey"। Cancer115 (14): 3341–50। ডিওআই:10.1002/cncr.24372পিএমআইডি 19472404 
  76. Kolassa, Iris – Tatjana। "Biological memory of শিশুhood maltreatment – current knowledge এবং recommendations for future research" (পিডিএফ)Ulmer Volltextserver – Institutional Repository der Universität Ulm। ২৭ মে ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৪ 
  77. Shalev I, Moffitt TE, Sugden K, Williams B, Houts RM, Danese A, Mill J, Arseneault L, Caspi A (২০১৩)। "Exposure to violence during শিশুhood is associated with telomere erosion from 5 to 10 years of age: a longitudinal study"Mol. Psychiatry18 (5): 576–81। ডিওআই:10.1038/mp.2012.32পিএমআইডি 22525489পিএমসি 3616159অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  78. Division of হিংসাত্মক আচরণ Prevention। আচরণprevention/acestudy/ "The Adverse শিশুকাল Experiences (ACE) Study" |archiveurl= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)cdc.gov। Centers for Disease Control এবং Prevention। 31 December 2015 তারিখে আচরণprevention/acestudy/ মূল |url= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ January 2016  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  79. "Adverse শিশুকাল Experiences Reported by Adults --- Five States, 2009"। ১১ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  80. "Adverse শিশুকাল Experiences (ACE) Study -শিশু Maltreatment-হিংসাত্মক আচরণ Prevention-Injury Center-CDC"। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  81. "Washington State Healthy Youth Survey 2010 Analytic Report" (পিডিএফ) (Report)। Washington State Department of Health। জুন ২০১১। ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  82. Miller AB; ও অন্যান্য (২০১৩)। "The Relation Between শিশু Maltreatment এবং Adolescent Suicidal Behavior: A Systematic Review এবং Critical Examination of the Literature"Clin শিশু Fam Psychol Rev16 (2): 146–72। ডিওআই:10.1007/s10567-013-0131-5পিএমআইডি 23568617পিএমসি 3724419অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  83. Enoch, Marry-Anne (২০১১)। "The role of early life stress as a predictor for alcohol এবং drug dependence"Psychopharmacology: 17–31। ডিওআই:10.1007/s00213-010-1916-6পিএমআইডি 20596857পিএমসি 3005022অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  84. "Definition of forced এবং শিশু marriage"। United Nations Entity for Gender Equality এবং the Empowerment of Women। ১৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  85. Thomas, Cheryl (১৯ জুন ২০০৯)। "Forced এবং early marriage: a focus on central এবং eastern Europe এবং former Soviet Union countries with selected laws from other countries" (পিডিএফ)। United Nations Division for the Advancement of Women; United Nations Economic Commission for Africa। ৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। 
  86. Bhowmick, Nilanjana (১৪ অক্টোবর ২০১৩)। "India Criticized for Not Co-Sponsoring U.N. শিশু-Bride Resolution"Time। ২৯ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  87. "শিশু brides around the world sold off like cattle"USA Today। ৮ মার্চ ২০১৩। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:শিশু এবং তাদের যত্ন টেমপ্লেট:নির্যাতন

টেমপ্লেট:Use dmy dates