বিষয়বস্তুতে চলুন

ধর্মীয় সম্প্রদায় দ্বারা বিবর্তনবাদ প্রত্যাখান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ইতিহাস: কাজ চলছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Man_is_But_a_Worm.jpg|থাম্ব|১৮৮২ সালে প্রকাশিত একটি ব্যঙ্গচিত্র, যেখানে বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনকে তার বিবর্তন তত্ত্বের উপর প্রকাশনার (১৮৮১) জন্য ব্যঙ্গ করা হয়েছে। ]]
[[চিত্র:Man_is_But_a_Worm.jpg|থাম্ব|১৮৮২ সালে প্রকাশিত একটি ব্যঙ্গচিত্র, যেখানে বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনকে তার বিবর্তন তত্ত্বের উপর প্রকাশনার (১৮৮১) জন্য ব্যঙ্গ করা হয়েছে। ]]
 {{কাজ চলছে}}
 '''সৃষ্টি- বিবর্তন বিতর্ক''' ( সৃষ্টি বনাম বিবর্তন বিতর্ক কিংবা জীবনের ভিত্তি বিতর্ক নামেও পরিচিত) হল পৃথিবী, মানবতা, ও অন্যান্য জীবের উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি চলমান, পুনরাবৃত্তিমূলক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, এবং ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্ক। খ্রিস্টান বিশ্বে সৃষ্টিবাদকে একসময় বিশাল পরিসরে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করা হত। কিন্তু ১৯ শতকের মাঝামাঝি  সময় থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন একটি পরীক্ষিত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। <ref name="Skoog">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.nsta.org/evolution/#qanda|title=An NSTA Evolution Q&A|last=Skoog|first=Gerald|year=2007|website=National Science Teachers Association|publisher=[[National Science Teachers Association]]|location=Arlington, VA|access-date=2014-08-27}}</ref>

'''সৃষ্টি- বিবর্তন বিতর্ক''' ( সৃষ্টি বনাম বিবর্তন বিতর্ক কিংবা জীবনের ভিত্তি বিতর্ক নামেও পরিচিত) হল পৃথিবী, মানবতা, ও অন্যান্য জীবের উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি চলমান, পুনরাবৃত্তিমূলক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, এবং ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্ক। খ্রিস্টান বিশ্বে সৃষ্টিবাদকে একসময় বিশাল পরিসরে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করা হত। কিন্তু ১৯ শতকের মাঝামাঝি  সময় থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন একটি পরীক্ষিত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। <ref name="Skoog">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.nsta.org/evolution/#qanda|title=An NSTA Evolution Q&A|last=Skoog|first=Gerald|year=2007|website=National Science Teachers Association|publisher=[[National Science Teachers Association]]|location=Arlington, VA|access-date=2014-08-27}}</ref>


বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট থেকে নয় বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই বিতর্কে অস্তিত্ব রয়েছে। কেননা, বিজ্ঞান সমাজে বিবর্তন ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত ও প্রমানিত। <ref>[http://www.interacademies.net/10878/13901.aspx IAP Statement on the Teaching of Evolution] Joint statement issued by the national science academies of 67 countries, including the [//en.wikipedia.org/wiki/United_Kingdom United Kingdom's] [//en.wikipedia.org/wiki/Royal_Society Royal Society] (PDF file)</ref> শুধু তাই নয়, সৃষ্টবাদের মত প্রাচীন চিন্তাভাবনাকে অপবিজ্ঞান বলে বিশ্বজুড়ে আখ্যায়িত করা হয়। <ref name="IAP_2006">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.interacademies.net/10878/13901.aspx|title=IAP Statement on the Teaching of Evolution|last=IAP Member Academies|date=June 21, 2006|website=[[InterAcademy Panel|IAP]]|publisher=[[TWAS|The World Academy of Sciences]]|location=Trieste, Italy|access-date=2014-08-27}}</ref><ref name="Kitzmiller_p83">{{cite court|litigants=Kitzmiller v. Dover Area School District|vol=04|reporter=cv|opinion=2688|court=M.D. Pa.|date=December 20, 2005}} [[wikisource:Kitzmiller v. Dover Area School District/4:Whether ID Is Science#Page_83_of_139|Whether ID Is Science, p. 83]].</ref><ref name="Larson_p258">{{Harvard citation no brackets}}: "Virtually no secular scientists accepted the doctrines of creation science; but that did not deter creation scientists from advancing scientific arguments for their position."</ref> যদিও এই বিতর্কের একটি সুপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে,{{Sfn|Numbers|1992}}<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}<code>&#x7C;title=</code> অনুপস্থিত বা খালি ([[সাহায্য:উদ্ধৃতি শৈলী ১ ত্রুটি#citation missing title|সাহায্য]])
বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট থেকে নয় বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই বিতর্কে অস্তিত্ব রয়েছে। কেননা, বিজ্ঞান সমাজে বিবর্তন ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত ও প্রমানিত। <ref>[http://www.interacademies.net/10878/13901.aspx IAP Statement on the Teaching of Evolution] Joint statement issued by the national science academies of 67 countries, including the [//en.wikipedia.org/wiki/United_Kingdom United Kingdom's] [//en.wikipedia.org/wiki/Royal_Society Royal Society] (PDF file)</ref> শুধু তাই নয়, সৃষ্টবাদের মত প্রাচীন চিন্তাভাবনাকে অপবিজ্ঞান বলে বিশ্বজুড়ে আখ্যায়িত করা হয়। <ref name="IAP_2006">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.interacademies.net/10878/13901.aspx|title=IAP Statement on the Teaching of Evolution|last=IAP Member Academies|date=June 21, 2006|website=[[InterAcademy Panel|IAP]]|publisher=[[TWAS|The World Academy of Sciences]]|location=Trieste, Italy|access-date=2014-08-27}}</ref><ref name="Kitzmiller_p83">{{cite court|litigants=Kitzmiller v. Dover Area School District|vol=04|reporter=cv|opinion=2688|court=M.D. Pa.|date=December 20, 2005}} [[wikisource:Kitzmiller v. Dover Area School District/4:Whether ID Is Science#Page_83_of_139|Whether ID Is Science, p. 83]].</ref><ref name="Larson_p258">{{Harvard citation no brackets}}: "Virtually no secular scientists accepted the doctrines of creation science; but that did not deter creation scientists from advancing scientific arguments for their position."</ref> যদিও এই বিতর্কের একটি সুপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে,{{Sfn|Numbers|1992}}<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}<code>&#x7C;title=</code> অনুপস্থিত বা খালি ([[সাহায্য:উদ্ধৃতি শৈলী ১ ত্রুটি#citation missing title|সাহায্য]])
১৬ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:
=== ডারউইনের প্রতি তৎকালীন সমসাময়িক প্রতিক্রিয়া ===
=== ডারউইনের প্রতি তৎকালীন সমসাময়িক প্রতিক্রিয়া ===
=== ধর্মতত্ত্বে সৃষ্টিবাদ===
=== ধর্মতত্ত্বে সৃষ্টিবাদ===

=== ডারউইনের প্রতি সমসাময়িক প্রতিক্রিয়া ===
{{See also|অরিজিন অফ স্পিসিজ গ্রন্থের উপর প্রতিক্রিয়া}}
[[File:Editorial_cartoon_depicting_Charles_Darwin_as_an_ape_(1871).jpg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Editorial_cartoon_depicting_Charles_Darwin_as_an_ape_(1871).jpg|থাম্ব|একটি এপ হিসেবে ডারউইনের বিদ্রুপাত্মক চিত্র যা ১৮৭১ সাল থেকে মানুষ ও এপ এর সাধারণ বংশধারা আছে- এই মতবাদ নিয়ে সামাজিক বিতর্কের প্রতিফলন ঘটায়। ]]
[[File:Asa_Gray_1870s.jpg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Asa_Gray_1870s.jpg|থাম্ব|''ডারউইনিয়ানা'' গ্রন্থের প্রকাশের সময় আসা গ্রে]]
{{quote|উনিশ শতকের শেষের দিকে সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে সকল জীবের আবির্ভাব ঘটে - এই মৌলিক বিবর্তনীয় মতবাদের কোন গুরুতর বৈজ্ঞানিক বিরোধিতা ছিল না।|থমাস ডিক্সন|''সায়েন্স এন্ড রেলিজিয়ন: এ ভেরি শর্ট ইন্ট্রোডাকশন"&thinsp;{{sfn|Dixon|2008|p=77|ps=}}}}১৮৫৯ সালে ডারউইনের ''অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ'' এর প্রকাশ বিবর্তনের উপর বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দেয়, এবং এটাকে একটি সম্মানিত শিক্ষার বিষয়ে পরিণত করে।{{sfn|van Wyhe|2006|ps=}}

যদিও ডারউইনের বইতে কোন রকম ধর্মীয় ব্যাপারে কথা ছিল না, এরপরও ''এসেস এন্ড রিভিউজ'' (১৮৬০) গ্রন্থের উচ্চতর সমালোচনা নিয়ে যে ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্কের সূচনা হয় তা খুব ভালভাবেই চার্চ অফ ইংল্যান্ডের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সসক্ষম হয়। সেই রচনার কোন কোন উদারপন্থী লেখক ডারউইনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন, অনেক ননকনফরমিস্টও ডারউইনকে সমর্থন করেন, যেমন রেভারেন্ড চার্ল কিংগসলে এই ধারণাকে সমর্থন করেছিলেন যে, ঈশ্বর বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টির সব জীবকে তৈরি করেছেন।<ref>{{cite journal|last=Hale|first=Piers|date=July 2012|title=Darwin's Other Bulldog: Charles Kingsley and the Popularisation of Evolution in Victorian England|url=http://faculty-staff.ou.edu/H/Piers.J.Hale-1/DARWIN%27S%20OTHER%20BULLDOG%202011.pdf|format=PDF|journal=Science & Education|location=Netherlands|publisher=[[Springer Science+Business Media]]|volume=21|issue=7|pages=977–1013|doi=10.1007/s11191-011-9414-8|issn=0926-7220|accessdate=2014-08-27|bibcode=2012Sc&Ed..21..977H}}</ref> অন্যান্য খ্রিস্টানগণ এই ধারণাটির বিরুদ্ধে যান, চার্লস লাইয়েল, আসা গ্রে সহ ডারউইনের নিকট বন্ধুগণ এবং সমর্থকগণও প্রথম দিকে তার কিছু ধারণার প্রতি অসমর্থন প্রকাশ করেন।{{sfn|AAAS|2006|ps=}} পরবর্তীতে গ্রে যুক্তরাষ্ট্রে ডারউইনের অন্যতম সমর্থকে পরিণত হন, এবং তার অনেক রচনাকে সংগ্রহ করে একটি প্রভাবশালী গ্রন্থ তৈরি করেন, যার নাম ছিল ''ডারউইনিয়ানা'' (১৮৭৬)। এই রচনাগুলোতে ডারউইনীয় বিবর্তন এবং আস্তিক্যবাদী মতবাদসমূহের মধ্যকার মীমাংসা নিয়ে কিছু যুক্তিপূর্ণ লেখালেখি ছিল। আর এটা সেইসময়কার ঘটনা যখন দুই পক্ষেরই অনেক ব্যক্তি এই দুটো বিষয়কে পরষ্পর স্বতন্ত্র বলে মনে করতেন।<ref>{{cite web|url=http://www.darwinproject.ac.uk/dramatisation-script|title=Re: Design|last1=Baxter|first1=Craig|author2=Darwin Correspondence Project (research collaborator)|website=Darwin Correspondence Project|publisher=[[University of Cambridge]]|location=Cambridge, England|type=Dramatisation script|accessdate=2014-08-27}}
* {{cite web|url=http://www.darwinproject.ac.uk/dramatisation-of-the-correspondence|title=Dramatisation of the correspondence|author=<!--Staff writer(s); no by-line.-->|website=Darwin Correspondence Project|publisher=University of Cambridge|location=Cambridge, England|accessdate=2014-08-27}}</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১১:৫৪, ৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

১৮৮২ সালে প্রকাশিত একটি ব্যঙ্গচিত্র, যেখানে বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনকে তার বিবর্তন তত্ত্বের উপর প্রকাশনার (১৮৮১) জন্য ব্যঙ্গ করা হয়েছে। 

 

সৃষ্টি- বিবর্তন বিতর্ক ( সৃষ্টি বনাম বিবর্তন বিতর্ক কিংবা জীবনের ভিত্তি বিতর্ক নামেও পরিচিত) হল পৃথিবী, মানবতা, ও অন্যান্য জীবের উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি চলমান, পুনরাবৃত্তিমূলক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, এবং ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্ক। খ্রিস্টান বিশ্বে সৃষ্টিবাদকে একসময় বিশাল পরিসরে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করা হত। কিন্তু ১৯ শতকের মাঝামাঝি  সময় থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন একটি পরীক্ষিত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। [১]

বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট থেকে নয় বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই বিতর্কে অস্তিত্ব রয়েছে। কেননা, বিজ্ঞান সমাজে বিবর্তন ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত ও প্রমানিত। [২] শুধু তাই নয়, সৃষ্টবাদের মত প্রাচীন চিন্তাভাবনাকে অপবিজ্ঞান বলে বিশ্বজুড়ে আখ্যায়িত করা হয়। [৩][৪][৫] যদিও এই বিতর্কের একটি সুপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে,[৬][৭]তবে বর্তমানে বিজ্ঞান শিখার প্রসারের মাধ্যমে এই বিতর্কের অবসান ঘটেছে।[৮][৯] যদিও শিক্ষাক্ষেত্রে সৃষ্টবাদ শেখানোর প্রবণতা এখনও বিরাজ করছে।[১০][১১][১২][১৩][১৪] যা নিয়ে খ্রিস্টান প্রধান দেশগুলোতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এই নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলমান।[১৫] এই বিতর্ককে অনেক সময়ই সংস্কৃতি যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। [১৬] সমধর্মী বিতর্ক ইহুদী ও ইসলাম ধর্মের মত অন্যান্য ধর্মের সম্প্রদায়ের মাঝেও দৃশ্যমান।

ইতিহাস

অষ্টাদশ শতকে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় সৃষ্টি-বিবর্তন বিতর্ক শুরু হয়, যখন ভূতাত্ত্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো প্রাচীন পৃথিবী সংক্রান্ত বিভিন্ন নতুন ব্যাখ্যা সামনে নিয়ে আসা শুরু করে, এবং বিভিন্ন ফসিল জিওলজিকাল সিকোয়েন্সের সাহায্যে প্রাপ্ত বিলুপ্ত প্রজাতিসমূহ বিবর্তনের প্রাথমিক ধারণাগুলো যেমন ল্যামার্কিজমের জন্ম দেয়। যুক্তরাজ্যে এই ধারাবাহিক পরিবর্তনের ধারণাগুলোকে প্রথমে বিদ্যমান "স্থির" সামাজিক শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবে বলে ধরা হয়, এবং চার্চ ও রাষ্ট্র উভয়ই এগুলোকে অবদমিত করার চেষ্টা করে।[১৭] এই অবস্থাটি ধীরে ধীরে সহজ হয়, এবং ১৮৪৪ সালে রবার্ট চ্যাম্বারস এর বিতর্কিত ভেস্টিজেস অফ দ্য ন্যাচারাল হিস্টোরি অফ ক্রিয়েশন নামক গ্রন্থটি প্রজাতিসমূহের ক্রমশ রূপান্তরের ধারণাটিকে জনপ্রিয়করে। এই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠাকে প্রথমে চার্চ অফ ইংল্যান্ড ঘৃণা ও রাগের সাথে পরিত্যাগ করে, তবে অনেক ইউনিটেরিয়ান, কোয়াকার এবং বাপ্টিস্ট দল প্রতিষ্ঠিত চার্চের সুবিধার প্রতিবাদ করে এবং এরকম প্রাকৃতিক উপায়ে ঈশ্বর কাজ করেন- এরকম ধারণাকে সমর্থন করে।[১৮][১৯]

ডারউইনের প্রতি তৎকালীন সমসাময়িক প্রতিক্রিয়া

ধর্মতত্ত্বে সৃষ্টিবাদ

ডারউইনের প্রতি সমসাময়িক প্রতিক্রিয়া

একটি এপ হিসেবে ডারউইনের বিদ্রুপাত্মক চিত্র যা ১৮৭১ সাল থেকে মানুষ ও এপ এর সাধারণ বংশধারা আছে- এই মতবাদ নিয়ে সামাজিক বিতর্কের প্রতিফলন ঘটায়।
ডারউইনিয়ানা গ্রন্থের প্রকাশের সময় আসা গ্রে

উনিশ শতকের শেষের দিকে সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে সকল জীবের আবির্ভাব ঘটে - এই মৌলিক বিবর্তনীয় মতবাদের কোন গুরুতর বৈজ্ঞানিক বিরোধিতা ছিল না।

— থমাস ডিক্সন, সায়েন্স এন্ড রেলিজিয়ন: এ ভেরি শর্ট ইন্ট্রোডাকশন" [২০]

১৮৫৯ সালে ডারউইনের অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ এর প্রকাশ বিবর্তনের উপর বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দেয়, এবং এটাকে একটি সম্মানিত শিক্ষার বিষয়ে পরিণত করে।[২১]

যদিও ডারউইনের বইতে কোন রকম ধর্মীয় ব্যাপারে কথা ছিল না, এরপরও এসেস এন্ড রিভিউজ (১৮৬০) গ্রন্থের উচ্চতর সমালোচনা নিয়ে যে ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্কের সূচনা হয় তা খুব ভালভাবেই চার্চ অফ ইংল্যান্ডের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সসক্ষম হয়। সেই রচনার কোন কোন উদারপন্থী লেখক ডারউইনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন, অনেক ননকনফরমিস্টও ডারউইনকে সমর্থন করেন, যেমন রেভারেন্ড চার্ল কিংগসলে এই ধারণাকে সমর্থন করেছিলেন যে, ঈশ্বর বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টির সব জীবকে তৈরি করেছেন।[২২] অন্যান্য খ্রিস্টানগণ এই ধারণাটির বিরুদ্ধে যান, চার্লস লাইয়েল, আসা গ্রে সহ ডারউইনের নিকট বন্ধুগণ এবং সমর্থকগণও প্রথম দিকে তার কিছু ধারণার প্রতি অসমর্থন প্রকাশ করেন।[২৩] পরবর্তীতে গ্রে যুক্তরাষ্ট্রে ডারউইনের অন্যতম সমর্থকে পরিণত হন, এবং তার অনেক রচনাকে সংগ্রহ করে একটি প্রভাবশালী গ্রন্থ তৈরি করেন, যার নাম ছিল ডারউইনিয়ানা (১৮৭৬)। এই রচনাগুলোতে ডারউইনীয় বিবর্তন এবং আস্তিক্যবাদী মতবাদসমূহের মধ্যকার মীমাংসা নিয়ে কিছু যুক্তিপূর্ণ লেখালেখি ছিল। আর এটা সেইসময়কার ঘটনা যখন দুই পক্ষেরই অনেক ব্যক্তি এই দুটো বিষয়কে পরষ্পর স্বতন্ত্র বলে মনে করতেন।[২৪]

তথ্যসূত্র

  1. Skoog, Gerald (২০০৭)। "An NSTA Evolution Q&A"National Science Teachers Association। Arlington, VA: National Science Teachers Association। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  2. IAP Statement on the Teaching of Evolution Joint statement issued by the national science academies of 67 countries, including the United Kingdom's Royal Society (PDF file)
  3. IAP Member Academies (জুন ২১, ২০০৬)। "IAP Statement on the Teaching of Evolution"IAP। Trieste, Italy: The World Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  4. টেমপ্লেট:Cite court Whether ID Is Science, p. 83.
  5. [[#CITEREF|]]: "Virtually no secular scientists accepted the doctrines of creation science; but that did not deter creation scientists from advancing scientific arguments for their position."
  6. Numbers 1992
  7.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  8. Peters, Ted; Hewlett, Martinez (ডিসেম্বর ২২, ২০০৫)। "The Evolution Controversy: Who's Fighting with Whom about What?" (পিডিএফ)Pacific Lutheran Theological Seminary। Berkeley, CA: Pacific Lutheran Theological Seminary। Evolution Brief E2। ২৯ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  9. টেমপ্লেট:Cite court Context, p. 20.
  10. Slevin, Peter (মার্চ ১৪, ২০০৫)। "Battle on Teaching Evolution Sharpens"The Washington Post। পৃষ্ঠা A01। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭  একের অধিক |work= এবং |newspaper= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)একের অধিক |work= এবং |newspaper= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  11. Renka, Russell D. (নভেম্বর ১৬, ২০০৫)। "The Political Design of Intelligent Design"Renka's Home Page। Round Rock, TX। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  12. Wilgoren, Jodi (আগস্ট ২১, ২০০৫)। "Politicized Scholars Put Evolution on the Defensive"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭  একের অধিক |work= এবং |newspaper= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)একের অধিক |work= এবং |newspaper= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  13.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  14. টেমপ্লেট:Cite court Introduction, pp. 7–9, also Whether ID Is Science, pp. 64–89, and Promoting Religion, p. 90.
  15.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  16. [[#CITEREF|]]
  17. Desmond ও Moore 1991, পৃ. 34–35
  18. van Wyhe, John (২০০৬)। "Charles Darwin: gentleman naturalist"The Complete Work of Charles Darwin Online। John van Wyhe। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  19. Desmond ও Moore 1991, পৃ. 321–323, 503–505
  20. Dixon 2008, পৃ. 77
  21. van Wyhe 2006
  22. Hale, Piers (জুলাই ২০১২)। "Darwin's Other Bulldog: Charles Kingsley and the Popularisation of Evolution in Victorian England" (PDF)Science & Education। Netherlands: Springer Science+Business Media21 (7): 977–1013। আইএসএসএন 0926-7220ডিওআই:10.1007/s11191-011-9414-8বিবকোড:2012Sc&Ed..21..977H। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  23. AAAS 2006
  24. Baxter, Craig; Darwin Correspondence Project (research collaborator)। "Re: Design"Darwin Correspondence Project (Dramatisation script)। Cambridge, England: University of Cambridge। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
    • "Dramatisation of the correspondence"Darwin Correspondence Project। Cambridge, England: University of Cambridge। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭