ফনোগ্রাফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
===পূর্বসূরিদের ফনোগ্রাফ===
===পূর্বসূরিদের ফনোগ্রাফ===
যদিও থমাস আলভা এডিসনকে ফনোগ্রাফের আবিষ্কার বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে এডিশন তার পূর্বসূরী কিছু বিজ্ঞানী শব্দ ধারণ এবং বাদনের উপযোগী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন। এডিসন এই সব আবিষ্কারকে একটি একটি চূড়ান্ত রূপ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
যদিও থমাস আলভা এডিসনকে ফনোগ্রাফের আবিষ্কার বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে এডিশন তার পূর্বসূরী কিছু বিজ্ঞানী শব্দ ধারণ এবং বাদনের উপযোগী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন। এডিসন এই সব আবিষ্কারকে একটি একটি চূড়ান্ত রূপ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
''ফনোটোগ্রাফ'' নামে প্রকৃত শব্দধারণ করার প্রথম যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন ফরাসি বিজ্ঞানী [[এডওয়ার্ড-লিওন স্কট ডি মার্টিনভিল]]। যেখানে বাতাসের ভিতর দিয়ে ভেসে আসা শব্দ এই  যন্ত্রের পার্চমেন্ট কাগজের পর্দায় আঘাত হানতো। এর ফলে যে শব্দের কম্পাঙ্ক সৃষ্টি হতো তা এই পর্দার সাথে যুক্ত একটি বিশেষ ধরণের লেখনীকে কম্পিত করতো। এই লেখনী একটি ঘূর্ণায়মান চোখের উপর রাখা এক ধরণের কালচে কাগজের উপর শব্দ কম্পাঙ্কের ছবি আঁকতো। মূলত শব্দের প্রকৃতি চাক্ষুষভাবে পরীক্ষা করার জন্য এই যন্ত্র ব্যবহৃত হতো। কাগজে আঁকা এই শব্দ-কম্পাঙ্ক বাজানোর কোনো ব্যবস্থা সে সময়ে ছিল না। ফরাসি কবি এবং সৌখিন কবি [[চার্লস ক্রোস]], প্রথম একটি শব্দ ধারণ এবং ধারণকৃত শব্দ বাজানোর যন্ত্রের তৈরির কথা ভাবেন। এই বিষয়ে তিনি ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিলে ফরাসি বিজ্ঞান একাডেমিতে একটি প্রতিবেদন পাঠান। এই বৎসরে এই যন্ত্র সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ৩০ অক্টোবরে। এই প্রতিবেদনের নাম ছিল ফনোগ্রাফি। কিন্তু লেখকের পছন্দের নাম ছিল পেলিওফোন।

এই যন্ত্রটির স্বত্বাধিকার গ্রহণ করা হয়েছিল ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ। এই যন্ত্রটিও তৈরি করা হয়েছিল শব্দ-গবেষণাগারের জন্য।


শব্দকে যথাযথভাবে যন্ত্রের সাহায্যে বারবার বাজানোর উপযোগী প্রথম যন্ত্র হলো [[টিউনিং ফর্ক]]। ১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে এই যন্ত্রটি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন ইংরেজ বিজ্ঞানী [[থমাস ইয়ং]]। কিন্তু যন্ত্রের কাঁটাকে এমনভাবে তৈরি করা হতো। যাতে আঘাত করলে সুনির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি হয়। এতে কোনো শব্দকে গ্রহণ করে ধারণ করা যায় না। এখনো পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণাগারে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
শব্দকে যথাযথভাবে যন্ত্রের সাহায্যে বারবার বাজানোর উপযোগী প্রথম যন্ত্র হলো [[টিউনিং ফর্ক]]। ১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে এই যন্ত্রটি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন ইংরেজ বিজ্ঞানী [[থমাস ইয়ং]]। কিন্তু যন্ত্রের কাঁটাকে এমনভাবে তৈরি করা হতো। যাতে আঘাত করলে সুনির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি হয়। এতে কোনো শব্দকে গ্রহণ করে ধারণ করা যায় না। এখনো পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণাগারে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

০৪:২৪, ১২ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

টমাস আলভা এডিসন তার দ্বিতীয় ফনোগ্রাফির সাথে, ছবি তুলেছেন লেভিন কর্বিন হ্যান্ডি ওয়াশিংটনে, এপ্রিল ১৮৭৮ সালে
এডিসন মোম সিলিন্ডার ফনোগ্রাফ, প্রায় ১৮৯৯ সাল

ফনোগ্রাফ (ইংরেজি: phonograph) কে পরবর্তীতে গ্রামোফোনও বলা হত (১৮৮৭ সাল থেকে ট্রেডমার্ক হিসাবে, ১৯১০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের জাতিগত নাম হিসাবে) অথবা ১৯৪০ এর দশকে এটি রেকর্ড প্লেয়ার নামে পরিচিত ছিল, যা যান্ত্রিক রেকর্ডিং এবং শব্দ উৎপাদনের জন্য একটি যন্ত্র। যাকে বাংলা ভাষায় কলের গানও বলা হয়। শব্দ কম্পন তরঙ্গাকৃতি রেকর্ড করা হয় একটি সর্পিল আকৃতির খাঁজ, খোদাই করে অঙ্কিত একটি ঘূর্ণমান সিলিন্ডার বা ডিস্কের পৃষ্ঠ, যাকে রেকর্ড বলা হয়। এটি মূলত একটি রেকর্ডকৃত গান শোনার যন্ত্র। যন্ত্রের দ্বারা ধারণকৃত শব্দকে বাজানোর জন্য ব্যবহৃত এক প্রকার যন্ত্র। শব্দকে বিশেষভাবে নির্মিত কঠিন মাধ্যমে ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো নির্বাচিত চলমান মাধ্যমের উপর দাগ কেটে বা খোদিত করে শব্দের কম্পাঙ্ককে কোনো রেখা অনুসরণ করে ধারণ করা হয়। পরে ওই চলমান গতি অনুসারে, ওই শব্দধারণকৃত মাধ্যমটিকে ফনোগ্রাফে বাজানো হয়। শব্দ ধারণের  মাধ্যমটি চোঙ্গাকৃত বা চাকতির মতো হয়ে থাকে। এই মাধ্যমটি ফনোগ্রাফের নিজস্ব যন্ত্রের সাহায্যে ঘুরানো হয় এবং এর উপরে শব্দরেখার উপর সূঁচালো একটি শলাকার অগ্রভাগ ছুঁয়ে যাওয়ার সময়, শব্দরেখার কম্পাঙ্ককে শনাক্ত করে, শব্দ উৎপন্ন হয়। পরে শব্দ বর্ধক যন্ত্রের সাহায্যে তা জোরালো হয়ে উঠে।

পরিভাষা

ফনোগ্রাফের ইতিহাস

পূর্বসূরিদের ফনোগ্রাফ

যদিও থমাস আলভা এডিসনকে ফনোগ্রাফের আবিষ্কার বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে এডিশন তার পূর্বসূরী কিছু বিজ্ঞানী শব্দ ধারণ এবং বাদনের উপযোগী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন। এডিসন এই সব আবিষ্কারকে একটি একটি চূড়ান্ত রূপ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফনোটোগ্রাফ নামে প্রকৃত শব্দধারণ করার প্রথম যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন ফরাসি বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড-লিওন স্কট ডি মার্টিনভিল। যেখানে বাতাসের ভিতর দিয়ে ভেসে আসা শব্দ এই  যন্ত্রের পার্চমেন্ট কাগজের পর্দায় আঘাত হানতো। এর ফলে যে শব্দের কম্পাঙ্ক সৃষ্টি হতো তা এই পর্দার সাথে যুক্ত একটি বিশেষ ধরণের লেখনীকে কম্পিত করতো। এই লেখনী একটি ঘূর্ণায়মান চোখের উপর রাখা এক ধরণের কালচে কাগজের উপর শব্দ কম্পাঙ্কের ছবি আঁকতো। মূলত শব্দের প্রকৃতি চাক্ষুষভাবে পরীক্ষা করার জন্য এই যন্ত্র ব্যবহৃত হতো। কাগজে আঁকা এই শব্দ-কম্পাঙ্ক বাজানোর কোনো ব্যবস্থা সে সময়ে ছিল না। ফরাসি কবি এবং সৌখিন কবি চার্লস ক্রোস, প্রথম একটি শব্দ ধারণ এবং ধারণকৃত শব্দ বাজানোর যন্ত্রের তৈরির কথা ভাবেন। এই বিষয়ে তিনি ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিলে ফরাসি বিজ্ঞান একাডেমিতে একটি প্রতিবেদন পাঠান। এই বৎসরে এই যন্ত্র সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ৩০ অক্টোবরে। এই প্রতিবেদনের নাম ছিল ফনোগ্রাফি। কিন্তু লেখকের পছন্দের নাম ছিল পেলিওফোন।

এই যন্ত্রটির স্বত্বাধিকার গ্রহণ করা হয়েছিল ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ। এই যন্ত্রটিও তৈরি করা হয়েছিল শব্দ-গবেষণাগারের জন্য।

শব্দকে যথাযথভাবে যন্ত্রের সাহায্যে বারবার বাজানোর উপযোগী প্রথম যন্ত্র হলো টিউনিং ফর্ক। ১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে এই যন্ত্রটি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন ইংরেজ বিজ্ঞানী থমাস ইয়ং। কিন্তু যন্ত্রের কাঁটাকে এমনভাবে তৈরি করা হতো। যাতে আঘাত করলে সুনির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি হয়। এতে কোনো শব্দকে গ্রহণ করে ধারণ করা যায় না। এখনো পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণাগারে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এই ফোনোটোগ্রাফের পিপার মতো অংশটি তৈরি হয়ে প্যারিস অফ প্লাস্টার দ্বারা।

একটি ফনোগ্রাফের অভিধানিক চিত্রনাট্য। এই সংস্করণ প্যারিসের প্লাস্টার দিয়ে একটি ব্যারেল ব্যবহার করে তৈরি।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ