জাওয়া গান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bangali ind (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Bangali ind (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৭ নং লাইন: ২৭ নং লাইন:
== বৈচিত্র্য ==
== বৈচিত্র্য ==
এই গানের সঙ্গে শস্য়রোপণের অথবা জাওয়া উৎসবের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ গানের মধ্যে শস্য় সম্পর্কিত কথা পাওয়া যায় না। জীবনের বিভিন্ন বিষয়কে নিয়ে এই গান শুনতে পাওয়া যায়। যেমন-
এই গানের সঙ্গে শস্য়রোপণের অথবা জাওয়া উৎসবের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ গানের মধ্যে শস্য় সম্পর্কিত কথা পাওয়া যায় না। জীবনের বিভিন্ন বিষয়কে নিয়ে এই গান শুনতে পাওয়া যায়। যেমন-
{{cquote|বিরি বাড়ী জতহিতে রাঙ্গামাটি উঠি গেল,<br>
{{rquote|right|বিরি বাড়ী জতহিতে রাঙ্গামাটি উঠি গেল,<br>
বাবু ভায়া গামছা গাবায়,<br>
বাবু ভায়া গামছা গাবায়,<br>
গামছাবি চটক দেইখে মইজে গেল ভানুমতী<br>
গামছাবি চটক দেইখে মইজে গেল ভানুমতী<br>

১৮:২৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জাওয়া গান পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চল অর্থাৎ পুরুলিয়া জেলার পশ্চিমাংশে প্রচলিত গান। এখানের বর্ষাকালীন একটি শস্য উৎসব 'জাওয়া পরব'কে কেন্দ্র করে এখানে জাওয়া গান গাওয়া হয়। এই উৎসব ভাদু উৎসবের সমসাময়িক হলেও ভাদু উৎসবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।[১]

সময়কাল

ভাদ্র মাসে নতুন শস্যরোপণের সময় জাওয়া উৎসব শুরু হয়। শস্যরোপণের সময়ই এই গান গাওয়া হয়।[২] বাংলার আরেকটি শস্য উৎসব করম পরবের সময় এই গান গাওয়া হলেও দুটি এক উৎসব নয়। করম পরব ধান রোপণের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।[৩][৪]

সুর ও তাল

জাওয়া গানের সুরের মধ্যে একটি মিষ্টতা আছে। এর গানের তাল খুব দ্রুত। গানের সুর ক্রমশ চড়ার দিকে চলতে থাকে। গানের অন্তিম পর্বে তাল এতটাই দ্রুত থাকে যে কথা প্রায় বোঝাই যায় না। সেই সময় নৃত্যও দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। যারা এই নাচের সঙ্গে অভ্যস্ত তারা বাদে এই নাচ করতে পারা খুব কঠিন।[৫]

উৎসবকেন্দ্রীক গান

জাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে গাওয়া খুব কম গানই পাওয়া যায়। গানে গাছ ও পাতার কথা আছে এমন গান হল-

১.

সাইরের আইডে নীলকন্ঠের গাছ,
তাই পাত করে লহু লহু।

২.

শাল তলার বালি আলো জাওয়া পাতার লো
এমনি জাওয়া লগ্ন হবে, বাঁশ পাতাটার পারা লো।

জাওয়া নাচ

কিছু গানে জাওয়া নাচের কথা প্রকাশ পেয়েছে। এই রকম একটি গান-

কারো কারো নীলশাডি আঁচলেতে জরি,

মুখে বলে হরি হরি বদন ভরি।
হাতেতে ময়ূর পাখা, দয়া কর হরি
মুখে বলে হরি হরি বদন ভরি।
নাচে জাওয়া ঘুরি ফিরি-বদন ভরি

মুখে বলে হরি হরি বদন ভরি।

বৈচিত্র্য

এই গানের সঙ্গে শস্য়রোপণের অথবা জাওয়া উৎসবের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ গানের মধ্যে শস্য় সম্পর্কিত কথা পাওয়া যায় না। জীবনের বিভিন্ন বিষয়কে নিয়ে এই গান শুনতে পাওয়া যায়। যেমন-

বিরি বাড়ী জতহিতে রাঙ্গামাটি উঠি গেল,

বাবু ভায়া গামছা গাবায়,
গামছাবি চটক দেইখে মইজে গেল ভানুমতী

কুলির মাছে লহর শালে যায়।

এই গানে গামছার চটক দেখে ভানুমতীর বিস্ময়ের কথা আছে। এখানে বিরি অর্থ 'কলাই', জতহিতে অর্থ 'কর্ষণে', কুলি অর্থ গাঁয়ের রাস্তা এবং লহর শালে অর্থ 'যেখানে হাসিঠাট্টা চলে'।[৬]

অন্য আঙ্গিকে

জাওয়া যে শস্য়রোপণের উৎসব সেই বিষয়ে সন্দেহ না থাকলেও 'জাওয়া' ছোট কন্যাদের একটি নৃত্য় উৎসব। এই উৎসবে আদিম মানুষের সন্তান কামনার কথাও লুকিয়ে আছে। যেহেতু মানুষের বিশ্বাস কন্যাদের মধ্যে উর্বরাক্ষমতা অধিক তাই এই নাচ-গান তথা উৎসব মূলত কুমারীদের দ্বারাই অনুষ্ঠিত হয়।[৭]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলার লোক সাহিত্য_৩ খণ্ড। কলকাতা: আশুতোষ ভট্টাচার্য। ১৯৫৪। পৃষ্ঠা ১২১। 
  2. http://shodhganga.inflibnet.ac.in/bitstream/10603/163104/6/06_chapter%204.pdf
  3. বাংলার লোক সাহিত্য_৩ খণ্ড। কলকাতা: আশুতোষ ভট্টাচার্য। ১৯৫৪। পৃষ্ঠা ২১১।  Authors list-এ |প্রথমাংশ1= এর |শেষাংশ1= নেই (সাহায্য)
  4. "বর্ষার গন্ধ মেখে আপনারই অপেক্ষায় সোনাকুপি"anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৬ 
  5. বাংলার লোক সাহিত্য_৩ খণ্ড। কলকাতা: আশুতোষ ভট্টাচার্য। ১৯৫৪। পৃষ্ঠা ১২৩। 
  6. বাংলার লোক সাহিত্য_৩ খণ্ড। কলকাতা: আশুতোষ ভট্টাচার্য। ১৯৫৪। পৃষ্ঠা ১২৪। 
  7. http://shodhganga.inflibnet.ac.in/bitstream/10603/163104/6/06_chapter%204.pdf