হেয়াত মামুদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{Infobox person
| name = হেয়াত মামুদ
| name = হেয়াত মামুদ
| image = Replace this image female bn.svg <!-- filename only, i.e. without "File:" (or "Image:") prefix or enclosing [[brackets]] -->
| image = Replace this image female bn.svg <!-- filename only, i.e. without "File:" (or "Image:") prefix or enclosing [[brackets]] -->
৪৮ নং লাইন: ৪৮ নং লাইন:


==সাহিত্যকর্ম==
==সাহিত্যকর্ম==
তিনি মোট চারটি কাব্য রচনা করেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> হেয়াত মামুদ জন্মগত ভাবে রংপুরের অধিবাসী থাকায় তাঁর সাহিত্যে রংপুর অঞ্চলের ভাষা ও ভাষারীতির ব্যবহার রয়েছে। ''জঙ্গনামা'' (১৭২৩) কাব্যগ্রন্থে রয়েছে কারবালার বিষাদময় কাহিনীর বিবরণ। এটি মূলত ফারসি কাব্যের অনুসরণে রচিত। ''সর্বভেদবাণী'' (১৭৩২) কাব্যে রয়েছে নীতিকথামূলক বয়ান। মামুদ সংস্কৃত পঞ্চতন্ত্র কাব্যের ফারসি অনুবাদ মফরেহুল-কুলুব থেকে এর উপাদান সংগ্রহ করেন।
তিনি মোট চারটি কাব্য রচনা করেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> হেয়াত মামুদ জন্মগত ভাবে রংপুরের অধিবাসী থাকায় তাঁর সাহিত্যে রংপুর অঞ্চলের ভাষা ও ভাষারীতির ব্যবহার রয়েছে। ''জঙ্গনামা'' (১৭২৩) কাব্যগ্রন্থে রয়েছে কারবালার বিষাদময় কাহিনীর বিবরণ। এটি মূলত ফারসি কাব্যের অনুসরণে রচিত। ''সর্বভেদবাণী'' (১৭৩২) কাব্যে রয়েছে নীতিকথামূলক বয়ান। মামুদ সংস্কৃত পঞ্চতন্ত্র কাব্যের ফারসি অনুবাদ মফরেহুল-কুলুব থেকে এর উপাদান সংগ্রহ করেন।


”যার বিদ্যা নাই সে জানে না ভাল মন্দ, শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ” - তাঁর বহুলপ্রচলিত অনেক আধ্যাতিক বানীর মধ্যে একটি।
”যার বিদ্যা নাই সে জানে না ভাল মন্দ, শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ” - তাঁর বহুলপ্রচলিত অনেক আধ্যাতিক বানীর মধ্যে একটি।


==গ্রন্থের তালিকা==
==গ্রন্থের তালিকা==
৭৫ নং লাইন: ৭৫ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:১৭৬০-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৭৬০-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি কবি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি কবি]]
[[বিষয়শ্রেণী:রংপুর জেলার ব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:রংপুর জেলার ব্যক্তি]]

০১:৩১, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হেয়াত মামুদ
জন্ম
হেয়াত মামুদ

১৬৬৩
ঝাড়বিশিলা, রংপুর
মৃত্যু১৭৬০
রংপুর
উল্লেখযোগ্য কর্ম
নিচে দেখুন
আদি নিবাসরংপুর
পিতা-মাতা
    • শাহ কবীর

হেয়াত মামুদ (১৬৯৩-১৭৬০) ছিলেন মধ্যযুগের বাঙালী কবি।[১]

প্রাথমিক জীবন

মামুদ ১৬৯৩ সালে রংপুর জেলার ঘোড়াঘাটের অধীন ঝাড়বিশিলা গ্রামে জন্ম নেন। তাঁর পিতা শাহ কবীর ছিলেন ঘোড়াঘাট সরকারের দেওয়ান এবং তিনি নিজে ছিলেন ওই সরকারের কাজী।[১] ব্যক্তিজীবনে তিনি সাধক ও সাত্ত্বিক পুরুষ ছিলেন এবং সূফী সাধনার প্রতি ছিল তাঁর গভীর অনুরাগ।

সাহিত্যকর্ম

তিনি মোট চারটি কাব্য রচনা করেন।[১] হেয়াত মামুদ জন্মগত ভাবে রংপুরের অধিবাসী থাকায় তাঁর সাহিত্যে রংপুর অঞ্চলের ভাষা ও ভাষারীতির ব্যবহার রয়েছে। জঙ্গনামা (১৭২৩) কাব্যগ্রন্থে রয়েছে কারবালার বিষাদময় কাহিনীর বিবরণ। এটি মূলত ফারসি কাব্যের অনুসরণে রচিত। সর্বভেদবাণী (১৭৩২) কাব্যে রয়েছে নীতিকথামূলক বয়ান। মামুদ সংস্কৃত পঞ্চতন্ত্র কাব্যের ফারসি অনুবাদ মফরেহুল-কুলুব থেকে এর উপাদান সংগ্রহ করেন।

”যার বিদ্যা নাই সে জানে না ভাল মন্দ, শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ” - তাঁর বহুলপ্রচলিত অনেক আধ্যাতিক বানীর মধ্যে একটি।

গ্রন্থের তালিকা

কাব্যগ্রন্থ

  • জঙ্গনামা (১৭২৩)
  • সর্বভেদবাণী (১৭৩২)
  • হিতজ্ঞানবাণী (১৭৫৩)
  • আম্বিয়াবাণী (১৭৫৮)

সম্মাননা

কবি হেয়াত মামুদের সম্মানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে কবি হেয়াত মামুদ ভবন[২]

মৃত্যু

ধারণা করা হয় আনুমানিক ১৭৬০ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। প্রতি বছর ঝাড়বিশিলায় কবির মাজার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ১৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে।[৩] এছাড়াও সরকারি জেলা পরিষদের উদ্যোগে কবির স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপিত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. ওয়াকিল আহমদ (জানুয়ারি ২০০৩)। "হেয়াত মামুদ"। সিরাজুল ইসলামহেয়াত মামুদ[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর , ২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  2. "বেরোবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত"ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম। ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪ 
  3. "আজ সাধক কবি হেয়াত মামুদের মৃত্যুবার্ষিকী"The Daily Nayadiganta। ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬ 

আরো পড়ুন