অরণ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''অরণ্য''' বা '''বন''' হল ঘন বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদের দ্বারা ঘেরা একটি এলাকা। <ref>{{cite web |
|||
| url = http://dictionary.reference.com/browse/forest |
|||
| title = Forest |
|||
| work = Dictionary.com |
|||
| accessdate = 2014-11-16 |
|||
}}</ref> বিভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে, বনের নানান ধরণের সংজ্ঞা আছে।<ref>{{cite web |
|||
| url = http://www.efi.int/files/attachments/publications/ir_06.pdf |
|||
| title = Compilation of Forestry Terms and Definitions |
|||
| first1=Andreas|last1=Schuck|first2=Risto|last2=Päivinen|first3=Tuomo|last3=Hytönend|first4=Brita|last4=Pajari |
|||
| publisher = European Forest Institute |
|||
| location = Joensuu, Finland |
|||
| year = 2002 |
|||
| format = pdf |
|||
| accessdate = 2014-11-16 |
|||
}}</ref><ref name="cbd">{{cite web |
|||
| url = http://www.cbd.int/forest/definitions.shtml |
|||
| title = Definitions: Indicative definitions taken from the Report of the ad hoc technical expert group on forest biological diversity |
|||
| publisher = Convention on Biological Diversity |
|||
| accessdate = 2014-11-16 |
|||
}}</ref><ref name="unep">{{cite web |
|||
| url = http://www.unep.org/vitalforest/Report/VFG-01-Forest-definition-and-extent.pdf |
|||
| title = Forest definition and extent |
|||
| date = 2010-01-27 |
|||
| publisher = United Nations Environment Programme |
|||
| format = pdf |
|||
| accessdate = 2014-11-16 |
|||
}}</ref> ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত<ref>{{cite web|url=http://www.fao.org/docrep/005/y4171e/y4171e10.htm|title=Comparative framework and Options for harmonization of definitions|work=Second Expert Meeting on Harmonizing Forest-Related Definitions|publisher=FAO|accessdate=2014-11-26}}</ref><ref>{{cite book|url=http://books.google.com/?id=apBDAgAAQBAJ&pg=PA32&lpg=PA32&dq=forest+definition+%22widely+used%22#v=onepage&q=%20%22widely%20used%22&f=false|page=32|title=Transformations in EU biofuels markets under the Renewable Energy Directive and the implications for land use, trade and forests|last1=Johnson|first1=F.X.|last2=Pacini|first2=H.|last3=Smeets|first3=E|publisher=CIFOR|year=2013|isbn=9786028693813}}</ref> জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, ২০০৬ সালে অরণ্য চার বিলিয়ন হেক্টর (১৫ মিলিয়ন বর্গ মাইল) বা বিশ্বের জমির প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে।<ref name="unep"/> এই বনাঞ্চল অনেক প্রাণীর লালনক্ষেত্র হিসেবেও যেমন কাজ করে তেমনি বিভিন্ন নদী-নালার পথ পরিবর্তন, মাটি সংরক্ষণের মতো কাজ করে। পৃথিবীর জীবমণ্ডলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ অরণ্য।<ref name=yude>{{cite journal|title=The Structure, Distribution, and Biomass of the World’s Forests|first1=Yude|last1=Pan|first2=Richard A.|last2=Birdsey|first3=Oliver L.|last3=Phillips|first4=Robert B.|last4=Jackson|journal=Annu. Rev. Ecol. Evol. Syst.|year=2013|volume=44|pages=593–62|url=https://www.forestplots.net/upload/publication-store/2013/Pan/AnnRevEcolEvoSyst_Pan_et_al_2013_World_Forests.pdf}}</ref> যদিও প্রাথমিকভাবে একটি বনের বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট করা হয় তার গাছের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী। ইহা অক্সিজেনের এক বিপুল সরবরাহক। [[এন্টার্কটিকা]] ছাড়া অন্য সব মহাদেশেই অরণ্য বর্তমান। গরমকালে দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশী তাপমাত্রা ও বার্ষিক পঁচাত্তর সেন্টিমিটার [[বৃষ্টি]]পূর্ণ স্থান অরণ্য গড়ে ওঠার পক্ষে উপযোগী। |
|||
==ধ্বংস হওয়ার কারণ== |
==ধ্বংস হওয়ার কারণ== |
||
লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর প্রায় ষাট শতাংশই অরণ্যাবৃত ছিল। আমূল [[জলবায়ু]]র পরিবর্তন, [[হিমশৈল|হিমশৈলের]] চলন এবং মানুষের কার্যকলাপের জন্য বিপুল অরণ্যভূমি নষ্ট হয়েছে। |
লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর প্রায় ষাট শতাংশই অরণ্যাবৃত ছিল। আমূল [[জলবায়ু]]র পরিবর্তন, [[হিমশৈল|হিমশৈলের]] চলন এবং মানুষের কার্যকলাপের জন্য বিপুল অরণ্যভূমি নষ্ট হয়েছে। |
১৪:১৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ধ্বংস হওয়ার কারণ
লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর প্রায় ষাট শতাংশই অরণ্যাবৃত ছিল। আমূল জলবায়ুর পরিবর্তন, হিমশৈলের চলন এবং মানুষের কার্যকলাপের জন্য বিপুল অরণ্যভূমি নষ্ট হয়েছে।
অরণ্য বাস্তুসংস্থান
গাছ বেড়ে উঠতে পারে এমন সব এলাকায় বন পাওয়া যায়। গাছের বেড়ে ওঠা সম্ভব এমন উচ্চতা পর্যন্ত (ট্রি লাইন) গাছ জন্মায়। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে কয়েকটি ক্ষেত্রে। যেমন যেখানে প্রাকৃতিক কোনো কারণে বার বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বা অন্যান্য ঝঞ্ঝা খুব বেশি অথবা মানুষেরই কোনো কাজের ফলে পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, এমন এলাকায় বনাঞ্চল দেখা যায় না।
নিরক্ষীয় অঞ্চলের ১০° উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশ এলাকার অধিকাংশ হচ্ছে ক্রান্তীয় বৃষ্টিঅরণ্য প্রভাবিত এলাকা। আবার ৫৩°উত্তর এবং ৬৭°উত্তর দ্রাঘিমাংশের মধ্যে রয়েছে উত্তরের বন।
বহু প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাসস্থান হলো বন। অন্যান্য উদ্ভিদজগতের তুলনায় এই এলাকার ইউনিট প্রতি জৈববস্তু বা বায়োমাস অনেক বেশি থাকে। মাটির নিচে শিকড় পদ্ধতিতে এবং গাছের আংশিকভাবে পচে যাওয়া বর্জ্য বস্তু থেকেই বেশিরভাগ সময়ে এই জৈববস্তু তৈরি হয়। বনের মধ্যে কাঠের যে যৌগ আছে তার মধ্যে লিগনিন থাকে। সেলুলোজ বা কার্বোহাইড্রেটের মতো জৈবপদার্থের তুলনায় এতে পচন ধরে অপেক্ষাকৃত ধীরে। বনের সঙ্গে বনভূমির পার্থক্য করা হয় তার গাছগাছালির চাঁদোয়া কতোটা দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। বনে অনেক সময় বিভিন্ন গাছের শাখা এবং তার পত্রসমষ্টি মিশে যায় একে অপরের সঙ্গে। যদিও বন হিসেবে যেটা উল্লেখ করা হচ্ছে তার এলাকার মাপে ফারাক থাকতে পারে। বনভূমিতে আবার বড় বড় গাছ থাকা এলাকায় একটানা অনেকটা খোলা চাঁদোয়া পাওয়া যায়, একেকটি গাছের মধ্যে জায়গাও অনেক ছড়িয়ে থাকে। যার ফলে তার মধ্যে দিয়ে মাটিতে অনেক বেশি সূর্যের আলো এসে পৌঁছতে পারে।
শ্রেণীভুক্তিকরণ
বিভিন্নভাবে এবং বিশেষত্বের বিভিন্ন মাপকাঠিতে বনগুলিকে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। তারই একটার পরিভাষা হলো ‘বায়মে, প্রজাতির অধিকাংশের পাতার দীর্ঘজীবনের সঙ্গে কীভাবে গাছপালা টিকে থাকে তাকেই প্রকাশ করা হয় এই পরিভাষা দিয়ে (এই প্রজাতিগুলি চির হরিৎ পর্ণমোচী তা বোঝা যায়)। আরেকটা স্বাতন্ত্রও আছে, যেখানে বনগুলি বড় পাতার গাছ, সরলবর্গীয় (সূঁচালো পাতা) গাছ অথবা মিশ্র ধরনের গাছ দিয়ে সাজানো।
- উপমেরু অঞ্চলে উত্তরের অরণ্য রয়েছে। এগুলি সাধারণত চির হরিৎ ও সরলবর্গীয় ধরণের হয়।
- শীতপ্রধান এলাকায় বড় পাতার পর্ণমোচী গাছের বন (যথা, শীতপ্রধান পর্ণমোচী বন) এবং চির হরিৎ সরলবর্গীয় বন (যথা, শীতপ্রধান সরলবর্গীয় বন ও শীতপ্রধান বৃষ্টি অরণ্য) উভয় ধরনের বনই হতে পারে। গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় আবার জলপাই জাতীয় বৃক্ষের চিরসবুজ পাতাওয়ালা গাছের বনসহ বড় পাতার চিরহরিৎ অরণ্য টিকে থাকতে পারে।
- ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় বনের অন্তর্ভুক্ত হলো ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় আর্দ্র বন, ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় শুষ্ক বন এবং ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় সরলবর্গীয় বন।
- কোনো জঙ্গলের সাধারণ বৈশিষ্ট্য তাদের সামগ্রিক প্রাকৃতিক কাঠামো অথবা উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের অবস্থার ভিত্তিতে শ্রেণী বিন্যস্ত হয়। (যথা ওল্ড গ্রোথ বনাম সেকেন্ড গ্রোথ)
- জলবায়ু ও কোন প্রজাতির গাছ বেশি রয়েছে, তার ভিত্তিতেও বনগুলিকে আরো নির্দিষ্টভাবে শ্রেণী বিন্যস্ত করা যায়, ফলস্বরূপ বহু ধরনের বনের ধরন পাওয়া যায় (যথা, পোন্দেরোসা পাইন/ডগলাস ফার বন)
গোটা বিশ্বে বহু সংখ্যক বন প্রকারভেদ ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে, কিন্তু কোনোটাই সর্বজনীন স্বীকৃত নয়।[১] অন্যান্য জটিল ব্যবস্থার থেকে UNEP-WCMC-এর বন প্রকারভেদ ব্যবস্থা একটা সরলীকৃত ব্যবস্থা (যথা,UNESCO -র জঙ্গল ও বনভূমি উপবিভাগ)। বিশ্বজুড়ে এই ব্যবস্থাটি বনগুলিকে ২৬টি মূল শ্রেণীতে ভাগ করেছে, যাতে জলবায়ু এলাকার পাশাপাশি প্রধান গাছপালার চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আরোও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- Forests in danger
- Intact Forests with maps and reports
- Global Forest Resources Assessment 2005 by the Food and Agriculture Organization
- CoolForests.org – Conservation Cools the Planet
- [১] Forest area is land under natural or planted stands of trees of at least 5 meters in situ, whether productive or not, and excludes tree stands in agricultural production systems
- Google – public data "Forest area (sq. km)"
- Luck Baker, Andrew (১৮ নভেম্বর ২০০৮)। "The first forests – Discovery 2008"। BBC Online।
- "The World's 10 Most Threatened Forest Hotspots"। Conservation International। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
- ↑ Jenkins, Martin D.; Groombridge, Brian (২০০২)। World Atlas of Biodiversity: Earth's Living Resources in the 21st Century। World Conservation Monitoring Centre, United Nations Environment Programme। আইএসবিএন 9780520236684।