কৌশলগত বাজারজাতকরণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
EmausBot (আলোচনা | অবদান)
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
৪১ নং লাইন: ৪১ নং লাইন:


[[ar:إستراتيجية التسويق]]
[[ar:إستراتيجية التسويق]]
[[bg:Маркетингова стратегия]]
[[cs:Marketingová strategie]]
[[de:Marketingstrategie]]
[[el:Στρατηγική μάρκετινγκ]]
[[en:Marketing strategy]]
[[es:Estrategia de marketing]]
[[fr:Stratégie marketing]]
[[it:Marketing strategico]]
[[mk:Маркетиншка стратегија]]
[[mk:Маркетиншка стратегија]]
[[pl:Marketing strategiczny]]
[[pt:Estratégias de marketing]]
[[ru:Стратегический маркетинг]]
[[ru:Стратегический маркетинг]]
[[tr:Rekabet stratejisi]]
[[zh:营销战略]]

০৪:৪৩, ৯ মার্চ ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো বাজারজাতকরণের এমন একটি প্রক্রিয়া, যদ্বারা বিভিন্নরকম কৌশল উন্নয়ন করে পরিবর্তনশীল বাজার অবস্থায় কোম্পানীর সম্পদ, সামর্থ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে কিভাবে আলাদা অবস্থান গ্রহণ করা যায়, তার রূপরেখা তৈরি করে। অর্থাৎ কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো সম্ভাব্য অথবা প্রকৃত বাজারের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা খুঁজে বের করা ও সম্পদের বন্টন নিশ্চিতকরত তা সে সুবিধা গ্রহণ করা।[১] কৌশলগত বাজারজাতকরণে যেসকল কৌশল উন্নয়ন করা হয় সেগুলো হলো: পণ্য কৌশল, মূল্য কৌশল, বন্টন কৌশল এবং প্রসার কৌশল।

কৌশলগত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া

কৌশলগত অবস্থা
বিশ্লেষণ
বাজার কৌশলের
নকশা প্রণয়ন
বাজারমুখী
কর্মকৌশল উন্নয়ণ
বাজারমুখী কৌশল ও
প্রয়োগ ব্যবস্থাপনা

কৌশলগত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক ধাপ

কৌশলগত বাজারজাতকরণ একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে:

ধাপ ১: কৌশলগত অবস্থা বিশ্লেষণ: একটি প্রতিষ্ঠান যখন বাজার উপযোগী বাজারজাতকরণ কৌশল গ্রহণের উদ্যোগ নেয়, তখন কয়েকটি বিষয়কে বিবেচনা করা জরুরি। যথা:

  • পণ্যবাজারকে জানা ও বোঝা খুবই জরুরি। এতে বাজার সম্পর্কিত পরিকল্পনায় বাস্তবতা প্রাধান্য পাবে। এছাড়া এতে প্রতিযোগীদের শক্তি-সামর্থ, সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এসময় প্রতিষ্ঠানের SWOT Analysis বা শক্তি-দুর্বলতা-সুযোগ-হুমকি বিশ্লেষণ করা জরুরি।
  • বাজারের সমস্ত ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করা সম্ভব হয় না বলে নির্দিষ্ট ক্রেতাদেরকে সকল ক্রেতা থেকে আলাদা করে নেয়া (বাজার বিভাজন) জরুরি। কেননা সঠিক ক্রেতাদের চিহ্নিত না করতে পারলে বাজারে টিকে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
  • সব সময় বাজার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। কেননা প্রতিনিয়ত বাজার পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বাজারের ক্রেতাদের চাহিদায়ও পরিবর্তন আসছে। তাই পরিবর্তনশীল বাজার সম্পর্কে যত বেশি জানা যায়, তত বেশি বাজারে অবস্থান গ্রহণ সহজ হয়।

ধাপ ২: বাজার কৌশলের নকশা প্রণয়ন: কৌশলগত বাজারজাতকরণে কৌশলের নকশা প্রণয়ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। কারণ এই নকশার ভিত্তিতেই কৌশলগত বাজারজাতকরণের রূপরেখা নিশ্চিত হবে। এক্ষেত্রে করণীয় কাজগুলো হলো:

  • লক্ষ্য-বাজার উপযোগী কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে একদিকে যেমন পণ্য ভ্যালু পরিবর্তন বিবেচনা করতে হয়, তেমনি অন্যদিকে ক্রেতার নিকট পণ্য যেন সমস্যা সমাধানের বস্তুতে পরিণত হয়, তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • বাজারজাতকরণের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন পক্ষগুলো, তথা সরবরাহকারী, বণ্টনকারী, ক্রেতা প্রভৃতি সকল পক্ষগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কৌশল প্রণয়ন করতে হয়।
  • পণ্যের জীবনচক্রের পতনস্তরে যেন কোম্পানী নতুন নতুন পণ্য বাজারজাত করতে পারে, তজ্জন্য নতুন পণ্যের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।

ধাপ ৩: বাজারমুখী কার্যক্রম উন্নয়ন: বাজারমুখী কার্যক্রম উন্নয়ন বেশ জটিল এবং এপর্যায়ে বাজারজাতকারী বাজার অবস্থান গ্রহণে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করে থাকেন। শুরুতেই পণ্য কৌশল গ্রহণ করতে হয়। পণ্য কৌশল নির্ধারণ করে তা বণ্টনের কৌশল নির্ধারণ করতে হয়। বণ্টন কৌশল অবশ্যই সহজতর উপায়ে বণ্টনকে নিশ্চিত করবে। এরপর পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। পণ্যের মূল্য নির্ধারণ কৌশলে অবশ্যই মানসম্মত কিন্তু ক্রেতা-উপযোগী মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। এই পণ্যটি লক্ষ্য-বাজারে যথোপযুক্ততায় পৌঁছে দিতে প্রসার কৌশল গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে ক্রেতার নিকট ব্র্যান্ডকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার কৌশল গ্রহণ করা হয়।

বাজারমুখী কার্যক্রম উন্নয়নে বাজারজাতকরণ মিশ্রণগুলোর কৌশল গৃহীত হয়


ধাপ ৪: বাজারমুখী কৌশল প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা: বাজারমুখী কৌশল প্রণীত হবার পর তা থেকে প্রতিষ্ঠান সুফল পায় যখন তা প্রয়োগ ও পরিচালনা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে দুটো বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়:

  • বাজারমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো সফলতা পায় তখনই যখন প্রয়োজনীয় কাজে লোক নিয়োজিত করা যায়। প্রতিষ্ঠানের কাজের উপযোগী লোক নিয়োগ করার মাধ্যমে একটি কার্যকরী বাজারমুখী সংগঠন তৈরি করা বাজারমুখী কৌশল প্রয়োগের অন্যতম একটি ধাপ।
  • বাজারমুখী কৌশল প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে বাজারজাতকরণ পরিকল্পনাবাজেট প্রণয়ন করতে হয়। পরিকল্পনা প্রয়োগ করার পাশাপাশি তা নিয়ন্ত্রণও করতে হয়। পরিকল্পনার যাবতীয় বিচ্যুতি সংশোধনের ব্যবস্থা থাকতে হয়।

এই যাবতীয় পদক্ষেপ অনুসরণের মাধ্যমে কোম্পানী তার প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করে সাফল্যের সাথে বাজারজাতকরণ সম্পন্ন করতে পারে।

তথ্যসূত্র

  1. BusinessDictionary.com, Strategic Marketing। পরিদর্শনের তারিখ: এপ্রিল ৮, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।