নোয়ার চলচ্চিত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ r2.7.2) (বট যোগ করছে: ar, bg, ca, cs, da, de, el, es, et, eu, fa, fi, fr, gl, he, hr, hu, id, it, ja, ko, lb, lt, lv, mk, nl, no, pl, pt, ro, ru, sh, simple, sr, sv, th, tr, zh |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Image:BigComboTrailer.jpg|thumb|right|300px|''দ্য বিগ কম্বো'' (১৯৫৫) সিনেমায় দুটি ছায়ামূর্তি। সিনেমাটির চিত্রগ্রাহক ছিলেন ''জন অ্যাল্টন'', যিনি নোয়া সিনেমার অনেক বৈশিষ্ট্যমূলক ছবি ধারণের জন্য বিখ্যাত।]] |
[[Image:BigComboTrailer.jpg|thumb|right|300px|''দ্য বিগ কম্বো'' (১৯৫৫) সিনেমায় দুটি ছায়ামূর্তি। সিনেমাটির চিত্রগ্রাহক ছিলেন ''জন অ্যাল্টন'', যিনি নোয়া সিনেমার অনেক বৈশিষ্ট্যমূলক ছবি ধারণের জন্য বিখ্যাত।]] |
||
'''নোয়া চলচ্চিত্র''' ([[ফরাসি ভাষা|ফরাসি ভাষায়]]: Film noir) বলতে মূলত অপরাধ-জগৎ নিয়ে নির্মীত [[হলিউড|হলিউডের]] শৈলীনিষ্ঠ নাট্য বা থ্রিলার চলচ্চিত্রগুলোকে বোঝায়, বিশেষ করে যেগুলোতে হতাশাবাদী মনোভাব এবং যৌন প্রণোদনার উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। |
'''নোয়া চলচ্চিত্র''' ([[ফরাসি ভাষা|ফরাসি ভাষায়]]: Film noir) বলতে মূলত অপরাধ-জগৎ নিয়ে নির্মীত [[হলিউড|হলিউডের]] শৈলীনিষ্ঠ নাট্য বা থ্রিলার চলচ্চিত্রগুলোকে বোঝায়, বিশেষ করে যেগুলোতে হতাশাবাদী মনোভাব এবং যৌন প্রণোদনার উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ধ্রুপদের যুগের এই সিনেমাগুলোর নির্মাণকাল ছিল ১৯৪০ থেকে ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত। সে যুগের নোয়া সিনেমাগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, লো-কি আলোকসজ্জা ব্যবহার করে সাদাকালো চিত্র ধারণ। এই ভিজ্যুয়াল স্টাইল প্রকৃতপক্ষে [[জার্মান অভিব্যক্তিবাদ|জার্মান অভিব্যক্তিবাদী]] (expressionism) [[চিত্রগ্রহণ]] থেকে এসেছে। এ সিনেমাগুলোর কাহিনী এবং মনোভঙ্গির উৎপত্তিস্থল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের [[গ্রেট ডিপ্রেশন|গ্রেট ডিপ্রেশনের]] সময় জন্ম নেয়া অপরাধ-জগৎ সংশ্লিষ্ট অসংখ্য দুর্ধর্ষ কল্পকাহিনী। |
||
ফরাসি ভাষায় ''film noir'' শব্দ দুটির অর্থ ''কৃষ্ণ চলচ্চিত্র''।<ref>উদাহরণস্বরূপ দেখুন, Biesen (2005), p. 1; Hirsch (2001), p. 9; Lyons (2001), p. 2; Silver and Ward (1992), p. 1; Schatz (1981), p. 112. Outside the field of noir scholarship, "dark film" is also offered on occasion; see, e.g., Block, Bruce A., ''The Visual Story: Seeing the Structure of Film, TV, and New Media'' (2001), p. 94; Klarer, Mario, ''An Introduction to Literary Studies'' (1999), p. 59.</ref> হলিউড সিনেমার ক্ষেত্রে এই বাগধারাটি প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন ফরাসি চলচ্চিত্র সমালোচক নিনো ফ্রাংক, ১৯৪৬ সালে। ধ্রুপদী যুগের মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পের অধিকাংশ ব্যক্তিই |
ফরাসি ভাষায় ''film noir'' শব্দ দুটির অর্থ ''কৃষ্ণ চলচ্চিত্র''।<ref>উদাহরণস্বরূপ দেখুন, Biesen (2005), p. 1; Hirsch (2001), p. 9; Lyons (2001), p. 2; Silver and Ward (1992), p. 1; Schatz (1981), p. 112. Outside the field of noir scholarship, "dark film" is also offered on occasion; see, e.g., Block, Bruce A., ''The Visual Story: Seeing the Structure of Film, TV, and New Media'' (2001), p. 94; Klarer, Mario, ''An Introduction to Literary Studies'' (1999), p. 59.</ref> হলিউড সিনেমার ক্ষেত্রে এই বাগধারাটি প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন ফরাসি চলচ্চিত্র সমালোচক নিনো ফ্রাংক, ১৯৪৬ সালে। ধ্রুপদী যুগের মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পের অধিকাংশ ব্যক্তিই এ নাম সম্পর্কে কিছু জানতেন না।<ref>Naremore (2008), pp. 4, 15–16, 18, 41; Ballinger and Graydon (2007), pp. 4–5, 22, 255.</ref> চলচ্চিত্রের ইতিহাসবিদ ও সমালোচকরা অতীত পর্যালোচনার মাধ্যমে নামটি ব্যবহার শুরু করেছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে এর বহুল ব্যবহার শুরু হয়, এর আগে অধিকাংশ নোয়া সিনেমাকে [[মেলোড্রামা]] হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। নোয়া সিনেমাকে একটি আলাদা জঁরা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে কিনা এ নিয়ে এখনও চলচ্চিত্র তাত্ত্বিকদের মধ্যে বিতর্ক রয়ে গেছে। |
||
নোয়া সিনেমার কাহিনী অনেক ধরণের হতে পারে— |
নোয়া সিনেমার কাহিনী অনেক ধরণের হতে পারে— কেন্দ্রীয় চরিত্রটি হতে পারে কোন প্রাইভেট গোয়েন্দা বা নজরদারিতে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি (''দ্য বিগ স্লিপ'', ১৯৪৬), সাদা পোশাকের পুলিশ (''দ্য বিগ হিট'', ১৯৫৩), বয়স্ক মুষ্টিযোদ্ধা (''দ্য সেট-আপ'', ১৯৪৯), অন্যের নির্ভরতা আদায়ের পর তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এমন কোন দুর্ভাগা (''নাইট অ্যান্ড দ্য সিটি'', ১৯৫০), কোন ন্যায়নিষ্ঠ নাগরিক যে ভাগ্যচক্রে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ে (''গান ক্রেজি'', ১৯৫০) অথবা কেবল পরিস্থিতির শিকার কোন সাধারণ মানুষ (''ডি.ও.এ.'', ১৯৫০)। নোয়া সিনেমা এক সময় কেবল [[যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে]] বানানো হলেও পরবর্তীতে অনেক দেশেই এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের পরে নির্মীত অনেক চলচ্চিত্রে ধ্রুপদী যুগের নোয়া সিনেমার নিয়মাবলী ব্যবহার করতে দেখা যায়। পরবর্তী কালের এসব নোয়া-সদৃশ সিনেমাকে বলা হয় [[নব্য-নোয়া]] চলচ্চিত্র। অন্যদিকে নোয়া সিনেমার আলঙ্কারিক দিকগুলো নিয়ে সেই ১৯৪০-এর দশক থেকেই ব্যঙ্গাত্মক ছবি নির্মীত হয়ে আসছে। |
||
==সর্বকালের সেরা নোয়া চলচ্চিত্র== |
|||
{| style="width:94%; margin:auto; text-align:center; font-size:100%; clear:both;" |
|||
|- |
|||
| style="text-align:center;"| |
|||
! style="background:#dbdaba; font-weight:normal; line-height:normal;"| <span style="font-size: 14px;">'''মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত ধ্রুপদী নোয়া চলচ্চিত্রসমূহ''' |
|||
|- |
|||
! style="background-color:#fff; width:55px; background-color:#dbdaba;"|১৯৪০-৪৯ |
|||
| style="background:#f5f5ec;"| |
|||
''[[দ্য ম্যাল্টিজ ফ্যালকন]]'' | |
|||
''[[শ্যাডো অফ আ ডাউট]]'' | |
|||
''[[লরা]]'' | |
|||
''[[ডাবল ইনডেমনিটি]]'' | |
|||
''মিলড্রেড পিয়ার্স'' | |
|||
''দ্য লস্ট উইকএন্ড'' <br /> |
|||
''ডিট্যুর'' | |
|||
''দ্য বিগ স্লিপ'' | |
|||
''[[দ্য কিলারস]]'' | |
|||
''[[নটরিয়াস]]'' | |
|||
''আউট অফ দ্য পাস্ট'' | |
|||
''ফোর্স অফ ইভিল'' | |
|||
''দ্য নেকেড সিটি'' | |
|||
''হোয়াইট হিট'' |
|||
|- |
|||
! style="background:#dbdaba;"|১৯৫০-৫৮ |
|||
| style="background:#f5f5ec;"| |
|||
''গান ক্রেজি'' | |
|||
''ডি.ও.এ.'' | |
|||
''ইন আ লোনলি প্লেস'' | |
|||
''দ্য অ্যাসফল্ট জাংগল'' | |
|||
''সানসেট বুলেভার্ড'' <br /> |
|||
''দ্য হিচ-হাইকার'' | |
|||
''দ্য বিগ হিট'' | |
|||
''কিস মি ডেডলি'' | |
|||
''[[দ্য নাইট অফ দ্য হান্টার]]'' | |
|||
''সুইট স্মেল অফ সাকসেস'' | |
|||
''টাচ অফ ইভিল'' |
|||
|} |
|||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
১১:০০, ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
নোয়া চলচ্চিত্র (ফরাসি ভাষায়: Film noir) বলতে মূলত অপরাধ-জগৎ নিয়ে নির্মীত হলিউডের শৈলীনিষ্ঠ নাট্য বা থ্রিলার চলচ্চিত্রগুলোকে বোঝায়, বিশেষ করে যেগুলোতে হতাশাবাদী মনোভাব এবং যৌন প্রণোদনার উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ধ্রুপদের যুগের এই সিনেমাগুলোর নির্মাণকাল ছিল ১৯৪০ থেকে ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত। সে যুগের নোয়া সিনেমাগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, লো-কি আলোকসজ্জা ব্যবহার করে সাদাকালো চিত্র ধারণ। এই ভিজ্যুয়াল স্টাইল প্রকৃতপক্ষে জার্মান অভিব্যক্তিবাদী (expressionism) চিত্রগ্রহণ থেকে এসেছে। এ সিনেমাগুলোর কাহিনী এবং মনোভঙ্গির উৎপত্তিস্থল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেট ডিপ্রেশনের সময় জন্ম নেয়া অপরাধ-জগৎ সংশ্লিষ্ট অসংখ্য দুর্ধর্ষ কল্পকাহিনী।
ফরাসি ভাষায় film noir শব্দ দুটির অর্থ কৃষ্ণ চলচ্চিত্র।[১] হলিউড সিনেমার ক্ষেত্রে এই বাগধারাটি প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন ফরাসি চলচ্চিত্র সমালোচক নিনো ফ্রাংক, ১৯৪৬ সালে। ধ্রুপদী যুগের মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পের অধিকাংশ ব্যক্তিই এ নাম সম্পর্কে কিছু জানতেন না।[২] চলচ্চিত্রের ইতিহাসবিদ ও সমালোচকরা অতীত পর্যালোচনার মাধ্যমে নামটি ব্যবহার শুরু করেছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে এর বহুল ব্যবহার শুরু হয়, এর আগে অধিকাংশ নোয়া সিনেমাকে মেলোড্রামা হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। নোয়া সিনেমাকে একটি আলাদা জঁরা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে কিনা এ নিয়ে এখনও চলচ্চিত্র তাত্ত্বিকদের মধ্যে বিতর্ক রয়ে গেছে।
নোয়া সিনেমার কাহিনী অনেক ধরণের হতে পারে— কেন্দ্রীয় চরিত্রটি হতে পারে কোন প্রাইভেট গোয়েন্দা বা নজরদারিতে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি (দ্য বিগ স্লিপ, ১৯৪৬), সাদা পোশাকের পুলিশ (দ্য বিগ হিট, ১৯৫৩), বয়স্ক মুষ্টিযোদ্ধা (দ্য সেট-আপ, ১৯৪৯), অন্যের নির্ভরতা আদায়ের পর তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এমন কোন দুর্ভাগা (নাইট অ্যান্ড দ্য সিটি, ১৯৫০), কোন ন্যায়নিষ্ঠ নাগরিক যে ভাগ্যচক্রে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ে (গান ক্রেজি, ১৯৫০) অথবা কেবল পরিস্থিতির শিকার কোন সাধারণ মানুষ (ডি.ও.এ., ১৯৫০)। নোয়া সিনেমা এক সময় কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বানানো হলেও পরবর্তীতে অনেক দেশেই এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের পরে নির্মীত অনেক চলচ্চিত্রে ধ্রুপদী যুগের নোয়া সিনেমার নিয়মাবলী ব্যবহার করতে দেখা যায়। পরবর্তী কালের এসব নোয়া-সদৃশ সিনেমাকে বলা হয় নব্য-নোয়া চলচ্চিত্র। অন্যদিকে নোয়া সিনেমার আলঙ্কারিক দিকগুলো নিয়ে সেই ১৯৪০-এর দশক থেকেই ব্যঙ্গাত্মক ছবি নির্মীত হয়ে আসছে।
সর্বকালের সেরা নোয়া চলচ্চিত্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত ধ্রুপদী নোয়া চলচ্চিত্রসমূহ | |
---|---|
১৯৪০-৪৯ |
দ্য ম্যাল্টিজ ফ্যালকন |
শ্যাডো অফ আ ডাউট |
লরা |
ডাবল ইনডেমনিটি |
মিলড্রেড পিয়ার্স |
দ্য লস্ট উইকএন্ড |
১৯৫০-৫৮ |
গান ক্রেজি |
ডি.ও.এ. |
ইন আ লোনলি প্লেস |
দ্য অ্যাসফল্ট জাংগল |
সানসেট বুলেভার্ড |
তথ্যসূত্র
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন, Biesen (2005), p. 1; Hirsch (2001), p. 9; Lyons (2001), p. 2; Silver and Ward (1992), p. 1; Schatz (1981), p. 112. Outside the field of noir scholarship, "dark film" is also offered on occasion; see, e.g., Block, Bruce A., The Visual Story: Seeing the Structure of Film, TV, and New Media (2001), p. 94; Klarer, Mario, An Introduction to Literary Studies (1999), p. 59.
- ↑ Naremore (2008), pp. 4, 15–16, 18, 41; Ballinger and Graydon (2007), pp. 4–5, 22, 255.