বিডি-০৮
বিডি-০৮ | |
---|---|
বিডি-০৮ অ্যাসল্ট রাইফেল | |
প্রকার | অ্যাসল্ট রাইফেল ও হালকা মেশিন গান |
উদ্ভাবনকারী | বাংলাদেশ |
ব্যবহার ইতিহাস | |
ব্যবহারকাল | ২০০৮–বর্তমান |
ব্যবহারকারী | দেখুন |
যুদ্ধে ব্যবহার | শান্তিরক্ষা মিশন |
উৎপাদন ইতিহাস | |
নকশাকারী | বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা |
উৎপাদনকারী | বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা |
উৎপাদনকাল | ২০০৮-বর্তমান |
উৎপাদন সংখ্যা | অজানা |
সংস্করণসমূহ | বিডি ০৮(অ্যাসল্ট রাইফেল) বিডি ০৮(হালকা মেশিন গান) |
তথ্যাবলি | |
ওজন | ৩.৪ কেজি (৭.৫০ পা) |
দৈর্ঘ্য | ৯৫৫ মিমি (৩৭.৬ ইঞ্চি) |
ব্যারেলের দৈর্ঘ্য | ৪৪৫ মিমি (১৭.৫ ইঞ্চি) |
কার্টিজ | ৭.৬২x৩৯ মিমি |
কার্যপদ্ধতি/অ্যাকশন | গ্যাস চালিত |
গুলির হার | ৭২০ রাউন্ড/মিনিট |
নিক্ষেপণ বেগ | ৭২০ মি/সে (২,৩৬২ ফুট/সে) |
কার্যকর পাল্লা | ৪০০ মিটার (এসাল্ট রাইফেল) / ৫০০ মিটার (হালকা মেশিন গান) |
ফিডিং | ৩০-রাউন্ড বক্স ম্যাগাজিন, ৭৫-রাউন্ড ড্রাম ম্যাগাজিন |
সাইট | আয়রন সাইট, কলিম্যাটর সাইট |
বিডি ০৮ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অ্যাসল্ট রাইফেল। এটা মূলত চীনা টাইপ ৮১ রাইফেল-এর বাংলাদেশী সংস্করণ। টাইপ ৮১ এবং বিডি ০৮ রাইফেল দেখতে অনেকটা এক তবে এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। যেমন: এতে ফিক্সড গ্যাস অপারেটর এর বদলে ফ্লোটিং গ্যাস অপারেটর ব্যবহার করা হয়েছে যা ঝাকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এর কার্যকরী দুরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার। এর দ্বারা গ্রেনেড নিক্ষেপ করা যায় এবং এতে আধুনিক সাইট ও লেজার ব্যবহার করা যায়। এটি ৫০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ৯৯% নির্ভুলভাবে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম।বিডি ০৮ বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় তৈরি হয়।[১][২][৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৮১ সালে নাগাদ পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) কর্তৃক চীনে টাইপ ৮১ অ্যাসাল্ট রাইফেল সার্ভিসে চালু করা হয়েছিল কিন্তু ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে পর্যন্ত তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। এটি সোভিয়েত এসকেএস[৫] কারবিন এবং টাইপ ৫৬ রাইফেল (একটি চীনা লাইসেন্সে নির্মিত একে-৪৭ ধরনের রাইফেল) এর প্রতিস্থাপিত রূপ। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে চীন ও ভিয়েতনামের সীমান্ত বিরোধের সময় এটি প্রথম যুদ্ধের ব্যবহার আসে। পিএলএ তার টাইপ -৮১-এর বেশিরভাগগুলো বর্তমানে টাইপ ৯৫ অথবা টাইপ ০৩ সিরিজের সাথে প্রতিস্থাপিত করেছে, যদিও এটি এখনও রক্ষণাবেক্ষণ এবং সশস্ত্র পুলিশে চীনে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরবর্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্তর্গত বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় এর নকশার সংস্করণ ও পরিমার্জনার মাধ্যমে ২০০৮ সালে নাগাদ বিডি-০৮ এর উৎপাদন শুরু হয়।
উৎপাদন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার প্রতিষ্ঠার কাজ প্রথম শুরু হয় ১৯৬৮ সালে চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায়। ১৯৭০ সালের ৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির অনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে এটিকে আর্মির চীফ অফ স্ট্যাফ স্যাক্রেটারিয়েটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং পুরো প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন করে সাজানো হয়। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে রাইফেল বিডি-০৮ প্রস্তুতের পরিকল্পনা প্রক্রিয়া শুরু হয়। যা সফলতা পায় ২০০৮ সালে নাগাদ।[৬] বর্তমানে বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় রাইফেলটির বার্ষিক উৎপাদন বাড়িয়ে ১৪ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে।[৭][৮]
ব্যবহারকারী
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
- বাংলাদেশ নৌবাহিনী
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী
- বাংলাদেশ পুলিশ
- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ কোস্টগার্ড
- র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)
এবং বাংলাদেশের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ web@somoynews.tv। "জেনে নিন বাংলাদেশেই তৈরি হয় যে ভয়ংকর অস্ত্রগুলো"। somoynews.tv (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২২।
- ↑ "বাংলাদেশে তৈরি যুদ্ধাস্ত্র"। Defence Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Rangamati, আলোকিত রাঙামাটি :: Alokito। "বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ আধুনিকায়ন পরিকল্পনা"। Alokito Rangamati (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২২।
- ↑ A, রিপোর্ট »Uncategorized a। "বছরে ১২,০০০ বিডি-০৮ রাইফেল উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "The SKS Is the Cockroach of Weapons" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৭।
- ↑ "বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা"। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা। ৩১ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭।
- ↑ "এবার অস্ত্র রফতানি করবে বাংলাদেশ"। parbattanews bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৩-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৭।
- ↑ "বাংলাদেশের অস্ত্র রফতানির বড় বাধা এভরিথিং বাট আর্মস শর্ত"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৭।