জাফর জাব্বারলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাফর জব্বারলি
জন্ম(১৮৯৯-০৩-২০)২০ মার্চ ১৮৯৯
জিজি, আজারবাইজান, সোভিয়েত ইউনিয়ন
মৃত্যু৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৪(1934-12-31) (বয়স ৩৫)
বাকু, আজারবাইজান, সোভিয়েত ইউনিয়ন
পেশানাট্যকার, কবি, চিত্রনাট্যকার

জাফর গফার ওগ্লু জব্বারলি, প্রায়ই জববারলি হিসেবে উচ্চারিত হয় (আজারবাইজানি: কাফার কাববারলি, ২০ মার্চ ১৮৯৯, জিজি - ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৪, বাকু) ছিলেন একজন আজারবাইজানি নাট্যকার, কবি, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।

জীবন [সম্পাদনা]

১৯০২ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর, জব্বারির মা তার চার সন্তানকে সাথে বাকুতে চলে যান। ১৯১৫ সালে, জববারী একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করেন এবং বাকু পলিটেকনিকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য ইলেক্ট্রোমেকানিক বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯২০ সালে তিনি আজারবাইজান রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত চিকিৎসা বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু আগ্রহের অভাবের কারণে তিনি ওরিয়েন্টাল স্টাডির দিকে অগ্রসর হন। ১৯২৩ সালে তিনি নাটকে তার আগ্রহের জন্য স্থানীয় থিয়েটারে লেকচার শোনার জন্য উপস্থিত থাকতে শুরু করেন।[১]

জাফর জববারী ৩৫ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে আলে অব অনার-এ দাফন করা হয়। জাতীয় চলচ্চিত্রের স্টুডিও, আজারবাইজানফিল্ম, একটি রাস্তার এবং বাকুের একটি সাবওয়ে স্টেশন তার নামে নামকরণ করা হয়। 

২২ মে ১৯৮৫ সালে "জাফর জব্বারলি স্মৃতি বাড়ি" জাদুঘর খোলা হয়। এটি বাড়ি নম্বর ১ এ অবস্থিত। জাফর জাব্বারলি গুতগাশিনি সড়ক ৪৪ (সাবেক জি. সুলতানভ সড়ক) এ বাস করতেন।[২]

সাহিত্য, থিয়েটার এবং চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

জাফর জব্বারলি তার প্রারম্ভিক কিশোর বয়সে কবিতা লিখতে আরম্ভ করেন এবং ১৯১১ সালে আজারবাইজান পত্রিকা হাজিগাত-ই আফকারে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরের বছরগুলিতে, তিনি ২০টিরও বেশি নাটকের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ, ছোট গল্প এবং নিবন্ধন লিখেছিলেন। তার রচনাগুলো ১৯২০-এর কমিউনিস্ট গৌরবের প্রচারণার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল এবং সমতুল্য, শ্রম, শিক্ষা, মহাজাগতিকতা, নারীর স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক শিফট ইত্যাদির মত যথাযথ বিষয়গুলি সেখানে উপস্থিত ছিল। আজারবাইজানে ইউরোপীয় নাটকের প্রবর্তনে জববারীর প্রধান অবদান ছিল উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের অনুবাদ। ১৯২৫ সালে তিনি হেমলেটের আজারবাইজানি অনুবাদ করেন এবং আজারবাইজান নাটক থিয়েটারে এটি পরিচালনা করেন তার এক বছর পর।[৩]

জাফর জাব্বারলিকে আজারবাইজানে স্ক্রিন-লিখনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯২৮ সালে তার লিখিত দুটি নাটক, স্যাভিল ও আলমাস, নিয়ে যথাক্রমে ১৯২৯ ও ১৯৩৬ সালে চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছিল। উভয় নাটকেই নারীর ভূমিকার প্রেক্ষপট, তাদের নিপীড়ন, সংগ্রাম এবং শেষপর্যন্ত- বর্ণিত পিতৃতান্ত্রিক ঐতিহ্যের উপর জয়লাভ করেছে।[৪][৫][৬]

তথ্যসূত্র [সম্পাদনা]

  1. Jafar Jabbarly: Life and First Years of Education (আর্কাইভ)
  2. Jafar Jabbarly: Museum (আর্কাইভ)
  3. Jafar Jabbarly: Translations (আর্কাইভ)
  4. Heyat, Farideh (২০০২)। Azeri Women in Transition: Women in Soviet and Post-Soviet Azerbaijan। Oxon, UK: Routledge। পৃষ্ঠা 98-102। আইএসবিএন 1136871705 
  5. Jafar Jabbarly: Third period of the writer's creative activity (1928-1934) (আর্কাইভ)
  6. Jafar Jabbarly: Film Activity (আর্কাইভ)]

বহিঃসংযোগ [সম্পাদনা]