ব্যবহারকারী:Shahinur528

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কোয়ারেন্টাইন না মানলে জরিমানা কোটি টাকা! by আন্তর্জাতিক ডেস্ক Published: 21 May 2021 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিদেশিদের ক্ষেত্রে কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে প্রবেশ করলে নিজ খরচে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সবাইকে। এই বিধি লঙ্ঘন করলে জরিমানা করা হবে ৫ লাখ রিয়াল, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ কোটি টাকার ওপর! এই জরিমানাকে ‘অস্বভাবিক’ আখ্যা দিয়েছেন প্রবাসীরা।


এখানেই শেষ নয়, কোয়ারেন্টাইন বিধি না মানলে রয়েছে ৫ বছরের জেল। এরপর জেল শেষে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যাকে দেশে পাঠানো হবে তিনি আর কখনোই সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন না। অবশ্য এমন কড়াকড়ি সিদ্ধান্তের মধ্যে একটা ‘কিন্তু’ আছে। যদি কেউ সাধারণ মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেয়, তাহলে এই শাস্তিগুলো কার্যকর।

সৌদি সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ আরও আছে। বিমানে চড়ার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসতে হবে। সৌদিতে পৌঁছানোর পর যাত্রীকে দুবার টেস্ট করতে হবে। প্রথমবার, পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এবং দ্বিতীয়বার টেস্ট করাতে হবে ষষ্ঠ দিনে। টেস্ট করার এসব খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে।

পৌঁছানোর পর দুই টেস্টেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে মুক্তি মিলবে ১ সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন থেকে। একই নির্দেশনা বাংলাদেশি ছাড়া অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের জন্য কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

দেশটিতে পৌঁছানোর পর ১ সপ্তাহের যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন, সেটার খরচ বহন করতে হবে যাত্রীকেই। ঢাকা থেকে সৌদির বিভিন্ন শহরে একমুখী যাতায়াতে প্লেন ভাড়া সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫৭ হাজার টাকা। অথচ, কোয়ারেন্টাইন ফি ৬৫ হাজার ৭০০ টাকা! টিকিটির চেয়ে ২০ ভাগ বেশি এই খরচে দিশেহারা যাত্রীরা।

বিশেষ করে, শ্রমিকরা এই টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই কেটে নেওয়া হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনের খরচ। সৌদি সরকারের এমন আচরণকে ‘অমানবিক’ বলছেন প্রবাসীরা। টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সব প্রস্তুতি থাকার পরও গত কয়েকদিনে ৪ শতাধিক যাত্রী সৌদি আরবে যেতে পারেননি।