এইচ এল মেনকেন
এইচ এল মেনকেন | |
---|---|
ইংরেজি: Henry Louis Mencken | |
![]() ১৯২৮ সালে এইচ এল মেনকেন | |
জন্ম | হেনরি লুইস মেনকেন ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৮০ |
মৃত্যু | ২৯ জানুয়ারি ১৯৫৬ বাল্টিমোর, মেরিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৫)
পেশা | সাংবাদিক, ব্যঙ্গকার, সমালোচক |

হেনরি লুইস মেনকেন (ইংরেজি: Henry Louis Mencken; ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৮০ – ২৯ জানুয়ারি ১৯৫৬)[১] একজন মার্কিন সাংবাদিক, ব্যঙ্গলেখক ও সমাজ সমালোচক ছিলেন।[২] তিনি সামাজিক বিষয়াদি, সাহিত্য, সঙ্গীত, প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সমকালীন আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। তিনি স্কোপস ট্রায়ালের উপর "মাংকি ট্রায়াল" শিরোনামে তার ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবেদন লিখতেন, যা তাকে খ্যাতি এনে দেয়। তাকে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়।[৩]
পণ্ডিত হিসেবে মেনকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজ ভাষা কীভাবে বলা হয় তার উপর রচিত একাধিক খণ্ডের গবেষণা দি অ্যামেরিকান ল্যাঙ্গুয়েজ-এর জন্য সুপরিচিত। তিনি জার্মান দার্শনিক নিৎশের প্রশংসা করতেন, যার জন্য তিনি "মার্কিন নিৎশে" নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি সংগঠিত ধর্মবিশ্বাস, আস্তিক্যবাদ, বিবাচন, জনতুষ্টিবাদ ও প্রতিনিধিত্বপূর্ণ গণতন্ত্রের বিরোধী ছিলেন, শেষোক্ত বিষয়টিকে তিনি অধঃস্তন লোকদের তাদের ঊর্ধ্বতনদের উপর আধিপত্য বিস্তারের কৌশল মনে করতেন। মেনকেন বৈজ্ঞানিক প্রগতির সমর্থক ছিলেন এবং ওস্তিওপ্যাথি ও কাইরোপ্র্যাকটিসের সমালোচক ছিলেন। এছাড়া তিনি অর্থনীতির উন্মুক্ত সমালোচক ছিলেন।
মেনকেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিনীদের অনুপ্রবেশের বিরোধী ছিলেন। তার নিজস্ব দিনলিপিতে কিছু মতামতকে কয়েকজন গবেষক বর্ণবাদী ও ইহুদি-বিদ্বেষী বলে বর্ণনা করেন।[৪] ল্যারি এস. গিবসন যুক্তি দেখান যে জাতিসত্তার প্রতি মেনকেনের দৃষ্টিভঙ্গি বয়সের সাথে সাথে পাল্টাতে থাকে, বিশেষ করে বয়স পঞ্চাশ পার হওয়ার পর থেকে।[৫]
ওয়েস্ট বাল্টিমোরের নিকটবর্তী ইউনিয়ন স্কয়ারের বাড়িটি জাদুঘরে পরিণত করা হয়, যার নাম এইচ এল মেনকেন হাউজ। তার পাণ্ডুলিপিসমূহ বিভিন্ন শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে প্রদান করা হয়েছে, তন্মধ্যে সর্বোচ্চ সংকলন রয়েছে বাল্টিমোরের ইনোখ প্র্যাট ফ্রি লাইব্রেরির প্রধান শাখা মেনকেন রুমে।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "H.L. Mencken | Biography, Books, Significance, & Facts | Britannica"। www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৪।
- ↑ "Obituary", Variety, ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৫৬
- ↑ "Henry Louis Mencken, 1880-1956"। docsouth.unc.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৪।
- ↑ "Mencken Was Pro-Nazi, His Diary Shows"। Los Angeles Times। Associated Press। ডিসেম্বর ৫, ১৯৮৯। নভেম্বর ১০, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Gibson, Larry S. (Winter ২০১৪)। "H.L. Mencken: Racist or Civil Rights Champion?"। Menckeniana। 208 (208): 1–12। জেস্টোর 26485502।
If one were to label Mencken's way of looking at mankind, one could rightly call it "elitism". It was not "racism".
- ↑ "H. L. Mencken Room – Enoch Pratt Free Library"। www.prattlibrary.org (ইংরেজি ভাষায়)। এপ্রিল ৩০, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ১৮৮০-এ জন্ম
- ১৯৫৬-এ মৃত্যু
- মার্কিন প্রাবন্ধিক
- মার্কিন নাস্তিক
- জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
- মার্কিন স্মৃতিকথাকার
- মার্কিন পুরুষ সাংবাদিক
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন প্রাবন্ধিক
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন ইতিহাসবিদ
- ২০শ শতাব্দীর স্মৃতিকথাকার
- সামাজিক সমালোচক
- মার্কিন লেখক
- মার্কিন আত্মজীবনীকার
- মার্কিন অজ্ঞেয়বাদী
- মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদক ও সংবাদদাতা
- মার্কিন কলাম লেখক
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন স্মৃতিকথাকার
- বিকল্প চিকিৎসার সমালোচক
- ফোর্টীয় ঘটনাবলী
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন পুরুষ লেখক