ফেসবুকের সমালোচনা
ফেসবুকের সমালোচনা মূলত ফেসবুকের এর বাজার প্রাধান্য এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ও তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে তথ্য গোপনীয়তা, যেমন এর বিস্তৃত তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইটে "লাইক" বাটন ব্যবহার করে ব্যবহারীকে ট্র্যাক করা,[১][২] সাম্ভাব্য অনির্দিষ্ট ব্যবহারকারী তথ্যের সংরক্ষণ,[৩] স্বয়ংক্রিয় মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ সফটওয়্যার,[৪][৫] এবং কর্মক্ষেত্রে এর কার্যক্রম।[৬]
ফেসবুক ব্যবহারের কিছু মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবও রয়েছে, যেমন ঈর্ষানুভূতি,[৭] এবং চাপ,[৮][৯] মনোযোগ স্বল্পতা,[১০] এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি, যা কিছু ক্ষেত্রে মাদকাসক্তির মত ভয়ঙ্কর।
কোম্পানিটির বিরুদ্ধে সমালোচনাগুলো হলো:
- ব্যবহারকারীদের উপর ভয়ঙ্কর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব।
- সরকারের সাথে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করা।
- ফেসবুক ব্যবহারকারী ও নন-ফেসবুক ব্যবহারকারীর উপর ফেসবুকের নজরদারী।
- অননুমোদিত বা চুরি করা স্বত্বাধিকারকৃত উপাদানকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করা।
- ব্যবহারকারীর ডাটা সংগ্রহ।
প্রযুক্তিগত
[সম্পাদনা]ডাউনটাইম এবং বিভ্রাট
[সম্পাদনা]৫ মার্চ ২০২৪-এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং এর সহযোগী সংস্থা মেসেঞ্জার এবং ইন্সটাগ্রাম বিশ্বব্যাপী অনুপলব্ধ হয়ে ওঠে।[১১][১২] একই কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ প্রভাবিত হয়নি।[১২]
বিভ্রাট প্রায় ১৫:০০ ইউটিসি[১৩]-এ শুরু হয়েছিল এবং ১৫:৩০ ইউটিসি এর মধ্যে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্ম দ্বারা প্রতিবেদন করা হয়েছিল।[১৪] ডাউনডিটেক্টর ওয়েবসাইট ডাউনটাইমের ৩,০০,০০০টি প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছে।[১২]
বিভ্রাটের লক্ষণ ছিল ব্যবহারকারীদের লগ আউট করা। যেহেতু এটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, তাই এটি বেশ কয়েকটি ব্যবহারকারীর জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।[১৩][১৫] অনেক লোক টুইটার/এক্স এর মতো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে প্রশ্ন করেছে যে তাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কিনা।[১৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ডানকান, জিওফ (১৭ জুন ২০১০)। "Open letter urges Facebook to strengthen privacy (উন্মুক্ত পত্র ফেসবুককে গোপনীয়তা বাড়াতে দাবী জানায়)"। ডিজিটাল ট্রেন্ডস। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ পল, ইয়ান (১৭ জুন ২০১০)। "Advocacy Groups Ask Facebook for More Privacy Changes( উকিলগোষ্ঠী ফেসবুককে গোপনীয়তায় পরিবর্তন আনতে বলে)"। পিসিওয়ার্ল্ড। আন্তর্জাতিক ডাটা গোষ্ঠী। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ Aspen, Maria (১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "How Sticky Is Membership on Facebook? Just Try Breaking Free"। দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ অ্যান্থনি, সেবাস্তিয়ান (১৯ মার্চ ২০১৪)। "Facebook's facial recognition software is now as accurate as the human brain, but what now? (ফেসবুকের চেহারা চিহ্নিতকরণ সফটওয়্যার এখন মানুষের মস্তিষ্কের মতই সঠিক, তারপর?)"। এক্সট্রিম টেক। জিফ ডেভিস। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ গ্যানেস, লিজ (৮ জুন ২০১১)। "Facebook facial recognition prompts EU privacy probe"। সিনেট। সিবিএস ইন্টারেক্টিভ। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ফ্রাইডম্যান, ম্যাট (২১ মার্চ ২০১৩)। "Bill to ban companies from asking about job candidates' Facebook accounts is headed to governor"। NJ.com। অ্যাডভান্স ডিজিটাল। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "How Facebook Breeds Jealousy(ফেসবুক যেভাবে ঈর্ষা বাড়ায়)"। সিকার। গ্রুপ নাইন মিডিয়া। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ নগ্যাক, চেন্ডা (২৭ নভেম্বর ২০১২)। "Facebook may cause stress, study says(গবেষণায় এসেছে ফেসবুক মানসিক চাপ বাড়াতে পারে)"। সিবিএস নিউজ। সিবিএস। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ স্মিথ, ডেভ (১৩ নভেম্বর ২০১৫)। "Quitting Facebook will make you happier and less stressed, study says"। বিজনেস ইন্সাইডার। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ বুগেজা, মাইকেল জে. (২৩ জানুয়ারি ২০০৬)। "Facing the Facebook(ফেসবুকের মুখোমুখি)"। দ্যা ক্রোনিক্যাল অব হায়ার এজুকেশন। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ Snelling, Dave (মার্চ ৫, ২০২৪)। "Facebook, Instagram, Messenger down: Meta platforms suddenly stop working in huge outage"। The Independent। মার্চ ৫, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০২৪।
- ↑ ক খ গ "Facebook and Instagram down in apparent global outage"। মার্চ ৫, ২০২৪। মার্চ ৫, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০২৪ – www.bbc.co.uk-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ "Facebook and Instagram users report outage on social media app- What to know"। Oxford Mail। মার্চ ৫, ২০২৪। মার্চ ৫, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০২৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২৪।
- ↑ Fidler, Katherine (মার্চ ৫, ২০২৪)। "Facebook and Instagram are both down, affecting users across the globe"। মার্চ ৫, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০২৪।
- ↑ "Facebook and Instagram down as worldwide outage hits Meta sites - live"। The Independent। মার্চ ৫, ২০২৪।