হাচি: এ ডগ’স টেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(হাচি:এ ডগ টেল (২০০৯-এর চলচ্চিত্র) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
হাচি: এ ডগ’স টেল
পরিচালকলাসে হালস্ত্রোম
প্রযোজকরিচার্ড গিয়ার
বিল জনসন
চিত্রনাট্যকারস্টিফেন পি. লিন্ডসি
উৎসকানেতো সিন্দো]] কর্তৃক 
হাচিকো মনোগাতারি
শ্রেষ্ঠাংশে
  • রিচার্ড গিয়ার
  • জোন অ্যালেন
  • এরিক অ্যাভারি
  • জেসন আলেকজান্ডার
সুরকারজ্যান এ. পি. কাৎজমারেক
চিত্রগ্রাহকরন ফর্চুনাতো
সম্পাদকক্রিস্টিনা বোডেন
প্রযোজনা
কোম্পানি
  • অ্যাফার্ম ফিল্মস
  • হাচিকো, এলএলসি
  • গ্র্যান্ড আর্মি এন্টারটেইনমেন্ট, এলএলসি
  • ওপারম্যান ভাইনার ক্রিস্টিন এন্টারটেইনমেন্ট
  • স্কিওন ফার্মস
  • ইনফার্নো প্রডাকশন
পরিবেশক
মুক্তি
স্থিতিকাল৯৭ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়১৬ মিলিয়ন ডলার
আয়৪৬.৭ মিলিয়ন ডলার

হাচি: এ ডগ্‌স টেল ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ব্রিটিশ-মার্কিন নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র। এটি কানেতো শিন্দোর ১৯৮৭ সালের জাপানি চলচ্চিত্র হাচিকো মনোগাতারি-এর মার্কিন পুনর্নির্মাণ। মূল চলচ্চিত্রটিতে ১৯২৩-১৯৩৫ সালে জাপানের হাচিকো নামের একটি আকিতা কুকুরের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ১৯৮৫ সালের জাপানের পটভূমিতে একজন অধ্যাপক ও তার প্রভুভক্ত কুকুরের সত্য ঘটনা অবলম্বনে হাচি চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। আধুনিক মার্কিন পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন লাসে হালস্ত্রোম এবং কানেতো শিন্দোর জাপানি চিত্রনাট্য অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন স্টিফেন পি. লিন্ডসি। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন রিচার্ড গিয়ার, জোন অ্যালেন, সারা রোমার, জেসন আলেকজান্ডার ও ক্যারি হিরোয়ুকি তাগাওয়া। চলচ্চিত্রটি ২০০৯ সালের ১৩ জুন 'সনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট' এর ব্যানারে মুক্তি পায়।

আয়[সম্পাদনা]

'হাচি:এ ডগ টেল' সারা বিশ্বে ৪৬.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

বেডরিজে পরিবার নিয়ে থাকেন প্রোফেসর পার্কার উইলসন। একদিন কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তিনি দেখতে পান, একটা মালিকবিহীন কুকুরছানা(হাচিকো) উদ্দেশ্যহীন ভাবে রেলস্টেশনে হেঁটে বেড়াচ্ছে। কুকুরছানার ফুটফুটে চেহারা দেখে স্বভাবতই তার মায়া হয়, প্যাকিং বক্সে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। উদ্দেশ্য, দিনের আলো ফুটলে উপযুক্ত মালিকের সন্ধান করে তার হাতে তুলে দেয়া।

দিন গড়ায়, কেউ আর কুকুরের মালিকানা দাবী করেনা। দাবী করার কথাও না, আসল মালিক ততদিনে দেশ ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে। ততদিনে পার্কার পরিবারের সবার সাথে হাচিকোর সম্পর্কও আরো গাঢ় হয়েছে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, মালিকের খোঁজ আর করা হবেনা। পার্কার পরিবারের গ্যারেজে নতুন সদস্য হিসেবে আশ্রয় পায় সে।

প্রফেসর পার্কার একদিন তার এক জাপানী বন্ধুর কাছে নিয়ে যায় হাচিকোকে। সেই জাপানী বন্ধুই কুকুরটির নামকরণ করেন “হাচিকো”, জাপানী ভাষায় যার অর্থ “আট”। আটকে জাপানে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।

পরিবারের সবার মধ্যে প্রফেসর পার্কার উইলসনের সাথে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো হাচিকোর। প্রতিদিন সকালে সে প্রফেসরকে রেলস্টেশনে এগিয়ে দিয়ে আসে। আবার, বিকেলবেলা প্রফেসরের ট্রেন আসার একটু আগে আগে গিয়ে রেলস্টেশনের চত্বরে বসে থাকে। প্রফেসর ট্রেন থেকে নামলে তার সাথে একত্রে বাড়ি ফেরে। এভাবে, রেলস্টেশনের পরিচিত মুখ হয়ে যায় হাচিকো। সবাই তাকে এক নামে চেনে। রেলস্টেশনের কফিশপের মালিক থেকে স্টেশনের সিকিউরিটি গার্ড, সবার কাছে ভীষণ পরিচিত সে।

এভাবেই কেটে যায় অনেকটা সময়। একদিন, ক্লাস চলাকালে, হার্ট এ্যাটাক করে মারা যান প্রফেসর পার্কার উইলসন। হাচিকো সেদিনও বরাবরের মত পড়ন্ত বিকেলে যায় প্রফেসরকে আনতে। ট্রেন থেকে সবাই নামে, প্রফেসর নামেনা। সারা রাত রেলস্টেশনে বসে থাকে সে। অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকে, স্টেশনের দিকে, পরিচিত মুখের আশায়। পরিচিত মুখ আর আসেনা।

এভাবে কেটে যায় দশটা বছর। ততদিনে, পার্কার পরিবারের অনেক অদলবদল হয়েছে। প্রফেসর পার্কারের মেয়ের বিয়ে হয়েছে। প্রফেসর পার্কারের স্ত্রী বেডরিজের বাড়ি বিক্রি করে অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন। দশ বছর পরে তিনি ফিরেছেন, স্বামীর সমাধিস্থল দেখতে। ট্রেন থেকে নামতেই তিনি দেখলেন, হাচিকো রেলস্টেশনের নির্দিষ্ট জায়গায় বসে প্রিয় মানুষের মুখটা দেখার জন্যে উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছে, চেহারায় স্পষ্ট বয়সের ছাপ। বৃদ্ধ হাচিকো বসে আছে প্রিয়জনের আশায়, পরিবারের লোকজন হয়তো প্রফেসরকে ভুলে গিয়েছে, হাচিকো ভোলেনি, সেজন্যেই তার নিরলস অপেক্ষা। এভাবেই একদিন, অপেক্ষা করতে করতে রেলস্টেশনের তার নির্দিষ্ট জায়গায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে সে।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]