সুবাহদার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:১২, ২২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

সুবাহদার (অন্য উচ্চারণঃ সুবেদার, সুবাদার, সুবেহদার) বলতে মোগল আমলে যেকোন সুবাহ তথা প্রদেশের প্রশাসক বা গভর্নরকে বুঝানো হতো। সুবাহদারকে নাজিম, সাহিব-ই-সুবাহ, ফৌজদার-ই-সুবাহ ইত্যাদি নামেও অভিহিত করা হয়।[১]

শাব্দিক অর্থ

সুবাহদার ফারসী শব্দ। এর শাব্দিক অর্থে সুবাহ এর অধিকারীকে সুবাহদার বলা হয়। কখনো কখনো সিপাহীদের অধিনায়ক বুঝাতেও শব্দটি ব্যবহৃত হয়।[২]

নিয়োগ

মোগল আমলে সমগ্র দেশকে কয়েকটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে শাসনকার্য পরিচালনা করা হতো। এই সব প্রসাশনিক অঞ্চলকে বলা হতো সুবাহ। সাধারণত উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা এবং শাহজাদাদের বা রাজবংশের বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সুবাহদার হিসেবে নিযুক্ত করে পাঠানো হতো। সুবাহদার নিয়োগ রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, কারণ আঞ্চলিক পর্যায়ে সুবাহদারের মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার আনুগত্য নিশ্চিত করা হয়।[১]

প্রশাসনিক ক্ষমতা

একজন সুবাহদার তার অধীনে থাকা সুবাহ তথা প্রদশে মোগল বাদশাহর পক্ষ থেকে সর্বময় ক্ষ্মতা লাভ করেন। পদাধিকারবলে তিনি একই সাথে সামরিক ও বেসামরিক বিভাগের প্রধানের ক্ষমতা লাভ করেন। কেন্দ্রের সমস্ত আদেশ সুবাহদার আঞ্চলিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে থাকেন। কোন অঞ্চলে বিদ্রোহ দেখা দিলে তা দমন করার ক্ষমতা সুবাহদারের থাকে। সুবাহদারের অধীনে দিওয়ান, বকশী, ফৌজদার, কোতয়াল, কাজী, সাদর, ওয়াকা-ই-নাভিস, পাটোয়ারী ইত্যাদি পদাধিকারী কাজ করেন।

অভিশংসন

বাদশাহ চাইলেই কোন সুবাহদারকে পদচ্যুত করতে পারতেন। কোন সুবাহদার বিদ্রোহ করলে যুদ্ধের মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হতো।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "সুবাহদার - বাংলাপিডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬ 
  2. "সুবাদার - শব্দের বাংলা অর্থ at english-bangla.com" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬