শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:১৭, ১০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
প্রতিষ্ঠাকাল৬ই এপ্রিল ২০১৬
উদ্দেশ্যবার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসা
অবস্থান
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে পোড়ারোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ বার্ন ইনস্টিটিউটে বার্ন ইউনিট, প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট এবং একাডেমিক উইং মোট এ তিনটি ব্লক রয়েছে। এতে রয়েছে ৫০০ শয্যা, ২২ শয্যা বিশিষ্ট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), রোগীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ২২ শয্যা বিশিষ্ট হাই ডেফিসিয়েন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), ১২টি অপারেশন থিয়েটার এবং একটি অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড। আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি এখানে ঠোঁটকাটা, তালুকাটা প্রভৃতি রোগীদের প্লাস্টিক সার্জারিরও ব্যবস্থা আছে।

আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী সমৃদ্ধ এ প্রতিষ্ঠানে রোগীকে দ্রুত আনা নেওয়ার জন্য ভবনের ছাদে রয়েছে হেলিপ্যাডের সুবিধা। হাসপাতালের গাড়ি পার্কিংয়ে সক্ষমতা ১৮০টি পর্যন্ত।

রাজধানীর চাঁনখারপুলে ১.৭৬ একর জমির উপর নির্মিত ১৮ তলাবিশিষ্ট এ ইনস্টিটিউটটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নির্মাণ খরচ হয়েছে ৯১২ কোটি টাকা আর ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালনা করছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম।

ইতিহাস

বাংলাদেশে ১৯৮৬ সালে দেশের প্রথম প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু করা হয়। তখন এর শয্যার সংখ্যা ছিল মাত্র ছয়টি। পরে অধ্যাপক ডা. সামন্ত লালের প্রচেষ্টায় ২০০৩ সালে চাঁনখারপুলে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সড়কে সেটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিটের রূপ পায় এবং শয্যার সংখ্যা ৫০ এ উত্তীর্ণ হয়। ২০১০ সালের ৩রা জুন পুরাতন ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৭ জনের মৃত্যুর পর এবং পরবর্তীতে নির্বাচনী সংহিংসতা ও দেশের বিভিন্ন কলকারখানায় অগ্নিকাণ্ডজনিত দূর্ঘটনাজনিত কারণে বার্ন ইউনিটের গুরুত্ব জোড়ালো হয়।

এসব গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৫ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আয়োজিত প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মানের একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপনের ঘোষণা দেন যা ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে একনেকের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ৬ই এপ্রিল ঢাকার চাঁনখারপুলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং একই বছরের ২৭শে এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এর নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০১৮ সালের ২৪শে অক্টোবরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন আর আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা চালু হয় ৪ঠা জুলাই ২০১৯ থেকে।[১]

তথ্যসূত্র