ব্যবহারকারী:Sharik~bnwiki/ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ২

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি

ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বাংলাদেশের একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজটির নিজস্ব সম্পদের মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। 

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পে কারিগরিভাবে দক্ষ জনসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ইস্ট বেঙ্গল ট্যানিং ইনস্টিটিউট নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের ১০ জুন থেকে এই প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৫২ সালে ইস্ট পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি নামে এর নতুন নাম দেওয়া হয়। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এখানে ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট কোর্স এবং কারিগরি পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিল।অর্থনীতি তে চামড়া শিল্পের অবদানের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত সিলেবাসে মাধ্যমে ১৯৮০ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে নিয়ে আসে। এর নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজি । এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৌশল বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি দেওয়া শুরু করা হয়।২০১১ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদ হিসেবে অধিভূক্ত করা হয়।এর নামকরন করা হয় “ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি”।


বিভাগ সমূহ[সম্পাদনা]

স্নাতক পর্যায়ে নিমোক্ত তিনটি বিষয়ে শিক্ষা দান করা হয়ঃ

  • বিএসসি ইন লেদার টেকনোলজি
  • বিএসসি ইন লেদার প্রোডাক্টস টেকনোলজি
  • বিএসসি ইন ফুটওয়্যার টেকনোলজি

এখানে পড়ানো হয় চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরন, থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব লেদার প্রডোক্টস ম্যানুফ্যাকচার, জুতার ডিজাইন, থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার, লেদার অ্যান্ড পলিমার ফর ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার, জৈব, অজৈব এবং ভৌত রসায়ন, বিশ্লেষণধর্মী রসায়ন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর লেদার প্রোডাক্টস টেকনোলজি, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর লেদার প্রোডাক্টস টেকনোলজি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর ফুটওয়্যার টেকনোলজি, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর ফুটওয়্যার টেকনোলজি, পরিসংখ্যান, গণিত, কম্পিউটার ও পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা।এছাড়াও অটোক্যাড এবং প্যাটার্ন মেকিং ফর লেদার প্রোডাক্ট টেকনোলজি , বিভিন্ন ধরনের রসায়ন বিজ্ঞান, বিশ্লেষণিক রসায়ন, কারখানা ব্যবস্থাপনা, পরিসংখ্যান, গণিত, প্রোডাকশন ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল, গণিত, কম্পিউটার, লেদার অ্যান্ড পলিমার ফর লেদার প্রোডাক্ট টেকনোলজি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচার, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচার ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া ।

ভর্তি প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “ক” ইউনিট এর অধীনে নেওয়া হয়।এই ইনস্টিটিউটে প্রতিটি বিভাগে ৪০টি করে মোট ১২০টি আসন আছে।

সুবিধা[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ছাত্র-ছাত্রীর জন্য দুইটি ছাত্রাবাস মোট ৪০০জন ও একটি ছাত্রীবাসে ৩০০ থাকা ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও টিচার্স কোয়ার্টারে ৫২ জন ছাত্রী থাকতে পারে।এখানে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে যেখানে ১ জন মেডিক্যাল অফিসার ও ১ জন কম্পাউন্ডার আছে।

সমস্যা[সম্পাদনা]

প্রাথমিক অবস্থাতে ভালোভাবে চললেও ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজির বেশ কিছু শিক্ষক পদ বাদ দেওয়া হয়। পরে নতুন বিভাগ খোলা হলেও শিক্ষক আর নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ১৯৯৭ সালে কলেজের পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণের জন্য ৭২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে ২৮ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে ঐ প্রকল্প শেষ হওয়ার পর দেখা দেয় পুনরায় শিক্ষকসংকট। অনেক শিক্ষক সরকারী প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও সেখানে ছিলেন কাজে। কিন্তু তাঁদের চাকরি অস্থায়ীই থাকে। প্রায় তিন বছর তাঁরা কোন বেতন-ভাতাও পাননি কলেজ থেকে। তাই তাঁরা ধীরে ধীরে চাকুরী ছাড়তে থাকেন। ঐ প্রকল্পের ছয়জন শিক্ষক শিক্ষকতা করছেন বেতনাদি ছাড়াই। ওঁদের ছাড়া রাজস্ব খাতে তিনটি বিভাগে নিয়মিত শিক্ষক আছেন মোট ছয়জন। এ অবস্থায় গত বছর কলেজটি কিছু খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ না থাকায় শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় সে নিয়োগ দিতে দেয়নি। নতুন পদ সৃষ্টির আবেদন করা হলেও সরকারি বিধিবিধান মেনে সব প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে। তাই ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে এই প্রতিষ্ঠানটি কোন ছাত্রকে ভর্তি করেনি। তবে ইনস্টিউট হওয়ার পর নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।অন্যান্য সমস্যা সমাধানে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।