দজলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
JAnDbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: ms:Tigris
TXiKiBoT (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: br:Tigris
২৮ নং লাইন: ২৮ নং লাইন:
[[be:Рака Тыгр]]
[[be:Рака Тыгр]]
[[bg:Тигър (река)]]
[[bg:Тигър (река)]]
[[br:Tigris]]
[[bs:Tigris]]
[[bs:Tigris]]
[[ca:Tigris]]
[[ca:Tigris]]

০৫:৪৭, ১ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দজলা
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
মোহনাশাত আল আরব

টাইগ্রিস নদী (আরবি ভাষায়: دجلة) দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার একটি নদী। নদীটি তুরস্কে উৎপত্তি লাভ করে ইরাকের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইউফ্রেটিস নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এবং শাত আল আরব নামে পারস্য উপসাগরে পড়েছে।

টাইগ্রিস নদীর দৈর্ঘ্য ১,৯০০ কিলোমিটার এবং এর নদীবিধৌত অববাহিকার আয়তন ১,১০,০০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। নদীটি পূর্ব তুরস্কের পর্বতমালায় উৎপত্তি লাভ করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্বে প্রবাহিত হয়ে কিছু সময়ের জন্য সিরিয়া ও তুরস্কের সবচেয়ে পূর্বের সীমান্ত গঠন করে ইরাকে প্রবেশ করেছে। ইরাকের ভেতর দিয়ে এটি সর্পিলাকারে মোটামুটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছে এবং এর উপত্যকা সমতল ও বিস্তৃত আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ ইরাকে এটি ইউফ্রেটিস নদীর সাথে মিলিত হয়ে শাত আল আরব নদী গঠন করেছে, যা আরও ১৭০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে পারস্য উপসাগরে পতিত হয়েছে। প্রাচীনকালে ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিসের মধ্যবর্তী অববাহিকাতে বিখ্যাত সব মেসোপটেমীয় সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল। টাইগ্রিস নদীর তীরে প্রাচীন আসিরীয় সভ্যতার নিনেভেহ শহরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত। এছাড়া সেলেউসিয়া ও তেসিফোনের অবশেষও আছে এখানে।

টাইগ্রিসের প্রধান প্রধান উপনদী হল বৃহৎ জাব, ক্ষুদ্র জাব, দিয়ালা এবং আল উজায়িম। এগুলি সবই ইরাকের অভ্যন্তরে টাইগ্রিস নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। তবে বৃহৎ জাব নদী তুরস্কে এবং ক্ষুদ্র জাব ও দিয়ালা নদী ইরানে উৎপত্তি লাভ করেছে। টাইগ্রিস নদীর তীরে অবস্থিত প্রধান শহরের মধ্যে আছে তুরস্কের দিয়ারবাকির এবং ইরাকের মোসুল ও বাগদাদ শহর। টাইগ্রিস নদী অত্যন্ত অগভীর বলে এখানে ছোট নৌকা ছাড়া আর কিছু চালানো যায় না। বিশেষত বাগদাদের পর থেকে নদীটি একাধিক অগভীর শাখার বিভক্ত হয়ে গেছে এবং ঘন জলাভূমির মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

অতীতে উচ্চভূমির শীতকালীন বরফগলা পানি এবং শীতের শেষের বৃষ্টিপাতের ফলে টাইগ্রিস নদীতে প্রায়ই বন্যার সৃষ্টি হত। ১৯৫০ সালে সামারা বাঁধ নির্মাণ করে টাইগ্রিসের অতিরিক্ত পানি মধ্য ইরাকের থারথার অঞ্চলে প্রবাহিত করা হয়। টাইগ্রিসের বয়ে আনা অতিরিক্ত পলিমাটি কমানোরও ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে এর ফলে দক্ষিণ ইরাকে সুপেয় পানির সরবরাহ হ্রাস পায় এবং দক্ষিণ ইরাকে পারস্য উপসাগরের লবণাক্ত পানি টাইগ্রিসের সুপেয় পানির সাথে মিশে যেতে থাকে। ফলে স্থানীয় কৃষির ক্ষতি হয়।