শুতীয়া রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}


[[বিষয়শ্রেণী:প্রাক্তন সাম্রাজ্যসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাক্তন সাম্রাজ্য]]

০৯:৪৪, ১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শুতীয়া রাজ্য (ইংরেজি: Sutiya Kingdom;অসমীয়া: চুতীয়া রাজ্য)আনুমানিক ১১৮৭ সনে প্রতিষ্ঠিত ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর পারে সোবনশিরি ও দিসাং নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলের একটি বিশাল সাম্রাজ্য ।[১] ১১৮৭ সনে বীরপাল শদিয়াকে শুতীয়া রাজ্যের রাজধানী করে। এরপর প্রায় দশটি সম্রাট এখানে রাজত্ব করেন। কামরুপ রাজ্য ধ্বংস হওয়ার পর শুতীয়া রাজ্য ও রাজভূঞা বিষয়া ও খেন রাজারা ক্ষমতায় আসেন। অসমের স্থানীয় জাতির মধ্যে শুতীয়া জাতিরা অন্যতম। তারা তিব্বত বার্মীশ গোষ্ঠির অন্তর্গত ছিলেন ও তিব্বত বার্মীশ ভাষা ব্যবহার করতেন।

রাজ্য প্রতিষ্ঠা

আনুমানিক ১১৮৭ সনে শুতীয়া রাজ্যের প্রথম রাজা বীরপাল বা বীরবল শোবনশিরি নদীরে তীরে স্থিত সোনাগিরি পাহাড়ে বসবাসকারী ৬০টি পরিবারের উপর আধিপত্য বিস্তার করে শাসন করা আরম্ভ করেন। তারপর তিনি প্রতিবেশী জনজাতীদের পরাস্ত করেন ও গয়পাল নাম গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি উত্তর-পূর্ব অসমঅরুনাচল প্রদেশকে নিয়ে শুতীয়া রাজ্য স্থাপন করেন। তার রাজ্যের রাজধানী ছিল শদিয়ায়। আহোম সাম্রাজ্য স্থাপনের পূর্বে উজনী অসমে শুতীয়া রাজ্য সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্য ছিল। একটি আহোম ইতিহাস মতে সেই সময়ে শুতীয়া রাজ্যের পূর্বে ছিল ব্রহ্মকুণ্ড ও পশ্চিমে ছিল সোবনশিরি উপত্যকা এবং উত্তরে পর্বতমালা ও দক্ষিণে বুঢ়ীদিহিং নদী। শুতীয়াদের মধ্যে ইতিহাস লেখার প্রথা নাথাকার জন্য তাদের সবকয়টি রাজার নাম জানা যায় নাই। দেওধাই অসম বুরজ্ঞী নামক পুস্তক অনুযায়ী ১২ থেকে ১৬ শতিকায় সর্বমোট ১০টি রাজা শুতীয়া রাজ্যে রাজত্ব করেছেন। নোই ইলিয়াস সাহেবের হিস্ট্রী অফ দা শ্বানস-এর মতে আহোম রাজা চুকাফার সমসাময়িক সুতীয়া রাজা কোসীর পূর্বে তার চৌত্রিশজন বংশধর সুতীয়া রাজ্যে শাসন করেছেন। এই কথায় ভিত্তি করে বহুসংখ্যক পণ্ডিতে খ্রীষ্টীয় সপ্তম শতিকায় শুতীয়া রাজ্য স্থাপিত হয়েছিল বলে অনুমান করেছেন।

পরবর্তী রাজা

শুতীয়া রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী রাজা ছিলেন গৌরীনারায়ন । তার অপর নাম রত্নধ্বজপাল। তিনি বীরপালের পুত্র ছিলেন। ১২২৪ সনে তিনি স্বেতাগিরির রাজা ভদ্রসেনকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন। তিনি ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পারে রত্নপুর বা রতনপুর নামক স্থানকে রাজধানি স্থাপন করেন। কমতাপুরের রাজার কন্যাকে বিবাহ করে তিনি বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। তিনি অন্যান্য শুতীয়া সমষ্টিকে নিজের রাজ্যে বিলীন হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। ১৩৭৬ সনে দ্বন্দের ফলস্বরুপ শুতীয়া রাজার হাতে আহোম রাজা চুতাফার মৃত্যু হয়। ফলে আহোম রাজ্য ও শুতীয়া রাজ্যের সহিত ঝগড়ার সৃষ্টি হয় ও এই ঝগড়া বহুবৎসর চলে। অবশেষে ১৫৯২ সনে আহোমেরা শুতীয়া রাজা নীতিপালকে হত্যা করে ও শুতীয়া রাজধানী শদিয়া দখল করে। আহোমেরা অঞ্চলটি শাসন করার জন্য শদিয়া খোয়া গোহাই নামক নতুন পদের সৃষ্টি করেন। কিন্তু শুতীয়ারা আহোমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লুষ্ঠন কার্য শুরু করেন। ১৬৭৩ সনে শুতীয়ারা আহোমের বশ্যতা শিকার করেন।

তথ্যসূত্র