বিষয়বস্তুতে চলুন

আদমজী জুট মিল্‌স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৪৬ নং লাইন: ৪৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:সরকারি সংস্থা]]
[[বিষয়শ্রেণী:সরকারি সংস্থা]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫১-এ প্রতিষ্ঠিত]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫১-এ প্রতিষ্ঠিত]]
[[বিষয়শ্রেণী:শিল্প অনুযায়ী কোম্পানি]]
[[বিষয়শ্রেণী:শিল্প অনুযায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের পাটকল]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের পাটকল]]

০৯:৩৬, ১৮ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আদমজী জুট মিল
ধরনজনগণ
শিল্পপাট
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৫০
প্রতিষ্ঠাতাআবদুল ওয়াহিদ আদমজী
বিলুপ্তিকাল২০০২
অবস্থা১৯৭২ সালে জাতীয়করণ
২০০২ সালে বন্ধ
সদরদপ্তর,
প্রধান ব্যক্তি
আদমজী ব্রাদার্স
পণ্যসমূহপাট পণ্য
মালিকআদমজী গ্রুপ অব কোম্পানি (১৯৫০-১৯৭১)
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (১৯৭২-২০০২)
কর্মীসংখ্যা
২৫,০০০

আদমজী জুট মিল্‌স ছিল একটি পাটকলবাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত এই কারখানাটি পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল হিসাবে বিখ্যাত ছিল। ১৯৫০ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত আদমজী জুট মিল্‌স তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ২য় পাট কল (প্রথমটি হল বাওয়া পাট কল)। পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানের বাংলাদেশ) এর উন্নতমানের পাট ব্যবহার করে আদমজী পাট কলে বিভিন্ন পাটজাত দ্রব্য প্রস্তুত করা হত। এটিকে এক সময় বলা হত প্রাচ্যের ডান্ডি (স্কটল্যান্ডের ডান্ডির নামানুসারে)। ১৯৭০ এর দশকে প্লাস্টিক ও পলিথিন পাটতন্তুর বিকল্প হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলে আদমজী পাট কলের স্বর্ণযুগের অবসান হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এটিকে জাতীয়করণ করা হয়। তখন থেকে ১৯৮০ এর দশকের কয়েকটি বছর ব্যতীত অন্য সব বছর এটি বিপুল পরিমাণে লোকসান দেয়। শ্রমিক ও মূলতঃ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর বাধা সত্ত্বেও ২০০২ খ্রীস্টাব্দের ২২শে জুন এই কলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে মিলটির ১নং ইউনিট রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন এলাকায় পরিনত করা হয়েছে। ২নং ইউনিটটি পুনরায় চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।[][]

ইতিহাস

পাকিস্তানের অন্যতম ধনাঢ্য আদমজী পরিবারের তিন ভাই এ. ওয়াহেদ আদমজী, জাকারিয়া আদমজী ও গুল মোহাম্মদ আদমজী যৌথভাবে আদমজী জুটমিল প্রতিষ্ঠা করেন। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়ায় আদমজী জুটমিল গড়ে ওঠে ২৯৭ একর জমির ওপর। ১৭০০ হেসিয়ান ও ১০০০ সেকিং লুম দিয়ে এই মিলের উৎপাদন শুরু হয় ১৯৫১ সালের ১২ ডিসেম্বর।[] ওই সময় এই মিলের উৎপাদন থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। ১৯৫১ সালের ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরুর পর পরই আদমজী জুট মিলস লি. শেয়ার ছেড়ে বিনিয়োগ উন্নীত করা হয় ৭ কোটি টাকায়।[] তখন মিলে তাঁতকল বসানো হয় ৩ হাজার ৩০০টি। আদমজী জুট মিলে উৎপাদিত চট, কার্পেটসহ বিভিন্ন প্রকার পাটজাত দব্য দেশের চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি হতো চীন, ভারত, কানাডা, আমেরিকা, থাইল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।[] এ সময় আদমজী জুট মিল হয় পৃথিবীর অন্যতম জুট মিল এবং এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ কারখানা। আদমজীকে ঘিরে শীতলক্ষ্যার দুইপাড়ে সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁয়ে গড়ে ওঠে বিশাল জনগোষ্ঠীর আবাস।[]

অবস্থান

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে ২ কিলোমিটার দক্ষিণে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের ধারে এর অবস্থান।[]

আয়তন

আদমজী জুট মিলের (বর্তমান আদমজী ইপিজেড) আয়তন প্রায় ২৯৭ একর।

তথ্যসূত্র

  1. "Adamjee Jute Mills closed"Dawn (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০২-০৬-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৩ 
  2. Ashraf, Nazmul (২০০২-০৬-২৯)। "Adamjee Jute Mills closes tomorrow"Gulf News। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৪ 
  3. "Abdul W. Adamjee, Pakistani Magnate, Millionaire, Is Dead"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৭২-০৭-০৫। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৩ 
  4. "World's largest jute mill goes silent"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৩ 
  5. "Bengalis Encircle 30,000 Biharis in Mill"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৭১-১২-৩০। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৩ 
  6. Hasan, Md. (২০০৬-০৩-২৬)। "Adamjee EPZ eyes $400m investment in 18 months"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৩ 
  7. "Proposal to reopen AJM awaits PM's approval"। ২০১৩-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৭ 

বহিঃসংযোগ

বাংলাপিডিয়া